নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চল যাই শাহবাগে

নাম আবসোস হোলেও আবসোস কোরিনা

আবসোস

যদিও নাম আমর আবসোস !!! আমর কোন আবসোস নাই ।

আবসোস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজধানীতে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিল ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। দুপুর দেড়টার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় হাজার খানেক জামায়াত-শিবির বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় তারা রাস্তায় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর এবং শাপলা চত্বর এলাকায় ১৫ থেকে ২০টি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।



এদিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের গাড়িতে হামলা করে জামায়াত-শিবির। এসময় গলি দিয়ে বের হয়ে আসছিলেন আনিসুজ্জামান, ও দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। গাড়ির ভাঙা কাঁচ ও ইটের আঘাতে আহত হন মতিউর রহমান। তার হাত কেটে যায়। তবে এখন দুজনেই সুস্থ আছেন।



পান্থপথের সামনে থেকে শিবির কর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে কারওয়ানবাজার দিকে যাওয়ার সময় ক্রসিং পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা ও গুলি চালানো হয়। পুলিশ পাল্টা জবাবে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। শিবিরের মিছিল থেকে ছোড়া গুলিতে পুলিশের সহকারী কমিশনারসহ ২ পুলিশ সদস্য, শিবিরকর্মী মাহমুদ (৩৩), মুস্তাফিজ (২৮), এয়াকুল (২৫), কবির (২৬) এবং চায়ের দোকানদার খলিল গুলিবিদ্ধ হন।



আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।



এ ব্যাপারে কলাবাগান থানার ওসি এনামুল হক জানান, জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়ে। পুলিশ বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজন জামায়াত-শিবিরের কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।



শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কারওয়ানবাজার এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।



দুইটার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেয়। আওয়ামী লীগ সমর্থীত সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা লাঠসোটা নিয়ে শিবিরের হামলার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসেন।



সোয়া ২টার দিকে কমলাপুর এলাকায় দৈনিক নয়াদিগন্ত অফিসে আগুন দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। নয়াদিগন্তের বিশেষ প্রতিনিধি আবু সালেহ আকন ঘটনার সত্যতা স্বীকার ও অভিযোগ করে বলেন, ‌'ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ আগুন দেয়।'



নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন জানান, আগুনে গুদামের ভেতর থাকা প্রেসের রঙ এবং একটি মাইক্রোবাস পুড়ে যায়। এছাড়া অফিস ভাঙচুর করা হয়। পরে দমকাল বাহিনী এসে আগুন নেভায়।



মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান বাংলামেইলকে বলেন, 'আগুন কারা দিয়েছে তা আমরা জানতে পারিনি। তবে জামায়াত-শিবির শাহবাগের আন্দোলনের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা হামলা করে। এ পর্যন্ত ২০ জনকে মতিঝিল থেকে আটক করা হয়েছে।'



পুলিশ ফাকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পল্টন থানার ওসি মো. গোলাম সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।



এদিকে কারওয়ান বাজার ও পান্থপথে ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করে জামায়াত -শিবির কর্মীরা। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালায়। পরে পুলিশ এসে টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে জামায়াত শিবির কর্মীদের সরিয়ে দেয়।



জামায়াত শিবিরের তাণ্ডবলীলায় রাজধানীর সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর রেশ গিয়ে পড়ে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে। খবর পেয়ে আন্দোলনকারীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।



সংঘর্ষের পর পল্টন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।



শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কারওয়ানবাজার মোড় ও পান্থপথ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। .................. সংকলিত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.