নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রিজভান হাসান। ডাক নাম আকাশ আর ব্লগ নিক আকাশ_পাগলা নিয়ে চলছি বেশ কিছু বছর। আমার স্থায়ী ঠিকানা হল http://wings.rizvanhasan.com । আমন্ত্রণ রইল। সারাটাদিন অনেক কারণে বাধ্য হয়ে আর্টিফিশিয়াল সুশীল ভড়ং ধরে রাখতে হয়। ব্লগে আসি তাই হাঁফ ছাড়তে। এভাবেই তাই ব্লগটা এখন নেশা। দরকার হলে উচিৎ কথা বলে আজীবনের জন্য ব্যন হয়ে যাবো, কিন্তু কখনও সুশীল ভাব নিতে চাই না। বাস্তবে যেই দোষে মানুষকে বলি, "সবারই নৈতিক ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখা উচিত।" ব্লগে এসে সেই ব্যক্তিকে সেই দোষেই বলতে চাই, "আইজকা তোরে খাইছি। তুই কত বড় হ্যাডম আইজকা দেখুম!" এমনটা ভাবার কারণ নাই যে, মনিটরের ভিতরেই শুধু গলাবাজী করি। সবখানেই আমি প্রতিবাদী চরিত্রগুলোর প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। কিন্তু আমরা আসলে স্বপ্নে না সমাজে বাস করি, তাই সবখানে আর পেরে উঠি না। আমার শাস্তি যে অনেকের কষ্ট। কিন্তু যখনই সুযোগ পাই ফুঁসে উঠি, ফুঁসে উঠতে চাই। একদিন ঠিক দাঁড়িয়ে যাবো সবার মাথার উপর, তখন আর কেউ আটকাতে পারবে না। (আমার অনুমতি ছাড়া আমার কোন পোস্ট বা পোস্টের অংশবিশেষ অন্য কোথাও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ)
একটা মাত্র দিন, প্রেমিক প্রেমিকার ভালবাসাটাকে সেলিব্রেট করার জন্যে; সেইটাকেও পুলিশ-আসামী, বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া, বড়ো ছোট, মানুষ পশু, প্রতিবেশীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার মানেটা কী ভাই?
ইতিহাসটা প্রতি বছর শুনে এখন সবাই জানেন। অতি শর্টে ২ লাইনে শেষ করি। ক্লডিয়াস ২য় চিন্তা করে দেখলো, বিবাহিত যোদ্ধার চেয়ে অবিবাহিত যোদ্ধারা ফাইটে ভালো হবে। তাই সে বিয়ে করতে মানা করে দিলো। ত ভ্যালেন্টাইন এক মেয়েকে বিয়ে করতে যেয়ে ধরা খেয়ে গেলেন। ফাঁসীর আগে লাস্ট চিঠির শেষে উনি লিখেছেন, “তোমারই ভ্যালেন্টাইন”।
আবার শোনা যায়, ওখানে জেলরক্ষকের মেয়েরই প্রেমে পড়েছিলেন উনি। সেই মেয়েকেই চিঠি দিয়েছিলেন।
ত, ঘটনা শেষমেষ যাই হোক, এই যে বেচারা ভ্যালেন্টাইন চিঠিটা দিয়ে গেলেন, উনি কি গরু ছাগল, বৃক্ষ, পুলিশ, প্রতিবেশি, ভাই-ভাবী, বাবা মা, পৃথিবী গ্যালাক্সি এদেরকে চিঠি দিলেন? আরে, এই চিঠির উপর এই ভ্যালেন্টাইন’স ডে সেই চিঠিটাই ত প্রিয়তমার জন্য।
একটা মাত্র দিন প্রেমিক প্রেমিকাদের দেয়া যায় না? সেখানেও আঁতেলীয় বাণী দিতে হবে যে, এই ভালবাসা সবার ! বৃক্ষ রোপণ সপ্তাহে গাছের খবর নাই, এই দিনে বৃক্ষের জন্য প্রেম উথলে পড়ছে। ঈদে গরীব প্রতিবেশীকে মাংস দিতে মনে থাকেনা, মাংস দেয় দুই বিল্ডিং পড়ের “ভাবী” কে, আজকের দিনে তাদের প্রতিবেশির জন্য ভালোবাসা উথলে পড়ছে।
