নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রিজভান হাসান। ডাক নাম আকাশ আর ব্লগ নিক আকাশ_পাগলা নিয়ে চলছি বেশ কিছু বছর। আমার স্থায়ী ঠিকানা হল http://wings.rizvanhasan.com । আমন্ত্রণ রইল। সারাটাদিন অনেক কারণে বাধ্য হয়ে আর্টিফিশিয়াল সুশীল ভড়ং ধরে রাখতে হয়। ব্লগে আসি তাই হাঁফ ছাড়তে। এভাবেই তাই ব্লগটা এখন নেশা। দরকার হলে উচিৎ কথা বলে আজীবনের জন্য ব্যন হয়ে যাবো, কিন্তু কখনও সুশীল ভাব নিতে চাই না। বাস্তবে যেই দোষে মানুষকে বলি, "সবারই নৈতিক ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখা উচিত।" ব্লগে এসে সেই ব্যক্তিকে সেই দোষেই বলতে চাই, "আইজকা তোরে খাইছি। তুই কত বড় হ্যাডম আইজকা দেখুম!" এমনটা ভাবার কারণ নাই যে, মনিটরের ভিতরেই শুধু গলাবাজী করি। সবখানেই আমি প্রতিবাদী চরিত্রগুলোর প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। কিন্তু আমরা আসলে স্বপ্নে না সমাজে বাস করি, তাই সবখানে আর পেরে উঠি না। আমার শাস্তি যে অনেকের কষ্ট। কিন্তু যখনই সুযোগ পাই ফুঁসে উঠি, ফুঁসে উঠতে চাই। একদিন ঠিক দাঁড়িয়ে যাবো সবার মাথার উপর, তখন আর কেউ আটকাতে পারবে না। (আমার অনুমতি ছাড়া আমার কোন পোস্ট বা পোস্টের অংশবিশেষ অন্য কোথাও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ)
( https://www.facebook.com/notes/711741218861287/ ফেসবুকে নোট হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে আগে)
গত ১৮ই জুন প্রসেসড নুডলসের ডাইজেসশান নিয়ে একটা ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ভিডিও তে ডক্টর ব্যাডেন কুও্ ইনস্ট্যান্ট নুডলসের উপর মানুষের পাকস্থলীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটা চমৎকার পরীক্ষা চালান। ভদ্রলোক ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালের গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল স্পেশালিস্ট। উনার পরীক্ষায় মাল্টিভিটামিন সাইজের একটা ক্যামেরা (স্মার্ট পিল) খাবারের সাথে পেটে চালান করেন উনি। সেখান থেকে ফ্রেশ নুডলস আর প্রিজারভেটিভঅলা প্রসেসড নুডলস ( কুইক কুক/ইন্সট্যান্ট নুডলস) পাকস্থলী কিভাবে হজম করে সেটার একটা কম্প্যারিজন দাঁড়া করান । প্রায় প্রতিটা ফুড ব্লগে এটা এখন আলোচনার হট টপিক। ২ ঘণ্টা পরেও দেখা যাচ্ছে পাকস্থলী টানা চেষ্টা করে যাচ্ছে হজম করার, কিন্তু নুডলসের কণাগুলো যেমন ছিলো প্রায় তেমনই আছে। অন্যদিকে ফ্রেশ নুডলস প্রায় দ্রবীভূত।
ভিডিওঃ
(নিউজসোর্স ১)
এবছরই জুনে চায়না আর তাইওয়ানের পুলিশ, ফরমালিন ব্যবহারের অভিযোগে ওদের লোকাল নুডলস শপ বাজেয়াপ্ত করার পর থেকে এই টপিক আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে (নিউজসোর্স ২)। ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াগুলোয় ফুড রিলেটেড ব্লগ, ভিডিও, ফোরাম সবখানে এখন আলোচনার হট টপিক হচ্ছে - ইন্সট্যান্ট নুডলসের প্রিজারভেটিভ কতটুকু নিরাপদ !
মাল্টিন্যাশনাল আর লোকাল নুডলস ব্র্যান্ডগুলোতে মোটামুটিভাবে ২ ধরণের প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়।
১) টিবিএইচকিউ - Tertiary-butyl hydroquinone (TBHQ)
২) ফরমালিন - Formaldehyde, Methanal
আমরা জানি, ৯০% প্যাকেটজাত খাবারেই কোন না কোনভাবে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়, নাহলে এগুলো পঁচে যাবে। এটা কমনসেন্স যে, যেসব খাবার বেশি দিন ফ্লেভারড, মচমচে, কালারফুল রাখতে হবে সেখানে প্রিজারভেটিভও বেশিই ব্যবহার করার কথা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই কোন প্রিজারভেটিভ কতটুকু নিরাপদ?
