নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রিজভান হাসান। ডাক নাম আকাশ আর ব্লগ নিক আকাশ_পাগলা নিয়ে চলছি বেশ কিছু বছর। আমার স্থায়ী ঠিকানা হল http://wings.rizvanhasan.com । আমন্ত্রণ রইল। সারাটাদিন অনেক কারণে বাধ্য হয়ে আর্টিফিশিয়াল সুশীল ভড়ং ধরে রাখতে হয়। ব্লগে আসি তাই হাঁফ ছাড়তে। এভাবেই তাই ব্লগটা এখন নেশা। দরকার হলে উচিৎ কথা বলে আজীবনের জন্য ব্যন হয়ে যাবো, কিন্তু কখনও সুশীল ভাব নিতে চাই না। বাস্তবে যেই দোষে মানুষকে বলি, "সবারই নৈতিক ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখা উচিত।" ব্লগে এসে সেই ব্যক্তিকে সেই দোষেই বলতে চাই, "আইজকা তোরে খাইছি। তুই কত বড় হ্যাডম আইজকা দেখুম!" এমনটা ভাবার কারণ নাই যে, মনিটরের ভিতরেই শুধু গলাবাজী করি। সবখানেই আমি প্রতিবাদী চরিত্রগুলোর প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। কিন্তু আমরা আসলে স্বপ্নে না সমাজে বাস করি, তাই সবখানে আর পেরে উঠি না। আমার শাস্তি যে অনেকের কষ্ট। কিন্তু যখনই সুযোগ পাই ফুঁসে উঠি, ফুঁসে উঠতে চাই। একদিন ঠিক দাঁড়িয়ে যাবো সবার মাথার উপর, তখন আর কেউ আটকাতে পারবে না। (আমার অনুমতি ছাড়া আমার কোন পোস্ট বা পোস্টের অংশবিশেষ অন্য কোথাও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ)
দেশে মনে হয় আচমকা সুখী মানুষের আকাল পড়ছে।
সুখী মানুষ নাই-ই নাই। তবে, সুন্দরী মেয়েরা যদি নিজেদের মানুষ (সাধারণ সবার মত) ভাবেন, তাহলে অবশ্য সুখী মানুষ আছে বেশ।
২৩-২৪-২৫-২৬ বছর দিয়ে আমি আসলে গ্রাজুয়েশনের সময়ের কথা বলছি। যে যেই বয়সে পাশ করে আর কী !
ভার্সিটির যত ফ্রেন্ড আছে সবাই জব করতেসে। কেউ তার জব নিয়ে হ্যাপি না। কারও স্যালারি মনে করতে কম, বা কারও মনে হচ্ছে তাকে বেশি খাটায়। বা আর কারও ধারণা তার কাজের পরিবেশ ভালো না। সব মিলিয়ে এরা হতাশ।
ভার্সিটির বাইরের পোলাপানের আরেক ক্যারফা। ওরা পড়াশোনা করছে। কারও গ্রাজুয়েশনের অল্প বাকি কেউ বা মাস্টার্স/এমবিএ ধরে ফেলসে। এরা জব করতাসে না, মোটামুটি টেনশানে আছে আর হতাশ।
যে আবার জব নিয়ে খুশি, পড়াশোনাও শেষ তার আবার গার্লফ্রেন্ড চিটিং করসে। সেখানেও হতাশা। নইলে আরেকজনের গার্লফ্রেন্ডের বিয়েই হয়ে গেলো। মেয়ে মাত্র নতুন চাকুরেজীবির কাছে আসে নাই। আরও সেটেলড ছেলের কাছে চলে গেছে।
যে আবার জব, পড়াশুনা, গার্লফ্রেন্ড সব কিছু নিয়া খুশি তার আবার বাসায় সমস্যা। বড় ভাই আলাদা হয়ে গেছে বউ নিয়ে। বাপ রিটায়ার্ড ছোট বোনের বিয়ে হচ্ছে না। হেন তেন। নিজেও বিয়ে করতে পারছে না। গার্লফ্রেণ্ডের বিয়ের প্রেশার আসতেছে।
আরেকজনের সব কিছু ঠিকাছে। সব। শুধু ফ্যামিলি গ্রামে সে থাকে মেসে। বাবা মারাত্মক অসুস্থ। সারাজীবন সিগারেট খেয়ে এখন ফুসফুসে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস।
সব মিলিয়ে ব্যপক ক্যারফা। মাঝে মাঝে ব্যাচমেট কেউ কেউ ফোন দেয়। জব চেঞ্জ করবে নইলে এখনও বসেই আছে। জব আছে কী না !! মাত্র ঢুকলো যে, তার কী আর জব দেয়ার ক্ষমতা আছে ! মাঝে মাঝে জুনিয়াররা ফোন দেয়, জব আছে কী না। নইলে আরও জুনিয়াররা ফোন দেয়, জব যেন আগে থেকে দেখে রাখি পাশ করতে তার আর ৪ মাস মাত্র !! কিছু বলার নাই, চুপ করে থাকি।
ঢাবি, রাবি, নর্থসাউথ, চবি, ইস্টোয়েস্ট, এয়াইইউবি সবখানে দেখি কত ফ্রেন্ড বসে আছে। জব নাই। বা কয়দিনের মাঝে বের হবে, এরপর কী করবে বুঝতেছে না। সবখানে কেমন একটা হতাশাজনক অবস্থা !!
আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি। স্কুল বা কলেজে পড়ার সময় চিন্তা করতাম যুবক/তরুণ হলে কত না মজা। এখন আমি ভাবি, ২৩-২৪-২৫-২৬ বছরে কী এই সময় কাটানোর কথা ? মানে, সবাই এত হতাশ ক্যান?
এরমধ্যে সুন্দরী মেয়েরা আছে শুধু মজায়। কোন চিন্তা টেনশান নাই। ডু ফূর্তি। বয়ফ্রেন্ড সব কইরা দিবে। ক্যারিয়ারে বড়ো কিছু হবে। বিয়া করে ফেলবে। যদি না পারে, ছেলে চেঞ্জ। আরও ভালো ছেলে আসবে। এর মধ্যে যদি অপেক্ষার পালা থাকে, কোন সমস্যা নাই। লাখ লাখ ফ্রেন্ড আছে লোনলিনেস কাটানোর জন্য। বয়ফ্রেন্ড মানতে পারলে মানুক না মানলে আরেকটা আছে। আর ফেসবুক ত আছেই, ছবি উঠায়া কোন মতে দিতে পারলেই হয়। লাইক যদি ডজন ১ টাকাও বেঁচা যাইত, তাও তারা বিলিওনিয়ার হয়ে যাইতো। পোলাপানের এমন ডেডিকেটেড ছ্যাবলামি দেখলেও বুঝা যায়, গণহারে ছেলেরা ক্যামন হতাশ !!
পুরা বোর লাগে মাঝে মাঝে সারাদিন। মানে কেউ নাই হ্যাপি, যে তাকে দেখে হ্যাপি লাগবে একটূ । আসলেই, এই বয়সে কী পোলাপানের এই সময় কাটানোর কথা। সারাদিন অফিস করে পুরা বোর লাগে। নিজের জন্য সময়ই থাকে না। যখন সময় থাকে, যাদের সাথে আড্ডাই সবাই দেখি ক্যামতে ক্যামনে হতাশ !! মানে মজায় আছে, কিন্তু টেম্পোরারি মজা। সবার ভিতরেই টেনশান।
২| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৯
মুকতাদির রহমান বলেছেন: খুবই বাস্তব একটা কথা বলেছেন ভাই...আমি পাশ করেছি এই মাসেই, ছোট একটা জবও পেয়েছি, আমার চলে যাবে, কিন্তু আমার বাবা-মা-গার্লফ্রেণ্ড কারোর ই সেটা পছন্দ না!!! এর আগের সেমিস্টারে যারা পাশ করেছে তারাও এখনো বসে আছে, আমাদের সাথে যারা বের হয়েছে তাদের অবস্থা তো আরও খারাপ...কারো সাথে দেখা হলেই বলে একটা জবের ব্যবিস্থা করে দিতে...আমি নিজেই নতুন জয়েন করেছি, আমি এখন কিভাবে জব দেই...
২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: দেখেন, আপনি হতাশ।
তারাও হতাশ।
আপনার বাবা মা গার্লফ্রেন্ড এরাও হতাশ।
মানে, আমি বুঝতেছিনা আগে সবাই সুখে দিন কাটাতো এই বয়সে নাকি আমরাই আসলে সুখে আছি !!
