নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়ি এবং নিজের ক্ষুদ্রতা ও জ্ঞানের স্বল্পতা স্বীকার করি। নিজেকে বুদ্ধিজীবী ভাবি না। ঐ বয়সটা পার করে এসেছি।

ব্লগার_প্রান্ত

Ashraful Alam Khan Pranto

ব্লগার_প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেডিয়াম গার্লদের বেদনাদায়ক ইতিবৃত্ত

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১১



শখের তোলা আশি টাকা। সেই শখ মেটাতে অনেকেই অনেক কিছু কিনে থাকেন। সৌখিন এই সকল মানুষদের তালিকার মধ্যে একসময় ছিলো একটি রেডিয়ামের হাত ঘড়ি অথবা দেয়াল ঘড়ি। এখনো কিছু মানুষ আছেন যারা অ্যান্টিক রেডিয়াম ঘড়ি কিনে থাকেন। এই রকম একটি ঘড়ি সংগ্রাহকদের সংগ্রহশালাকে আরো সমৃদ্ধ করে। পৃথিবীতে মানুষের শখ মেটাতে অনেক মানুষকে তাদের জীবন দিতে হয়েছে। ঠিক যেমন দিয়েছিলেন রেডিয়াম ঘড়ির কারখানার সুন্দরী নারী কর্মীরা। ক্যান্সার থেকে শুরু করে নানা রকম শারীরিক জটিলতায় তাদের মৃত্যু হয়েছিলো। "দ্য রেডিয়াম গার্লস: দ্য ডার্ক স্টোরি অফ আমেরিকা’স সাইনিং ওমেন'' বইটির লেখিকা কেট মুর বলেছেন "জীবিত অবস্থায় রেডিয়ামের তেজস্ক্রিয়তায় নারী শ্রমিকদের শরীরের হাড়গুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিলো এবং মহিলাদের চোয়ালগুলিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছিলো।" তবে যারা এই ঘড়ি নিয়মিত ব্যবহার করতেন তারা অনেকটাই নিরাপদ ছিলেন।




১৮৯৮ সালে নোবেল বিজয়ী মেরি কুরি এবং তার স্বামী পিয়েরে কুরি আবিষ্কার করেন রেডিয়াম। রেডিয়াম আবিষ্কারের পর থেকেই আশা করা হয়েছিল, রেডিয়াম খুব দ্রুত মানব কল্যাণে ব্যবহার হবে। ব্যবহার করা হবে ক্যান্সারের নিরাময় হিসেবে। মানুষের এই প্রত্যাশা এক সময়ে পূরণ হয়েছিল ঠিকই তবে তা বহুলাংশেই ছিল মানব দেহের জন্য ক্ষতির কারণ। সেই ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর চিকিৎসায় রেডিয়ামের সরাসরি প্রয়োগ বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে মানব তৈরি রেডিয়াম রেডিয়েশন দিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হয়।




রেডিয়াম আবিষ্কারের পর থেকে এটি ব্যবহার হয়ে আসছিলো আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় টুথপেস্ট থেকে ব্যয়বহুল প্রসাধনী, খাবার এবং পানীয়তে। রেডিয়াম দিয়ে তৈরি পণ্যের মধ্যে একটি পণ্যের নাম ছিল রেডিথর যা ১৯২০ সালের দিকে বিক্রি হত ১ ডলারে। রেডিথর মূলত এক ধরনের এনার্জি ড্রিংক। রেডিথরে মিশ্রিত রেডিয়াম খুব সহজেই খাবার পানির সাথে মিশে যেতো। রেডিথরের বিজ্ঞাপনে বলা হতো, "এটি মৃতপ্রায় মানুষের জন্য একটি চিকিৎসা ও যৌবন ধরে রাখার মাধ্যম"। এই বিজ্ঞাপনে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হতো আর্থ্রাইটিস থেকে শুরু করে বাতের ব্যথা পর্যন্ত নিরাময়ের। তবে রেডিয়াম কখনোই রোগ নিরাময়ের মাধ্যম ছিলো না বরং ছিলো একটি নীরব ঘাতক।



উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে আমেরিকান অভিজাত ব্যক্তি এবং অ্যাথলেট ইবেন বায়ার্সের কথা। তিনি তার ক্রীড়া সাফল্যের জন্য যতটা না খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, তার মারা যাবার কারণ নিয়ে আরো বেশি কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি বছরের পর বছর ধরে প্রতিদিন এক বোতল রেডিথর পান করার ফলে ১৯৩৩ সালে বীভৎসভাবে মারা গিয়েছিলেন। রেডিয়ামের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ক্যান্সার হয়ে মৃত্যু বরণ করা ইবেন বাইয়ার্স এর চোয়ালটি মুখ থেকে খুলে খসে গিয়েছিলো। সেসময় মানুষ রেডিয়ামের সরাসরি ব্যবহারে অত্যন্ত অভ্যস্ত হয়ে পরেছিলেন। স্বয়ং মেরি কুরি রেডিয়ামের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মারা গেলেও, রেডিয়ামের বিপদজনক বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছিলো বিশাল মাত্রায়।



রেডিয়াম গার্লস



১৯২০-এর দশকের প্রথম দিকে, অন্ধকারে ঘড়ির কাটা জ্বল জ্বল করা ছিলো আভিজাত্যের প্রতীক। শুধু তাই নয় অনেকের কাছে জাদুর মতো মনে হত এই ধরণের ঘড়ি। ১৯১৬ সালে আমেরিকার নিউ জার্সিতে, এই ঘড়ি উৎপাদনের প্রথম কারখানাগুলোর একটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের অনেক কারখানায় বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। ৭০ জন নারী শ্রমিক দিয়ে প্রথম এই ঘড়ি তৈরির কাজ শুরু করে তারা। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে এই চাকরি ছিল স্বপ্নের মতো। কারণ কারখানাগুলোতে ভাল বেতন দিতো এবং ওয়ার্কিং ক্লাস নারীদের কাছে এটি ছিল একটি গ্ল্যামারাস কাজ।




এই কাজে নিয়োগ প্রাপ্ত নারীদের কাজের একটি বিশেষ ধরন ছিলো। সূক্ষ ডায়ালগুলোতে নিখুঁতভাবে রেডিয়ামের প্রলেপ লাগানোর জন্য তুলিটিকে ঠোঁটের সাহায্যে সরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কারখানার মালিকেরা। তবে কখনোই এই নারীদের রেডিয়ামের ঝুঁকির কথা বলা হয়নি। পক্ষান্তরে কারখানায় কাজ করা পুরুষেরা ঠিকই দস্তার অ্যাপ্রন পরে কাজ করতেন। প্রসাধনী হিসেবে বহুল জনপ্রিয় রেডিয়াম সব নারীই ব্যবহার করতে চাইতেন। তুলি মুখে দিয়ে অনেক নারী তাই একটু রেডিয়াম খেয়ে ফেলতেন, কেউ বা লাগাতেন দাঁতে। রেডিয়াম এভাবে ব্যবহারের কারণে এই নারী শ্রমিকদের শরীরও অন্ধকারে জ্বলজ্বল করতো।

ততদিনে রেডিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার ঝুঁকি সম্পর্কে মানুষ সচেতন হয়ে উঠেছিলো। দেরিতে রেডিয়ামের বিষক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হবার কারণ, এটি মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। রেডিয়াম নিয়ে কাজ করা ঘড়ি কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের শরীরে এই তেজস্ক্রিয়তার নেতিবাচক লক্ষণ বিকশিত হওয়ার আগেই বছরের পর বছর চলে যেত।



অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেডিয়াম কর্পোরেশনের কিছু কর্মচারীর ক্লান্তি এবং দাঁত ব্যথার মতো লক্ষণগুলি প্রকাশ হতে শুরু করে। প্রথম মৃত্যুটি ১৯২২ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল, যখন প্রায় এক বছর ধরে দুর্ভোগের পরে ২২ বছর বয়সী মলি ম্যাগিয়া মারা গিয়েছিলেন। যদিও তার মৃত্যুর শংসাপত্রটিতে সন্দেহজনকভাবে বলা হয়েছিল যে, তার মৃত্যুর প্রধান কারণ সিফিলিস। তবে পেছনের ঘটনা হল, তিনি আসলে "Radium Jaw" নামক এক রোগে ভুগছিলেন ঠিক যেমনটা ঘটেছিল ইবেন বাইয়ার্সের সাথে। মলি ম্যাগিয়ারের সম্পূর্ণ নীচের চোয়ালটি এতই নাজুক হয়ে গিয়েছিল যে চিকিৎসক সেটিকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলেন। সবচেয়ে দূর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হলো, প্রায় দুই বছর ধরে রেডিয়াম ঘড়ির কোম্পানি নারী শ্রমিকদের এই অসুস্থতার জন্য কোন প্রকার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানায়। রেডিয়াম এর সাথে এই অসুখের যোগাযোগ থাকার কথা নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ার পর, কোম্পানি টাকা খরচ করে নতুন ভুয়া রিপোর্ট ও বের করতে চেয়েছিলো।



১৯২৫ সালে নিউ জার্সি কারখানার অন্যতম কর্মী গ্রেস ফ্রায়ার, রেডিয়াম ঘড়ি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি দুই বছর অতিবাহিত করেন একজন নির্ভরযোগ্য আইনজীবীর জন্য যিনি তাকে এই মামলায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক। অবশেষে তিনি চারজন সহকর্মীকে সাথে নিয়ে ১৯২৭ সালে মামলা দায়ের করেন এবং সারা বিশ্বে খবরের শিরোনামে চলে আসেন। তবে এর মধ্যেই গ্রেসের অনেক সহকর্মী মৃত্যু বরণ করেছিলেন।

১৯২৮ সালে আদালত গ্রেস ফ্রায়ার এবং তার সহকর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। একই সাথে আদালত ঠোঁট দিয়ে তুলি সূক্ষ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং সকল কর্মীদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা এবং মৃত ব্যক্তিদের মৃত্যুর সঠিক কারণ শংসাপত্রে লেখার নির্দেশ দেয়া হয়। ১৯৬৮ সাল থেকে ঘড়িতে রেডিয়াম ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।

____________________________________
ছবি: (দি টেলেগ্রাফ)(সামান্থা উইল কক্সসন ব্লগার, ব্লগস্পট)(মেরি কুরি.ওরগ)()(মেডিয়াম)(টুডে ইন হিস্টরি.কম)(বাজফিড)(হাউ উইট ওয়ার্স ডেইলি)(ক্রাইম মিউসিয়াম)
-------------------------------------------------------------

আমার অন্যান্য লেখা:
সেসিলিয়া প্যেন: বিজ্ঞানের নক্ষত্র, নক্ষত্রের বিজ্ঞান
বেতারের আটলান্টিক ভ্রমণ
এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিক্স এবং হাইজেনবার্গের দুঃস্বপ্ন


আমার ফেসবুক পেজ
আমার ইউটিউব চ্যানেল

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: তথ্য নির্ভর লেখা।
খুব সুন্দর পোষ্ট ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪০

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: আমার গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম পুরোনো হলেও আমি সামহয়্যারে নতুন। এটি আমার প্রথম মন্তব্য। এই ব্লগ সম্পর্কে অনেক শুনেছি। এসেই প্রথমে একটা অসাধারণ পোস্ট পেয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে এখন থেকে নিয়মিত আসতে হবে। তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবো। আপনাকে ধন্যবাদ। আমার ব্লগে ঘুরে আসবেন। যদিও এখন কিছু লিখি নি। ফাঁকা ফকফকা। আহাহাহাহা! তবে লিখবো। কন্ট্রিবিউট করবো ব্লগে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমাদের ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আপনি ব্লগে লিখতে চান জেনে খুবই ভালো লাগলো। নতুন ব্লগাররাই ব্লগের প্রাণ। শুধু নিয়মিত ব্লগ চেক করেই অনেক কিছু শেখা যায়, আমি নিজেও অনেক কিছু শিখেছি। আশা করি আপনার লেখালেখির সময়টাও খুব সুন্দর কাটবে।
আপনার প্রথম মন্তব্যটি আমার পোস্টে করেছেন, এটা আমার জন্য একটা ক্রেডিট। আশা করি সামনেও আমার লেখাগুলো পড়ে আপনার ভালো লাগবে। খুব দ্রুত যাতে প্রথম পাতায় লিখতে পারেন এই কামনাই করি। ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই, এত চমৎকার ফিচার লেখার জন্য। এই বিষয়ে কিছুটা শুনেছিলাম, কিন্তু আজকে আপনার এই লেখার মোটামুটি বিস্তারিত জানতে পারলাম। আমার তো এখন রেডিয়াম ঘড়ি পড়তে খারাপ লাগবে!! কত হাজারো মানুষের জীবন গেছে এই কাজে!!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও প্রথমে ধন্যবাদ জানাই।
৪ নং মন্তব্যকারী আপনাকে উদ্দেশ্য করে আমার হয়ে একটি সুন্দর কমেন্ট করে দিয়েছেন।
আমি কখনো রেডিয়াম ঘড়ি ব্যবহার করিনি, কিন্তু ঘড়ি নিয়ে আমার অনেক আগ্রহ আছে। সামনে ঘড়ি নিয়ে প্রচলিত অপ্রচলিত গল্পগুলো ব্লগে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। পড়বেন আশা করি।
ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫২

