![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার নেয়া সিদ্ধান্তকে আপনি কখনই আগে থেকে ঠিক বা বেঠিক বলতে পারেন না। আপনি নিজেই সেটিকে ঠিক বা বেঠিক করেন। এই যেমন ধরুন আজকে আপনি স্কুলের পড়া বাদ দিয়ে মাসুদ রানা পড়ছেন। ১০ বছর পর আপনি সিআইডি অফিসার হয়ে দেশের সবচেয়ে রহস্যপূর্ণ কেসের সমাধান করলেন তো এখন আপনার আশেপাশের বাচ্চাদের কাছে মনে হবে যে সেদিন স্কুল পালিয়ে মাসুদ রানার বই পড়েছেন সেজন্যেই আপনি সফল। আপনার মতোই আরেকজন ১০ বছর পর ঘরজামাই হয়ে দোকানদারী করে আর ভাবে ইসস্ সেদিন যদি স্কুল পালিয়ে মাসুদ রানা না পড়লে আজ সেও আপনার মতো সফল হত।
বিপথগামী তরুণদের সফলতার পিছনে ছুটা রহস্য গবেষণা করতে গিয়ে দেখতে পেলাম যে তারা অনীহাবশত কলেজ বা ভার্সিটি ছাড়তে চায় কেননা কিছু মহারথী পড়ালেখার পাঠ না চুকিয়েই বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন। দিনে ১২ ঘন্টা নেটে প্রাকটিস করে কেননা কোন এক মিলিনিয়ার সফল ক্রিকেটার কৈশোরে ১২ ঘন্টা নেটে প্রাকটিস করেছেন। একবার তো এক চাচীরে আমার চাচাতো ভাইরে বলতে শুনছিলাম যে, “ ভাল কইরা চা বানা, শুনলাম কোন চাওয়ালা নাকি পেরদানমন্ত্রি অইছে।” ডাক্তারদের ভিজিট যতো বাড়ে ঘরে ঘরে ততোই ছেলে-মেয়েকে ডাক্তার বানানোর হিড়িক পড়ে। পাশের বাসার প্রকৌশলী ভাইটা যখন প্রবাদে পড়তে গিয়ে চিরতরে বসত গড়েন ভিনদেশে আর সুন্দর সুন্দর ছবি তখন আমারও মনে চায় সফল প্রকৌশলী হতে। কলেজে পড়ার বয়সে কেউ একজন কলা বেচতে শুরু করেন এবং ৩০ বছর পর তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান। এরপর কলাওয়ালা দেখলেই চিন্তায় পড়ে যেতাম যে এতো কলাওয়ালা দেশে, এর সবাই যদি ৩০ বছর পর কোটিপতি হয় তবে অবশ্যই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আর তার নাতির ডিজিটাল বাংলা হবে। আর সমাজপতিদের কথা আর কি বলব। তাদের জীবনী পড়ে পড়েই শিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা আর তাদের মতো জীবন দিয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করতে চায় না। তারা চায় ছাত্র অবস্থায়ই অন্তত রোডের কন্ট্রাক্টরি করে আরাম আয়েশে জীবন কাটাতে। কারণ তারা বুঝেছে যে যু্দ্ধ জেতার স্বাদ তারাই পায় যারা বেচেঁ থাকে। শুধু শুধূ সাধারণের জন্য রাজনীতি করে গরিব থেকে লাভ নাই। কেউ মেয়ে বা ছেলেও দিবে নাহ বিয়ে করতে। আর যদিওবা ক্ষমতা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে যান রাজনীতি করে তবে বাঙ্গালীরা আপনাকে ব্রাশফায়ার করে মারবে সে আপনি জেনারেল হোন আর দেশের স্থপতি; দেশের ভাল করলেন তো মরলেন। সুতরাং চেলা পেলা হয়ে টাকা বানানোই শ্রেয়।
আসলে সফলতার সংজ্ঞা ভিন্নতা নেয় যখন আপনি সফল মানুষদের জীবনীকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করবেন। ঠিক যেমন বলিউডে সিনেমার কাহিনীর চেয়ে মারামারি ও নায়কতন্ত্রকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। ফলে যে জগাখিচুড়ির সৃষ্টি হয় তার শিল্পমান হয় অত্যন্ত নিম্ন। আর সেটাই মূলত: আমাদের ঢালিউডের কপিক্যাটরা করে থাকেন। কথিত নাটক স্টাইলে বানানো ইমপ্রেস টেলিফিল্মেই জীবনে যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়। যাই হোক না কেন আমার ছোট বেলায় পড়া গল্পগুলো শেষের দেয়া বার্তাটা ভুলে যাই। তাইতো গল্পটা আর “অধ্যবসায়ের সফলতা”-র হয়ে ওঠে নাহ্, গল্পটা থেকে যায় “রবার্ট ব্রুস”-এর গল্প হয়েই। আগে সফলতা সংজ্ঞাটা বুঝুন। তারপর আপনার অবস্থান থেকেই সফল হয়ে ওঠা আশেপাশের কোন মানুষ খুজুন। আর তারপর জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে। সফল কারা কেন আর কাকে আপনার অনুসরণ করা উচিত তা নিয়ে লিখব পরবর্তীতে অন্য কোন লিখায়।
عارف زمان سوجون
১৭ জ্বিলহজ্ব, ১৪৩৯ হিজরী
আর্ফ জামান সুজন
১৪ ভাদ্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
AARF ZAMAN SUJON
29 August, 2018
©somewhere in net ltd.