প্রতিটা কাপল (বিবাহিত ও অবিবাহিত) নিজেরাই ডিসিশান নেক না যে তারা এই দিন কিভাবে উদযাপন করবে বা আদৌ করবে কী না। বহুদিন ধরে বলবো বলবো ভাবছি, বলা হয় না। এই দিন “ভালোবাসি” বলে দিলাম। বা, অফিস নিয়ে ব্যস্ত বেশ। পাশের জেলা থেকে আসা হয় না। দেখা করব করবো ভেবেও করছি না। এই দিন না হয় ছুটি নিয়েই দেখা করলাম। অথবা, কখনও দেখাই হয় নি। বুঝতেছিও না যে তাকে রাজি করাতে পারবো কী না। এই দিন দেখা করতে বললাম। অথবা, বছর পাঁচেক প্রেম করে রিলেশন বোরিং হয়ে গেছে। এই দিনকে টার্গেট করে আবার আগের মত গিফট দিলাম না হয়, লাভ কার্ড দিলাম। স্বামী স্ত্রী বা বিবাহিত কাপলের সংখ্যাই ত সবচেয়ে বেশি। এই দিন টার্গেট করে তাদের রোমান্টিসিজম না হয় আরেকটু বাড়লো। সমস্যাটা কই ? আরে ভাই, প্রেম উদযাপণ মানে ডিস্কো না আবার বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসাও না।
আপনি বলতে পারেন যে, সারা বছরই ত প্রেম করতেছ, একদিন ন্যাকামি না করলে না? আরে ভাই, এইটা ত প্রেম করার দিন না। প্রেমকে উদযাপন করার দিন। গাছ কী ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ বুঝে ফুল ফুটায়? ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক সেদিন ত পহেলা বসন্ত। আপনার সামনে গরু জবাই করল, সেই মাংস খেলেন আর কুরবানীর ঈদে মাংস খেলেন দুইটা কী এক জিনিস নাকি? প্রত্যেকটা দিবসের আলাদা ইমেজ আছে।
শুধু প্রেমিক প্রেমিকার দিন হিসেবে থাকলে ঢালাও প্রচারটা কম হবে। বিজনেস হয়ত কমে যাবে। তাই এসব পুঁজিবাদী টেকনিক। আরে ভাই, ১৪ ফেব্রুয়ারিকে “পবিত্র দিন” হিসেবে ত কেউ ঘোষণা করতে বলে নাই। এটা না হয় বড়ো দের “ছিঃ ছিঃ দিন”, হুজুরদের “গজবের দিন” বা অপবিত্র দিন হয়েই থাকুক; তাও নর নারীর স্বাভাবিক ভালবাসার নামে একটা দিন দেন।
এগুলা বললে যারা সিঙ্গেল (এখন আমি নিজেও) তারা ক্ষেপে যায়, “তবে রে, ভালোবাসা দিবসে আমরা কি ভেসে আসলাম? আমাদের কিছু না?” আহা, বৃক্ষ রোপণ সপ্তাহে কারও চিন্তা নাই যে কয়টা গাছ লাগালাম, কিন্তু ভ্যালেন্টাইনস ডে তে কী করবে সে তা নিয়ে ক্ষেপে অস্থির। কাকে প্রপোজ করা যায়, কার সাথে ঘুরা যায়- উহ, কি দক্ষ যজ্ঞ।
সুস্থ স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহিত ও অবিবাহিত সকল প্রেমিক প্রেমিকাকে নিজেদের অনুভূতি উদযাপন করবে কীনা য়ার করলে কীভাবে; সেই ডিসিশান নেয়ার জন্য ১৪ই ফেব্রুয়ারিটা আসেন তাদের নামে ছেড়ে দেই। পশু-পাখি-বৃক্ষ, পুলিশ-আসামী, প্রতিবেশি, বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া, আত্মীয় স্বজনকে আমরা রেগুলার স্বাভাবিক ভাবে ভালবেসে যেতে পারি। যে কোন দিন উদযাপন করতে পারি। সেটার জন্য বেচারা ভ্যালেন্টাইনের চিঠির দরকার নেই আমাদের। সেই ভ্যালেন্টাইনের চিঠির ভালোবাসাকে আসেন তার জায়গাতেই বরং রেখে দেই।
