নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Allah Tumer Bhalobasha Chai...Tumake Jara Bhalobashe Tader Bhalobasha Chai.

আল্লাহ তোমার ভালবাসা চাই, তোমাকে যারা ভালবাসে তাদের ভালবাসা চাই।

Abdullah Arif Muslim

একজন মুসলিম যে আত্মসমর্পন করে আল্লাহর কাছে, হোক সেটা তার ইচ্ছার পক্ষে বা বিপক্ষে।

Abdullah Arif Muslim › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবর পুজা, মাজার পুজা এবং আমাদের ইসলাম। সাহাবাদের কবর বনাম পীরদের কবর

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৯



সূফির মাজার



সূফির মাজার

বনাম



নবীর সাহাবাদের কবর

-----------------------------------------------------------------------



বোবা সরি বাবা ফকিরুদ্দিন এর মাজার



বনাম





নবীর সাহাবাদের কবর





=============================================



আল্লাহর রাসুল সা: আলী রা: কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সকল উচু কবর ধ্বংস করার জন্য। আমাদেরও এখন একই কাজ সকল উচু কবর, মাজার নামের ব্যবসা ধ্বংস করে দেওয়া, মাটির সাথে সমান। আফসোসের বিষয় সেই আলী রা: এর কবরই এখন মাজারে পরিনত করছে।



মাজার শব্দের অর্থ হলো দর্শনীয় স্থান। যেটা দেখলে মন ভাল হয়। যেমন সমুদ্র সৈকত একটা মাজার বা দর্শনীয় স্থান।



সহীহ হাদিসগুলোতে আছে, কবর পাকা করা নিষেধ, কবরে বাতি দেওয়া নিষেধ, কবরের উপর ঘর নির্মাণ নিষেধ, কবরকে উৎসরেব স্থান বানানো নিষেধ, কবরে গিলাফ লাগানো নিষেধ। কিন্তু আমাদের মুসলমান নামধারীরা সবগুলো নিষেধ করা কাজই বেশী করে করে।



বলতে পারে সেগুলো পীরদের মাজার। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই পীরগুলার অস্তিত্ব কেন সাহাবাদের যুগে নাই, কেন তাবেয়ীদের যুগে নাই। কারণ এটা একটা ব্যবসা যা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে।



আল্লাহ কোরআনে বলেছেন

সূরা ফাতির-২২> হে নবী, তুমি কবরে শায়িতদের কথা শুনাতে সক্ষম না।

আর আমাদের কবরগুলোতে এমনই আক্বিদাহ পোষন করে যে কবর বাসী শুনে।



আল্লাহ কোরআনে বলেছেন

সূরা আহকাফ-৯> হে নবী, বল, আমি জানি না আমার সাথে আল্লাহ কি ব্যবহার করবেন এবং আমি জানি না আল্লাহ তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করবেন।



বুঝার চেষ্টা করুন, নবী নিজেই যেখানে জানেন না তার সাথে কি ব্যবহার হবে, সেখানে আমাদের দেশের ৯০% মানুষ মনে করে আব্দুল কাদের জিলানী, শাহ জালাল, শাহ পরান (র:) রা জান্নাতি। তারা জান্নাতের সার্টিফিকেটই দিয়া দেয়।



অনেকে তাদের মুখে জান্নাতি না বললেও মনে মনে সেটা বিশ্বাস করে। আর ঈমান হলো সেটাই যা অন্তরে বিশ্বাস করা হয়, মুখে স্বীকার করা হয় এবং কার্য দ্বারা সম্পাদন করা হয়।



কবরপুজারী, মাজারপুজারীরা মুখে অস্বীকার করলেও তাদের অন্তর এই স্বাক্ষ্যই দেয় যে তারা জান্নাতি।

আল্লাহ আমাদের কবর পুজা, মাজার পুজা ইত্যাদি থেকে বাচার এবং কবর পুজা মাজার পুজা ধ্বংস করার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ এই পীর পুজারী, কবর পুজারীদের হেদায়েত দান করুন। আমীন।

মন্তব্য ১৩১ টি রেটিং +৪৮/-০

মন্তব্য (১৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৭

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কবর পূজারীদের ব্যাপারের সতর্ক থাকতে হবে। আমার মনে হয় ভারতীয় উপমহাদেশে বেশী দেখা যায়।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ। তবে শুধু সতর্ক থাকলেই চলবে না। যতটুক সম্ভব সেটা বন্ধ বা মাটির সাথে সমান করার চেষ্টায় রত থাকতে হবে।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৩

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: যারা আসল মুসলমান তারা কবর পুজা করেনা। যারা আসল পীর তারাও কবর পুজা সাপোর্ট করেনা। কারও কোন দোষের জন্য গোটা জাতিকে খারাপ বলা ঠিক না।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সহমত। পোষ্টটা কাদের বিরুদ্ধে বোঝার চেষ্টা করার আহবান রইল।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৭

আতিকুর রহমান সুমন বলেছেন: আচ্ছা সয়ং নবীজীর মাজার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: মাজার মানে দর্শনীয় স্থান। তাহলে শব্দার্থ দাড়ায় নবীজির মাজার বা নবীজির দর্শনীয় স্থান। আমাদের বলা উচিত নবীজির রওজা।

এবার মূল কথায় আসি, আমি মদীনায় যাইনি। রওজাও দেখিনি। গুগল এ যা পাওয়া যায় তার বেশীর ভাগই ফেইক। অথেনটিক সূত্র থেকে বর্নিত কোন রওজার ছবি আমার চোখে পড়ে নি।

ইতিহাস থেকে জানা যায় ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দে মুয়াবিয়ার(রা) হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় উমাইয়া খেলাফত। উমাইয়া খেলাফাত এর সময় টা ছিল খুবই খারাপ। উমাইয়া শাসকরা ছিল অত্যাচারী এবং বিভিন্ন হারাম কাজে এ লিপ্ত। সুলতান কালাউন ৬৭৮ সালে সর্বপ্রথম এই গম্বুজ এর প্রথা চালু করেন। এই প্রথাও উমাইয়া শাসনামলে। ১২৫৩ সালে গম্বুজটি সবুজ রং করা হয়। ওলামারা এটাকে বিদআত বলেছেন। ৬৭৮ সালের আগে কোন গম্বুজ ছিল না। পরবর্তীতে যারা গম্বুজ নির্মাণ করেছে, সবুজ রং করেছে আর এখন আপনারা যারা এটাকে মাজার বলে প্রচার করছেন সেটাও ঠিক না।

৭ নং কমেন্টে অতীতকে টেনে আনতে গিয়ে সকাল > সন্ধা ভাই নিয়ে আসলেন ১৯২৫ সালের কাহিনী। কিন্তু আমাদের আরো অতিতে যেতে হবে। দেখতে হবে সাহাবারা সর্বসম্মতিক্রমে বা নবীর প্রতি ভালবাসা দেখাতে গিয়ে এই গম্বুজ সৃষ্টি করেছেন কি না বা জান্নাতুল বাকি সেই সময় কেমন ছিল? মুসলিমদের অনুসরণীয় হলো আল্লাহর রাসুল এবং সাহাবাদের সময়। তখন যেহেতু গম্বুজ ছিল না তাই ১৯২৫ বা তার আগের সাল গ্রহণীয় হবে না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: যেহেতু সহীহ হাদিস অনুযায়ী আল্লাহর রাসুল আলী রা:কে উচু কবর সমান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার থেকে প্রমাণিত হয় সাহাবাদের কবর উচু ছিল না। আর সাহাবাদের কবর যদি উচু না থাকে মাজারের মতো, তাহলে জান্নাতুল বাকী ১৯২৫ সালে কেমন ছিল সেটা জানার কোন প্রয়োজন নাই।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

এক মুসাফির বলেছেন: মাজার শব্দের অর্থ ঘর।
মাজার পূজা করো কাম্য হতে পারেনা মূলত: করতে হবে মওলা পূজা বা আল্লাহর উপসনা।
যাদের মাজার হয়েছে নিশ্চয় দেখবেন তারা নিজের কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্ধাতে পরিনত হয়েছেন।নিসন্দেহে তারা শ্রদ্ধার পাত্র।আর আল্লাহর ভাষায়-যারা আল্লাহর রাস্থায় নিহত হয়েছেন তাডেরকে তোমরা ম্ ত বলিওনা তারা জীবিত আছে যা তোমরা উপলব্দি করতে পারনা।
সুতারাং-আমাদের নিজস্ব বিবেক দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।
আল্লাহর এই প্রিয় বান্ধাদের মাজার দেখে যদি আমাদের উপলব্দি করার সুযোগ হয় তারা কি এমন কাজ করেছেন যে আল্লাহ পাক তাদের এই মর্জাদা দান করেছেন।
সে অর্থে মাজারের কোন দোষ হতে পারে না।
নিজের বিবেক দারা পরিচালিত হওয়ার আহবান রইল।
ধন্যবাদ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: মুসাফির সাহেব আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বাইত মানে ঘর, মাজার নয়। যেমন বাইতুল্লাহ মানে আল্লাহর ঘর।

"আপনি আরো বললেন, নিশ্চয়ই যাদের মাজার হয়েছে তারা আল্লাহর প্রিয় বান্ধাতে পরিনত হয়েছেন।" ভাই আপনি কিভাবে জানলেন যে তারা প্রিয় বান্দাতে পরিণত হয়েছেন? আপনি কি গায়েব জানেন? আপনার কাছে কি ওহী আসে?

সূরা আহকাফ এর ৯ নং আয়াত পড়ার অনুরোধ রইল। যেখানে নবী নিজেই ঘোষনা দিয়েছেন যে তিনি তার সাথে কি ব্যবহার হবে জানেন না। সেখানে আপনি কিভাবে তাদের ব্যপারে এই উক্তি করেন যে তারা প্রিয় বান্দাতে পরিণত।

আর কোরআনের সূরা বাকারার যেই আয়াতটা দিলেন সেখানে আল্লাহর রাস্তায় মৃত মুজাহিদদের কথা বলা হইছে। মুজাহিদদের ব্যপার ভিন্ন। তাদের মর্যাদাও ভিন্ন। মুজাহিদ এক জিনিস আর খাজা বাবা, গাজা বাবা, লেংটা বাবা, পীর বাবা এক জিনিস।

তারপর "নিজের বিবেক দ্বারা চলতে বললেন" অথচ আল্লাহ সূরা আরাফের ৩ নং আয়াতে যা নাজিল হইছে কোরআন অনুযায়ী চলতে বলছেন। আমরা যেকোন বিষয়কে কোরআন ও সহীহ হাদিস দিয়ে পর্যালোচনা করব এবং সিদ্ধান্ত নিব। আমরা মাজার দিয়ে কোরআন হাদিস যাচাই করবো না। বরং মাজারকে কোরআন হাদিস দিয়ে যাচাই করবো।

লাস্টে বললেন,

""আল্লাহর এই প্রিয় বান্ধাদের মাজার দেখে যদি আমাদের উপলব্দি করার সুযোগ হয় তারা কি এমন কাজ করেছেন যে আল্লাহ পাক তাদের এই মর্জাদা দান করেছেন।"

মর্যাদার মানে যদি হয় এই যে মানুষ আমার কবরকে সিজদা করবে, কবরের সামনে মাথা নত করবে, পুজা করবে। তাহলে আমার সেই সম্মান দরকার নাই। আর আপনিই বা কিভাবে শিউর হলেন যে, কবর পুজা করা মর্যাদা। বরং কবর সংক্রান্ত অনেকগুলো হাদিসের কথা আমি বলেছি যেখানে মাজার তৈরী করাই নিষেধ। উপরের পোষ্ট টা আবার পড়ার অনুরোধ থাকলো।




৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৮

বাবুআনা বলেছেন: খুব ভাল আর জরুরী কথা বলেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৮

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫১

কান্টি টুটুল বলেছেন: ধর্মীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসার দাবী রাখে।

আতিকুর রহমান সুমন@নবীজীর মাজার অবশ্য সাহাবাদের কবর এর মত খোলা আকাশের নিচে না,গ্রীল দিয়ে ঢাকা একবার ভিতরে দেখার চেষ্টা করেছিলাম দেখতে পারি নাই।
আমিও আরিফ ভাইয়ের উত্তরের অপেক্ষায় আছি।

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৪

সকাল>সন্ধা বলেছেন: সরি টু সে আপনার অতিত জানতে হবে এখন যেখানে ওহবীদের রাজত্ব সেখান টা এক সময় এ রকম ছিল।


