নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সূত্রঃ তর্ক মূল বিষয়ে স্থির রবেনা ।

abdullah al masud

abdullah al masud › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুই মানুষ না আওয়ামি লীগ !

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

মেজর ডালিমের

লেখাটি সরাসরি তুলে ধরা হল, কোন

যোজন-বিয়োজন করা হয় নি ।

===============

===============

=========

জনগণের স্বতঃস্ফুর্ততা এবং সমর্থন

দিয়েছিল নৈতিক স্বীকৃতি এবং সংসদে দুই

তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহিত পঞ্চম

সংশোধনীর মাধ্যমে দেয়া হয়েছিল

সাংবিধানিক স্বীকৃতি।

বস্তুতঃ শেখ মুজিব তার নিজের ও

পরিবারের

ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী একটা ভিত্তি দেয়ার

লক্ষ্যেই বাকশালী স্বৈরাচার কায়েম

করেছিলেন। এভাবেই যুগযুগ

ধরে স্বৈরাচারী শাসকরা আর্বিভুত হয়।

এরা একই নিয়মে ক্ষমতা কুক্ষিগত

করে। জামার্নীর হিটলারের উত্থান

ঘটেছিল এভাবেই।

নাৎসী পার্টি তাকে মহামানব আখ্যায়িত

করেছিল। বাকশালীরাও শ্লোগান

তুলেছিল, “এক নেতা, এক দেশ,

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।”

ফলশ্রুতিতে মুজিব পরিণত হয়েছিলেন,

একজন স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনায়কে।

ইটালীতে মুসোলিনির আবির্ভাবও

ঘটেছিল একই প্রক্রিয়ায়।

আওয়ামী লীগের শাসনামল ছিল

বর্বরতার নজীরে পূর্ণ। সংসদীয়

গণতন্ত্রের

গলা টিপে হত্যা করে একদলীয়

ব্যবস্থার প্রবর্তক। সংবাদপত্রের

স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, মৌলিক

অধিকারসহ সকল রাজনৈতিক অধিকার

হরণ করা হয়েছিল। জাতি কখনোই এই

কলংকিত ইতিহাসের কথা অন্তর

থেকে মুছে ফেলতে পারে না। আওয়ামী-

বাকশালী শাসনামল ছিল মূলতঃ হত্যার

ইতিহাস, নারী নির্যাতনের ইতিহাস,

লুণ্ঠনের ইতিহাস, শোষণের ইতিহাস,

চোরাচালানের ইতিহাস, দেশের

স্বাধীনতা-সার্ব ভৌমত্ব ভারতীয়

সম্প্রসারণবাদের পায়ের তলায়

লুটিয়ে দেবার ইতিহাস, জাতীয়

অর্থনীতিকে বিকিয়ে দেবার ইতিহাস,

রক্ষীবাহিনীর শ্বেত সন্ত্রাসের

ইতিহাস, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও

লাখো শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানীর

ইতিহাস। রাষ্ট্রীয়করণের

নামে আওয়ামী লীগ ব্যাংক, বীমা, মিল,

কল-কারখানায় হরিলুট করেছিল।

দেশে সম্পদ পাচাঁর করার জন্য

সীমান্তকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিল।

আওয়ামী শাসনামলে অবাধ লুটপাটের

ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে ‘তলাহীন

ঝুড়ি’ আখ্যা পেয়েছিল। আওয়ামী লীগের

আমলে বিদেশী সাহায্যের বেশিরভাগ

মালই ভারতের কোলকাতা ও

বিশাখা পাওম বন্দরে খালাস পেতো।

একাত্তরের যুদ্ধ আর ধ্বংসযজ্ঞের পর

বাহাত্তরে কোন দুর্ভিক্ষ

না হয়ে আওয়ামী লীগের শাসন ও

শোষণের ফলে ’৭৪-এ দুর্ভিক্ষের

সৃষ্টি হয়েছিল। অনাহারে মারা গিয়েছিল

লাখ লাখ আদম সন্তান। ডাষ্টবিনের

উচ্ছিষ্ট নিয়ে কাড়াকাড়ি করেছিল মানুষ

আর কুকুরে। অনাহারে মৃত ব্যক্তিদের

কলাপাতার কাফনে দাফন করতে হয়েছে।

ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য বন্য লতা-পাতা,

কচু-ঘেচু আর কলাগাছের কান্ড

সংগ্রহে ব্যস্ত জাল

পরা বাসন্তীরা আওয়ামী কুশাসনের

ঐতিহাসিক সাক্ষী। বিপুল পরিমাণ

অর্থের বিনিময়ে সরকারিভাবে ভারত

থেকে সুন্দরী ও সোহাগী নামের দেড় হাত

প্রস্ত ও সাত হাত দৈর্ঘ্য

শাড়ী আমদানি করে আওয়ামী লীগ

বস্ত্রহীন, নিরন্ন ও দুর্ভিক্ষপীড়িত

মানুষের সাথে জঘণ্য মস্করা করেছিল।

জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে ঐ কাপড়ের নাম

দিয়েছিল ‘উলঙ্গ বাহার শাড়ী’।

আওয়ামী লীগ ও বাকশাল সরকার তাদের

শাসনামলে এ দেশের

জনগণকে গণতন্ত্রের নামে দিয়েছিল

স্বৈরাচার; সমাজতন্ত্রের নামে শুরু

করেছিল সামাজিক অনাচার;

বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের

নামে জাতিকে করেছিল বিভক্ত; আর

ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যুগিয়েছিল

ধর্মহীনতার ইন্ধন। স্বৈরাচারী মুজিব

সরকার সুপ্রীম কোর্টের সাংবিধানিক

ক্ষমতা পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছিল! ১৫ই

আগষ্টের বৈপ্লবিক পরিবর্তন

যদি না হত তাহলে গণতন্ত্রের

বধ্যভুমিতে আজকের শতাধিক

রাজনৈতিক দলকে একদলীয় বাকশালের

ধ্বজা বহন করেই বেড়াতে হত।

এমনকি আওয়ামী লীগ নামক কোন

দলেরও পুর্ণজন্ম হত না। আওয়ামী-

বাকশালীদ ের অনাসৃষ্টির জন্য

বিধ্বস্ত সামাজিক, রাজনৈতিক ও

অর্থনৈতিক অবস্থার

ঘানি দেশবাসীকে অনির্দিষ্টকালের

জন্য টানতে হত। দেশ স্বাধীন হওয়ার

পর হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র,

গোলাবারুদ, স্বর্ণ, মূল্যবান ধাতু,

যানবাহন, মিল-কারখানার মেশিনপত্র,

কাঁচামাল ভারতের

হাতে তুলে দিয়ে আওয়ামী লীগ সমগ্র

জাতিকে প্রতিপক্ষ করে স্বাধীনতার

সোল এজেন্ট সেজে বসেছিল। এসবের

প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় দেশমাতৃকার

অন্যতম সেরা সন্তান ও বীর

মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিলকে গ্রেফতার

করা হয়েছিল; প্রাণ হারাতে হয়েছিল

বিপ্লবী সিরাজ সিকদার ও

হাজারো মুক্তিযোদ্ধাকে। লাঞ্ছণার

শিকারে পরিণত হতে হয় অনেক

দেশপ্রেমিককে। দীর্ঘমেয়াদী অসম

চুক্তির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও

সার্বভৌমত্ব বন্ধক রেখেছিল

আওয়ামী লীগই। লালবাহিনী, নীলবাহিনী,

স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, রক্ষীবাহিনীসহ

ইত্যাকার নানা রকমের বাহিনী গঠনের

দ্বারা দুঃসহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করার মধ্য

দিয়ে বিনা বিচারে ত্রিশ হাজার

থেকে চল্লিশ হাজার রাজনৈতিক কর্মীর

প্রাণ সংহার করার কালো ইতিহাস

আওয়ামী-বাকশালীদ ের দ্বারাই

সৃষ্টি হয়েছিল। বন্দী অবস্থায়

রাজনৈতিক নেতা জনাব সিরাজ

সিকদারকে নির্মমভাবে পাশবিক

অত্যাচার করে হত্যা করার পর শেখ

মুজিব স্বয়ং সংসদ অধিবেশনে ক্ষমতার

দম্ভে বলেছিলেন, “কোথায় আজ সিরাজ

সিকদার?”

জাতির আশা-

আকাংখাকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের

ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার

উদ্দেশ্যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়,

সে ব্যবস্থা টিতে থাকেতে পারে না।

জনসমর্থন ছাড়া কোন ব্যবস্থাই

দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। জাতীয়

বেঈমান ও বিশ্বাসঘাতকরা যখন জাতির

কাঁধে একনায়কতন্ত্র, স্বৈরাতন্ত্রের

বোঝা চাপিয়ে দেয়, জাতীয় স্বার্থ

বিকিয়ে দেয়, ব্যক্তি ও গোষ্ঠি স্বার্থ

হাসিলের জন্য মীরজাফর বা রাজাকার-

আলবদরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তখন

তাদের অন্যায়-অত্যাচার , শোষণ,

নির্যাতন থেকে জাতিকে বাঁচানোর জন্য

তাদের দুঃশাসন উৎখাত করার জন্য

দেশপ্রেমিকদের বিপ্লবের পথ অবলম্বন

করতে হয়েছে যুগে যুগে। একই

যুক্তিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট

বিপ্লব সংগঠিত করেছিল বাংলাদেশ

সেনা বাহিনীর দেশপ্রেমিক অংশ। সেই

বিপ্লব ছিল একটি সফল অভ্যুত্থান।

দেশ ও জাতি মুক্তি পেয়েছিল দাসত্বের

নাগপাশ ও স্বৈরশাসনের শ্বাসরুদ্ধকর

পরিবেশ থেকে। বাকশাল সরকারের

উৎখাত ও মোশতাক সরকারের

প্রতি জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন এ

কথাই প্রমাণ করেছিল জনগণের আশা-

আকাংখার সাথে বাকশালের কোন

সম্পর্ক ছিল না। একদলীয় শাসন

ব্যবস্থার প্রতি জনসমর্থনও ছিল না।

১৫ই আগষ্টের বিপ্লব স্বতঃস্ফুর্ত

জনসমর্থন পেয়ে একটি জনপ্রিয়

অভ্যুত্থানে পরিণত হয়।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

শাহ আজিজ বলেছেন: আগে পড়িনি কখনো । লেখাটি স্বাভাবিক নিয়মে মুছে যাবে কিছুক্ষনের মধ্যে । কপি রাখলাম।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