TBHQ কনসেপ্ট বাংলাদেশের জন্য একটু নতুন। মূলত ইন্সট্যান্ট/প্রসেসড নুডলসে ব্যবহার করা হয়। পেট্রোলিয়াম ইন্ডাস্ট্রিতে এটা বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে পাওয়া যায়। কসমেটিক্স, পারফিউম, ফার্নিচারের বার্নিশ এগুলোতে ব্যবহার করা হয়। প্যাকেটজাত খাবার প্যাকেটে ভরার আগে স্প্রে করে দেয়। বাংলাদেশে সরাসরি এর নাম উল্লেখ করে এ নিয়ে কোন আইন আছে কি না জানি না, তবে “ ইউনাইটেড স্টেইটস ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশান” আর “ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটি”র আইন অনুযায়ী খাবারে যতটুকু তেল/ফ্যাট থাকবে, সেই ফ্যাটের ০.০২% TBHQ কে সহনীয় মাত্রায় ধরা যায়। মানে, প্রায় ০%। এ কারণে ইউরোপে TBHQ এর ব্যবহার এলাউ করছে না (যদিও আমেরিকাতে এখনও চলছে)। (নিউজসোর্স ৩)
বলা বাহুল্য, আমাদের দেশের নুডলস কোম্পানীগুলো আদৌ কতটুকু পরিমাণে ব্যবহার করে সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়াই শ্রেয়। তাৎক্ষণিক ভাবে আপনি টের পাবেন না, কিন্তু এর লং টার্ম ব্যবহার আপনার শরীরের প্রতিটা অন্ত্রকে দুর্বল করে দিচ্ছে। ডিএনএ ড্যামেজ, পাকস্থলীর ক্যানসার আর টিউমারের অন্যতম কারণ এই বিষ। মাত্র ৫ গ্রাম TBHQ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে সেই রেকর্ডও আছ। ৫ গ্রামের হিসাব বাদ দিলাম, মাত্র ১ গ্রাম হজম করলে সেটার ফলাফল কী হতে পারে? রিপোর্টের ভাষায় - Ingestion of a single gram has caused nausea, vomiting, anaphylactic shock, diarrhea, ringing in the ears, delirium, a sense of suffocation, and collapse. Some people have reported having anxiety and night terrors and asthma after ingesting TBHQ. Others have reported having a body rash and swollen lymph nodes – এর বিষক্রিয়া নিয়ে আর কিছু বলার নেই। (নিউজসোর্স ৪)
অপরদিকে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে “ফরমালিন” চায়ের দোকানে আমাদের কমন টপিক। এই জিনিস আমরা সবাই খাই দাই ঘুরি ফিরি, কারও কোন মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। পরিবেশ বাঁচাও (পবা) –এর রিপোর্টে দেখি বাংলাদেশে প্রায় ৯০ শতাংশ সেমাই আর নুডলসে পাওয়া গেছে ফর্মালিন (নিউজসোর্স ৫ এবং ৬)। এই সংগঠনটি দেখেছে যে ১০০% সেমাই ও লেবুজাতীয় ফল, ৯৫% আঙুর, ৯১% কলা এবং ৯০% নুডলস ফরমালিন ও অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক সংরক্ষকদ্রব্য দ্বারা দূষিত ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ডিন, অধ্যাপক এবিএম ফারুক বলেন, ‘ফরমালিন এতটাই ক্ষতিকর যে, শুধু প্রতিরক্ষামূলক পোশাক যেমন গ্লাভস পরিধানের মাধ্যমে এটা ব্যবহার করতে হয়। বায়ু চলাচলপূর্ণ এলাকায় মুখ বন্ধ পাত্রে এটি সংরক্ষণ করা উচিত। এর থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া চোখ ও শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই জিনিস যদি ফলের সঙ্গে মানবদেহে প্রবেশ করে তাহলে ফলের গুণাবলি দূরে থাক শরীর তার স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা হারাবে।’ এসব খাদ্য গ্রহণে শিশুর মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। কিছু খাবার এমনই বিষাক্ত যে তা ডিএনএকে পর্যন্ত বদলে দিতে পারে। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে এসবের প্রভাবে শিশুর ডায়রিয়া থেকে শুরু করে ফুসফুসের সংক্রমণ, কিডনি ও লিভার পচে যাওয়া, রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়া, অন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। (নিউজসোর্স ৭)