প্রত্যেক আমল তার নিয়তে সাথে সম্পৃক্ত। যারা পুজার উদ্দেশে যায় তারা মুসলমান নয় আর যারা জিয়ারতের উদ্দেশ্যে যায় তারা সুন্না পালন কারী আর হালাল কে হারাম বলা আর ইমান হাড়ান এক কথা।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ৩ নং কমেন্টস্ এর জবাব পড়ার অনুরোধ থাকলো।

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৮

ভদ্র পোলা বলেছেন: কবর পূজার নামে তো দেশে business শুরু হইছে , লেখক কে ধইন্না , এই সম্পর্কে লেখার জন্য

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪২

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ভদ্র পোলা @ আপনারেও ধইন্যা।

৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩২

নিলয় চাকলাদার বলেছেন: লেখার জন্যে ধন্যবাদ, তবে পয়লা লাইনে মুসলমান জাতিকে নিকৃষ্ট না বললেও পারতেন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৬

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আজকালকার ব্লগার সব খারাপ হইয়া গেছে। আজকালকার পোলাপান সব খারাপ।

আমাদের বুঝতে হবে এখানে কোন টাইপের পোলাপান বা ব্লগারদের কথা বলা হইতেছে। তয় পয়লা লাইনে নিকৃষ্ট বলাতে যদি আপনি কষ্ট পাইয়া থাকেন, তাহলে হুমায়ুন স্যারের বক্তব্যটা স্মরণ করুন। তিনি বলিয়াছেন মন খারাপ হইলে বা কান্দন আইলে বাথরুমে যাইতে। =p~ =p~ =p~

১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৩

মি: জন বলেছেন: যে যাহাই বলেন না কেন। আমার/আমার বন্ধুমহলের জানামতে এমন কোন মাজার দেখি নাই - যেখানে গাঁজার আসর বসেনা। হোয়াট ইজ দিস?


মিঃ রাইটার চালায়ে যান।

শরীরদিয়ে যুদ্ধ করতে না পারলেও মনথেকে করব ইনশাআল্লাহ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪১

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ধন্যবাদ। শরীরদিয়ে যুদ্ধ করতে না পারলেও মনথেকে করব। হাদিসটা মনে পড়ে গেল........ কোন বাজে জিনিস হাত বা শক্তি দিয়ে ঠেকাতে হবে, না পারলে মুখে বলতে হবে। তাও না পারলে মন থেকে ঘৃনা করতে হবে। আর এমনটি করলে আমরা হবো.............নিম্ন স্তরের মুমিন।

১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: যারা কবর পুজাকে জিয়ারত হিসেবে বৈধ মনে করছেন তাদেরকে বলছি - এমনিতে চিনি খাওয়া কার জন্য ক্ষতিকর নয় । কিন্তু কার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে তাকে সেই বৈধ চিনি খাওয়া থেকেও বিরত রাখা হয়। একই ভাবে ভাল নিয়তে, মৃত্যুর কথা স্বরণ করে কবল জিয়ারত কোন খারাপ কিছু নয় - কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের মাঝে কবর পুজার রোগ যেভাবে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে ঐ বৈধ কাজটিও এখন মনে হয় না করাই ভাল।

কারণ আমরা অনেকেই জিয়ারতের কথা বলে বিষয়টি চালু রাখতে চাইলেও বহু রোগাক্রান্ত মানুষ সেটাকে পুজারমত করেই উদযাপন করবে। সুতরাং বর্তমান অবস্থায় সকল উচু কবর সমান করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়াই জরুরী কর্তব্য মনে হয়।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সুতরাং বর্তমান অবস্থায় সকল উচু কবর সমান করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়াই জরুরী কর্তব্য মনে হয়।

১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২১

রাজিয়েল বলেছেন: ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া হাও ডিরেইলড অ্যান্ড রং ইউ আর, মাই ফ্রেন্ড। পুজা আর জিয়ারত এক জিনিস না। অ্যান্ড বাই দা ওয়ে, ওয়াহাবীরা মুসলমান নয়। নবীজী এবং তার ব্লাডলাইনকে অপমান এবং ধ্বংস করার চেষ্টা যারা করে তারা বেসিকালি ডিক্লেয়ারিং ওয়ার অন গড'স রিলিজিয়ন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে এক শ্রেণীর মানুষের কথা মনে হলো যারা "ইয়ো ইয়ো চিকি চিকি /ইয়ো ম্যান/হোয়াটস্ আপ টাইপের"। মাথায় ক্যাপ একটু তেড়া কইরা, মারু হাফ প্যান্ট পড়া। ওই যে একটা গান আছে না, রং করা জিনসের প্যান্ট পড়া। আপনি এক কাজ করেন, রেডিওতে জব নেওয়ার চেষ্টা করেন। চান্স পাওয়া সম্ভাবনা ৪২০%।

যাই হোক, মূল কথায় আসি। পুজা আর জিয়ারত এক জিনিস না।

জিয়ারত মানে দেখা, দর্শন করা। যেমন নবীজি সা: বলছেন, তোমরা কবরের কাছে যাও, কবর পরকালকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা কবরের কাছে যাব মৃতু্কে স্মরণ করার জন্য।

এবার আসি পুজো তে। পুজো হলো সেটাই যা করা হয় স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য। যেমন আল্লাহ সূরা যুমার এর ৩ নং আয়াতে বলছেন, মুশরিকরা মুর্তি পুজা করে একটাই কারণে যে মুর্তিগুলো তাদের জন্য সুপারিশ করব বা মুর্তিগুলোর পুজা করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন।

এখন আপনি যদি কবর বা মাজারে যান নিজের মৃতুকে স্মরণ করার জন্য এবং কবরবাসী হোক সেটা শাহজালাল বা শাহপরান, তাদের মাগফিরাতের জন্য দুয়া করেন যাতে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন, তাহলে কোন সমস্যা নাই।

কিন্তু যদি মনে করেন সেই কবরবাসী বা মাজার এর ভিতরের ব্যক্তিটির মাজারে আসলে তার উসিলায় কিছু পাব, বা যদি মনে করেন যে তারা আপনার কথা শুনে, আপনার জন্য সুপারিশ করবে আল্লাহর নিকট। তাহলে এখানে আপনার মধ্যে এবং মুশরিক এর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না।

পুজোরিরা পুজো করে স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য, তাকে পাওয়ার জন্য। আর বাংলাদেশের মুসলিমরা শাহজালাল শাহপরান (র:) এর মাজারে যায় আল্লাহকে পাওয়ার জন্য। সেটা মুখে জিয়ারত বা দেখা বললেও অন্তরে থাকে যে ওই লোক আমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে। এই রকম মানসিকতা।

শেষ প্রশ্ন

মক্কার মুশরিকরা যদি আল্লাহকে পাওয়ার জন্য মুর্তির সাহায্য নেয়, খ্রিষ্টানরা যদি পরকালে রক্ষাকারী হিসেবে ঈসা আ: কে গ্রহণ করে আমরা তাদের মুশরিক বলি। ঠিক একই সূত্র একই ফর্মুলা যে, আমাদের মধ্যে কেউ যদি আল্লাহকে পাওয়ার জন্য মাধ্যম ধরে, শাহজালাল শাহপরান, মাইজভান্ডারী, আজমেরী। তাহলে আমরা তাদের কি বলবো?

১৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২২

সকাল>সন্ধা বলেছেন: @কাঙ্গাল মুরশিদ : যদি ও পোষ্ট টি আমার নয় তবুও বলি আপনি কোন দিন গাজা খোরদের বুঝিয়েছেন? বাধা দিয়েছেন? নাকি বোমা মেরে হত্যাকারীদের পক্ষের লোক! আপনার উদাহরণটা হল এরকম- তুরস্কে ইহুদীরা থাকে আর তারা লম্বা দাড়ি রাখে বলেই সেখানের অনেকে তাহকিক করে দাড়ি রাখা ছেড়ে দিয়েছে। আবার আমাদের দেশে এখন আরেক প্রকার জাতী বের হয়েছে তারা বলে মুনাজাত নামাজের অংশ নয় আর তাই মুনাজাত ছেড়ে দিয়েছে। আসলে আমার ভুল বিষয় টিকে যুক্তি হিসাবে গ্রহণ করি। যেমন আমরা ইহুদী নাসারাদের দেখে তাদের থেকে খোলা মেলা পোশাক বলগা হাঁড়া জীবন পছন্দ করি। কিন্তু দেখিনা যে তার সারা সপ্তা জুড়ে কাজ করে তার পর আমোদ ফুর্তি করে (তাই বলে আমোদ ফুর্তিকে আমি জায়িয বলছি না।)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪১

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: যদিও মন্তব্যটা করছেন মুরশিদ ভাইকে নিয়ে, তাও মাঝখানে বাম হাত ঢুকাইলাম। কিছু মনে করবেন না।

রাসুল সা: বলেছেন, দোয়াই ইবাদাত (সূত্র: আবু দাউদ-১৩২৯)

তাহলে আপনারা সালাতের পরে যেই সম্মিলিত মোনাজাত করেন সেটা তো "বড় ইবাদাত" তাই না?

আর যেকোন ইবাদাতের পূর্ব শর্ত হলো নবী সা: ও তার সাহাবারা করেছেন কি না সেটা দেখতে হবে।

কোন ইবাদাত যদি নবীর দ্বারা অনুমোদন না হয় তবে সেটা করা যাবে না। যেমন আমরা ঈদের দিন রোজা রাখি না কারণ সেটা নবীর দ্বারা অনুমোদিত নয়।

============================================

আপনি নবীর সারা জিবনী পড়ে দেখুন, হাদিসগুলো পড়ে দেখুন। কোথাও কি আছে যে নবী সা: সালাতের শেষে সাহাবীদের নিয়ে সম্মিলিত মোনাজাত করেছেন। থাকলে আপনিও করেন, আমরাও করবো। কিন্তু যদি না থাকে বুঝার চেষ্টা করেন, জ্ঞান খাটান এটা ইসলামে নব্য আবিষ্কার।

আমি আবারো বলছি, দোয়া একটা ইবাদাত। সম্মিলিত মোনাজাত করতে হলে অবশ্যই সেটা রাসুল দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

১৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৮

স্বল্পজ্ঞানী বলেছেন: বাংলাদেশে অনেক মাজার আছে, প্রচুর টাকা উঠে। গুলিস্তানে গোলাপ শাহ্‌ এর মাজারে গিয়ে দেখেন কত টাকা পড়ে আছে। এগুলো বন্ধ হয় না, কারণ, ওখানে নাকি রাজনীতিবিদদেরও ব্যবসার ভাগ আছে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৩

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৫

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ব্যাপারটা শেয়ার করার জন্য।

আসলে মাজারে গিয়ে যদি মনে করা হয় "উনার উসিলায় আল্লাহ আমার ভাল করবেন", এই ব্যাপারটাই শীরকের সমতুল্য।

সিলেটে গেলে সবচেয়ে দুই মাজার জিয়ারত করতে হবে........কেন?? না করলে কি হবে?? ব্যাপারটা যেন ফরজের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়। আসলে অইসব মাযারে বেশীর ভাগ সময় শীরক হয়, ওইসব জায়গা না যাওয়াই ভাল।

একবার বাগেরহাটে খান জাহান আলীর মাজারে গিয়ে দেখলাম, "একদল দীঘির ঘোলাটে পানি বোতলে ভরে নিচ্ছে (এই পানি খেলে বলে বরকত হয়)। মাযারের ভিতর উকি দিয়ে দেখলাম মাজারের খাদেম টাইপের কেউ একজনের মাথায় বইয়ের মত কিছু রাখতাসে আর ময়ুরের পালক দিয়া মাথায় বাড়ি দিতাসে, দৌড়াইয়া অইখান থেকে পালিয়ে আসছি। তারপর দীঘির আরেক পারে যেয়ে দেখি একটা কুমির ঘুমিয়ে আছে, শুনলাম ওখানে কুমিরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে নাকি ফায়দা হয়!!"