৩| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
কালোপরী বলেছেন:
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
আকাশ_পাগলা বলেছেন:
৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হতাশা ফতাশা ঘতাশা। ধুরো! একবার না র্যাপ গান করা ধরসিলা, বাদ দিস সব? গল্প টল্পও তো লেখো না। যারা সৃষ্টি করতে পারে তাদেরকে সব ছেড়েছুড়ে গন্ডিবদ্ধ হতে দেখতে ভালো লাগে না।
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১:১১
আকাশ_পাগলা বলেছেন: সৃষ্টি ত ভাই এমনে এমনে বের হয় না।
তবে ভাই আপনি ভালো আছেন দেখে কিন্তু আমার খুব ভাল্লাগতেসে
৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৭
দি সুফি বলেছেন: আমার এক বন্ধুর কয়েক মাস আগে বিএসসি শেষ হল, ইন্টারভিউ দিয়ে একটা জবও পেল, শুরুতে ১৮ হাজার টাকা মাসে, তিন মাস পর থেকে মাসে ২১ হাজার টাকা, আর এক বছর পার হলে বেতন ৩০ হাজার টাকা! তাও সে ঐ জবে ঢুকে নাই! কারন তার দেড় বছরের চুক্তি করতে হবে! :-&
সমস্যা হল আমরা আসলে কেউই নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট না।
যা আছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা = সুখে থাকা = নো হতাশা!
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: সব কিছু ঠিক থাকলে তার চুক্তিতে সমস্যা টা কী ছিলো ? মানে সব পক্ষ খুশি থাকলেই ত মানুষ চুক্তি করে। তাইনা?
তবে সামান্য এক্সপেরিয়েন্স থেকে কিছু বলতে পারি।
১, হতে পারে উনি চাপা মারসে।
২। হতে পারে উনার আরও ভালো অফারের সম্ভাবনা দিয়ে রাখছে উনার মামা/চাচা। উনি তার আশার আছে।
৩। কোম্পানীর সবই ভাল। তারপরও কোথাও সমস্যা আছে, যেটা আপনাকে বলেনি।
৪। এমন কোম্পানীও আমি চিনি। চুক্তির কথা বলে সার্টিফিকেট নিসে। কিন্তু সময় শেষ হবার পরেও দেয় নি। মুলামুলি করে আরও ১ বছর পরে দিসে। ওই কোম্পানীর এমন রেকর্ডের আশংকা করছেন উনি, হয়ত কারও থেকে শুনে।
নইলে একটা কিন্তু ত থাকবেই। উনার কেইস হতাশা না, অন্য কিছু।
৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২২
লজিক মানুষ বলেছেন: পাশ করে চাকুরি করতে হবে কেন? বলতে পারেন? তাহলে নিজে কি শিখলেন এতদিন????? আপনার বাবা-মা এত কষ্ট করে আপনাকে লেখা-পড়া শিখিয়েছে অন্যের চাকর হতে?
আপনি যদি মনে করেন লেখা পড়া শেষ করেই একটা জব পেলেই লাইপের ৫০% সেটেল্ড, তাহলে আপনি একটা রাম গাধা।
নিজেকে প্রশ্ন করুন। কি শিখলেন এত দিন? আপনি যে কম্পানিতে চাকর, সেই কম্পানির বস আর আপনার মদ্ধ্যে পার্থক্য কি? তার কি ২টা হাত বেশি আছে? না ২টা পা বেশি আছে?
জানি উত্তর দিবেন তার তো অনেক টাকা। এবার ভাবুন, সে কি এই অনেক টাকা নিয়েই জন্মেছিল???
যদি জন্মায় তাহলে আমার লেখা আর পড়ার দরকার নেয়। কিন্তু যদি না জন্মায় তাহলে আপনি কেন বস হবেন না? কেন নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে নিজেই কিছু করবেন না? নাকি দায়িত্ত্ব নিতে ইচ্ছা করে না? যদি করে তাহলে কনো কথা নেই। নিজেই কিছু করার চেষ্টা করেন।
আর যদি দায়িত্ত্ব নিতে ইচ্ছা না করে তাহলে বলুন, একটা প্রতিষ্টান চালানোর সামান্য দায়িত্ত্ব টুকু ভয় পাচ্ছেন অথচ একটা মেয়েকে বোউ বানিয়ে তার দায়িত্ত্ব নিতে তো লাফা-লাফি করেন। কেন???কেন???কেন???কেন???কেন???কেন???কেন???কেন???
