![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কথাগুলোকে যুক্তির বিচারে সাজিয়ে বলতে চেষ্টা করব। আশা করি আপনি মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে অযথায় গোঁড়ামীর আশ্রয় নিবেন না।
আচ্ছা বলুন তো বাজারের কোন পন্য কেমন সেটা কে ভাল বুঝবে ক্রেতা আই মিন যিনি ব্যবহারকারী তিঁনি? নাকি প্রস্তুতকারক কোম্পানী? অবশ্যই ক্রেতা তাইনা? যারা ভাবছেন প্রস্তুতকারক কোম্পানী তারা পড়ার টেবিলে বসে বসে আপাতত 'ইন্টারপ্রিনিউরশীপ' বইটা পড়তে পারেন। যে কথা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো আপনার সন্তানের ভাল কে বুঝবে? সন্তান নাকি অভিভাবক হিসেবে আপনি? নিশ্চয় এবার অংকটা আর মেলাতে পারছেন না তাইনা? জ্বি... অনেকেই ভুলের শুরুটা এখান থেকেই করে থাকেন।
মোবাইল-ফোন/কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিশ্চয় কড়াকড়ি আরোপ করে দিয়েছেন আপনার সন্তানদের প্রতি তাইনা? ক্ষেত্র বিশেষে বিশেষ করে সন্তান যদি টিন-এজার হয়ে থাকে তাহলে তো কোন কোন অভিভাবক তার সন্তানদের মোবাইল-ফোন/কম্পিউটার ব্যবহার করতেই দেন না তাইনা? আর সন্তান যদি মেয়ে হয়ে থাকে তাহলে তো বলাই বাহুল্য। অভিভাবক হিসেবে আপনি কি কখনও চিন্তা করেছেন; কড়াকড়ি, নজরদারি কিংবা ব্যবহার করতে না দেয়ার মাধ্যমে আপনি তাকে আরো বেশি অনৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিলেন? কারণ সে কোন না কোন ভাবে বন্ধু/বান্ধব বা ভিন্ন পরিবেশে প্রতিনিয়তই চলাচল করছে। প্রয়োজন কিন্তু আইন মানে না জানেনই তো! বিষয়টা মাথায় ভালভাবে ঢোকানোর জন্য একটা উদাহরণ দিচ্ছি তা হলো; ধরুন কোন যুবক/যুবতীর যদি স্ত্রী/স্বামী থেকে থাকে তাহলে তার অকাম-কুকাম করার সম্ভাবনা বেশি থাকে? নাকি কোন যুবক/যুবতীর স্ত্রী/স্বামী না থাকলে তার অকাম-কুকাম করার সম্ভাবনা বেশি? নিশ্চই না থাকলে সম্ভাবনার পরিমাণ বেশি তাইনা? তাহলে আপনি কেন কম্পিউটার/ফোনটা কেঁড়ে নিচ্ছেন কিংবা ব্যবহার করতেই দিচ্ছেন না?
এবার একটা ভয়াবহ বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি তা হলো; অনেক অভিভাবকই তাদের টিনেজার সন্তানদের কোন মতে কম্পিউটার/মোবাইল-ফোন ব্যবহার করতে দিলেও সোস্যাল সাইট (ফেবু, টুইটার, ইউটিউব) ব্যবহারের উপর ডাইরেক্ট রেসট্রিকশন দিয়ে থাকেন। কেউবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য কম্পিউটার/ফোনটা ব্যবহার করতেই দেন না! কাজ কিন্তু মোটেও ঠিক করলেন না। আবারো একটা উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করছি তা হলো; মাথা ব্যাথা হলে কি মাথা কেটে ফেলেন? নিশ্চয় না। তো প্রবলেম যখন কম্পিউটার/মোবাইল-ফোন নিয়ে তখন কেন কম্পিউটার/মোবাইল-ফোনটি কেড়ে নিচ্ছেন বা ব্যবহারে রেসট্রিকশন বেঁধে দিচ্ছেন? কি? তাহলে আপনার সন্তানকে কিভাবে বাঁচাবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না? এতো ভাবতে হবে না উপায় তো কিছু না কিছু আছেই আর তা হল ছোট থাকতেই আপনার সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে! গাছটি চাঁরা অবস্থায় যখন আছে তখন যদি তাকে বাঁকা করে বেঁধে দেন তাহলে সে বাঁকা হয়েই বড় হবে। তেমনি আপনার সন্তানটিকে যদি ছোট থেকেই নৈতিক শিক্ষা বা ধর্ম শিক্ষা দিয়ে থাকেন তাহলে সে সেভাবেই বড় হবে। বড় হবার পর যদি আপনি গাছটিকে আবার সোজা করতে চান তাহলে কি পারবেন? ঠিক আপনার সন্তানটিকে যদি ছোট থেকেই নৈতিক শিক্ষা না দিয়ে থাকেন তাহলে বড় হলে কতটুকু পারবেন তা নিশ্চয় ক্লিয়ার বুঝে গেছেন?
