নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। পেশাগত জীবনে মাইক্রোবায়োলজিস্ট। চাকুরীর সুবাদে এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছি। দেশ ও দেশের মানুষকে প্রতিনিয়তই অনেক অনুভব করি। আর তাই খুব তাড়াতাড়িই দেশে ফেরার আশা রাখি। অবসর সময়ে বই পড়তে, ঘুরে বেড়াতে ও প্রিয় মানুষদের সাথে সময় কাটাত

আবদুল্লাহ ০২৬

সত্য পথে থাকতে চাই...

আবদুল্লাহ ০২৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সমাচার -১

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৫

দেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠী যখন ক্রিকেট নিয়ে বাড়াবাড়ি রকম মেতে আছে, বরাবরের মতই অন্য অনেক ইস্যু যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে না অথাবা আমরা সেটার গুরুত্ব বুঝতে ব্যার্থ হয়েছি। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার জন্য মিডিয়ার আর দৈনিক গুলোর যে ভূমিকা দেখছি তাতে সন্দেহ ঘনিভূত হচ্ছে!! ধারাবাহিক ভাবে এই বিষয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করব। প্রয়োজনীয় মনে হলে সম্পুর্ন লেখাটা কপি করে শেয়ার করার অনুরোধ করছি।
............................................
প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হয়ে গেলেই কি বাংলাদেশ ইসলামী দেশ হয়ে গেল? তা তো নয়। তাহলে হুজুররা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে এত চিল্লাচ্ছে কেন? রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেই কি আর না হলেই কি?

উত্তর হচ্ছে, হুজুররা ইসলামী শরীয়াহর দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হোক সেটা চায়। তো , সেটা তো এক লাফে করা যায় না। একটা বাচ্চা একদিনে হঠাৎ করে দৌড়ানো শিখে না। সে প্রথমে হামাগুড়ি দেয়, এরপর সে চার হাত পায়ে হাঁটে, এরপর সে দুই পায়ে হাঁটতে শিখে, এরপর সে একদিন দৌড়াতেও পারে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা মানে হচ্ছে, রাষ্ট্র ইসলামকে ফেভার করছে, রাষ্ট্রের মধ্যে আপনি জোর গলা্য় ইসলাম পালন করতে পারবেন। এর মানে ভবিষ্যতে ইসলামের দিকে দৌড়ানোর জন্য রাষ্ট্র চার হাত পায়ে হাঁটছে। ভবিষ্যতে দৌড়াবে।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানে আপনি মেয়েদের হিজাব পড়তে বাধা দিতে পারবেন না, ছেলেদের দাঁড়ি রাখাতে আপত্তি জানাতে পারবেন না। সব জায়গায় ইসলাম শক্তিশালী থাকলো।

ইউরোপীয়ান কান্ট্রিগুলোতে যদি রাষ্ট্রধর্ম ক্রিশ্চিয়ানিটি থাকলেও সেখানে মুসলমানরা থাকতে পারে তাহলে বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও অন্য ধর্মের লোক থাকতে পারবে না কেন?

যারা সেক্যুলার (যদিও আমি বলব সেকুলার নামধারী কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী) তারা এটা চায়না। তারা চায় রাষ্ট্র হবে ধর্মহীন। রাষ্ট্র যেমনে খুশী তেমনে চলবে, এখানে ধর্মের কোন পাত্তা থাকবেনা। মানুষের জন্য সব জায়গায় নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকবে না। দাড়ি রাখলে হ্যারাস করা হবে, মেয়েদের হিজাব পরতে বাধা দিবে।

সংবিধান হতে 'আল্ল-হর উপর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস' যেই দিন হতে উঠিয়ে দিল লীগ সরকার, সেই দিন থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রধর্ম হতে ইসলাম উঠিয়ে দিয়ে সেক্যুলার প্রভুকে খুশী করে ডিইসলামাইজেশন এর সেই প্রকৃয়ার হাতে খড়ি হচ্ছে এখন।
প্রতিটা মুসলিমের উচিত সেই প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়া। এবং জোর প্রচেষ্টা চালানো যাতে সরকার এটা করতে না পারে। যারা এর সাথে আছেন, তাদের সাথেই আছি।

আর যারা বলছেন, রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কি? ইসলামবিদ্বেষী সেই মানুষগুলোর কাছে প্রশ্ন : তাহলে রাষ্ট্রের আবার ভাষা কি? দেশে চাকমা ভাষা, গারো ভাষা থাকা সত্ত্বেও বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হলো কিভাবে? রাষ্ট্রভাষা থাকতে পারলে রাষ্ট্রধর্ম থাকতে পারবে না কেন?
দিন দিন ইসলাম ও মুসলিমদের যেভাবে চাপে রাখা হচ্ছে, একদিন বিষ্ফোরণ হবেই হবে ইনশাআল্লাহ

ইতিমধ্যেই সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২৭ তারিখ নির্ধারিত হবে সংবিধানে ইসলাম থাকবে কিনা?? সমমনা ইসলামী দলগুলোও পাল্টা কর্মসূচী দিয়েছেন। আগামী ২৫ মার্চ সারা বাংলাদেশ বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সমমনা ইসলামী দলগুলোর কর্মসূচীর প্রতি সহমত পোষন করছি। আর দেশের কর্নধার ও নেতৃস্থানীয় সহ সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এই কামনা করছি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১০

ইবাদ বিন সিদ্দিক বলেছেন: জাযাকাল্লাহ।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:০৮

আকদেনিজ বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুজুররাতো পানি পড়া ঝাড় ফুঁক বাল্যবিবাহ রায়ট ৫০০ বোমা, আত্মঘাতী জঙ্গি দিয়া কত কিছু করলো লাস্টে তেতুল চোরা শফি কুকুর

তো তাগো কথা শুনুম কেন? তেতুল চাটার জন্য!

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪৫

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মনে হয়না শেখ হাসিনা এত বড় রিস্ক নিবেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.