আকাশদেখি বলেছেন: শাহ আজিজ বলেছেন: আগে পড়িনি কখনো । লেখাটি স্বাভাবিক নিয়মে মুছে যাবে কিছুক্ষনের মধ্যে । কপি রাখলাম।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

গেন্না বয় বলেছেন: নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারার নাম যদি হয় মানুষ,
খুনি ধর্ষণকারীদের বিচার করা যাবে না তার নাম যদি হয় মানুষ,
খুনিদের পুরস্কার প্রদান কারীদের নাম যদি হয় মানুষ।

তাহলে সেই মানুষ হতে চাই না, আওয়ামি লীগই হই

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

নানাভাই বলেছেন: এখানে ক্লিকান

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: মনে হচ্ছে, অন্যের লেখা 'ডালিমের আত্মকথা'?

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

এম আর ইকবাল বলেছেন:
এখন জানোয়ার রা নিজেদের মানূষ বলে দাবী করছে,
আর যারা মানুষ তাদের সবাইকে আওযামীলীগার বানাচ্ছে ।

আমি কিন্তু জানোয়ারের দলে নই ।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

HHH বলেছেন: ওরা মানুষ না। ওরা এক আজব জানোয়ার, যাদের সারাদেশের মানুষ থুতু দিলেও কোন লজ্জা করে না

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

এই আমি সেই আমি বলেছেন: কোন কিছুই এভাবে জাতির জনক , শিশু ,গর্ভবতী নারী হত্যার যৌক্তিক কারণ হতে পারে না । এটা যারা করেছে তারা জানোয়ার , আর জানোয়ারের কাজকে যারা সমর্থন করে তারাও মানুষ নয় , তারাও জানোয়ার ।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

গ্রাম্যবালক বলেছেন: এই আমি সেই আমি বলেছেন: কোন কিছুই এভাবে জাতির জনক , শিশু ,গর্ভবতী নারী হত্যার যৌক্তিক কারণ হতে পারে না । এটা যারা করেছে তারা জানোয়ার , আর জানোয়ারের কাজকে যারা সমর্থন করে তারাও মানুষ নয় , তারাও জানোয়ার

বিষাক্ত সাপ মেরে তার বাচ্চা বাচাইয়া রাখার কোণ মানে হয় না। দেখেন না কাল সাপ দেশকে কি ভাবে ছোবল মারতেছে??

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোন কিছুই যৌক্তি হতে পারে না! ! ! ভালু ভালূ......................

৩০ হাজার জাসদ কর্মীর কি দোষ ছিল?

সিরাজ শিকদারের কি দোষ ছিল?

তাদের উপর নির্ভরশীল লাখো শিশু, নারী, গর্ভবতীদের কি দোষ ছিল?????

আবেগ দিয়ে সব সময় ঝালমুড়ি হয় না!!!!!!

টিট ফর টেট! সৃস্টির বিধান। তুমি ভাল কর ভাল প্রতিদান পাবে
তুমি মন্দ করলে মন্দ প্রতিদান পাবে।

আজকের দমবন্ধ অবস্থা অনেক কিছুই পরিস্তার কর দিচ্ছে! সারা বিশ্বকে গায়ের জোরে এড়িয়ে গেলেই কি জ্ঞানী হওয়া যায়!!!

শুধূ ভারত দিয়েই কি আমাদের বিশ্ব চলবে?

কাল যদি ইইউ গার্মেন্টস অর্ডার বাতিল করে দেয়, আমেরিকা বানিজ্য প্রথ্যাহার করে নেয়, মধ্যপ্রাচ্য সকর শ্রমিক ফেরত পাঠীয়ে দেয়!!!!

আবেগ দিয়ে কি জীভন বাঁচবে???

নাকি মূর্খ বাচনিক মন্ত্রীদের মতো বলবেন- ৭ কোটি মেরে ফেল! লৌক কমে যাবে, খাওয়া কমে যাবে, জিনিষের প্রয়োজনই থাকবে না। ঝামেলা কমবে???

তবে আর মিছে মায়াকান্না দেখানো কেন???????? বরংসেই শ্রনীদের নিয়ে পাবনা কেউ দিয়ে আসা দরকার!!!!

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৫

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: শাহ আজিজ বলেছেন: আগে পড়িনি কখনো । লেখাটি স্বাভাবিক নিয়মে মুছে যাবে কিছুক্ষনের মধ্যে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.