সাসুম বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই, এত চমৎকার ফিচার লেখার জন্য। এই বিষয়ে কিছুটা শুনেছিলাম, কিন্তু আজকে আপনার এই লেখার মোটামুটি বিস্তারিত জানতে পারলাম। আমার তো এখন রেডিয়াম ঘড়ি পড়তে খারাপ লাগবে!! কত হাজারো মানুষের জীবন গেছে এই কাজে!

ভাই এখন ভয় ছাড়া পড়তে পারবেন, এখন মেশিনে তৈরি করে আর লুমেনেটিং ফিচার গুলো রেডিয়াম হয় না এখঙ্কার ঘড়িগুলাতে কৃত্তিম ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় অন্য কোন মৌল দিয়ে যেগুলা হার্ম্ফুল নয়।

চমৎকার আর্টিকেল। ফিচার এবং ইনফরমেশান গুলা সুন্দর ভাবে সাজানো আছে। লেখক কে ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যটির জন্য আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দারুন একটা লেখা। ভাসা ভাসা কিছুটা জানলেও এতো বিস্তারিত প্রথম জানলাম। থ্যঙ্কস।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। দোয়া করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: এত চমৎকার লেখা!! মুগ্ধ হলাম পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কোন বিষয়ে পড়ার ইচ্ছা প্রান্ত? অনেক শুভকামনা রইল।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু। আশা করি ভালো এবং সুস্থ আছেন।

আমার আগ্রহ গনিত এবং পদার্থবিদ্যা বিষয়ক তাত্ত্বিক বিজ্ঞানের শাখাগুলোয় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। তবে আমি উপার্জনকে মাথায় রেখে কোনো ধরণের উচ্চশিক্ষায় যেতে চাইছিনা; কেননা আমাদের নিজেদেরই একাধিক স্টার্ট আপ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। তবে এখন ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই আপনার দোয়ায় আমাকে স্মরণ করবেন।

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শুধুই মুগ্ধতা। তথ্যবহুল অসাধারন লেখা।

আসলে এটাই সত্যি যে ,আপাতদৃষ্টিতে বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার মানব জাতির কল্যাণের জন্য মনে হলেও সব আবিষ্কারই শতভাগ কল্যাণকর নয় বলেই পরবর্তীতে প্রতীয়মান হয়েছে। যে কোন জিনিষের ভাল খারাপ দুটি দিক থাকে। আর যতদিনে তার খারাপ বা নেতিবাচক দিক গুলি বেড়িয়ে আসে ততদিনে অনেকেই তাদের জীবন দিয়ে তার খারাপ দিকগুলি প্রমাণ করে।

আবারো ধন্যবাদ অসাধারন পোস্টের জন্য।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: গভীর তাৎপর্যপূর্ণ একটি মন্তব্য করেছেন। সে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে আমরা ব্লগে লিখছি সেটি হয়তো এই মুহূর্তে আপনার মন্তব্যের সর্বোত্তম উদাহরণ। অনেক মানুষের জীবনে ইন্টারনেট একটি অভিশাপ, কিন্তু তারা সেটি অনুধাবনও করতে পারছেন না। আপনাদের মন্তব্য থেকে অনুপ্রাণিত হই। ইনশাআল্লাহ সামনে আরো ভালো কিছু লেখা নিয়ে হাজির হবো আপনাদের কাছে। পড়ার অগ্রীম নিমন্ত্রণ রইলো।

