![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম কি আসলেই বিজ্ঞান বিরোধী?
এখনকার দিনে এটা একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে, কিছু হলেই ধর্মকে গালি দেয়া শুরু হয়। ধর্ম বনাম বিজ্ঞান একটা বেশ জনপ্রিয় একটা বিষয়। বিজ্ঞান সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকা ব্যাক্তিটাও কিছু হলেই আগ বাড়িয়ে ধর্মকে টেনে আনবে। অনেকেই বলেন যে, যারা ধর্মে বিশ্বাসী তাদের বিজ্ঞান চর্চার প্রতি আগ্রহের কমতী দেখা যায়। তারা নাকি ধর্মীয় বিশ্বাসের ফলে বিজ্ঞানকে সহজে গ্রহণ করতে চায় না। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও হাস্যকর।
মধ্যযুগীয় সময়ে যখন বিজ্ঞান চর্চায় গির্জার অনুসারীরা বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই ঘটনাকে এখনো তারা যুক্তি হিসেবে দেখায়। আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি ধ্বংস হবার পরবর্তী সময়কে মধ্যযুগীয় অন্ধকার যুগ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়, যা কখনোই বিজ্ঞানের অন্ধকার যুগ ছিলো না৷ তা ছিল ইউরোপীয় অন্ধকার যুগ। তাহলে বিজ্ঞান কোথায় ছিল? বিজ্ঞান তার নিজস্ব গতিতেই চলছিল। আরব অঞ্চলের বিজ্ঞানীরা সেইসময়ে বিজ্ঞানকে সচল রেখেছিল।
আবু আলি হুসাইন বিন আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসান বিন আলী ইবনে সিনা তৎকালীন সময়ের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞানী বলা হয়ে থাকে। প্রথম শূন্যের ব্যবহার করেছেন আরব মুসলমান বিজ্ঞানীরা। তৎকালীন মুসলমান বিজ্ঞানীদের হাতে বিজ্ঞান চর্চা অনেকেই দেখেও না দেখার ভান করে।
যদি তখন ধর্ম বিজ্ঞান চর্চার পরিপন্থী না হয়, তাহলে এখন কেন?
এর উত্তর হলো, " না "। কোনোকালেই ধর্ম বিজ্ঞান চর্চার পরিপন্থী ছিল না। এখনো ধর্ম বিজ্ঞান চর্চার পরিপন্থী না। বরং ধর্ম হলো বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম একটি মাধ্যম।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম কখনও বিজ্ঞান চর্চার পরিপন্থি না। এক সময় মুসলমান বিজ্ঞানীরা সেটার প্রমাণ দিয়েছে।
কিছু নাস্তিক মনে করে ধর্ম বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে অন্তরায়।
ছোট পোস্ট কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখেছেন। ব্লগে স্বাগতম। আশা করি আরও লেখা লিখবেন ইসলামের সত্যতা ও শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে। ভালো থাকবেন।