আসলে এইসব মাজার গুড়িয়ে সমান করে দিয়ে দিয়ে মাজার ব্যাবসা বন্ধ করা উচিৎ।

ভাই, আপনাকে হয়ত এই পোস্টের জন্য হয়ত "ওহাবী" বলা হবে, কিন্তু থামবেন না এইসব মাজার ব্যাবসা, ভন্ড পীরদের বিরুদ্ধে লিখে যান।

ধন্যবাদ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আসলে এইসব মাজার গুড়িয়ে সমান করে দিয়ে দিয়ে মাজার ব্যাবসা বন্ধ করা উচিৎ।

সহমত। আর বড় কথা হলো এই কাজ আলী রা: নিজেই করেছেন আল্লাহর রাসুলের নির্দেশে।

১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৬

িবদুযৎ িবশ্বাষ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০%

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: বিশ্বাস? ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ। ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০

১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৯

রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি যদি কবর বা মাজারে যান নিজের মৃতুকে স্মরণ করার জন্য এবং কবরবাসী হোক সেটা শাহজালাল বা শাহপরান, তাদের মাগফিরাতের জন্য দুয়া করেন যাতে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন, তাহলে কোন সমস্যা নাই।

সহমত।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।

১৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৫

হারুন সুজন বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ......................

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।

১৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৭

রাজিয়েল বলেছেন: জামাত শিবির করেন না কি? এজেন্ডা তো মনে হয় ঐ দলেরই

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আগের মন্তব্যের মতো ""ইয়ো ইয়ো চিকি চিকি" টাইপের শব্দ উচ্চারণ না করায় বিস্মিত হচ্ছি। আনইজি ফিল করতেছি ইয়ো ইয়ো। একটা প্রবাদ আছে যে, জামাত শিবির কি ুয়া মাইরা ছাইড়া দিছে।

বুঝতেছি না আপনার বেলায় শব্দটা ব্যবহার করা ঠিক হবে কি না? আমি কনফিউজড। :| :| :|

২০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৭

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য ++++++

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৬

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: বিভ্রান্ত পথিকের মুখে একি শুনলাম। জাজাকাল্লাহ।

২১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪২

মহসিন আহমেদ বলেছেন: সাহাবাদের কবরগুলির বর্তমান রুপটা কবে থেকে সেটা জানেন কি ? কবর এবং মাজার এক জিনিস নয়। আপনার গায়ের সাইনবোর্ডটা ফেলে দিয়ে আল্লাহর দেয়া বিবেক জাগ্রত করে সার্বজনিন এক ইসলাম নিয়ে একটু ভেবে দেখুন, যে ইসলাম আদম(আঃ) থেকে শুরু করে মোহাম্মদ(সঃ) পর্যন্ত সকল নবী/রাসুল-রা প্রচার করে গেছেন। ধর্মান্ধতা মানেই ধার্মিক না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: কবে থেকে সেটা না জেনে আল্লাহর রাসূল ও সাহাবাদের জিবদ্দশায় কেমন ছিল সেটা জানার চেষ্টা করুন। ৪০০/৫০০ বছর আগের ছবি দিয়া মাজাররে জায়েজ বানানি বন্ধ করেন। আল্লাহকে ভয় করেন। আপনার শেষ মন্তব্যটা পড়ে আপনারে থাপড়াইতে মন চাইতেছে। কতটা কবর পুজারী হইলে এরকম কথা মানুষ কইতে পারে। আপনে একটা চরম বেক্কেল। আর গায়ের সাইনবোর্ড বলতে কি বুঝাইছেন বলেণ?

ধর্মান্ধতা মানেই ধার্মিক না। তাহলে ধার্মিক কেডা? ধর্মান্ধতা মানে যদি এটা হয় যে কোরআন ও সহীহ হাদিস আকেড়িয়ে ধরা। তাহলে আমি অবশ্যই ধর্মান্ধ। আর যে ধর্মান্ধ হয় সে অবশ্যই ধার্মিক হবে এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু ধর্মান্ধতা মানে যদি এটা বুঝেন যে কিছু মানব কিছু মানব না। যেমন নামাজ ও পড়বো আবার সুদ, ঘুষ খাব। তাহলে নিচের আয়াতটা আপনার মত ধার্মিক দের জন্য।

সূরা নিসা-১৫০-১৫১> যারা আল্লাহ্ ও তার রসূলের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী তদুপরি আল্লাহ্ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাসে তারতম্য করতে চায় আর বলে যে, আমরা কতককে বিশ্বাস করি কিন্তূ কতককে প্রত্যাখ্যান করি এবং এরই মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে এরাই সত্য প্রত্যাখ্যাকারী। আর যারা সত্য প্রত্যাখ্যানকারী তাদের জন্য তৈরী করে রেখেছি অপমানজনক আযাব।

আল্লাহ আমাদের কোরআন ও সহীহ হাদিস আকড়িয়ে ধরে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।

২২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৭

মামুন মুনতাসীর০০০ বলেছেন: মাজার সংস্কতির কারনে ইসলামের ব্যাপারে সাধারন শিক্ষিত মানুষের বিরাগ জন্মে। মাজারে মানুষকে সিজদা করতে দেখলে, উরশের নামে নাচগান হলে, টাকা উঠানোর নামে ধান্দাবাজি হলে মানুষ যদি মনে করে এটাই ইসলাম এবং এর সাথে অন্য পরিত্যাজ্য ধর্মের কোন পার্থক্য নাই তাহলে এই সব সাধারন মানুসের কি দোষ দিবেন ভাই???

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: চিন্তা করতেছি? :( :( :(

২৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩২

নভোচারী বলেছেন: মূল বিষয়টি হল জিয়ারত। কিন্তু অধিকাংশ লোকই মাজারে গিয়ে তাদের উসিলা ধরে কিছু চায় যা অযৌক্তিক। আল্লাহ সূরা বাকারার ১৮৬ নং আয়াতে বলেছেন তাকে ডাকলে তিনি সাড়া দেবেন। তাহলে অন্য কারো উসিলা ধরার যৌক্তিকতা নেই।

সূরা আহকাফের ৯ নং আয়াতের যে ব্যাখ্যা আপনি দিলেন তা আমার মতে এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এখানে বলা হচ্ছে নবীর সাথে কী হবে তা নবী জানেন না। এর মানে এই না যে নবী জান্নাতে যাবেন নাকি জাহান্নামে যাবেন তা নিশ্চিত না। সকল নবীরাই জান্নাতী। এটা আমাদের আকিদাগত বিষয়। তাই অস্বীকার করার উপায় নেই। এখানে বোঝানো হয়েছে নবীর ভবিষ্যত জীবনে কী ঘটবে তা তিনি জানেন না। মূল বিষয়টা হল পার্থিব জীবন সংক্রান্ত। অর্থাৎ আগামীকাল নবীর সাথে কে কেমন ব্যবহার করবে বা এই ধরনের কী ঘটবে তা তিনি নিজেও জানেন না। এখানে জান্নাতের কথা বলা হয়নি। নবীরা সবাই জান্নাতী। তাই "নবী নিজেও জানেন না তিনি কোথায় যাবেন" এই কথা এখানে অবান্তর।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২০

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আপনার বক্তব্যের প্রথম অংশের সাথে সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু দ্বিতীয় অংশ তে কিছুটা দ্বিমত পোষন করা লাগে। যেমন, আমরা জানি সকল নবীই জান্নাতি।

তবে মূলনীতি হলো যে আল্লাহ নবীকে বলছেন, তুমি বল তোমার সাথে আমি কি ব্যবহার করবো তুমি জান না। পরবর্তীতে আল্লাহ নিজেই আবার তার রাসূলকে জান্নাতের সংবাদ দিয়েছেন। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন জিনিস। আমি মূলত সেই জিনিসটার প্রতিই জোর দিয়েছি যেটা উম্মতের ব্যপারে বলা হইছে। যেমন উম্মতের সাথে কিরূপ ব্যবহার হবে তা নবী জানেন না। কারণ হাউজে কাওসার এর সামনে থেকে কিছু সাহাবাকে এবং অন্য হাদিসের উম্মতের কথা উল্লেখ করে বলা হইছে সেখান থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। আর নবীও বলবেন দুর হ দুর হ।

আর আপনি আগামীকাল গতকাল এর যেই টা ভূল। এই পুরো আয়াতটাই পরকাল সম্পর্কিত।

আর নবীজি সা: এর ব্যাপারে নাহয় জান্নাতের ঘোষনা পরবর্তীতে পাওয়া গেছে কিন্তু আমাদের মাজারে শায়িত ব্যপারে আপনি কি কোন ওহী পাইছেন যে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করা হবে?
আসলে মাজারগুলো গুড়িয়ে দেওয়াই উচিত, যৌক্তিক, জরুরী ও বাঞ্চনীয়।

২৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৭

ব্লুম্যাজিক বলেছেন: সেল মেটামোরফোজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি যদি কবর বা মাজারে যান নিজের মৃতুকে স্মরণ করার জন্য এবং কবরবাসী হোক সেটা শাহজালাল বা শাহপরান, তাদের মাগফিরাতের জন্য দুয়া করেন যাতে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন, তাহলে কোন সমস্যা নাই।

সহমত।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ। আসলে এই সোজা জিনিসটাই মানুষ বুঝে না।

২৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪০

এম এস জুলহাস বলেছেন:
কবর জিয়ারত করতে হলে কবরের কাছেই যেতে হবে এমন কোন শর্ত আছে ? কেন ? দূর থেকে কবর বাসীদের জন্য দো'য়া করলে আল্লাহ ইচ্ছা করলে তা কি তাদের জন্য পৌঁছে দিতে পারবেন না ?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: অবশ্যই। জিয়ারত করার কোন শর্ত নাই। যেকোন জায়গা থেকেই আমরা কবরবাসীদের জন্য দোয়অ করব। তবে জিয়ারত এজন্যই করব যাতে পরকাল ও মৃতুকে স্মরণ করতে পারি যেমনটি রাসুল সা: শিখিয়েছেন।

২৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৮

সকাল>সন্ধা বলেছেন: @Abdullah Arif Muslim আপনি কখনো মেসকাত শরীফ পরেছেন কি? সেখানে কি দেখেন নি নামাজের পর পর দুহাত তুলে মুনাজাতের হাদিস শরিফ আছে কিনা?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আমি পাই নাই। আপনে পাইলে দিয়েন। আর যাই দিবেন সেটা সহীহ কি-না সেটাও যাচাই করেই জানাবেন।

২৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৮

সকাল>সন্ধা বলেছেন: আপনারা অনেকে ইসলামের মুল বিষয় গুলো দেখে ও না দেখার কারন আমার বুঝে আসেনা। আপনাদের কি মনে নেই হযরত আদম আলাইহি সালাম আমাদের নাবী হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাই হি ওয়া সাল্লাম উনার উসিলা করে দোয়া করেছেন।
আল্লাহ্ পাক কি কুরআন শরীফে বলেন নি - তুয়াকির হু তুসাব্বিহু বুখরাতাও উয়াসিলা-
আপনারা ইলিম তলব করেন কিন্তু গলার নিচে কেন আপনাদের ইলিম প্রবেশ করেনা?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ইসলামের মূল বিষয় বলতে আপনি কি বুঝছেন সেটা আমি জানি না। আমরা মূল বিষয় বলতে বুঝি কোরআন ও সহীহ হাদিস। আপনারা যইফ ও জাল হাদিস নিয়ে ফালাফালি করেন, আর সবাইরে মুর্খ মনে করেন।

বললেন, "আপনারা ইলিম তলব করেন কিন্তু গলার নিচে কেন আপনাদের ইলিম প্রবেশ করেনা?"