আজাইড়া হতাশ পোলাপাইন দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় । মাথা মোটা গরু কোথাকার।
পারলে নিজে কিছু করেন। এই জব ভালো না সেই স্যালারি ভালো না...। সারা জিবন এভাবেই ভালো না ভালো না করেই মরবেন। তার থেকে নিজে কিছু করেন। দেখবেন না খেয়ে থাকলেও একটা আলাদা তৃপ্তিতে থাকবেন।
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ডিয়ার স্যার,
আপনি কী কাজ করেন কী না করেন জানিনা, তবে চাকরি করে মানুষ এক্সপেরিয়েন্সের জন্য।
আপনি কী টেকনিকাল কোন কাজের সাথে জড়িত? নিজের প্রতিষ্ঠান বলতে কী আপনার কাছে শুধু একটা চকচকে অফিস আর গাদা গাদা কাগজ বুঝায়?
আপনি যদি কোন টেকনিকাল কাজে বা প্রডাকশনের কাজে নূন্যতম জড়িত হন নিশ্চয়ই জানেন এর মধ্যে এক্সপেরিয়েন্সের ভ্যালু কতটুকু।
আমার বসের হাত আমার মত ২টাই তবে এক্সপেরিয়েন্স টা আমার থেকে ২ বছর বেশি। তার আরেকটা জিনিস আছে, সুযোগ আর লাক ব্যবহারের যোগ্যতা। তাও মোটামুটি এক্সপেরিয়েন্স থেকেই আসে।
কিছু একটা করেন -- নাহ। কিন্তু একটা "তৈরি" করেন। একটা প্রডাকশন করেন। তখন বুঝবেন কেন নিজের কিছু করতে হলে ১৫ বছর অভিজ্ঞতা লাগে।
আরেকটা ব্যাপার, চাকরি করলেই অন্যের চাকর হয়ে যায় না। আপনি নিজের পজিশন আছে যা অন্যের নিচে আপনাকে বসিয়েছে বটে আবার অনেকের উপরেও জায়গা দিয়েছে। নিজের দায়িত্ব আর অবস্থান সম্পর্কে সন্দেহ থাকলেই এই চাকর ভাবটা মনে আসে !
আপনি যদি গানের ওয়েলকাম টিউন্স সেট করার অফিস দেন, বা কোন কর্পোরেট অফিস দেন আমার কথার মর্ম বুঝবেন না। আর লাফাবেন নিজের মত যে এই করা যায় সেই করা যায়। কিন্তু এগুলা ভ্যালুলেস। আপনি আসেন, টেলিভিশনের ফ্যাক্ট্রি দেই। বা ফ্রিজের। বা মোবাইলের। ফ্যাক্টরি, সেলস সেন্টার না। তখন বুঝবেন অভিজ্ঞতা কেন লাগে।
আরেকটা জিনিস। ক্লাসে ফার্স্ট একজনই হয়। যে কোন কিছুতে আপনি সবাইকে সফল আশা করতে পারেন না। আপনি যা বলছেন তা ঠিক, কিন্তু সেই ঠিক কাজটা সবাই করতে পারবে এমন আশা করবেন না। জব করে মানুষ সিকিউরিটির জন্য। বাসায় একটা দায়িত্ব থাকে। নিজে কিছু করতে গেলে সেটা সফল হবেই প্রথম বছরে সেটার শিওরিটি নাই। কিন্তু জবে অন্তত মাস গেলে চলা যায়।
অবশ্যই আমি উদ্যোগ আর উদ্যোক্তার পক্ষে। আর অন্যের চাকরামির বিপক্ষে। কিন্তু আমি শুধু সেইসব উদ্যোগের পক্ষে যা কিন্তু তৈরি করে, বা ক্রিয়েট করে। যা স্মার্ট। আজাইরা কর্পোরেট বা সেলিং বেইজড না।
চকচকে অফিস করে ফেলছে। চিংড়ি মাছ প্যাকেট করে বিক্রি করে। লোগো বসায়। পোছপাছ খুব। সেই উদ্যোক্তার দরকার নাই। আমাদের দরকার সেই উদ্যোক্তার যারা চিংড়ি বিক্রির সাথে সাথে চিংড়ির প্রোডাকশনে কাজ করে। সরাসরি পুকুরে বিনিয়োগ করে। তখন বুঝবেন এক্সপেরিয়েন্সের মর্ম।
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, আপনি কোত্থেকে কই গেলেন আমি আসলে বুঝি নাই ভাই
পাশ করে জব করলে কী আর না করলে কী সেটা নিয়ে কথা উঠে নাই। কথা হচ্ছে, যারা জব করতে চায় তারা পাচ্ছে না। সেইটাই কথা। সবাই নিজে কোম্পানী খুললে কোম্পানীতে ম্যানেজার হবে কে? আর এক্সিকিউটিভ হবে কে? সবাইকেই পুরা কোম্পানীর দায়িত্ব নিতে হবে ক্যানো?