ফর্মালিন কতটুকু ক্ষতি করে এই পুরাতন টপিকে আর কথা বলবো না। এটা মোটামুটি সবাই জানি আমরা। কিন্তু বর্তমানে এর প্রভাবটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে না দেখালেই না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী ২০০৯-২০১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থ বছরে যথাক্রমে ৫৪৪ টন, ২৬৯ টন, ২০৫ টন ও ৫৫ টন ফরমালডিহাইড এবং ২০১০-১১, ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থ বছরে যথাক্রমে ৭,২৬৮ টন, ৭,৮৩৩ টন ও ১০,৩৯৭ টন প্যারা ফরমালডিহাইড আমদানি করা হয়েছে। এর কতটুকু শিল্পকারখানায় গেছে আর কতটুকু আমাদের পেটে গেছে সেটা এখন সবার আতঙ্ক (নিউজসোর্স ৮ )!! উল্লেখ্য গত ২০১২ সালে দিনাজপুরে ৪ জন শিশু মারা যায় বিষ মিশ্রিত লিচু খেয়ে। বাগানের মালিকের শিশুও মারা যায় ঐ ফল খেয়ে। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ বিষাক্ত খাবারের কারণে বাংলাদেশে প্রায় ৬ শতাংশ দম্পতি বন্ধ্যা এবং ১০ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধীত্বের শিকার (নিউজসোর্স ১০ )। ২০০৫ সালের ১০ ডিসেম্বর ২০০৫ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা পোস্ট পত্রিকা থেকে- ফরমালিনযুক্ত মাছ খেয়ে কয়েকজনের মৃত্যুর ফলে সেখানে মাছ ও শুঁটকি ব্যবসায় ব্যাপক মন্দার কথা জানা যায়। (নিউজসোর্স ১১)
একই সময়ে ডিএমপি এর খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ অভিযানে দেখা যায়, সস্তামানের নুডলসে টেক্সটাইল আর লেদারের রঙ মেশানো হচ্ছে (নিউজসোর্স ৮)।
এখন প্রায়ই নতুন একটা প্রশ্ন শোনা যায়, নুডলসে কতটুকু ফর্মালিন সহনীয়? কোন চার্টে রেজাল্ট দেখলে আমরা কিভাবে বুঝবো যে এটা কতটুকু ক্ষতিকর?
এ ব্যাপারে খোঁজখবর করে যেটা দেখা গেছে –
রাষ্ট্রায়ত্ত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, ফরমালিনের গ্রহণীয় বা অগ্রহণীয় মাত্রা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন সুযোগ নেই। ফরমালিন যেকোন মাত্রারই হোক না কেন তা কোনভাবেই মানবদেহের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। এটা কোনভাবেই খাদ্যের সঙ্গে থাকা উচিত নয়। ফরমালিন কোন স্বীকৃত প্রিজারভেটিভ নয়। এর কোন সহনীয় মাত্রার ধারণা গ্রহণযোগ্য নয়। (নিউজসোর্স ৭ )
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের একজন বিশ্লেষক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ফরমালিন মূলত হাসপাতালগুলোতে, গবেষণার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে, ও ওষুধ কোম্পানিগুলোতে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এই রাসায়নিক পদার্থটি কোনো অবস্থাতেই খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ফরমালডিহাইড ও পানির একটি স্বচ্ছ দ্রবণ এই ফরমালিন, এটা পেটে গেলে কিডনি ও যকৃতের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। (নিউজসোর্স ৯)
যদিও ফর্মালিনের মাত্রা নিয়ে অন্য ধরণের মন্তব্যও চোখে পড়েছে – এখানে অনেকে একটি সহনীয় মাত্রা নির্ধারণের কথা বলেছেন ( নিউজসোর্স ১২)