এবারের ভালোবাসা দিবসে কাপলরা ঠিক করলো তারা উদযাপন করবে শাহবাগে যেয়ে, রাজাকারদের বিরুদ্ধে যেয়ে। এই উদযাপনটাই ত এই ভালোবাসা দিবসের লক্ষ্য।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
মামুন হতভাগা বলেছেন:
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন:
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
অথৈ সাগর বলেছেন: ফেবুতে পেলাম
ফেব্রুয়ারি ৭: Rose day
ফেব্রুয়ারি ৮: propose day
ফেব্রুয়ারি ৯: chocolate day
ফেব্রুয়ারি ১০: teddy day
ফেব্রুয়ারি ১১: promise day
ফেব্রুয়ারি ১২: hug day
ফেব্রুয়ারি ১৩: Kiss Day
ফেব্রুয়ারি ১৪: ----------------
ভাবছি পুর বছরের হিসাব করে দেখব কোন কোন দিন বাকি আছে । সেই দিন গুলোর একটা বিহিত করতে হবে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: সব দিন সংক্ষেপে সবাই ভ্যালেন্টাইন ডে তে এনে ফেলছে মনে হচ্ছে।
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৯
মশামামা বলেছেন: খায়ালচে!!!!!
শায়মা বুড়ি আমার ফারামনিরে খায়ালচে!!!!
হালার নিকডাই খুলছিলাম এই জন্য। এখন এমুন চোক আমি কুনে পাই????????
সান্তনুরে গদাম দেয়া আমার এক সেকেন্ডের ব্যাপার আচিলো।
০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
আকাশ_পাগলা বলেছেন: স্যার, মাথাডা কি ঠিকাছে ?
৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
সাইফ হাসনাত বলেছেন: আকাশ ভাই!
কেমন থাকেন আজকাল বলেন তো? কতোদিন কথা হয়না আমাদের...
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ভালো থাকি না রে ভাই।
মনে শান্তি নাই, মনের জন্য সময় নাই।
আসলেই, মানুষের সাথে কন্টাক্ট হারিয়ে যাচ্ছে রে ভাই। কারও সাথে কথা হয় না। ঢাকার বাইরে জব করে ডেইলি আসা যাওয়াটা খুব একটা টাইম কনজুমিং পেইনের ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আজকে বাংলাদেশ প্রতিদিনে বাংলা ছবির নায়িকার সাক্ষাৎকার পড়লাম, “প্রেম করলে বাসা থেকে গলা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিতে পারে। তাই অমুক ছেলেকে মনে মনে চেয়েও মানা করে উলটা বকা টকা দিয়ে দিলাম।” ত সেই রেস্ট্রিকটেড ফ্যামিলি থেকে এখন প্রেম না করেই হাফপ্যান্ট পড়ে ড্যান্স করার পার্মিশন দিয়ে দিলো? এখনকার জোয়ারে সবাই তথাকথিত শালীন। কিন্তু শুরু ত সেই হাফপ্যান্ট দিয়েই। তখন সেই ফ্যামিলি কী বলছে?
বেশি টাইট দিলে দড়ি ছিড়ে যায়। হুহ।