৭| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: উপদেশ দেওয়া অশোভন। বরঞ্চ প্লেটোর দর্শন কপচে যাই -
অন্ধকার আলোর অনুপস্থিতি ছাড়া কিছু নয়। হতাশা আশার অভাব মাত্র। নিজেকে জান, দেখবে আসলে নিজেকে তুমি জান না। ছোট ছোট সূত্র ধরে নিজেকে আবিস্কার কর। এক সময় দেখবে, পরম সুখ বলতে কিছু নেই, তা ভ্রম মাত্র। প্রশ্ন কর নিজেকে, ভ্রম পূর্ণ সুখি জীবন, নাকি অসুখি সত্যের জীবন?......
আসলেও দার্শনিকরা পাগল হয়ে থাকেন।
৮| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৪০
তুষার মানব বলেছেন: একদম মনের কথা কইসেন
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০১
আকাশ_পাগলা বলেছেন:
৯| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫১
লজিক মানুষ বলেছেন: লেখককে বলছি,
আমি পেশায় ইন্জিনিয়ার। এবং আমি নিজেই নিজের প্রতিষ্ঠান চালাই।
আর কিছু বলা লাগবে?
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: তাইলে স্যালুট স্যার
এক্সপেরিয়েন্স ছাড়া কীভাবে পারছেন ?
ফ্যাক্টরির ক্যাপিটাল জোগাড় করা টাফ !! বিশাল ব্যাপার। নিশ্চয়ই অনেক কাটখড় পোড়াতে হইসে।
আপনি তাইলে ভালই আছেন। লাইফের ফার্স্ট বয়
আপনার ডিটেইলস লাগবে না, কিন্তু জীবনে কীভাবে কী করলেন বলেন না। সবাই হয়ত আমরা কিছু ইন্সপাইরেশান পাবো এটলিস্ট শিখতে ত পারবো।
১০| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
দি সুফি বলেছেন: লেখক বলেছেন: উনার কেইস হতাশা না, অন্য কিছু।
ঠিক বলেছেন। হতাশা নয়, এটার নাম অসন্তুষ্টি।
আপনি যেই কারনগুলো দেখিয়েছেন, তার একটাও সত্য নয়। তার কথা ছিল "আমি কোন চুক্তি করব না, চাকরি দিলে দিবে নাইলে নাই!"।
এই ঘটনা প্রায় ৩-৪ মাস আগের। এখন পর্যন্ত আর কোন চাকরি হয় নাই!
আমার এক কাজিনকে দেখেছিলাম (বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা) বিবিএ শেষ করে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরিতে ঢুকেছিলেন, এখন তার বেতন ৩৫ হাজার + ! একটা কম্পানির বেশ উচ্চপদে চাকরি হয়ে যাবার খুব সম্ভবনা রয়েছে।
যেটা আছে, সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারাই হল সুখ। যারা পারে না, তারাই মূলত হতাশ হয়ে যায়!
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: যা আছে তা নিয়ে সন্ত্রুষ্ট থাকতে পারবেন যদিসেই পরিবেশ পান।
ধরেন, আপনি মনে করেন আপনি একজনের চে বেশি যোগ্য। কিন্তু সে আপনার চেয়ে বেশি সুযোগ পেলো। আর আপনার চারপাশের পরিবেশ তার সাথে প্রতিনিয়ত আপনাকে তুলনায় ফেলে দিলো, আপনি সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন না।
শুধু ব্যক্তি হিসেবে না, পুরো ক্লাস হিসেবে চিন্তা করেন। একটা ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সারাদিন পরিশ্রম করে যতটুকু পায়, তার পরিচিত আরেকজন আরেক কোম্পানীতে এডমিনে কিছু না করেই ( সেই ছেলের কথা অনুযায়ী) প্রচুর আজাইরা সুযোগ নিয়েও ডাবল স্যালারি পায়।
ত সেই লোক সন্তুষ্ট থাকবে কীভাবে নিজের অবস্থা নিয়ে?
