![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“বিরাট শিশু” ধর্ম
**“বিরাট শিশু” ধর্ম নামে বিশ্বের একটি লেটেষ্ট ধর্ম আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, আপনি নাস্তিক আস্তিক যেই হন, আপনাকে এই নতুন ধর্মে স্বাগতম।
**“বিরাট শিশু” ধর্মের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিনঃ
https://www.facebook.com/groups/378157348975738
**এই ধর্মের মুল বানী হচ্ছেঃ
“Childish innocence is everything.” অর্থাৎ শিশুর নিষ্পাপ চেতনাই সব কিছু। এই শিশুর মত সহজ চেতনাটিকে অন্তরের গহীন গভীরে গেথে নিয়ে জীবন যাপন করাই এই ধর্মের অনুসারীদের মূল কাজ ।
**এই ধর্মের পবিত্র কিতাব “আমিই মহাবিশ্ব” ইবুক আকারে এই ফেসবুক গ্রুপে Files সেকশনে পাবেন।
**আপনি যেই মতবাদের অনুসারীই হননা কেন , আমরা আপনার মতবাদের (যদি সেটি মানুষ ও প্রকৃতির জন্যে ক্ষতিকারক না হয়) প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আপনার বর্তমান ধর্মীয় মতবাদটির পাশা পাশি এই “বিরাট শিশু” ধর্মের চর্চা করে যেতে পারেন। কারন শিশুরা আস্তিক বা নাস্তিক , ধনী গরীব , দোষ গুন নিয়ে মাথা ঘামায় না, সে শুধু অকারনে প্রান খুলে হাসে কিংবা কাদে আর যে কাউকেই সহজে আপন করে নেয়।
**এই ধর্মের নামটি (“বিরাট শিশু” ) বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের “খেলিছো এ বিশ্বলয়ে বিরাটো শিশু আনমনে…” গীতি কবিতা থেকে চয়নকৃত এবং এই গীতি কবিতাটি এই ধর্মের সূচনা সংগীত ।সংগীতটি এই ধর্মের ফেসবুক গ্রুপে Time Line ও Files এ পাবেন।
**এই ধর্মের প্রবর্তক কোন ব্যাক্তি নয় বরং “সুচেতনা” যিনি সবার মধ্যেই বিরাজমান।
**এই ধর্মের অনুসারীরা কোন কিছুকেই মন্দ বলেনা বরং যা মন্দ তা আমাদের দৃষ্টিতে “কম সুন্দর” , আর যা ভালো তা আমাদের মতে “খুব সুন্দর” ।“কম সুন্দর” কে পেছনে ফেলে, “খুব সুন্দরের” দিকে আমরা সব সময় ধাবমান।
**এই ধর্মের সার্বোক্ষনিক মূল মন্ত্রঃ
“বিশালে হাসি
এমনি ভালোবাসি....”
**এই ধর্মের অনুসারীদের পুন্য অর্জিত হয় মানবতার প্রতি নিঃস্বার্থ সেবা প্রদানের মাধ্যমে ।
**এই ধর্মের অনুসারীরা সমস্ত বিশ্ব ব্রম্মান্ডকে নিজের শরীর জ্ঞান করে, তাই সমস্ত অস্তিত্বের প্রতি সে শ্রদ্ধাশীল ও যত্নবান । তবে কারো মানোসিকতার সাথে সংযোগ করিনা।
**কারো সমালোচনা করিনা আমরা , কেউ ভুল করলে শুধু সঠিক রাস্তাটা দেখিয়ে দেই মাত্র, কেউ সঠিক কাজটি করলে তার প্রশংসা করি প্রান খুলে।
**এই ধর্মের অনুসারীরা কোন কিছুকে খুব বেশী সিরিয়াস বা বারা বারি ভাবে নেয়না ।সব কিছুর মাঝেই সে সহজভাব ও হাস্যরস খুজে নিয়ে নিজে আনন্দে থাকে ও সবাইকে সেই আনন্দের সৌরভ ছড়িয়ে দেয়।
**শিশুর মতো আচরন করা আমাদের অভ্যাস।
**আমরা মনে করি সবাই শিশু
**ডোরেমন , টম এন্ড জেরী এগুলো আমাদের প্রিয় অনুষ্ঠান ।
**চাচা চৌধুরী , বিল্লু , টীন টিন আমাদের প্রিয় কমিক্স ।
**ঠাকুর মার ঝুলি , ঈশপের গল্প আমাদের প্রিয় বই।
**শক্তি “শরীর” থেকে আসেনা
শক্তি আসে “প্রভাব-মুক্ত ইচ্ছা” থেকে।
-মহাত্মা গান্ধীর এই বানী কে আমরা সত্য বলে মানি। আমরা মনে করি শক্তির উৎস হচ্ছে ব্যক্তির “প্রভাব-মুক্ত ইচ্ছা” , যেটি শিশুদের মাঝে পরিষ্কার দেখা যায়, তারা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয় না বরং সবাই তাদের দ্বারা প্রভাবিত।
**আধুনিক পুজিবাদী সমাজে যেসব বিধি বিধান দেখা যায়, তার বেশীরভাগই লুটেরা শ্রেনীর নিজের স্বার্থে বানানো- প্রভাব বিস্তারের নজর কাড়া সব ধান্ধা ।তাই যেই এদের প্রভাবের ফাদে পা দিয়েছে, সেই তাদের গোলামীর খাতায় নাম লিখিয়েছে। একজন সঠিক মানুষ কোন অবস্থাতেই এইসব “প্রভাব” রে পাত্তা দেয় না, সে সব ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে , সে পরের ইচ্ছায় বাচার চেয়ে নিজের ইচ্ছায় মরতে পছন্দ করে। সর্বাবস্থায় সাধারন থাকাটা সত্যিই অসাধারন। প্রভাবমুক্ত থেকে- সহজ সাবলীল প্রাকৃতিক সতেজ থাকার চেয়ে বড় আর কিছু নেই।
**আমাদের মূল মনোযোগ- আমাদের নিজেদের অন্তরের স্বাধীনতার ফূর্তিতে।
**এই ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করে- মৃত্যু একটি কাংক্ষিত বিষয়। মৃত্যু অনন্ত জগতে যাবার একমাত্র উপায়। মৃত্যু একটি দরজা- যেটি খুলে গেলে মানুষ চলে যায় সেই জগতে। মৃত্যু মানে মহা আনন্দের দিকে যাত্রা পথের শেষ ধাপ। দেহ জ্ঞানে আমরা সামান্য “ঢেউ” মাত্র, মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এই “ঢেউ” মহা আনন্দের মহা সমুদ্রে আছড়ে পরে স্বয়ং হয়ে যাবে মহা সমুদ্র ।অতএব মৃত্যু আমাদের কাছে শোক নয় বরং- “আনন্দ উৎসব” ।
**আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি পাখির মতনঃ-
মন আনন্দে গেয়ে উড়ি পথিক নবীর গান-
“মানুষ আমি আমার কেন… পাখির মত মন
তাইরে নাইরে তাইরে নাইরে সারাটা জীবন…”।
মানুষের ছদ্মবেশে আমি আসলে এক সমুদ্র চিল
সো করে নেমে এসে সাই করে যাই উড়ে- জীবনের এই মহাসমুদ্রে
উচু থেকে উচুতে এক পাখির দৃষ্টিতে তাকাই বলে-
যতই বড় কিছু হোক না কেন ছোট হয়ে আসে আমার কাছে
©somewhere in net ltd.