ঢাবির ফার্মাসি অনুষদের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্যান্সার রিসার্চ বলছে, খাদ্যদ্রব্যে যদি ২ পিপিবি (১০০কোটি ভাগের দু’ভাগ) মাত্রার ফরমালিনও থাকে তবে তাও শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এই পরিমাণ এত অল্প যা ল্যাবরেটরিতেও মাপা দুঃসাধ্য। তাহলে সহনীয় মাত্রার প্রশ্ন আসে কীভাবে!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নিলুফার নাহার বলেন, ফরমালিন কোনো খাবার জিনিস নয়, এটি কেমিক্যাল, এটি একটি ‘বিষ’। মানবদেহে ঢোকার কোনো প্রশ্নই আসে না। বিষের কোনো সহনীয় মাত্রা হতে পারে না। ফরমালিনের ‘সহনীয়’ মাত্রা দশমিক ১২৫ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) বলতে ১০ লাখ লিটার পানির সঙ্গে ১৫ লিটার ফরমালিনের মিশ্রণকে বোঝায়। (নিউজসোর্স ১৩) রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন বলেন, ফরমালিনের কোনো সহনীয় মাত্রা নেই। যেকোনো মাত্রাই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অর্থাৎ কোনো মাত্রাই মানবদেহের জন্য স্বীকৃত নয়৷(নিউজসোর্স ১৪)
এত কথার মূল বক্তব্যই হচ্ছে- কোন মাত্রার ফর্মালিনই আমাদের শরীরে গ্রহণযোগ্য না। এখন সেটা যে কোন মাল্টিন্যাশনাল নুডলস ব্র্যান্ডে যতটুকুই পাইনা কেনো। পরিবেশ বাঁচাও এর লেটেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের বাজারের বর্তমান অবস্থা হলো এই চার্ট –
পরিবেশ বাঁচাও এর পুরো রিপোর্ট দেখতে পারেন এখানে (নিউজসোর্স ১৫) - http://pobabd.org/infocenter.php?uid=7 এই রিপোর্টের বরাত দিয়ে সবখানে বলা হয়েছে যে এত শতাংশ পণ্যে ফর্মালিন পাওয়া গেছে, কিন্তু জাতীয় কোন মিডিয়ায় পণ্যগুলোর কোম্পানীর নামসহ ফলাফল আমার চোখে পড়ে নি। মেরিডিয়ান, ফুওয়াং, ম্যাগী – প্রত্যেকটির ফলাফল ভয়াবহ।
টিফিনে পিচ্চিরা ত বটেই বড়োদের পর্যন্ত ফেভারিট হচ্ছে নুডলস। আর বর্তমান অবস্থায় ১ চামচ খেলে সেই ১ চামচই ঝুঁকি। এরচেয়ে ঘরে নুডলস বানিয়ে খাওয়াই ভালো। আগে মামা/চাচা বিদেশ গেলে দেশে আসার সময় দেশের মানুষ কসমেটিক্স বা সেলফোন আনতে বলত। এখন খাবার আনতে বলবে, এক বেলার বিশুদ্ধ খাবার। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভয় পেলে সেটা শুধু ফুড ইন্ডাস্ট্রি না; সকল ধরণের দেশী পণ্যের ভোক্তাদের মাঝেই আতংক ছড়িয়ে পড়বে।
© Rizvan Hasan
নিউজসোর্সঃ
১) Click This Link
২) Click This Link
৩) Click This Link
৪) Click This Link
৫) Click This Link
৬) Click This Link
৭) http://www.istishon.com/node/4467
৮ ) http://www.sheershanews.com/2014/06/08/40149/
৯) Click This Link
১০ ) Click This Link
১১) Click This Link
১২) Click This Link
১৩) Click This Link
১৪) Click This Link
১৫) http://pobabd.org/infocenter.php?uid=7
নোটঃ
যারা ঘরে নুডলস তৈরিতে আগ্রহী তাদের জন্য একদম সিম্পল কিছু প্রসেসের লিংক দিলাম। এত জটিল কিছুই না। ডিম ময়দা লবণ মিশিয়ে বাংলা রুটি স্টাইলে খামির তৈরি করতে হয়। এরপর ছোট ছোট ব্লকে কাটতে হয়। বাণিজ্য মেলায় দেখা যায় বা এমনিতে সুপার শপ গুলোতে স্পাগেটি কাটার/ পাস্তা মেকার/ নুডলস মেশিন পাওয়া যায়। সেখানে খামিরের ছোট ব্লক গুলো লম্বা করে টেনে নেয়ার ব্যবস্থা থাকে। তারপর সেগুলোই আরেক সাইড দিয়ে মেশিনের ভিতরে দিলে নুডলস হয়ে বের হয়।
১) Click This Link
২) Click This Link
৩) Click This Link
আপাতত হাতের কাছে নুডলস মেশিন না থাকলে নিচের এই ভিডিও লিংকের মত ট্রাই করতে পারেন।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমিও সেটাই খেয়ে অভ্যস্ত। এখন খেলাম ব্যাম্বু আর কি !