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে পোস্ট লিখে আয় করুন।
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা যখন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতা করছে তখন আপনি আপনার সন্তানকে মোবাইল-কম্পিউটার থেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন আর ভাবছেন মনে হয় এটাই তার জন্য মঙ্গলজনক। দুঃখিত যে, আপনি ভুল পথটিই বেঁছে নিয়েছেন। আপনি যতই বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন না কেন আপনার সন্তান ইউটিউব (ব্লু-ফিল্ম) ঠিকই দেখবে। আপনি যদি খোদাভীতির বিষয়টা তার মগজে গেঁথে দিতে পারেন তাহলেই সে কেবল আপনার অনুপস্থিতেও খোদার ভয়ে ভীত হয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে পারবে না। বিষয়টা যদি মাথায় না ঢুকে থাকে তাহলে এখনই একটা ধর্মহীন আর একটা ধর্মভীরু সমাজের দিকে তাকান! আশা করি বিষয়টা পরিষ্কার বুঝবেন। আপনি যতই বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন না কেন এক সময় আপনার সন্তানটি ঠিকই ফেসবুক চালানো শিখবে। হতে পারে সেটা বন্ধু-বান্ধবের পাল্লাই পড়ে ভুল ভাবে তাদের মত করে। কিন্তু আপনিও পারতেন আপনার সন্তানটির হাতে কম্পিউটার ধরিয়ে দিতে। আপনিই কিন্তু পারতেন আপনার সন্তানটিকে ফেসবুক চালানো শিখাতে। আপনিই কিন্তু পারতেন আপনার সন্তানকে প্রযুক্তির পজেটিভ বিষয়গুলো আতঃস্থ করাতে। আপনিই কিন্তু পারতেন তারে ক্ষুদে প্রোগ্রামার হবার সাহায্যকারী হতে। আপনিই কিন্তু পারতেন একজন ভবিষ্য-জাকারবার্গের অভিভাবক হতে। একটা বিষয় মনে রাখবেন আপনার সন্তান কিন্তু ঠিকই অস্ত্র ধরবে সেটা যদি বন্ধুবান্ধবের পাল্লাই পড়ে ধরে তাহলে হয়ত সন্ত্রাসী হবার শিক্ষা পাবে আর সেটা যদি আপনার পাল্লাই পড়ে ধরে তাহলে হয়ত সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে ব্যবহার করা শিখবে। মনে রাখবেন প্রযুক্তিও একটা অস্ত্র!
২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৩০
আব্দুল কাউসার বলেছেন: "পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে হলে সুবিধা দিয়ে এবং সুবিধার ক্ষতিকর দিক বুঝিয়েই গড়ে তুলতে হবে; সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে নয়।" দারুণ বলেছেন। হ্যাট'স অফ ফর সাপোর্টিং
২| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৩২
কামালপা বলেছেন: ইন্টারনেট ছোটদের জায়গা নয়, এই ভিডিওটা মন দিয়ে দেখুন:
https://www.youtube.com/watch?v=6jMhMVEjEQg
২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
আব্দুল কাউসার বলেছেন: আমার মনে হয় আপনিই ভিডিওটার মর্ম বুঝতে পারেন নি! আপনি কি খেয়াল করেছেন আমার পোস্টে নৈতিক শিক্ষার যে কথা বলেছিলাম তা ঐ ভিডিওতে কতটুকু স্পষ্ট? আপনি যখন আপনার সন্তানকে মুক্তভাবে ছেড়ে দিচ্ছেন তখনকার প্রেক্ষাপট কি ঐ ভিডিওটা নির্দেশ করছে না? এরপূর্বেই উচিত ছিল আপনার সন্তানকে সঠিক নৈতিক শিক্ষা দেয়া!
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৩৪
কামালপা বলেছেন: [link||]
৪| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫৩
মহা সমন্বয় বলেছেন: সন্তানদের বেশী টাই্ট দেয়া ঠিক না তাহলে একসময় বাঁধন ছিড়ে যাবে। আবার খুব বেশি সোহাগ করাও ঠিক না তাহলে মাথায় উঠে যাবে। দুটোর মধ্যেই ভারসম্য রাখতে হবে মানে যখন যেটা প্রয়োজন তা সীমিত আকারে প্রয়োগ করতে হবে।
এই জন্যই তো কবি গুরু বলেছেন- শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে।
ভাল পোস্ট।
২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
আব্দুল কাউসার বলেছেন: হুঁ... সহমত পোষণ করছি।
৫| ২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
সুমন কর বলেছেন: সআদর আর শান দু'টোর মধ্যে সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭
আব্দুল কাউসার বলেছেন: শুধু আদর কিংবা শাসন দিয়ে কিচ্ছু হবে না যদি না সেটার মাঝে নৈতিক শিক্ষা না থাকে!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৭
মাহবুব উল হাসান নাফি বলেছেন: আশপাশে কি পরিমাণ সিগারেটখোড় আছে তা তো দেখেনই । আমার বাবা-মা এই সিগারেটের হাত থেকে আমাকে দূরে রাখতে টাকা খুব কম দিত । টাকা কম দেওয়ার আরো কারণ আছে অবশ্য । টাকা কম দেওয়ায় অনেক কিছুই করা যেত না চাইলেও । যা হোক, কথা সেটা না; কথা হচ্ছে আমি চাইলে সিগারেট ধরা কোন ব্যাপার ছিল না । বন্ধুদের কাছ থেকেই খেতে পারতাম । কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত কখনো সিগারেট খাইনি, কারণ যে নৈতিক শিক্ষাটা আমার পাওয়ার দরকার, কিংবা সিগারেটের ক্ষতিকর দিক যেটা আমার বোঝার দরকার সেটা আমি অনেক আগেই বুঝেছিলাম । আমাকে দেখে আমার বন্ধু-বান্ধবেরাও কখনো খেতে বলেনি, এতটাই শক্তিশালী আমার এই বোধ । আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে একমত, পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে হলে সুবিধা দিয়ে এবং সুবিধার ক্ষতিকর দিক বুঝিয়েই গড়ে তুলতে হবে; সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে নয় ।