=> আমরা ইলম তলব করি এবং সহীহ কিনা সেটাও যাচাই করি, গলার নিচেও যায়। আবার মুখ দিয়ে সেটা বেরও হয় আবার ব্লগেও তা প্রকাশ করি।

আর যেই হাদিস দিয়া নবীরে আল্লাহর থেকেও উপরে তোলার চেষ্টা করলেন সেটা নিচে দিলাম। ইলম গ্রহণ করেন তবে অবশ্যই যাচাই করবেন। খালি মসজিদে মসজিদে মুরগীর রান খাইবেন আর ব্লগে আইসা পক পক করবেন না।

===========================================
আদম আ: মহানবী সা: এর উসিলায় মাফ পাইছিলেন।

হযরত আদম গন্দম ফল খাওয়ার অপরাধে আল্লাহর দরবারে সেজদায় লুটিয়ে পড়েন। অতঃপর মাথা তুলেই দেখলেন আল্লাহর আরশের গায়ে লেখা, “লাইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাছুলাল্লাহ।” আদম ঐ নামের রহস্য জানতে চাইলে, আল্লাহ আশ্চর্য্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আদম! তুমি এ নাম কোথা থেকে শিখলে? আদম বললেন, আপনার আরশের গায়ে লেখা দেখেছি। অতঃপর আল্লাহ বললেন, তুমি ঠিকই দেখেছ এবং ঠিকই বলেছ; মোহাম্মদ আমার সবচেয়ে প্রিয় বান্দা, সবকিছু সৃষ্টির পূর্বে সর্ব প্রথম আমি মুহাম্মদকে সৃষ্টি করেছি; অতঃপর তারই নূরে বিশ্ব ব্রম্মান্ড সৃষ্টি করেছি। মোহাম্মদকে সৃষ্টি না করলে আমি কিছুই সৃষ্টি করতাম না। তাকে পাঠাবো সর্বশেষে।” অতঃপর মোহাম্মদ নামের দোহাই দিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ বলেন, ঠিক আছে আমার হাবিবের (দোস্ত) দোহাই দিয়ে তুমি যখন ক্ষমা চাইলে, তখন আমি তোমাকে ক্ষমা করলাম-। [ যোরকানী-১ম খন্ডের ৬২ পৃষ্ঠা]।
-----------------------------------------------------------------

এটা একটা জাল/বানোয়াট/বাতিল হাদিস।

এ হাদিসটি হাকিম আল মুসতাদরাক (২/৬১৫) গ্রন্থে, ইবনু আসাকীর 'তারীখ' (২/৩২৩/২) গ্রন্থে এবং ইমাম বায়হাক্বী 'দালায়িলুন নবুওয়াত' (৫/৪৮৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

হাদিস বিশেষজ্ঞদের মতে হাদিসটি জাল।

আল্লামা মোল্লা আলী কারী তার আল মাউযুআতুল কাবীর গ্রন্থে বলেন এ হাদিসটি জাল।

হাফিয যাহাবী 'তালখীসুল মুসতাদরাক' এবং মিজানুল ই'তিদাল গ্রন্থে হাদিসটিকে জাল এবং বাতিল বলেছেন।

ইমাম বায়হাক্বি এ হাদিসের এক রাবীকে 'দুর্বল' সাব্যস্ত করেছেন।

হাফিজ ইবনু কাসীর 'তারীখ গ্রন্থে এবং হাফিজ ইবনু হাজার 'লিসান' গ্রন্থে একই কথা বলেছেন।

মুহাদ্দিস হায়সামা 'মাজমাউযু যাওয়ায়িদ' (৫/২৫৩) গ্রন্থে বলেছেন, ইমাম তাবারানী 'আউসাত' এবং 'সাগীর গ্রন্থে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন কিন্তু তথায় দুর্বল রাবী আছে।

=========================================

শেষ কথা, উসিলার ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করেন। যদি না জানেন তো যারা জানে তাদের জিজ্ঞেস করেন। জ্ঞান অর্জনে লজ্জা নাই।

২৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭

হাসানুর বলেছেন: আমীন...........

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আমীন।

২৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৯

উদাসীফাহিম বলেছেন: আমি যতটুকু শুনেছি সাহাবিদের কবর ও মাজারের মত ছিল, কিন্তু অয়াহাবিরা ক্ষমতায় এসেই সকল সাহাবির মাজার ধ্বংস করে দেয়

৩০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৪

উদাসীফাহিম বলেছেন: মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: যারা আসল মুসলমান তারা কবর পুজা করেনা। যারা আসল পীর তারাও কবর পুজা সাপোর্ট করেনা। কারও কোন দোষের জন্য গোটা জাতিকে খারাপ বলা ঠিক না
সহমত।


@ লেখক আপ্নি সকাল>সন্ধা ভাইয়ের কথার উত্তর দেন না কেন?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪০

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: উদাসীফাহিম@ সকাল>সন্ধা ভাইয়ের ৭ নং কমেন্টের উত্তর দেই নাই। কিন্তু ২৭ নং কমেন্টের উত্তর দিছি। ২৭ নং কমেন্টের উত্তর টা দেখেন। ৭ নং এর উত্তরও দিবো শীঘ্রই। একদিকে জ্বর অন্যদিকে কাজের চাপ, তাই একটু দেরী হচ্ছে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৬

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: উদাসীফাহিম@ সকাল>সন্ধা ভাইয়ের ১৩ নং কমেন্টের উত্তর টাও পড়ার অনুরোধ থাকলো।

৩১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৮

কান্টি টুটুল বলেছেন: এই মুসলমান জাতি যে কতটাই নিকৃষ্ট, কতটাই কবর পুজারী তা উপরের ছবিগুলো থেকেই বুঝা যায়।
আজকালকার ব্লগার সব খারাপ হইয়া গেছে। আজকালকার পোলাপান সব খারাপ।

এই মুসলমান জাতি বলতে সম্পূর্ন মুসলমান জাতিকেই বোঝায়,পক্ষান্তরে "আজকালকার ব্লগার/আজকালকার পোলাপান" বলতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের কিছু ব্লগার/পোলাপান কে বোঝায় বলেই আমার মনে হয়।

ব্লগের বিষয়বস্তু ঠিক হলেও প্রথম লাইনটা অস্বস্তিকর।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪১

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ওকে বস। ওই লাইনটাই বাদ করে দিচ্ছি।

৩২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫৪

গুরুদেবজী বলেছেন: কবর পূজা আর পাথর পূজা থেকেই মূর্তি পূজার শুরু-----এরা সেদিকেই চলে।

সতকীকরণ এই সুন্দর পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ.....বারবার রি পোস্ট করা হউক।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৬

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ। আপনার কথা মতো প্রতিবার রিপোষ্ট করার জন্য ১০০ জন ভিজিটর নতুন ভাবে এড হচ্ছে। ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।

৩৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৬

এক মুসাফির বলেছেন: প্রথমে আল্লাহর আওলিয়াদের শানে বেয়াদবি করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ রইল।
কারণ-কুরআনে আল্লাহপাক সয়ং বলেছেন-সাবধান,যারা আল্লাহর বন্ধু হেয়েছে তাদের কোন ভয় নাই কোন চিন্তাও নাই।
আপনার নবী কি জানে না জানে তা আমার বিষয় নয়,
আমি যে নবীর উপর ঈমান এনেছি-তিনি আদি-অন্ত সব জানেন।
আমার রাসুল ( সা: ) অজানা কিছুই আল্লাহপাক রাখেননি।
তর্কের খাতিরে তর্ক না করে আসেন আলোচনা করি।
ধন্যবাদ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: প্রথমত, আল্লাহর ওলী কারা সে ব্যাপারে আপনার জ্ঞান খুবই কম। সূরা মায়িদাহ ৫:৫৫ নং আয়াতে সকল মুমিনকে আল্লাহর ওলী বলা হইছে। আর আপনি যেই আয়াত দিছেন সেটাতেও আপনি আয়াত লুকাইছেন। আপনার আয়াতটি হলো:-

সূরা ইউনুস-১০:৬২-৬৩-৬৪> মনে রেখো যারা আল্লাহর ওলী, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে। (এরা হলো তারাই) যারা ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে। তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।

ওলী হওয়ার জন্য এখানে আল্লাহ কিছু শর্ত দিয়েছেন, যেমন ঈমান আনতে হবে, আল্লাহ ভয় করতে হবে সর্বাবস্থায়। এমনটি করলে তারাই হবে আল্লাহর ওলী এবং তাদের জন্য সুসংবাদ দেওয়া হইছে। আর এটাই সুপ্রিম সাকসেস মহা সাফল্য।

এছাড়াও সূরা মায়িদাহ এর ৫৫ নং আয়াতে বলা হইছে, হে ঈমানদাররা, তোমাদের অলী হলেন আল্লাহ, তোমাদের অলী হলেন নবী, এবং তোমাদের অলী হলেন মুমিনবান্দারা যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং রুকু করে।

এখানে এক মুমিনকে আরেক মুমিনের অলী বলা হইছে। যেমন ধরেন আপনি সালাত পড়েন, যাকাত আদায় করে এবং রুকু করেন। ব্যস আপনিই আমার অলী। আবার সেইম কাজ করলে আমিও আপনার অলী।

আসলে প্রচলিত অর্থে আপনারা অলী বলতে যা বুঝেন সেই রকম অলী কি সাহাবাদের যুগে ছিল? ছিল না। সাহাবাদের যুগে কোন অলী, আউলিয়া, পীর বুজুর্গ ছিল না। সাহাবারা একে অন্যের অলী ছিলেন।

-------------------------------------------------------------------------------

দ্বিতীয়ত, আপনার নবী কি জানে না জানে তা অবশ্যই আমাদের জানার বিষয় যাতে আমরা তাকে পরিপূর্ণ ভাবে অনুসরণ করতে পারি। আর আপনি বললেণ যে তিনি আদি-অন্ত জানেন। এটা তো ষ্পষ্ট শিরক। আপনি আবার লা ইলাহা পড়েন।

আদি-অন্ত জানার মালিক এক আল্লাহ। নবীজি সা: যদি আদি অন্ত সবই জানতেন তাহলে বীরে মাউনাতে ৭০ জন কোরআনে হাফেজ শহীদ হবার আগেই তাদের মাঝরাস্তা থেকে ফিরিয়ে আনতেন। নবীজি সা: যদি আদি অন্ত জানতেনই তাহলে বৃক্ষের নীচে ওসমান রা: হত্যার নামে যেই গুজব উঠেছিল সেটা শুনে সাহাবাদের বাইয়াত করাতেন না।

আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, তুমি বল, কিয়ামত কবে হবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। আদি অন্ত জানা আল্লাহর গুন। নবীর না। নবীকে এই গুনে গুনান্বিত করা মানে আল্লাহর গুন নবীর গায়ে জড়ানো। এটা শিরক। এটা গুনাবলীগত শিরক।

আল্লাহ সূরা তাওবাহ-১০১ নং আয়াতে বলছেন, হে নবী মুনাফিকদের তুমি জান না, আমি জানি।

মুনাফিকদের ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানতেন। নবী জানতেন না।

সূরা লোকমানের ৩৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না কোথায় সে মৃতু বরণ করবে।

যদি বলেন নবীও জানেন আদি অন্ত জানেন। তাহলে তো আয়াত ইডিট করতে হয় যে

আল্লাহ বলছেন, আল্লাহ (ও নবী) ছাড়া কেউ জানে না কোথায় সে মৃতু বরণ করবে। নাউযুবিল্লাহ।

সূরা আনআম-৫০>আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ?

সূরা আনআম-৫৯> আল্লাহর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।

অতএব, শিরকী আকিদ্বাহ বন্ধ করুন। সত্য জানার ও গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরী করুন। আবার কালেমা পড়ুন।
-------------------------------------------------------------------------------

আমার রাসুল ( সা: ) অজানা কিছুই আল্লাহপাক রাখেননি।

=> রাসুল সা: অনেক কিছুই জানেন না। যেমন কবে কিয়ামত হবে তিনি জানেন না, কে কোথায় মৃতু বরণ করবে সেটা তিনি জানেন না, কবে আমরা পুনরুত্থীত হবো সেটাও তিনি জানেন না। এমন আরো অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়।

-------------------------------------------------------------------------------
তর্কের খাতিরে তর্ক না করে আসেন আলোচনা করি।

=> আলোচনাই তো করছি। তবে আপনার কোন আবেগপ্রসুত বক্তব্য কোরআন ও সহীহ হাদিসের বিরুদ্ধে গেলে আমরা মুসলিমরা কোরআন ও সহীহ হাদিসই মানব। যদি রাজি থাকেন তো কথা বলতে পারি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: কারা আল্লাহর অলী? Click This Link

৩৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

আহলান বলেছেন: জনাব, উয়ায়েস কারনী (রঃ) এঁর জীবন কাহিনী জানেন কি?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ভাই আল্লাহ কি আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন যে উয়ায়েস কারণী (র:) কে ছিলেন? আর তার কাহিনী কি তেমনি লিপিবদ্ধ আছে যেভাবে হাদিসগুলো বর্ণিত হয়েছে। ইমাম বুখারী ১৬ বছর সাধনা করে তার বুখারী লিপিবদ্ধ করেছেন। তার মুখস্থ ছিল ৬ লাখেরও বেশী হাদিস। কিন্তু তার গ্রন্থে তিনি লিপিবদ্ধ করেন মাত্র ৪০০০ হাদিস। উয়ায়েস কারণী ভালো ছিলেন কি না সেটাও আমি জানি না। তিনি খারাপ ছিলেন কি না সেটাও আমি জানি না। জানার প্রয়োজনও মনে করি না। আমাদের মডেল রাসুল সা:। তাকে কতটুক অনুসরণ করতে পারছি সেটাই মূল কথা। উয়ায়েস কারনী (র:) এর নামে যে সমস্ত কথা লেখা হইছে সেগুলোর কোন সনদ নাই। লেখছে তার কাছের লোক জন। ঠিক তেমনি দেওয়ানবাগীরও কাছের লোকজন তার নামে বই লেখে।

মূল কথা আমাদের কোরআন ও সহীহ হাদিসের অনুসরণ করতে হবে। ব্যস এতটুকুই। যদি ওয়ায়েস কারনী (র:) কবর কখনো সামনে পড়ে তাহলে আল্লাহ যেন তাকে ক্ষমা করেন তার জন্য দোয়া করবেন এবং উপহার স্বরুপ দোয়া পাঠাবেন। কারণ রাসুল সা: বলছেন তোমরা জীবিতরা মৃতদের জন্য উপহার স্বরুপ দোয়া পাঠাও। আবারো বলছি আল্লাহ আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন না যে উয়ায়েস কারণী (র:) কে ছিলেন?