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
লিখেছেন বলেছেন: ___
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২১
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ---------
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: এভাবে সব কিছুতেই ভেজাল থাকলে মানুষ না খাইয়া মইরা যাইব।
এখন আমার মনে সন্দেহ হচ্ছে বাজারের চাউলও পরীক্ষা কইরা দেখতে হইব এতে ক্ষতিকর ফরমালিন বা অন্য কোন পদার্থ আছে কিনা।
ধন্যবাদ তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ন পোস্টের জন্য।++++
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ১ চামচ কিছু খেলে ঐ ১ চামচই ঝুঁকি।
এত বড় পোস্ট কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভয় পাইলাম।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২০
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আপনি একা না। নুডলসে ফর্মালিনের এই হার দেখার পর থেকে পেট ব্যাথা করতেসে
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
অপ্সরা বলেছেন: ঈদের সেমাই এর মত এই পোস্ট স্টিকি হওয়া প্রয়োজন!! সেমাই মানুষ বছরে একদিন খায় আর নুডুলস খায় রোজ রোজ!!!
কেমন আছো ভাইয়া??
অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!!
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ভালো আছি আপু। আপনাকে দেখে খুব ভাল লাগলো।
আমি ত ছোট থেকেই নুডলসের উপর আছি। এখন নুডলসে এই অবস্থা দেখার পর থেকে এই যে পেট ব্যাথা লাগতেসে, এখনও যাইতেসে না
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
নতুন বলেছেন: কিছুই তো খাওয়া যাবে না...
লোভ আমাদের কোথায় নিয়ে যাইতেছে?
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৭
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ব্যবসায়ীদের লোভ আমাদের কবরে নিতেসে।
যারা লোভ করে, ওদের কিছুই হবে না। ওরা ভালই থাকবে।
কথা সত্যি, কিছুই খাওয়া যাবে না।
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩০
অপ্সরা বলেছেন: আমারও তো ভয় হচ্ছে এখন ভাইয়া!!
তাছাড়া স্কুলের বাবুদেরকে দেখি সহজ বলে মায়েরা সব এই নুডুলসই বানায় দেয় তাদের যে কি হবে আল্লাহ জানে!!!
ভাইয়া তুমি আজকাল লেখালিখি একদমই ছেড়ে দিয়েছো কেনো???
তবে তোমার এই পোস্ট স্টিকি হওয়া উচিৎ ছিলো!!
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১০
আকাশ_পাগলা বলেছেন: এডমিন দুই একজন পরিচিত থাকলে আপনার কমেন্ট ফরওয়ার্ড দিতাম
লেখালিখিই আমাকে উলটা ছেড়ে দিয়েছে
কেমন আছেন আপু?
৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
সুমন কর বলেছেন: এ কি দেখলাম !! আমার বাসায় প্রায়ই নুডলস খাওয়া হয়।
এতো কিছু কি, ঘরে বানানো যায় !! তাহলেও তো বিশাল সমস্যা।
প্রয়োজনীয় একটি বিষয় সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১১
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ভালো কথা বলি ভাই, খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে সন্ন্যাসী হয়ে যান।
সব খাবারে এত ভেজাল, আর ভাল্লাগে না
এত বড়ো লেখা পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিন্তু আমি পড়লাম যে ফরমালিন প্রাণনাশী না!
