নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে ও শান্তির অন্বেষায় ...

জোবাইর

বিনয়ী মূর্খ অহংকারী বিদ্বান অপেক্ষা মহত্তর।

জোবাইর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা - ৩ মে

০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

২০১৩

সব দল নিয়ে অন্তবর্তী সরকারের প্রস্তাব
২০১৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে তার কোনো আপত্তি নেই। তবে অনির্বাচিত সরকার আর নয় । তিনি গণভবনে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে এ মত প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচনের সময় সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা করার বিষয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতায় আপত্তি নেই। তবে নির্বাচন হতে হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমি কোনো বিষয়ে রিজিড (অনড় ) নই। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমি সমঝোতা করে চলতেই অভ্যস্ত। তবে নীতির প্রশ্নে আমি কখনোই আপস করি না, করবও না।' সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। প্রধান বিরোধী দলের দাবি হলো, যে নামেই হোক নির্বাচনের সময়ে নির্দলীয় সরকার হতে হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবও তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলা গ্রহণযোগ্য নয়
২০১৩ - সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলা প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলের নেতারা বলেছেন, এটা কোনোমতেই 'গ্রহণযোগ্য নয়। এতে সরকার পরিচালনায় তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন। ইতিপূর্বে বিএনপির আমলে কমনওয়েলথ মহাসচিব স্যার স্টিফেন নিনিয়ানও সব দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব করলে তা আজকের প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলেন,
সংলাপের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিলে এবং প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক হলে তারা ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করে সাড়া দেবেন। তবে সংলাপের পরিবেশ তৈরির স্বার্থে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ কারাবন্দি সব নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিষয়টি আলোচ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে দেওয়া ভাষণের সমকালকে বিএনপি সিনিয়র নেতারা এসব কথা বলেন।


সরকার উৎখাত ও জঙ্গি হামলার ছক সিঙ্গাপুর ও ঢাকায় আটক ১৩
২০১৬ - দেশে ফিরে গিয়ে গুপ্তহত্যাসহ সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরে আট বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তারা সিঙ্গাপুরে কর্মরত ছিলেন। গত মাসে (এপ্রিলে) তাদের আটক করা হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করে। এদিকে একই অভিযোগে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরত পাঠানো পাঁচ বাংলাদেশিকে গতকাল রাজধানীর বনশ্রী থেকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। এর আগে গত জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুর সরকার ২৭ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে। আইএস ও আল কায়দার মতো উগ্রপন্থি জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের সকলকেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

২০০৭
ড. ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়ালেন
রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়ালেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দল গঠনের প্রচেষ্টায় তিনি নানা ব্যক্তির সাথে কথা বলেছেন। জনগণের মতামত নিয়েছেন। তার ইচ্ছে ছিল ঘরোয়া রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হলেই তিনি নাগরিক শক্তির সাংগঠনিক ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করবেন। তবে শেষ অবধি তিনি দেখতে পেলেন যারা তাকে উৎসাহ দিয়েছেন, তারা তাদের নিজেদের অসুবিধার কারণে রাজনীতিতে যোগ দেবেন না, প্রকাশ্যে সমর্থনও দেবেন নাÐ অন্য দল ছেড়েও আসবেন না। ফলে সব মিলিয়ে জোরালো টিম বানানোর মত লোক তিনি খুব বেশি খুঁজে পাননি। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন।

উদ্ধৃতি

"বর্তমান সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি দেখে বিরোধী দল বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনে তারা সুবিধা করতে পারবে না। তাই তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবার পথ খুঁজছে। "
– প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (০৩ মে, ২০০৫)

"তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করা না হলে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না। "
– আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল (০৩ মে, ২০০৫)

"[si১৫ আগস্টের পরিবর্তনে জনগণ কাঁদেনি বরং হেসেছিলো। আবারও অমন ঘটনা ঘটলে জনগণ খুশি হবে।"
-জামায়াতে ইসলামী নেতা গোলাম আযম (৩ মে ১৯৯৯)

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৩

এস.এম.সাগর বলেছেন: কি মন্তব্য করবো বুঝতেছিনা!

০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১:০৫

জোবাইর বলেছেন:
২০১৩ সালে শেখ হাসিনা সব দল নিয়ে অন্তর্বতী সরকারের যে প্রস্তাব করেছিলেন বিএনপি সেটি গ্রহণ করলে বাংলাদেশের রাজনীতি আজ অন্য রকম হতো। দূর্ভাগ্যবশতঃ বিএনপি আর সে সুযোগ পাবে না।

উদ্ধৃতিগুলো পড়লে বুঝা যায় যে সরকার প্রধান হিসাবে খালেদা জিয়া তখন যেই মন্তব্য করেছিলেন বর্তমান সরকার প্রধান হিসাবে শেখ হাসিনার মন্তব্যও প্রায় একই রকম!
আবার বিরোধী দল হিসাবে আওয়ামী লীগ তখন যে মন্তব্য করেছিলো বিএনপির মন্তব্যও এখন সেই রকম!
বাংলাদেশের রাজনীতির সেলুকাস!!

২| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:১১

শেরজা তপন বলেছেন: এটা কি ধারাবাহিক?

০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৮

জোবাইর বলেছেন: সময় ও সুযোগ পেলে ধারাবাহিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সবাই ক্ষমতা টিকেয়ে রাখতে চায়!

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

জোবাইর বলেছেন: দল ক্ষমতায় আসলে আগে কী বলেছিলো ও করেছিলো তা ভুলে যায়। আবার ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতায় থাকতে কী বলেছিলো ও করেছিলো তা ভুলে যায়।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: ১৩ পর যখন বিরোধী দল হওয়া তখন আপনি কি কল্পিত শত্রু তৈরি করেন ঐটা দেখার অপেক্ষায়। এবং শুদ্ধতম স্বৈরাচারকে কি রূপে দাঁড় করান দেখার অপেক্ষায় রইলাম, তারপর ধারাবাহিক ভাবে মন্তব্য করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.