১১| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
হেমায়েতপুরী বলেছেন: লজিক মানুষ সহমত___ আমরা চাকরি পাওয়া টাকে সব কিছু মনে করি। আর ছোট বেলা থেকে আমাদের মাইন্ড সেট ও এরকম বানায়ে রাখা হয়েছে/
১২| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১১
লজিক মানুষ বলেছেন: হ্যা, এক্সপিরেন্স তো অবশ্যই লাগবে। ছোটোবেলা থেকেই ইলেকট্রনিক্স আমার খেলার সাথী, যদিও আমি নিছক গেও-পাড়া-গায়ের ছেলে। স্টুডেন্ট লাইফে সবাই যখন পিসিতে গেম খেলাই ব্যাস্ত তখন আমি ব্যাস্ত ছিলাম নতুন কিছু ডিজাইন করতে। হল লাইফে আমি যখন নতন একটা সার্কিট বানাচ্ছি তখন আমার রুমের অন্য প্রান্তে তাশের মেলা বসে গেছে। তখন অনেক কটুক্তি হজম করেছি।
আর এখন? বাকিগুলার হতাশা দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। হয়ত আমি তাদের মতো ওত টাকার মালিক না, তবে আমি আমার কাজকে ইনজয় করি। নিজের বলে কথা। ছোটখাটো হলেও নিজের একটা ইন্জিনিয়ারিং ফার্ম তো করতে পেরেছি। এখন আর পিছনে তাকানোর টাইম নাই।
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
আকাশ_পাগলা বলেছেন: বাহ, দারুণ ব্যাপার।
তবে,
সবার থেকে আপনি এক জিনিস এক্সপেক্ট করতে পারেন না।
ক্লাসে কী সবাই ফার্স্ট হয় ?
আর সুযোগ অনেক বড়ো ব্যাপার। সুযোগ করে নিতে হয় জানি, সেটার জন্যেও সুযোগ লাগে। আপনি আপনার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারছেন, এই জন্য অনেক শুভোকামনা।
১৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
মোঃমোজাম হক বলেছেন: এটাই জীবন।সব ঠিক হয়ে যাবে সময় মতো।
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
আকাশ_পাগলা বলেছেন: এই যদি হয় জীবন, তাইলে এ নিয়ে আর সবার এত লাফালাফির আছে টা কী ??
১৪| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
তাসজিদ বলেছেন: আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা আমদের নিজের স্থানে সুখি না।
The more we get, the more we want. And this process is endless. No one will see the bottom line.
This is life. Which no one can define.
১৫| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
তাসজিদ বলেছেন: আসলে আমি নিজেও ত হতাশ, কারণ public job এ যে বেতন দেয় তা দিয়ে আমি চলতে পারি। কিন্তু ফ্যামিলি সাপোর্ট দেয়ার কথা ভাবাও যায় না।
কি আছে ভবিষ্যতে??? জানি না। তবে শান্তি যে GF নেই।
আসলে মেয়েদের এই এক সুভিধা। career fall করলেও সমস্যা নেই। কারও গলায়......।।
আর বেটার অপশন পেলে প্রেমের গুষ্টি কিলাতে এক মুহূর্ত ও সময় লাগে না।
১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ১০০% কথা সত্যি।
যেভাবে বললেন জিএফ নাই বলে শান্তি, কথাটার মধ্যে একটা ফরএভার লোনলি ভাব পাচ্ছি !!
এরুপর মেয়েদের কথা যেভাবে তুললেন, হা হা হা, আমার ত আপনাকে ঐ দিক দিয়েও হালকা হতাশ মনে হচ্ছে যা রাগে চেঞ্জ হয়ে গেছে।
যাক, আপনি যা বলছেন পুরাই সত্যি কথা।
যে যা চায়, সে তা পায় না।
১৬| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৫
আরজু পনি বলেছেন:
ওই সময়টাতে আমার অবস্থাও ভয়াবহ ছিল, মেয়েদের ওই সময়ে পারিবারিক চাপটা বেশি থাকে! নিজের ইচ্ছেমতো অনেক সিদ্ধান্তই নেয়া যায় না
মাঝে মাঝে পাগলার কথা মনে হয়, কিন্তু আর আসা হয় না। আজকে সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে দেখে নগদে চলে এলাম।
আশা করি কিউট পাগলাটা ভালোই আছে।
১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আপনাকে দেখে ভালো লাগলো খুব।
কেমন আছেন আপু?
ভালো নেই আমি। তবে ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি আপ্রাণ।
১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১২
গাধা মানব বলেছেন: