নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারিয়ে যাওয়া বন্ধুটি

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৫

আমাদের দেশে পশুপাখির সেবাতে যেমন করুণ দশা, ঠিক তেমনি তাদের আহরণ-বিপণন ইত্যাদিতেও পেশাদারিত্বের অভাব।

যে দোকান থেকে কচ্ছপটা কিনেছিলাম, সেটি মূলত একুরিয়ামের মাছের দোকান ছিল। সাথে অতিরিক্ত হিসেবে অন্যান্য জলজ প্রাণী ছিল। একটি একুরিয়ামে দেখলাম ৩/৪টি বেশ ছোট জাতের আদুরে কচ্ছপ। দেখে আমার মায়া লেগে গেল।

দরদাম করে সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় একটি কিনে নিলাম। বিক্রেতা যাওয়ার সময় জোর করে একটি কাঁচের গোল পাত্র ধরিয়ে দিল; কচ্ছপটি থাকার জন্য। অথচ, আমি টিভিতে দেখেছিলাম, এই জাতীয় কচ্ছপকে বিদেশের মানুষেরা উঠানে, ঘরের মেঝেতে, ছোট দেয়াশলাইয়ের বাক্সে করে ছেড়ে দেয়।

বিক্রেতা বলল, কচ্ছপ ৪টি কয় দিন আগেই ধরা হয়েছে। তখন থেকে এগুলোকে তিনি মাছের একুরিয়ামেই রাখতেন। আমি তাকে এটির প্রজাতি, খাদ্যাভাস, চলাফেরার ধরণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পরে বুঝলাম, তিনি কিছুই জানেন না।

বাসায় এনে পানির পাত্রে রাখতেই ওটা ছটফট করত। উপরে চলে এসে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো; যেন বলতে চাইত- আমাকে উঠিয়ে নাও। কিছুক্ষণ পর অবশ্য নিস্তব্ধ হয়ে যেত। আমি প্রথম দিকে পানি থেকে তুলে মাটিতে ছেড়ে দিতাম।

ওর ছবি তুলে ইন্টারনেটে দিয়ে এজাতীয় কচ্ছপ সম্পর্কে পড়াশোনা করে নিলাম। প্রথমেই যেটা নজরে কাড়লো, সেটা ছিল এধরণের প্রাণী থেকে মানবদেহে ক্ষতিকর স্যালমোনেলা ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার বিষয়টি। সেটি জেনে ওকে আর মাটিতে ছাড়তাম না। আমি ছাড়া কাউকে ধরতে দিতাম না। আমি ধরে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতাম। মলত্যাগের পরে পাত্রের পানি বদলে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতাম।

এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে গিয়ে একটা ব্যাপার আমার নজর এড়িয়ে গেল। আমার পোষ্যটির পানিরে সাঁতরানোর মত বৈঠাকৃতির পা ছিল না, বরং মাটিতে চলার মত আঙ্গুলবিশিষ্ট পা ছিল। অর্থাৎ, এটি ছিল tortoise, aquatic turtle না!

তার কয়দিন পরেই কচ্ছপটি মারা যায়। অত্যাধিক সময় পানিতে থাকার ফলে শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে মারা যায় সেটি। সেই বেদনার্ত মুহুর্তের কথা আমি জীবনেও ভুলব না।

আসুন, এই ধরিত্রী দিবসে অঙ্গীকার করি, আমরা সবাই আমাদের আশেপাশের পোষা বা বন্য প্রাণীদের জানতে শিখি, বুঝতে শিখি, তাদের ভালোবাসি, তাদের অস্তিত্ব ও প্রাকৃতিক সহাবস্থানকে স্বীকার করি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: আসুন, এই ধরিত্রী দিবসে অঙ্গীকার করি, আমরা সবাই আমাদের আশেপাশের পোষা বা বন্য প্রাণীদের জানতে শিখি, বুঝতে শিখি, তাদের ভালোবাসি, তাদের অস্তিত্ব ও প্রাকৃতিক সহাবস্থানকে স্বীকার করি।

সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.