৩৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩

আলকাতরা বলেছেন: পোস্টে প্লাস +

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: মন্তব্যে +

৩৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২০

ববিজী বলেছেন: খুবই প্রয়োজনীয় এবং সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য্ ধন্যবাদ। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসহকারে আরো কিছু পোষ্ট আপনার কাছ থেকে আশা করছি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ইনশাল্লাহ আরো আসবে। জাজাকাল্লাহ। উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আবু হাফসা বলেছেন:
অত্যন্ত জরুরী এবং ঈমান ইসলাম সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য আপনাকে আল্লাহ জাজাহ দান করুন। আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। মাজার নামক শিরকের আস্তানাকে গুড়িয়ে দেয়া উচিত। ব্লগীয় মাজারপূজারীরা আশা করি বুঝার চেষ্টা করবে। কবরে কোন ইবাদত নেই, কবরে যে-ই থাকুন না কেন, সে শাহজালাল, পরান আর জিলানীই হউক না কেন ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১০

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ। জটিল মন্তব্য করছেন।

৩৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩০

চন্দন ০৯ বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। আমি বুঝিনা মাজারে যেয়ে যদি পীরদের জন্যও দোয়া করে থাকি, নিজের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী যারা মারা গেছেন তাদের আগে দোয়া পাওয়ার হক না নিজে নিজে সাজা পীরদের? একটা নতুন স্টাইল - যারা ইসলামের মানুষ-বানানো ভ্রান্ত tradition নিয়ে কথা বলে তাদের ওহাবী না জানি কি বলা হচ্ছে। কেনরে ভাই কোরআন ও ৬টা সহীহ হাদিস বই তো আছে। একটু পরে দেখেন না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আমাদেরও তো একই কথা। আপনার মতো ভাই আমিও বুঝি না।

একটা প্রবাদ আছে, পীর আকাশে উড়ে না কিন্তু মুরিদরা উড়ায়।

৩৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৬

বড় ভাই ৯৫ বলেছেন: রাজিয়েল বলেছেন ওয়াহাবীরা মুসলমান নয় =p~ =p~ =p~ =p~


লাফিং গ্যাস দিলেও এত হাসতে পারব না। ওরে আমারে কেউ ধর =p~ =p~ =p~ =p~

বেদাতি আসছে মুসলমান শিখাইতে। =p~ =p~ =p~ =p~


পোস্টে + বস। এভাবেই বাতিল কে ধ্বংস করব ইনশাআল্লাহ।


১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: বস আপনারে ধরার জন্য বাৎসরিক রাজিয়েল প্রতিদিন পত্রিকায় একটা বিজ্ঞাপন দিমু। ত আপনারে বিয়া করাইয়া দিলে ধরাধরির ব্যাপারটা ভালমতো সলুউশন হইয়া যাইতো।

আর শেষে কোরআনের একটা আয়াত শেয়ার করি।

সূরা বনিইস্রাইল-৮১> সত্য এসেছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। মিথ্যা তার প্রকৃতগত কারণেই বিলুপ্ত হয়।

৪০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২১

বাঘ মামা বলেছেন: খুব গুরুত্ব পুর্ন একটা পোস্ট,

সকল ধরণের আলোচনাই ইতিমধ্যে হয়ে গেছে/পোস্ট পড়ে লেখকের প্রশংসা না করে উপায় নেই,

একজন পাঠক প্রশ্ন করেছিলেন যে নবীজর রওজা কেনো এতটা বেস্টিত,প্রথম দিকে নবীজির রওজা অন্য সবার মত সাধারণ ভাবেই রাখা হয়েছিলো,কিন্তু সুরক্ষিত না থাকার কারনে ওনার দেহ মোবারক নিয়ে যাবার জন্য এক সম্প্রদায় মাটির নিচ দিয়ে সুরুঙ্গ করেছিলো।পরে মদিনা বাসীরা মাটির অনেক নিচ থেকে লোহার বেষ্টনী তৈরী করেন।

শুধু মাত্র নিরাপত্তার জন্যই এমন বেষ্টনী তৈরী করা হয়,




সবার কমেন্ট গুলো পড়ে নেই,বোধ হয় আরও অনেক কিছুই জানা যাবে।

একটা কথা আমাদের মানতে হবে যে মৃত ব্যক্তি মৃত্যুর পর জীবিত ব্যক্তির মুখাপেক্ষি হয়ে থাকে, যেন কেউ তাদের (মৃত) জন্য দোয়া করেন,সে যেই হোক,সুতরাং মৃতের কাছে জীবিতের কিছু পাওয়ার নেই, একজন গুনি মানুষের কবরকে সবাই মানসিক ভাবে শ্রদ্ধা করে, এটাই স্বাভাবিক কিন্তু তাকে ঘিরে দোয়া ব্যতিত অন্য আর সকল কাজ ইসলামের বিরুদ্ধ আচরণ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: বাঘ মামা, আপনার মন্তব্য পড়িয়া আমি অভিভূত, পূলকিত, আনন্দিত। রওজা সম্পর্কিত তথ্যাবলী শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু যা শুনাইলেন এইটা যদি কবর পুজারীরা শুনে তাহলে তারাও তাদের পুজার বস্তু অর্থ্যাৎ মাজারগুলোকে মাটির নিচ থেকে লোহার বেষ্টনী দেওয়া শুরু করবে। আর বাকী যা বললেন সবগুলোতেই একমত।

জাজাকাল্লাহ।

৪১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২২

ক্যাপ্টেন০৫ বলেছেন: অসাধারন। +++

এর পর একটা পোস্ট দিবেন এই ভিডিও টা দেখার পর। ভন্ডদের মুখোশ খুলে দেয়া উচিত।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ভাইরে জটিল জিনিস। লোড নিতে পারতেছি না।

৪২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৩

ক্যাপ্টেন০৫ বলেছেন:

৪৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৯

বিশ্ব চিন্তাবিদ বলেছেন: একটি নতুন প্রস্তাবনা
আপনাদের নাস্তিকদের জন্য কবর ছাড়া একটা ভিন্ন জিনিস বাহির করিবার চেষ্টা করেন। কবর তো মুসলিমরা দেয়, আপনার হিন্দুরা পুড়িয়ে ফেলেন। কিন্তু নাস্তিকের লাশের কি হবে?

কিছুদিন আগে একটা প্রস্তাব পাওয়া গিয়াছিল যে তাদের দেহখানি চিড়িয়াখানায় দান করে দেওয়ার ব্যপারে। কারণ চিড়িয়াখানায় বাঘ সিংহ না খাইয়া খাইযা মরিয়া যাইতেছে। এতে দেহেরও একটা সমাধান হইলো, নাস্তিকতাও একটা পরিপূর্ণতা পাইলো। কি বলেন পাল্লা সাহেব?
[[[ এই লেখাটুকু লেখকের]]] Abdullah Arif Muslim
-----------------------------------------------------------------
আচ্ছা ঠিক আছে মৃতু্্র পর না হয় নাস্তিক (লেখকের ভাষায়) যারা আছে তাদের দেহ চিড়িয়াখানায় দেওয়া যেথে পারে (আমার দেহটাও কোন না কোন মেডিকেল কলেজে দিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে)। যাই হোক আপনার (লেখককে বলছি) মৃতু্্র পর আপনার দেহটা যখন সাদামাটা একটা কবরস্থানে কবর দেওয়া হবে আর আপনাকে কবর দিয়ে ফেলে আসার পর শিয়াল কুকুর যখন টেনে হিছরে মরা গরুর মত খাবে, তখন তোমারে রক্ষা করবে কে? তখন তোমার কবরের স্বার্থকতাই বা কি? আক্রমণাত্ক কিছু না লিখে বাস্তব সম্মত কিছু লিখেন। একটু পিছনে ফিরে যান- আপনার আত্মীয় স্বজন যারা ইতিমধ্যে মারা গেছেন তাদের দেহ কি চিড়িয়ার খানার বাঘ সিংহ খাওয়ার সুযোগ পেয়েছে নাকি ঐ শিয়াল কুকুর নাকি কোনো কীট পতঙ্গের আহার পরিনত হয়েছেন তার খবর নিয়েছেন? কবরের যদি কোনো স্মৃতি চিহ্নই না থাকে, আর আপনার কবরকে যদি কেউ সমতল ভূমি মনে করে আপনার কবরের উপর প্রসাব পায়খানা করে দেয়, সেটাও মনে হয় আপনি ধর্মের বিধান মনে করে মেনে নিবেন?
ভালো হন, সুন্দর মানষিকতার পরিচয় দেন। আপনে যেভাবে মানুষকে আক্রমণাত্ক ভাবে মন্তব্য করেন, নিজের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তা আপনার কোরআন হাদিসের কোন জায়গায় উল্লেখ আছে তা জানাবেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: পুজা নাই কিন্তু ব্লগে নাস্তিকরা এত কম কেন? এবং দাড়ি পাল্লা সাহেবের পাল্লা নিয়া টান দেওয়ার পরই আমার পোষ্টে দ্বিতীয় নাস্তিক জনাব বিশ্ব চিন্তাবিদের এর পদধূলি পড়িল। আমি প্রথমে চাহিয়াছিলাম যে মন্তব্য খানা গ্রহণ করিব না কিন্তু আজ নাস্তিক সমাজের মন খারাপ থাকায় যেহেতু তাহাদের একজন আজ দুনিয়া ছাড়িয়াছেন তাই মন্তব্য খানা গ্রহণ করিলাম।

===========================================

আপনি বলিলেন যে আমাদের লাশ নাকি শিয়াল নিয়া টানাটানি করে। দাদা ধুতি ঠিক করে পড়েন। আমরা যেমন আপনাদের ধুতির রশি ঠিক আছে কি না সে ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক করি, তাই মন্তব্য করার আগে ভালমতো জানিয়া শুনিয়া তারপর মন্তব্য করিবেন। আমাদের লাশ প্রথমে গোসল করাই সাবান দিয়া, তাহা পবিত্র করিয়া পরিপূর্ণ মর্যাদায় দাফনের নতুন ধবধবা কাপড় জড়াইয়া তাহার নামাজে জানাজা পড়ি এবং মৃতের জন্য দোয়া করি। তারপর ঢেলাগাড়ি না বরং কান্ধে করিয়া কবরস্থান পানে লইয়া যাই। তারপর সেখানে মাটি গর্ত করিয়া তাহার ভিতর রাখি। আপনারা লাশ পুড়াইয়া বায়ুমন্ডল নষ্ট করেন। কিন্তু আমরা বায়ুমন্ডল নষ্ট করি না। কবরে লাশ রাখার পরে সেখানে লাশের উপর আড়াআড়ি ভাবে বাশ দেই যাতে মাটি দিয়া যখন কবর পরিপূর্ণ করিব তখন যেন মাটি লাশের গায়ে লাগে না। কারণ প্রতিটি দেহেরই একটা সম্মান আছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে শিয়াল বা গরু লাশ নেওয়ার সম্ভাবনা ০%। তবে মানুষরূপী জানোয়ার চাইলে নিতে পারে।

অতএব আপনি যেই সন্দেহ করিয়াছেন যে লাশ কবরে রাখার পর শিয়াল কাছে আসে সেটা ভূল। কারণ লাশ কবরের উপরে থাকে না বরং মাটির নিচে থাকে। আর আপনাদের কথা অনুযায়ী আমরা মুসলিমরা তো বাতিল। একমাত্র আপনারাই মুক্তমনা, গেয়ানী। তাই আপনাদের লাশ কেন আমাদের তরীকায় দাফন হইবে?

আমরা তো আমাদের লাশ লইয়া চিন্তা করিতেছি না। কারণ মুসলিমদের প্রথাই এইটা। আমরা চিন্তা করিতেছি আপনাদের গেয়ানী মানুষের লাশ লইয়া। আর লাশ চিড়িয়াখানায় দেওয়ার কথা বলায় কষ্ট পাইয়াছেন। তাছাড়া আর কিইবা করার আছে। তা আপনারা গেয়ানী বেক্তিরা মিলিয়া একটা কমিটি গঠন করিলেই পারেন। যেমন ধরে তিন সদস্যের কমিটি করিলেন। কমিটির প্রধান আসিফ মহিউদিদন সাহেব (জেলফেরত), আপনি এবং পাল্লা সাহেব।

আর আপনার নামের লগে তো চিন্তাবিদ সরি বিশ্ব চিন্তাবিদের ক্ষেতাব আছেই। তো চিন্তা কিসের?

৪৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬

এ.এ.এম বিপ্লব বলেছেন: দেওয়ানবাগীর মা রে বাপে রে ....... X( X(
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.


সালাম!! এমন একটা কুত্তা জম্নানোর জন্য!! X(( X((

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: মাথা গরম করে না ফাগল।

৪৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩০

এম এস জুলহাস বলেছেন:
জিয়ারতে / জিয়ারতের বা জিয়ারত করার শর্ত (বাধ্যবাধকতা) দেখিনা। দুনিয়াবী মোহের তাড়নায় কাউরো যদি মৃত্যুর কথা স্মরণ না হয়, কিংবা অগত্যা যদি জিয়ারত করতেই হয় তাহলে সর্বাগ্রে যার যার পিতা-মাতা- আত্মীয় স্বজন-গুরুজনদের কবরই জিয়ারত করা উচিত। এঁদের কবর দেখলেও আমাদের মৃত্যুর কথা স্মরণ হবে। সেখানে কথিত পীর-মুরীদ, অলী-আউলিয়া, গাউস-কুতুবের কবরের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। বরং এঁদের (নিকটজন) কবরের পাশে দাঁড়ালেই মৃত্যুর কথা বেশী স্মরণ হওয়ার কথা। উপরন্তু কথিতদের কবরের কাছে গেলে তাঁদের কাছে কিছু চাওয়া-পাওয়ার বাসনা মনে আসতে পারে কিছুটা। যা শিরক।

কবরের কাছে যাওয়াটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না, যতটা আমরা করি। কারণ যেখানে স্বয়ং রাসুল (সাঃ) -এর রওজা মোবারকের কাছে না গিয়ে তাঁর নিকট আমরা দো'য়া বখশিস করি, সেখানে অন্যান্যদের কবরের পাশে গিয়ে তাঁদের জন্য দো'য়া বখশিসের প্রয়োজন দেখিনা।
যেহেতু কবর বাসীদের জন্য দো'য়া-দরুদ করতে কবর কাছাকাছি-পাশাপাশি থাকারই প্রয়োজন দেখিনা সেহেতু কবর উঁচু-নিচু, ত্যাড়া-বাঁকা, গম্বুজাকৃতি করার প্রশ্নই দেখিনা। যেটা আমার সামনেই থাকা জরুরী না সেটার উঁচু-নিচু, ত্যাড়া-বাঁকা, গম্বুজাকৃতি করার প্রয়োজন কী ? সেটাতো সমান, নিশ্চিহ্ন হলেও যা তাজমহল হলেও তা !
কবরের এই উঁচু-নিচু, ত্যাড়া-বাঁকা, গম্বুজাকৃতি করার একমাত্র কারণ কিছু মহলের আত্মস্বার্থসিদ্ধি লাভ করা।
কোরআন, হাদীস অনুযায়ী কী বলেন ?

গুলিস্তানের গোলাপ শাহ, নারায়ণগঞ্জের মিন্নত আলী'র মাজারের অতীত / শুরুর ইতিহাস কি কেউ জানেন ? কী ছিলো সেখানে ? কাদের মাজার ওগুলো ? কেউ জানালে কৃতজ্ঞতা তার প্রতি। এ ব্যপারে একসময় বলার অভিপ্রায় রইলো।






@ লেখক,
অপ্রাসঙ্গিক একটা প্রশ্ন করতে চাই চুপিসারে।
বাংলাদেশে "জমিঅতে আহলে হাদীস" নামে একটা সংগঠনের কথা জানি। এদের সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা আছে কি ?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: উপরের করা মন্তব্যের সাথে একমত চুপিসারে করা প্রশ্ন বাদে।

বস চুপিসারে প্রশ্ন ফাস করতেও টাকা লাগে আর আপনারে আমি ফ্রি কইমু। এটা কি বিধি মালার বাহিরে যায় না। =p~ =p~

যাই হোক, মূল কথায় আসি। আল্লাহর রাসুল কোন সংগঠনের ছিলেন? সাহাবারা কোন সংগঠনের হইয়া কাজ করছেন? বস, মুসলিমদের একটাই দল ইসলাম। আমাদের একটাই গ্রুপ ইসলাম। আমরা না হানাফি, না শাফেয়ী, না আহলে হাদিস, না আহলে কোরআন, না হাম্বলী। আমরা শুধু মুসলিম। আমাদের একটাই দল ইসলাম। আর ভিন্ন কোন পরিচয় নাই। আমরা শুধুমাত্র কোরআন ও সহীহ হাদিসকে আকড়িয়ে ধরি যেহেতু আল্লাহর রাসূল এই দুটিকেই আকড়ে ধরতে বলেছেন।

৪৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৪

বিশ্ব চিন্তাবিদ বলেছেন: দাদা ধুতি ঠিক করে পড়েন। আমরা যেমন আপনাদের ধুতির রশি ঠিক আছে কি না সে ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক করি ..............
-----------------------------------------------------------------------
ভূল বললেন, ধুতির রশি লাগেনা। রশি লাগে আপনাদের পায়জামার। এই পায়জামার রশি দিয়ে বাংলার মাটিতে আপনাদের মত ধর্মবাজদের ফাসি হবে। আর আপনার কথায় হিন্দুরা ধুতি পড়ে, ধুতি পড়তেই পারে কারণ ধুতি আর পাঞ্জাবীই বাংলার ঐতিহ্য। ধুতি তো সাদা কাপড়, সেই ধুতি দিয়ে আপনার লাশ দাফন হবে। নাকি পাকিস্তান থেকে রঙ্ণিন কাপড় এনে আপনার কাপন হবে?
----------------------------------------------------------------------
আপনারা লাশ পুড়াইয়া বায়ুমন্ডল নষ্ট করেন। কিন্তু আমরা বায়ুমন্ডল নষ্ট করি না। কবরে লাশ রাখার পরে সেখানে লাশের উপর আড়াআড়ি ভাবে বাশ দেই যাতে মাটি দিয়া যখন কবর পরিপূর্ণ করিব তখন যেন মাটি লাশের গায়ে লাগে না। কারণ প্রতিটি দেহেরই একটা সম্মান আছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে শিয়াল বা গরু লাশ নেওয়ার সম্ভাবনা ০%।
---------------------------------------------------------------------
বায়ুমন্ডল আপনার কাছে বিচার দেয় নাই সেটা আমি নিশ্চিত। কিন্তু জেনেও অস্বীকার করলেন যে কবরের লাশ শিয়াল কুকুর বা কীট পতঙ্গে খায় না (তাহলে কবরের লাশ যায় কোথায়?)। আপনে কি লাশ দাফন করার পর কখন কবরের গিয়েছেন? গিয়ে থাকলে দেখবেন আপনার কবরের যেকোনো এক পাশে বিশাল একটা গর্ত আছে, গর্ত দিয়ে শিয়াল প্রবেশ করে আপনার মত ধর্মবাজরা কি কি করেছেন তার হিসাব নিচ্ছে। ভালো উত্তর দিতে না পারলে কিংবা রাজাকারের গন্ধ পেলেই টেনে হিচরে অর্ধেকটা কবর থেকে বের করে আর অর্ধেকটা কুকুরের জন্য রেখে যায়, যদি কুকুরের রুচি না হয় তাহলে পচে দুর্গন্ধ ছড়ায় আর আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট করে।
-------------------------------------------------------------------
তা আপনারা গেয়ানী বেক্তিরা মিলিয়া একটা কমিটি গঠন করিলেই পারেন। যেমন ধরে তিন সদস্যের কমিটি করিলেন। কমিটির প্রধান আসিফ মহিউদিদন সাহেব (জেলফেরত), আপনি এবং পাল্লা সাহেব।
--------------------------------------------------------------------
হ্যা অবশ্যই কমিটি করার সময় এসেছে আপনার মত ধর্মবাজ ধর্ম ব্যবসায়ীদের বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত করার। অপেক্ষা করুন বিচার শুরু হয়েছে, আপনার হবে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৩

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ধুতিতে রশি লাগে না, এটা তো বিষ্ময়কর বেপার। ভাই আপনারা কোন পীরের মুরিদ। তাহলে যে শুনি ধুতি খুলে যায় সেটা কি? যেমন কিছুদিন আগে দাড়িপাল্লা না ঠোটকাটা বন্ধুর ধুতি খুইলা গেছিল বইলা ব্লগের সবাই জানল, সেটা কি? দাড়ান তদন্ত কমিটি গঠন করতেছি।

বায়ুমন্ডল বিচার দেওয়ার ব্যাপারটা এই প্রথম শুনলাম। একজন নাস্তিকের মুখে এমন অবৈজ্ঞানিক কথা শুনলে জারজ সরি আরজ আলী তো সুইসাইড খাইবো

আর পায়জামার রশি দিয়া ফাসি দিবেন ব্যাপারটা কচু গাছে দড়ি লাগাইয়া ফাসি দেওয়ার মতো। আপনি এক কাজ করেন, একটা হাল্কা ঘুম দেন, তারপর কালকে লিডারদের সাথে কথা বলে আবার কথা বলতে আসুন।

আর বাংলার মাটি থেকে মুসলিমদের বিতাড়িত করবেন আপনি। সে ব্যর্থ চেষ্টা কখনো কেউ করেনি বরং আপনারাই বিতাড়িত হবেন এবং নির্বাসিত হবেন ভারতে। =p~ =p~ =p~

৪৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৩

ব্লুম্যাজিক বলেছেন: খুব ভাল একটা লেখা...আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সচেতন মূলক লেখাতির জন্য। আল্লাহ আমাদেরকে সকল ধরনের বেদআত এবং কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে হেপাজত কুরুক... আমীন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০২

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।

৪৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৯

মেঘে ঢাকা তারা বলেছেন: এইটা আসলে ভারতীয় সংস্কৃতির একটা চাল। মাজার টাজার তৈরি করা। আমাদের প্রিয় নবী নিজের হাতে মুর্তি বা স্তম্ভ ভেঙেছেন। আমাদেরও এসব জিনিস গুড়িয়ে দেয়া উচিত।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আমাদেরও এসব জিনিস গুড়িয়ে দেয়া উচিত। আশায় আসি কবে আল্লাহ আমাদের মুসলিমদের সেই সুযোগ দিবেন।

৪৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০০

দুরন্ত জেসি বলেছেন: ভালো জিনিস শেয়ার করেছেন। :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৮

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।

৫০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৩

আশার রাজ্যে নিরাশার মেঘ বলেছেন: ভাই যদিও আমি মাজার প্রথা ভাল লাগে না, এই পোস্ট টি সম্পর্কে কিছু বলবেন কি? আমি আসলে এই ২ টা পোস্ট দেখে কনফিউসড হয়ে গেলাম। এখন আপনার টা অথেন্টিক না উনার টা একটু ক্লিয়ার করলে ভাল হয়।

Click This Link

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমার ব্লগ ভিজিট করার জন্য এবং কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য। আসলে মুসলিম হিসেবে আমাদের অথেনটিক জিনিসই গ্রহণ করা দরকার।

আগে আমার ব্যাপারে বলে নেই। আমি একজন মুসলিম এবং কোরআন ও সহীহ হাদিস দিয়ে জীবন পরিচালনা করি। আমার অতীতের পোষ্টগুলো পড়তে পারেন।

এবার আসি সেই লিংকের লোকের ব্যাপারে। আপনার লিংক দেওয়া পোষ্টটি লিখেছেন মহসিন আহমেদ। ব্লগে অসংখ্য শয়তান আছে যারা দ্বীনকে বিকৃত করে প্রকাশ করে। তাদের কয়েকজন হলো ম জ বাসার, খাজা মাসুম, মহসিন আহমেদ, শুধু প্যাচাল এবং মহসিন আহমেদ।

এরা দ্বীন বিকৃত করে। বিশেষ করে মহসিন আহমেদ ৪ মাস হয় ব্লগ লিখেন। তার সবগুলো পোষ্ট ইসলাম বিকৃত করে উত্থাপন এর জন্য করা হয়। অনেক শয়তান আছে যারা অনেকগুলো একাউন্ড খুলে।

মহসিন সাহেব তার
=> কোরানে আল্লাহ্‌ বলেন আল্লাহ্‌ এবং মোহাম্মদ(সঃ) এক ও অভিন্ন নূর, অস্বীকারকারী কাফের! পোষ্টে আয়াত বিকৃত করেছেন। আমি সেটার কারণ জানতে চাইছি কিন্তু তিনি কোন উত্তর দেন নাই।

=> তিনি নবী ও আল্লাহর মধ্যে কোন পার্থক্য নাই বলে কবিতা শেয়ার করেছেন
'দোনো হিকা শেকেল এক হ্যায়, কিস কো খোদা কাহু' তথা 'দু-জনেরই চেহারা-সুরত একই, তা হলে কাকে খোদা বলবো?'

তিনি কনফিউজড নবীকে আল্লাহ বলবেন কি না আল্লাহকে নবী বলবেন সেটা নিয়ে। তিনি নবী ও আল্লাহর মধ্যে কোন পার্থক্য দেখেন না। নাউজুবিল্লাহ।


=> তিনি আবার বাউল সম্রাট লালন ফকির এর দলিল দিয়ে বলেছেনঃ
'যিনি মুরশিদ তিনিই রসুল খোদাও তিনি হন।'

অর্থ্যাৎ যিনি আল্লাহ তিনিই রাসুল। নাউজুবিল্লাহ। এগুলো একটা শয়তানি নবী ও আল্লাহ কে এক করে তিনি শিরক করছেন এবং মুসলিমদের মধ্যে এই বীজ বপন করে দিচ্ছেন যাতে ভবিষ্যতে এ জিনিসটা নিয়ে মুসলিমরা ভাগে ভাগে বিভক্ত হয়। এটা ভবিষ্যতে মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।

===========================================

মহসিন সাহেব যেই ছবি গুলো শেয়ার করছেন সেগুলো ইহুদী খ্রিষ্টানদের শেয়ার করা ছবি। আমরা জানি ইহুদীরা নবী মারা গেলে সেখানে মসজিদ তৈরী করতো। কিন্তু সেগুলো অতীতে। এখন তো ইহুদী খ্রিষ্টানরা ভূলেও মসজিদ বানায় না। তাই তাদের কবরগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। তিনি যেই ছবিগুলো শেয়ার করছেন সেগুলো ফেইক।

নবীজি সা: এর নামে যতগুলো ছবি গুগলে পাওয়া যায় তার বেশীর ভাগই ফেইক। তিনি ছবিগুলো সব কালেক্ট করছেন ইহুদী খ্রিষ্টানদের ওয়েবসাইট থেকে যেগুলোর কোন ভিত্তি নাই মুসলিমদের কাছে।

=> এগুলো যদি পূর্ববর্তী নবীদের মাজারই হইয়া থাকতো তাহলে কেন কোন হাদিসে বা কোরআন এ আল্লাহ আমাদের সেগুলো সম্পর্কে বললেন না?

=> এগুলো যদি সত্যিই নবীদের মাজারই হতো তাহলে মহানবী সা: কেন সেগুলোতে জিয়ারত করতে গেলেন না?

=> কেন সাহাবাদের সেখানে যাওয়ার কথা বললেন না?

=> হাদিস অনুযায়ী ইহুদী ও খ্রিস্টানরা নবীদের কবরকে মাজারে পরিণত করেছে। তাহলে কেন উপরের মাজার বা কবরগুলোতে মসজিদ নাই?

=> ভাল ভাবে লক্ষ করুন, সেই ছবিগুলোতে নবীদের নাম উল্লেখ থাকলেও কেন সেই ছবি গুলোতে নবীর নামের পাশে (সা:) জাতীয় শব্দ কেন নাই?

=> আদম (আ:) এর ছবি শেয়ার করলো কিন্তু আদম নামের সাথে (আ:) কেন এ্যাড করলো না? নিশ্চিতভাবে এটা ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা কাজ। আমরা মুসলিমরা করলে অবশ্যই সেই নামের পাশে সম্মান সূচক শব্দ এ্যাড করতাম।

=> বেলাল রা: এর কবর বলে যেটা চালিয়ে দিল সেখানেও কেন (রা:) শব্দটা উল্লেখ করলো না? কারণ এটা ইহুদী খ্রিষ্টান ও শয়তানরূপী মুসলিমদের কাজ। কারণ কোন ভাল মুসলিম করলে অবশ্যই তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে (সা:) আ: রা: ব্যবহার করে থাকি।


মূল কথা=> তারা কবরপুজোতে মুসলিমদের লিপ্ত করার জন্যই এ কাজগুলো করে থাকে। আর আপনি মহসিদ আহমেদকে কয়েকমাস পরে পাবেন না। সে তখন অন্যনামে ব্লগিং করে এভাবেই বিভ্রান্তি ছড়াবে। কারণ এগুলো কোন মুসলিমদের কাজ নয়।

আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও সত্যের পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।

৫১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আরও লক্ষ্য করেন সে একটা ছবি দিছে যেটার নাম "আদমের পর দ্বিতীয় নবী হযরত যোশীর কবর"

যোশী কে? আমরা মুসলিমরা যোশী নামে কোন নবীকে চিনি না। আসলে এই যোশী নাম ইহুদীরা ও খ্রিষ্টানরা ব্যবহার করে আমাদের এক নবীর নামকে বিকৃত করে।

৫২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

আশার রাজ্যে নিরাশার মেঘ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এত বিস্তারিত লেখার জন্য। আসলে ব্লগে এত রকম লেখা পরে কনফিউসড হয়ে যাই। মহসিন আহমেদের ভন্ডামি খুলে দেয়াতে আবার ও ধন্যবাদ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৮

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: বস এরকম শয়তানগুলোরে পাইলে আমারে একটু ইনফোর্ম করবেন। ধন্যবাদ।

৫৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৫

মদন বলেছেন: এই পোষ্ট প্রিয়তে না নিলে ব্লগে এসে লাভ কি???? ;)
জটিলসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আপনারে ধন্যবাদ না দিলে ব্লগ লিখে লাভ কি? অনেক ধন্যবাদ। জাজাকাল্লাহ।

৫৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৮

১১স্টার বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে আপনার সাথে সহমত। মাজারে যারা সেবা করে তারা আল্লাহর কথা ভুলে গিয়ে গাজাবাবার জিকির করে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: মাজারে যারা সেবা করে তারা আল্লাহর কথা ভুলে গিয়ে গাজাবাবার জিকির করে।

সহমত।

৫৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৫

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: আল্লাহর রাসুল কোন সংগঠনের ছিলেন? সাহাবারা কোন সংগঠনের হইয়া কাজ করছেন? বস, মুসলিমদের একটাই দল ইসলাম। আমাদের একটাই গ্রুপ ইসলাম। আমরা না হানাফি, না শাফেয়ী, না আহলে হাদিস, না আহলে কোরআন, না হাম্বলী। আমরা শুধু মুসলিম। আমাদের একটাই দল ইসলাম।

এই কথাটা কেন জানি কেউ বুঝতে চায় না। আর ব্লগে কিছু বেকুব আছে ইসলাম নিয়া কথা বললেই "ছাগু" বইলা গালাগাল শুরু করে।

আরেকটা ব্যাপার আমি বুঝি না, কেউ যদি মাযার পূজার বিরুদ্ধে লেখে, কেউ যদি তওহীদ নিয়ে আলোচনা করে, তাহলে তাকে কেন জিজ্ঞেস করা হয় "আপনি কি জামাত?? আহলে হাদিস?? ওহাবী?? কোথায় লেখা আছে যে তওহীদের গুরুত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করলে, মাযার পূজার বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা জামাত??

ব্যাপার এখন এমন পর্যায়ে চলে গ্যাছে যে সিলেটে গেলে অনেকে মনে করে মাজার জিয়ারত না করলে অনেক পাপ হয়ে যাবে, অনেক ফায়দা থেকে বঞ্চিত হবে!!! ব্যাপারটা ফরজের মত গুরুত্ত্বপূর্ন মনে করে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন।

আপনি এ নিয়ে আরো পোস্ট দিন। ধন্যবাদ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সবুজ ভীমরুল অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৫৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০২

রিফাত বিন সাদিক বলেছেন: আজকেই এই ব্যাপার টা নিয়ে আলাপ করছিলাম, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: রিফাত ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মাজার ভাল নয়। মাজারে না গেলেই ভাল।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: হুম।

৫৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৬

মাসুদ রানা সাব্বির বলেছেন: আসলে সত্যিকারের মুসলমান কখনই পীরপূজা, কবরপূজা করতে পারে না। বাংলাদেশে কবরপূজা আর পীর পূজা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমি খুবই অবাক হয়েছি এখানে অনেক ব্লগারের মন্তব্য পড়ে। তবে ব্লগে ফেইক ব্লগারও থাকতে পারে যারা অনেকগুলি নিক নিয়ে লিখে থাকে।

লেখককে বলবো, এ ধরণের সচেতনমূলক লেখা আরো বেশী করে লিখবেন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।

৫৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২০

এক মুসাফির বলেছেন: আমার রাসুল (সা :) বলেন-তোমরা ততক্ষন মুমেন হবেনা যতক্ষন তোমার ধন সম্পদ,মা-বাবা,আত্মীয় স্বজন এমনকি তোমাদের জানের চাইতেও আমাকে বেশী মহব্বত না কর।
আল্লাহপাক বলেন তোমরা মুমেনের অন্তরচক্ষুকে ভয় কর।
শুনেন ভাই পুস্তকের রাসুল আর বাস্তব রাসুলের মধ্যে আকাশ পাতলের চেয়ে বড় তফাত।
আপনি বলছেন মুহাম্মদ বীন আব্দুল্লাহর কথা আমি বলছি মুহাম্মদুর রাসুলাল্লাহ (সা: )।
আল্লাহতো মানুষকেই বলেছেন-তোমরা আল্লাহর গুনে গুনান্বিত হও।
তাহলে কি আল্লাহ সব মানুষকে আল্লাহ হতে বলেছেন?
একজন মুমেনই রাসুলের যোগ্য নায়েব যারা রাসুলের আদর্শ গ্রহন করে হয়েছেন রাসুলের গুনে গুনান্বিত।আর তাই আল্লাহপাক বলেন-তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আর সত্যবাদীর সাথী হও।

তর্কের খাতিরে তর্ক নয়,আল্লাহর ঘোষনা অনুযায়ি একজন সত্যবাদী খুজে নেন দেখবেন ইসলামের সেই বাস্তবরুপ।
আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে দয়া করুক।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৫

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: প্রথমে যা বললেন সেটা হাদিস
-------------------------------------------------------------------------------

দ্বিতীয়ত: আল্লাহপাক বলেন তোমরা মুমেনের অন্তরচক্ষুকে ভয় কর।
এটা আল্লাহ কোরআনের কোন আয়াতে বলছেন একটু জানালে খুশী হবো। কারণ আমরা পুরো কোরআনে এমন আয়াত পাই নাই। তবে যদি আপনার পীরপন্থীরা বলেন ৩০ পারা কোরআনের নাই কিন্তু গায়েবী কোরআনে আছে তবে সেটা আপনাদের ব্যাপার।
-------------------------------------------------------------------------------
শুনেন ভাই পুস্তকের রাসুল আর বাস্তব রাসুলের মধ্যে আকাশ পাতলের চেয়ে বড় তফাত।

=> ভাই আমরা কোরআন ও হাদিসে যেই রাসুল কে পাই তাকেই মান্য করি, ভালবাসি। কিন্তু আপনারা যদি বাস্তব চাক্ষুস রাসুল দেখে থাকেন তাহলে আমরা বলমু সেটা শয়তান দেখছেন। কারণ রাসুল সা: তার দায়িত্ব বিদায় হজ্জ্বের সময়ই কমপ্লিট করে গেছেন এবং আল্লাহ ও তার দ্বীন সেই সময় পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন।

আপনারা কোন রাসুলের আনুগত্য করেন সেটা জানি না কিন্তু আমরা সেই রাসুলকেই মানি যিনি আমাদের কাছে কিতাব ও সুন্নাহ রেখে গেছেন এবং সেটা আকড়ে ধরতে বলেছেন। আরো বলেছেন এ দুটো আকড়ে ধরলে আমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবো না। কিন্তু আপনার যদি কোরআন ও সুন্নাহ বাদ দিয়ে রাসুলকে বাস্তবে পান সেটা পেতে পারেন দেওয়ানবাগীতে। কারণ আল্লাহ ও রাসুল সা: নাকি সেখানে এসে চা নাস্তা করেন (নাউজুবিল্লাহ আসতাগফিরুল্লাহ)।

-------------------------------------------------------------------------------

আপনি বলছেন মুহাম্মদ বীন আব্দুল্লাহর কথা আমি বলছি মুহাম্মদুর রাসুলাল্লাহ (সা: )।

=> আমরা আবদুল্লাহর পুত্র আল্লাহর রাসুল মোহাম্মদের কথাই বলছি এবং সেগুলো বলছি তার রেখে যাওয়া কোরআন ও সুন্নাহ থেকে। আমরা মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহর সা: এর কথা বলি কিতাব ও সুন্নাহ থেকে। আপনারা কোথা থেকে বলেন? হতে পারে আপনারা বাস্তবে কোন শয়তানকে পাইছেন এবং সেটাকেই বাস্তব রাসুল সা: বলে প্রচার করছেন এবং আমাদেরও সেদিকে ডাকছেন।

-------------------------------------------------------------------------------

আল্লাহতো মানুষকেই বলেছেন-তোমরা আল্লাহর গুনে গুনান্বিত হও।
তাহলে কি আল্লাহ সব মানুষকে আল্লাহ হতে বলেছেন?

=> হ্যা আল্লাহ বলেছেন তার গুনে গুনান্বিত হও। এখানে কাউকে আল্লাহ হতে বলা হয় নাই যেমন ভাবে আপনি বলছেন। মা তার সন্তানকে বলে বাবার মতো হও। এখানে কি সন্তানকে বাপ হতে বলছেন? না সেটা কখনো সে হতে পারবে না। তাই আল্লাহর গুনে গুনান্বিত হলেও কেউই আল্লাহ হতে পারে না। তবে আপনার কথা শুনে মাথা চক্কর দিতেছে।

-------------------------------------------------------------------------------

তাহলে কি আল্লাহ সব মানুষকে আল্লাহ হতে বলেছেন?

আল্লাহ এখানে কাউকেই আল্লাহ হতে বলেন নাই । আল্লাহ এক। তার কোন শরীক নাই।

-------------------------------------------------------------------------------

তর্কের খাতিরে তর্ক নয়,আল্লাহর ঘোষনা অনুযায়ি একজন সত্যবাদী খুজে নেন দেখবেন ইসলামের সেই বাস্তবরুপ।

=> আপনি কি আমাকে পীর ধরার জন্য আহ্বান করছেন? সত্যবাদী খুজে নেই মানে কি? আপনারা পীরদের সত্যবাদী বলেন। কিন্তু আমরা সত্যবাদী একমাত্র তাকেই বলি যে কোরআন ও সহীহ হাদিস নিয়ে কথা বলে। যে কোরআন দিয়ে কথা বলে। আর সত্যবাদীর যদি দেখা পেতেই চান। তাহলে বলবো কোরআন পড়ুন। আল্লাহর চেয়ে সত্যবাদী আর কে?
ইসলামের বাস্তবরূপ যদি দেখতে চান তো আপনি যাকে সত্যবাদী বলেন তাকেই কোরআন ও সহীহ হাদিস দিযে যাচাই করুন। সত্য বের হয়ে যাবে। বাস্তবরূপ প্রকাশ পাবে আপনার সামনে।

আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে দয়া করুক। আমীন।

৬০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৭

শিশির সিন্ধু বলেছেন: মহসিনরে (দিল চাহতা হ্যা সিনেমায় আমির খানরা যেই বিচে ঘুরতে গেসিলো অইটা মাইরা) ব্লগ থেকা বাইর কইরা দেওন দরকার....

৬১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৯

এক মুসাফির বলেছেন: কিন্তু আমরা সত্যবাদী একমাত্র তাকেই বলি যে কোরআন ও সহীহ হাদিস নিয়ে কথা বলে। যে কোরআন দিয়ে কথা বলে। আর সত্যবাদীর যদি দেখা পেতেই চান। তাহলে বলবো কোরআন পড়ুন। আল্লাহর চেয়ে সত্যবাদী আর কে?

যারা কুরআন হাদিস নিয়ে কথা বলে তারা সত্যবাদী মেনে নিতে পারলাম না।
যারা কুরআন হাদিসমত জীবন গড়ে তারাই সত্যবাদী।
আর আল্লাহ সত্যবাদী নয় ভাই,আল্লাহ নিজেই সত্য আর সত্য আল্লাহর হাবীব আমার রাসুল ( সা: ) আর এই সত্য যার কলব ধারণ করেন তিনিই সত্যবাদী।

আমি অনেক জান্তা নয় বরং আমি কিছুই জানিনা।
আল্লাহপাকের দয়া এটা বুঝি আধ্যাত্বিকতা ছাড়া ধর্ম বুঝা সম্বব নয়।
পুস্তকের রাসুল (সা: ) বিদায় নিতে পারেন কিন্তু বাস্তব রাসুল কখনো বিদায় নেন নি।
রাসুল (সা: ) বিদায় নিলে কুরআন মিথ্যা হয়ে যাবে।
কারন কুরআন এখনো ঘোষনা দিচ্ছেন-নবী মুমেনের আত্মার ছেয়েও কাছে।
আসুন বাস্তবতার সন্ধানে।
আল্লাহ আমাদের দয়া করুক।

৬২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬

রকমফের বলেছেন: মূল পোস্টে এটি যোগ করলে ভালো হয়, জাযাকাল্লাহঃ
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন
রাসুলুল্লাহ সা. বলেন: আল্লাহ তাআলার অভিশাপ ইহুদি ও খৃষ্টানদের উপর তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। [বুখারী ও মুসলিম ]

জুন্দুব (রা.) রাসূলুল্লাহ সা. এর মৃত্যুর পূর্বে পাঁচটি অসিয়ত শুনেছেন, তন্মধ্যে একটি হলঃ কবরকে মসজিদে রূপান্তরিত করা বিষয়ে হুঁশিয়ারি। বর্ণনায় এসেছে - রাসুলুল্লাহ সা. বলেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তীরা নবী ও সৎ লোকদের কবরকে মসজিদ বানাতো। সাবধান! তোমরা কবরকে মসজিদ বানিও না। আমি তোমাদেরকে এ থেকে নিষেধ করছি। কবরস্থানে জানাজার সালাত ব্যতীত অন্য কোন সালাত বৈধ নয়। [মুসলিম]

৬৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০২

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: এই বিষয়ে জানি কম , তবে যেভাবে কবর সাজানো আর যা করা হয় , এটা ফেতনা বলে মনে হয়য় :(

৬৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আপনার পোস্টের মূল বক্তব্যে আমি সহমত পোষন করছি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৩৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ। যদি কোন বিষয়ে দ্বিমত থাকে সেটাও বলতে পারেন, আবার নাও বলতে পারেন।

৬৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০১

তারাকী হাসান বলেছেন: "মক্কার মুশরিকরা যদি আল্লাহকে পাওয়ার জন্য মুর্তির সাহায্য নেয়, খ্রিষ্টানরা যদি পরকালে রক্ষাকারী হিসেবে ঈসা আ: কে গ্রহণ করে আমরা তাদের মুশরিক বলি। ঠিক একই সূত্র একই ফর্মুলা যে, আমাদের মধ্যে কেউ যদি আল্লাহকে পাওয়ার জন্য মাধ্যম ধরে, শাহজালাল শাহপরান, মাইজভান্ডারী, আজমেরী। তাহলে আমরা তাদের কি বলবো?"

সুন্দর একটি কথা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৩৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।

৬৬| ২১ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৪২

বিজ্ঞ পোকা বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। আশা করি এটাও পাঠকদের কাজে আসবে।

প্রশ্ন (২২/৬২) : কবরস্থানে ছালাত আদায় করা যায় না। কিন্তু হজ্জ করতে গিয়ে দেখলাম মসজিদে নববীতে রাসূল (ছাঃ)-এর কবর রয়েছে এবং তা পাকা করা আছে। এর ব্যাখ্যা কী?

উত্তর : প্রথমতঃ কবরের উপর মসজিদ বানানো হয়নি। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ)-কে মসজিদে কবর দেয়া হয়নি। তাঁকে আয়েশা (রাঃ)-এর ঘরে দাফন করা হয়েছিল (ছহীহ তিরমিযী হা/১০১৮)। তৃতীয়তঃ মসজিদে নববীতে কবরস্থান নেই। রাসূল (ছাঃ)-এর কবর পাকা করাও নেই। বুঝতে এবং দেখতে ভুল হয়েছে। যেখানে পাকা করা আছে সেটা ঘরের দেয়াল। মূলতঃ আয়েশা (রাঃ)-এর ঘরকে মসজিদের মধ্যে নেওয়া হয়েছে। তবে এটা চার খলীফার যুগে করা হয়নি; বরং ৯৪ হিজরীর দিকে করা হয়েছে। সে সময় মাত্র কয়েকজন ছাহাবী বেঁচে ছিলেন। তাঁদের পক্ষ থেকে বিরোধিতাও করা হয়েছিল। এমনকি বিশিষ্ট তাবেঈ সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়িবও বিরোধিতা করেন। চতুর্থতঃ উক্ত ঘরকে মসজিদ বানানো হয়নি। বরং এই ঘরকে তিনটি দেয়ালের দ্বারা সংরক্ষণ করা হয়েছে। যেগুলোর একটি দেয়ালকে ত্রিকোণ রূপে বানিয়ে দু’টি কোন কিবলার (দক্ষিণের) দিকে আর একটি কোণকে উত্তরের দিকে করে দেয়া হয়েছে। যাতে করে উত্তর দিকে ছালাত আদায়কারীদের চেহারা সরাসরি কবরমুখী না হয়।
এর দ্বারা কবরপূজার পক্ষে দলীল দেওয়া যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) ও চার খলীফার যুগের পরে এটা করা হয়েছে, ওয়ালীদ বিন আব্দুল মালেকের যুগে ৯৪ হিজরীর দিকে (শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ছালেহ্ ওছাইমীন, আল-কাওলুল মুফীদ ‘আলা কিতাবিত তাওহীদ ১/৩৯৮; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/১৮০-১৮১ ও ৯/৩২১)।

http://www.at-tahreek.com/november2011/15.html

২৩ শে মার্চ, ২০১২ রাত ২:৪৩

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ। ভাইরে সত্য তুলে ধরার কারণে সেফ থাকা সত্ত্বেও কমেন্টস্ ব্যান। অন্য পোষ্টে কমেন্টস্ করা যায় না + আমার কোন পোষ্টও প্রথম পাতায় যায় না। দেখি সামনে কি করা যায়। দোয়া করবেন।

৬৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫

উদাসীফাহিম বলেছেন: amaar mone hochche apni ahle hadith er moti er onushari.tai dalao vabe soytan bolen.............vondoder birudde likhun ..shirk er birudde likhun.kintu apnara jevabe islami scholarder pisone legesen.tate onek shomoy apnaderkei shoytan dakte ichche kore....................

৬৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৩

নতুন বলেছেন: মাজার হইলো পুজি...

ভন্ডরা এই মাজারের উছিলায় কইরা কাইটা খায়...

এর সাথে ইসলামের কোন সম্পক` নাই...

আমাদের ধম`প্রান সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়া তাদের পয়সা খাওয়াই এই সব মাজারীর উদ্দেশ্য...

++++

চমৎকার পোস্ট সবাইকে সচেতন করতে হবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.