Click This Link
Click This Link
Click This Link
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ভাই আমাকে কনফিউজড করে দিসেন।
ফরমালিন দেয়াতে ক্ষতি নাই এমনতর কথা আমি এই প্রথম শুনলাম। অন্যান্য গবেষক, উপরে যাদের রেফারেন্স দিয়েছি হেরা ত ভয়েই শ্যষ। অন্যান্য দেশের ফুড এডমিনিস্ট্রেশানকেও ফরমালিনকে ভয় পেতে দেখতেসি নেটে।
আমি যেটা জানি সেটা হলো - ফরমালিন কেমিক্যাল বিষক্রিয়া করে। আর চাষীরা ব্যবসায়ীরা ফলে/পণ্যে ফরমালিন দেয়। সিম্পল হিসাব।
এইটা সত্যি যে এপিডার্মিক স্তরের জন্য আম পানি শোষণ করে না। কিন্তু এটাও সত্যি যে কিছু পরিমাণ করেও। আপনার আঙ্গুল ভিজিয়ে রাখলে পানি ঢুকেনা? ফল ২০ মিনিট ভিজান। এরপর ওজন করেন। দেখেন আগের চেয়ে ওজন বাড়ছে কিনা।
১ গ্রাম ফর্মালিনই আমাকে/আপনাকে সাইজ করার জন্য যথেষ্ট। এটার সাথে এত্তগুলা পানি মিশিয়ে স্প্রে করে বলে টের পাননা।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৫
আকাশ_পাগলা বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, উনার ব্লগের সাথে এই ব্লগ সাঙ্ঘর্ষিক হবার কথা না। নুডলসের কোন প্রটেকটিভ স্তর থাকে না। ফর্মালিন দিলে গায়ে লেগে থাকার কথা।
১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এমন কিছু বাদ নেই যেখানে ভেজাল নেই। আমরা যে বেঁচে আছি এটাই সৌভাগ্য।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ঠিকভাবে বেঁচে নাই। আমার সব চুল ধুমায়া পড়তেসে। পেটের ভিতর কি হচ্ছে, সেটার কথা বাদই দিলাম।
১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
একিউমেন০৮ বলেছেন: ভেজালে ফালাইয়া দিলেন। তবে পোস্টের জন্য প্লাস।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৭
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আপনাকেও প্লাস ভাই
১২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৮
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: ভেজাল খাবার খেতে খেতে আমাদের পেটে এখন সব সয় ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: এখনও ত মনে হচ্ছে সইতেসে :প তবে কয়দিন সইবে সেটা নিয়ে চিন্তিত
১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
মামুজান বলেছেন: সব কিছুতেই ত বেজাল মানুষ কি খাবে......না খেয়ে মরার চেয়ে খাইয়া মরাই ভাল....কি বলেন
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১১
আকাশ_পাগলা বলেছেন: না খেয়ে ত এমনি এমনি মরবেন। আর খেয়ে মরলে অনেক কষ্ট করে মরা লাগে অনেক বছর
১৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:০৩
নিশি মানব বলেছেন: আমার দিন শুরু হয় আধ বাটি নুডলস খেয়ে আর দিন শেষ হয় এক বাটি স্যুপি নুডলস খেয়ে। তার মানে আমার প্রতিদিন শুরু আর শেষ হয় দেড় বাটি বিষ খেয়ে।
এখনো যে বেচে আছি সেটাই আশ্চর্য।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: চুল পড়সে নাকি ঠিকমত আছে?
আমি ত ছোট থেকে নুডলসের উপরেই ছিলাম। পেটের ভিতরে কী হচ্ছে বুঝতেসিনা, তবে চুল ত শ্যাষ
১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৯
নিশি মানব বলেছেন: নারে ভাই চুলতো আছে। মেয়েরা যেখানেই যাক, একবার হলেও আমার চুলের দিকে তাকাবেই। তা নুডলসের কারনে কি চুল পড়ে নাকি?
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ফরমালিনের কারণে পড়তে পারে ভেবে বলেছি
১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি এক অদ্ভুত অবস্থায় জীবন যাপন!!
খেলে বিষ-না খেয়ে থাকার তো উপায় নেই!!!!
দু'পেয়ে জীব গুলো কবে যে মানুষ হবে?????
১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: হবে না।
১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
ডি মুন বলেছেন: স্টিকি করা হোক এই পোস্টটি
১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৫
অতনু অর্ঘ বলেছেন: ভাই... এই সিঙ্গেল লাইফে নুডুলস আর ডিম খেয়ে বেঁচে আছি... এখন তো না খেয়ে থাকতে হবে... আপনার মতো আমারও মাথার মাঝখানে চুল প্রায় ফাঁকা... এতদিন ভাবতাম এর কারণ কি... কারণ টাক তো আমার বংশগত নয়.. এখন মনে হচ্ছে এই নুডুলস-ই কি কারণ?...
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আম্মুর সাথে প্রায় একটু দুষ্টামি করি যে, তোমাদের কথা শুনে ফল টল বেশি খেয়ে আজ এই অবস্থা। ফরমালিনে জীবন কাহিল।
যদি কথা না শুনতাম, শুধু লজেন্স চকলেট খেতাম, তাহলে এখন মাথার চুল গুলা থাকত।
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৫
অতনু অর্ঘ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টের জন্য...
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
নীলনীলপরী বলেছেন: আমি তো ঝটপট নুডুলই বানাই।