![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে নিজে অসম্মান আর ঘৃনার আত্মঘাতি প্রবনতা থেকে বেরিয়ে আসতই হবে ।
ভূমিকা
“কে বোঝে তোমার অপার লীলে
আপনি আল্লাহ , ডাকো আল্লাহ বলে (লালন সাই)”
“ক্ষুদার্থ কে অন্ন দিলে বলে- তুমি মানুষ না ফেরেস্তা । অথচ যখন বলি- শুধু “সমাজতন্ত্রের সঠিক চর্চা” পারে তোমাদের সুখী করতে , তখন তারা গালি দেয়- তুমি কমিউনিষ্ট? তুমি একটা নাস্তিক !!”
উপরের দুটি উদ্ধৃতি ধর্ম এবং রাজনীতিকে এক সুতায় গাথার প্রয়াসে উল্লেখ করলাম ।
ধর্মের চূড়ান্ত লক্ষ্য- সব কিছু নিজ অস্তিত্ব জ্ঞান করা অর্থাৎ সব কিছুকে আপন করে নেবার মত মানোসিকতা অর্জন করা- সার্বোজনীন প্রেম ধর্মের জয় উতসব ।আর রাজনীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য- এ উন্নত মানোসিকতার বাস্তব চর্চা । এ চর্চা একমাত্র সমাজতন্ত্রের সঠিক পথ ছাড়া অন্য কোন পথে সম্ভব নয়।
তাহলে দেখা যাচ্ছে ধর্ম ও রাজনীতি একি মুদ্রার(মানব সভ্যতার) এপিঠ ওপিঠ । একটি ছাড়া অপরটির অস্তিত্ব সব সময়ই নাজুক । আবার ধর্ম ও রাজনীতির পরষ্পর বিরোধী মতবাদ মানব সভ্যতা কে শুধু ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যায় ।তাই বিশ্বজনতার মানোসিক কাঠামোয় ধর্ম ও রাজনীতির সঠিক সমন্বয় ছাড়া এ ধ্বংস যাত্রা থেকে উত্তরনের বিকল্প আর কোন পথ নেই ।এ বিষয়টা আরো সহজ করে বলতে গেলে আমাদের বাস্তবতা কে পরিষ্কার বুঝতে হবে । বাস্তবতার দুটি অংশ- বিমূর্ত সুচেতনার জগত আর মুর্ত জগত ।আর যা সুচেতনা তাই ধর্ম। প্রেমের সৌরভ-শান্তি হয় যদি সুচেতনা তবে ফুল রূপে এর মুর্ত প্রকাশ ।ফুল ঝরে যায় অথচ চেতনা থেকে চেতনায় বয়ে চলে প্রেমের সৌরভ-শান্তি , চীর অমলিন । সুচেতনা হচ্ছে পিলার আর মুর্ত জগত হচ্ছে বিল্ডিং ।তাই সুচেতনা ছাড়া মুর্ত জগত সহজেই ধসে পরে । সুচেতনা হচ্ছে ভালোলাগা ভালোবাসা , যা জটিল পরিস্থিতিতেও প্রান সঞ্চার করে সুন্দর । সুচেতনা মানে নিজেতে গুটিয়ে থাকা না বরং নান্দনিক মূর্ত প্রকাশি এর স্বাভাবিক প্রবনতা ।আর মানুষের জন্য সুস্থ্য রাজনীতির চর্চা সুচেতনার চূড়ান্ত গন্তব্য । আশা করছি এ বইটি আমাদের সেই গন্তব্যের ঠিকানা পেতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
দারিদ্রতা আর কিছু না
শিক্ষিত জনগনের দেশপ্রেমমূলক রাজনীতিতে উদাসিনতার ফল ।
গরীব দেশের “রাজনীতিবিদদের-মন” পুটি মাছের আর “শিক্ষিত জনগনের-মন” কাচকি মাছের । তো কি আর করা , ব্যবসায়ীরা আরামসে পুটি আর কাচকি মাছের ভাগা দিয়ে এদের বেচাকেনা করে আর দেশ যেই গরীব সে গরীবি থেকে যায়। কেবলমাত্র মৃত্যুকে বুড়া আঙ্গুল দেখানো বড় মনের মানুষি পারে এই বেচাকেনা বন্ধ করে দেশ কে উন্নত করতে ।
মানবজাতী একটাই পরিবার। সবাই আমার মা-বাবা ভাই-বোন সন্তানতুল্য। সার্বোজনীন পরিবার-চেতনা জনগনের মন-মগজে গেথে দিতে এগিয়ে আসেন এক মানুষ রতন । সে শুধু দিতেই আসে , নিতে না । তাই সে মাইন্ডও খায় না । সমুদ্রের মত উদার আর বিশাল সে ।
বস্তু ধন নয় , মনের ধনে ধনীই আসল ধনী । তাইতো দেখা যায় মনে যে দেশের মানুষ ধনী , সেই দেশও ধনী । রাস্ট্রের উন্নতিতে বড় মনের মানুষের অবদান বেশী থাকে ।উদারতা , নান্দনিকতা , যৌবনের সাবলীলতা , শিশু সুলোভ সরলতা , মাতৃ সুলোভ মমতা – এই গুন গুলো একজন মানুষ কে সবার কাছে প্রিয় করে তোলে ।তার সান্নিধ্য পেতে সবাই চাতক পাখির মত থাকে উদগ্রীব ।তার ব্যক্তিত্বের স্নিগ্ধ ছায়াতলে সবাই পায় আশ্রয় । তাই জনপ্রিয় মানুষ যা চায় তাই হয়ে যায় ।তার উন্নতি কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনা । এইটি আমাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাতে এবং জনপ্রিয়তা অর্জনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: ঘৃণায় আক্রোশে জানায় যে ধিক্কারে
গণদাবি আজ প্রদৃপ্ত হুঙ্কারে,
জেগেছে জনতা, বিচার এবার চাই
ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি, গণদাবি একটাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
যাযাবর৮১ বলেছেন:
গণদাবি একটাই
আবার জেগেছে তারুণ্যের প্রজন্ম
দ্বিধা ভেদ ভুলে জাগরণের জন্ম,
কবে কে দেখেছে এই বাংলার বাঘ
শাবাশ জনতা ঐ জেগেছে শাহবাগ।
আলোকিত প্রাণ প্রজন্ম চত্বরে
বিকশিত গান খুঁজছে সত্তারে,
আর নয় ভুল, মুক্তির স্লোগান
ধূম্র ধূসরে ফাগুনের জয়গান।
ঘৃণায় আক্রোশে জানায় যে ধিক্কারে
গণদাবি আজ প্রদৃপ্ত হুঙ্কারে,
জেগেছে জনতা, বিচার এবার চাই
ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি, গণদাবি একটাই।