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কেমন আছ প্রান্ত?
পড়াশোনা এখন কোন পর্যায়ে?
খুব সুন্দর একটি ফিচারের ধন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আসালামুআলাইকুম ভাইয়া। আশা করি ভালো আছেন। আমাদের তো করোনার কারণে এইচ এস সি হলো না। এখন বাসায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। দোয়া রাখবেন আমার জন্য।

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ! তথ্যবহুল লেখা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ আপু। দোয়া করি, ভালো থাকুন।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগে এইধরণের তথ্য মূলক লেখা খুব কম আসে। এত সুন্দর একটা লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কেমনে আছেন আপনি? অনেকদিন পরে মনে হয় আপনার লেখা পড়লাম।
শুভ কামনা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম ভাইয়া।
আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি এবং আশা করি আপনিও ভালো আছেন।
আপনিও অনেক ভালো তথ্যমূলক লেখা লেখেন।

ধন্যবাদ সময় করে মন্তব্যটি করার জন্য। শুভকামনা রইলো।

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১১

নীল আকাশ বলেছেন: সালামের প্রতি উত্তর দেয়ার জন্য আবার ফিরে আসলাম। এটা এখন আমার জন্য ওয়াজীব উত্তর দেয়া।
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি, ওয়া বারাকাতুহ।
আপনার জন্যও শুভ কামনা রেখে গেলাম।

১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল লেখাটিতে মুগ্ধতা!
রেডিয়াম বালিকাদের জন্যে খুব খারাপ লাগছে।
বিশ্বের সকল শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ গড়ে উঠুক এই কামনা করি।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪১

ঢুকিচেপা বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। রেডিয়ামের পেছনের গল্পটা জানা ছিল না।
ধন্যবাদ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ঢুকিচেপা

১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি অজানা বিষয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য জানতে পারলাম আপনার এ পোস্ট পড়ে। অনেক ধন্যবাদ।
এসব তথাকথিত সভ্য দেশে এই নিকট অতীতেও (মাত্র দেড় শতাব্দী আগে) নারী ও পুরুষ শ্রমিকের কাজের পরিবেশে এমন বেদনাদায়ক বৈষম্য ছিল, এমনকি তাদের মৃত্যু সনদেও অসত্য কারণ লেখা থাকতো, তা জেনে বিস্মিত হ'লাম, ব্যথিতও হ'লাম।

কোথায় কোথায় ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছেন? অগ্রগণ্যতা হিসেবে প্রথম তিনটে উল্লেখ করুন।
নিজ পছন্দ অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য অনেক শুভকামনা ও দোয়া রইলো।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই আন্তরিক মন্তব্যটির জন্য স্যার।
বর্তমানেও তথাকথিত সভ্য দেশেগুলোর শ্রম বাজারে নানারকম ফাঁক ফোকর, অন্যায় অনিয়ম বাসা বেঁধে আছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে লেখালেখির ইচ্ছা আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ পর্যাপ্ত ফ্যাসিলিটির অভাবে কয়েক বছর আগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্বজনদের চাপে সবখানেই পরীক্ষা দেয়া লাগবে, তবে আমার প্রস্তুতি মূখ্যত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। বাংলাদেশের পক্ষে বিজ্ঞানে উন্নত গবেষণার স্বপ্ন দেখি। টেকসই সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে কিভাবে কম্পিউটার প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায়, সেটা নিয়ে অবসরে বন্ধু এবং সমমনাদের নিয়ে কাজ করছি।
আশা করি, আল্লাহর দরবারে আপনার দোয়া আমার সহায় হবে ইনশাআল্লাহ।

১৫| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর একটা বিষয় শেয়ার করেছ।++ অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে। চৌদ্দ নম্বর কমেন্টের প্রতিমন্তব্যে জানতে পারলাম তোমার আগামীর স্বপ্ন। অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থেকো সবসময়।

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। আপনাদের জন্যও অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.