নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লিখার জন্যই আমি নন্দিত। আবার হয়ত কারো কাছে নিন্দিত!

আব্দুল্লাহ রিফাত

লিখালিখি করতে ভালো লাগে।

আব্দুল্লাহ রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অভাগা মায়ের গল্প

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০১

নাম আমেনা বেগম।তার এক সময় সবাই ছিল-স্বামী,ছেলে, মেয়ে থেকে শুরু করে সকল আত্নীয়।কিন্তু আজ এই আমেনা বেগম রাস্তার পাশে বৃদ্ধ বয়সে শাক বিক্রি করে।

কি এমন ঘটে গেল আমেনা বেগমের জীবনে যে, তাকে এখন রাস্তায় বাস্তায় শাক বিক্রি করে খেতে হচ্ছে।আসুন এবার জানি ভেতররের ঘটনা।

স্বামী, সন্তানদের নিয়ে ভালই সুখে দিন কাটাচ্ছিলেন আমেনা বেগম।তার স্বামীর একটি মুদি দোকান ছিল।সেটি থেকে যা আয় হত তা দিয়ে সংসার খুব ভাল ভাবেই চলছিল।তার এক ছেলে এক মেয়ে।ছেলে মেয়েদেরকে লেখাপড়া করাচ্ছেন ভাল স্কুলে।ভালই যাচ্ছিল দিন গুলো।ছেলে মেয়েরা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে।নিজে ঠিক ভাবে না খেয়ে সন্তানদের সব পছন্দের জীনিস খাওয়াতেন।সন্তানরাও মা-বাবা ছাড়া কিছুই বুঝে না।ছেলেটি বড় হল লেখাপড়া শেষ করল, তারপর শুরু করল চাকরি।আর মেয়েটাও বড় হয়ে গেল।তো একটি ভাল ছেলে দেখে মেয়েটার বিয়ে দিয়ে দিলেন।আর কিছু দিন যাওয়ার পর ছেলেকেও একটি পছন্দমত মেয়ে দেখে বিয়ে করালেন।তো,মেয়ে ও সুখে আছে আর ছেলেও।এদিকে বুড়ো বুড়ি ও আনন্দে আছে।তাদের এখন শুধু সুখের সময়।কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎ করে এক রাতের জ্বরে আমেনা বেগমের স্বামী মারা গেল।

সুখের জীবনে নেমে এলো অন্ধকার!স্বামীর মৃত্যুর কিছু দিন পরই ছেলের জন্য ঘরে আনা রাজকন্যা রাজত্ব দখলের পায়তারা শুরু করল।এক দিন রাণীকে হটিয়ে রাজকন্যা ঠিকই রাজত্ব ছিনিয়ে নিল।বুড়ি রাণীর নিজের প্রাসাদে কোন ঠাই হল না।অন্য দিকে রাণীর মেয়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে রাজত্ব হারানো রাণীকে চিনে না।ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস।

কিন্তু রাণী হাল ছাড়ে নি।নিজের সন্তানদের কাছে পরাজিত হলেও নিজের বিবেকের কাছে পরাজিত হন নি।সব কিছু হারিয়ে অন্যের ছুয়ারে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ান নি।নিজের শেষ সময়টা চলছেন নিজের রোজগারের টাকা দিয়ে।তিনি রাস্তার পাশে বসে শাক বিক্রি করেন।সেখান থেকে যা পান তা দিয়েই কস্ট করে হলেও চলেন।

"স্যালুট" মা তোমায়।সব কিছুর কাছে পরাজিত হলেও নিজের বিবেকের কাছে পরাজিত হও নি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.