নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আর্ফ জামান সুজন

আর্ফ জামান সুজন

আর্ফ জামান সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গন্ধপাধ্যায়

২০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

আজ কিছু বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে বেশ হাসি পাচ্ছে। আমার এক রুমমেট ছিল। যে বাসার বাইরে থাকত বেশির ভাগ সময়। আমি রুমে ঢুকার সময় তার এক জোড়া মোজা দেখতাম দরজার সামনে ঝুলানো। যাক দরজা পেরিয়ে গেলাম সিলিং ফ্যানের নিচে। এবার দিকে সেটার নিচে রুমমেট তার অর্ন্তবাস ঝুলিয়ে রেখেছে। যাই হোক অগত্যা কি আর করা সে যেহেতু রুমে নেই সুতরাং ছাদে পড়ে থাকা চিকন লাঠি রাজা রামমোহনের অন্তর্বাস যথাযোগ্য মর্যাদায় অন্যত্র রাখতাম।

একবার এক রুমমেট ছিল যে রুমে আসার মাত্র মরা ইঁদুরের গন্ধ আসত। আমি বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম যে সে এরকম কোন গন্ধই পেত না। তৎক্ষণাত রুতে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতে হতো। প্রায় ঘন্টাখানেক পর দূর্গন্ধটা দূরীভূত হতো। একবার সে রুমে এসে স্নানে গেল। তো এবার আমি অনুসন্ধান শুরু করলাম ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ অনুষ্ঠানের মতো। অবশেষ যেটা পাওয়া গেল তা হলো জনাবের মোজা থেকে এই দূর্গন্ধের উৎপত্তি। এরপর যাহা হলো তাহা বিস্ময়কর। তদন্ত রিপোর্ট তার কাছে দেয়া মাত্রই সে এক গাদা হোমিওপ্যাথি ওষূধ নিয়ে এসে খাওয়া শুরু করল। আর প্রত্যহই সে মোজা ধৌত করত।

এক রুমমেট ছিল তার আশে পাশে এমনকি তার জামার স্তূপ থেকেও একটা ভ্যাপসা গন্ধ আসত। এবার নেমে পড়লাম আমার মাসুদ রানা-গিরি দেখাতে। সবশেষে যেটা বের হল সেটা হচ্ছে ব্রমহিড্রসিস। আমার বন্ধু মহাশয় এই রোগে ভুগছেন। তার ঘর্মগ্রন্থি থেকে এই দূর্গন্ধ বের হচ্ছে। যতোক্ষণ তার শরীর স্বাভাবিক থাকে কিংবা ঘামতে থাকে ততোক্ষণ কোন গন্ধ বের হয় না। তবে যখনই তার শরীরে ঘাম শুকিয়ে তখনই এই দূগর্ন্ধ বের হয়। যাই হোক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা বিশেষ সাবান ব্যবহার ও ঔষূধ সেবনে সে আজ প্রায় সুস্থ্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.