![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনে চলার পথে যাকে প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করেন, সে হচ্ছে বন্ধু। বন্ধুহীন আপনার প্রতিটি মুহূর্ত, আপনার হাসি-আনন্দ, আড্ডা, গালগল্প সবই ফিকে হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতেও কাছের বন্ধুটি অনেক দূরে সরে যায়! অপূর্ণতার তকমা গায়ে মেখে মুখ থুবড়ে পড়তে পড়তে তখন এগিয়ে যায় সম্পর্ক। শুধু বন্ধুত্ব নয়, পৃথিবীর সব সম্পর্কই তখন ফিকে হয়ে যায়।
বলি, মধুর এবং পবিত্র ও স্বার্থহীন এই সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখবেন কীভাবে; আজ সেই বুদ্ধির মুখোমুখি হই, চলুন_
ূ ভালো বন্ধু পেতে সবার আগে প্রয়োজন ভালো বন্ধু হওয়া। বিপদে বন্ধুর পাশে থাকা, তার বিশ্বস্ত হওয়া, ভালো পরামর্শ দেওয়া। সর্বোপরি তার ভুলগুলোকে ধরিয়ে দেওয়া এবং সঠিক পথে ফিরে আসতে সহযোগিতা করা।
ূ মনে রাখবেন, আপনার বন্ধুত্ব শব্দটির সঙ্গে মিশে আছে শ্রদ্ধা আর জগতের সব ভালোবাসা। জানেনই তো, দুনিয়ার সব মানুষই চিন্তা, ধ্যান-ধারণা, পছন্দ-অপছন্দের দিক থেকে স্বাধীন ও একে অন্যের চেয়ে ভিন্ন। তাই বন্ধুর উচিত পরস্পরের মতামতের প্রতি সম্মান দেখানো।
ূ সবসময় মনে রাখবেন যে, উত্তম বক্তা হওয়ার চেয়ে উত্তম শ্রোতা হওয়া জরুরি। এজন্য আপনার গভীর মনোযোগ আবশ্যক। একের প্রতি অন্যের মনোযোগ বন্ধুত্বকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে পারে।
ূ শেয়ারিং বন্ধুত্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কথোপকথনের ফলে একে অন্যকে অনেক বেশি বুঝতে সক্ষম হয়। তবে একটা ব্যাপার মনে রাখা উচিত, যত কাছের বন্ধুই হোক না কেন, সব কথাই যে তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।
ূ আপনার কাজের ভার কিন্তু আপনাকেই বইতে হবে। বন্ধুরাও যে বয়ে বেড়ায় না, তা ঠিক নয়! তবে কোন বন্ধু কেমন এবং কী ধরনের ভার বয়ে বেড়াতে পারবে; সেটি আপনাকেই মেধা খাটিয়ে বের করতে হবে। তারপর তাকে তার যথার্থ বোঝাটা বুঝিয়ে দিন!
ূ গ্রুপ ফ্রেন্ডশিপের ক্ষেত্রে যদি একজনের সঙ্গে অন্য এক বন্ধুর মনোমালিন্য হয় সে ক্ষেত্রে বাকি সদস্যদের দায়িত্ব দু'জনের মধ্যে সমঝোতা তৈরি করা। এ ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ূ পরিবারের কেউ যে আপনার বন্ধু হতে পারে না_ এমন বিরূপ ধারণা অনেকেই ঝেড়ে ফেলেছেন। এটা খুবই ভালো দিক। আসলে পরিবারের কারও সঙ্গে যদি আপনার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তবে নিজের পায়ের তলায় সবসময় মাটি খুঁজে পাবেন!
ূ তা ছাড়া বন্ধু হতে পারে যে কেউ-ই। কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে কে কী সেটা আর মাথায় থাকে না। না থাকাটাই কিন্তু বন্ধুত্বের কাজ। তাই বলে বন্ধুর প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা থাকবে না; তা হতে পারে না। তাকে আপনি সবসময় প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করুন। কিছু বোঝাতে চাইলে তার মতো করে বুঝিয়ে বলুন। এতে আপনাদের সম্পর্কের ভিতটা আরও মজবুত হবে।
ূ বয়সের ব্যবধানও অনেক সময় হার মানে বন্ধুত্বের কাছে। সে ক্ষেত্রে আপনার বন্ধুটির সঙ্গে একান্তে যেসব খুনসুটিতে মাতেন, তা লোকালয়ে না করা বা সেই বন্ধুর বয়সী কারও সঙ্গে না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে আপনার বন্ধুটি আরও শ্রদ্ধাভরে তাকাবে আপনার দিকে!
ূ প্রত্যেকেই তার নিজের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা রাখে। এক্ষেত্রে ভয়-ভীতি ছাড়াই সে যেন তার মনের কথা প্রকাশ করতে পারে এমন পরিবেশ থাকা প্রয়োজন।
ূ সর্বোপরি সব সম্পর্কের মাঝেই একটা দেয়াল থাকা প্রয়োজন। আর সেই দেয়ালটা হলো সম্মানের। বন্ধুর সম্মানের জায়গাগুলোকে শ্রদ্ধার সঙ্গে নিতে হবে। তার ভালোলাগা, পছন্দ-অপছন্দের জায়গাগুলোকে বুঝে নিতে হবে। তবেই বেঁচে থাকবে বন্ধুত্ব। জয় হবে নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের!
©somewhere in net ltd.