![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিউজিল্যান্ডের খুনিটাকে সন্ত্রাসী বলা জায়েজ হবে কি?
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকার আল নূর জামে মসজিদে নামাজরত মুসল্লীদের উপর হামলা হয়েছে। কাছাকাছি শহরতলি লিনউডের মসজিদেও হামলা চালানো হয়।
সয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র চালিয়ে অর্ধশত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী ব্যক্তির ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলাকারী স্বয়ংক্রিয় বন্দুক নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে মসজিদের দিকে যাচ্ছেন। মসজিদের প্রবেশ কক্ষ থেকেই মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে শুরু করেন। মসজিদের ভেতর ছুটোছুটিরত মুসল্লিদের প্রতি টানা গুলি করতে থাকেন। এরপর মসজিদের এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে ঘুরে ঘুরে গুলি করতে থাকেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে যাঁরা মসজিদের মেঝেতে পড়েছিলেন, তাঁদের দিকে ফিরে ফিরে গুলি করছিলেন তিনি।
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর পর ১৬/১৭ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এতে দেখা গেছে, ঠিক যেন ভিডিও গেম খেলছে কেউ একজন। ভিডিও গেমের মতো করে একজন বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করছে। হামলার ভিডিও দেখে ধারণা করা হচ্ছে, বন্দুকধারী হামলার আগে পুরো ঘটনাটি ভিডিও করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। হয়তো তাঁর মাথায় ভিডিও ক্যামেরা বসানো ছিল। ধারণা করা যায়, হামলাকারী হামলাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করেছেন। অবশ্য কিছু সময়ের ভেতরে ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সে ভিডিওটি। কিন্তু ততক্ষনে অনেকেই দেখেছেন সে ভিডিও। কেউ কেউ ডাউনলোড করে রেখে দিয়েছেন সেটি।
ঠান্ডা মাথায় যাদের খুন করা হয়েছে তাদের পরিচয় হচ্ছে তারা মুসলিম। আর যিনি বন্দুক হাতে মসজিদে ঢুকে পাইকারীভাবে খুন করলেন তার পরিচয় হচ্ছে, তিনি মুসলিম নন। ভিন্নধর্মী। যতটুকু জানা যায়, খৃষ্টান বংশোদ্ভূত। তার এই পরিচয়টির জন্য তিনি আজ অর্ধশতাধিক মানুষকে খুন করেও সন্ত্রাসী নন। জঙ্গি নন। জিহাদী কিংবা টেররিস্ট নন। বিশ্বখ্যাত মিডিয়াগুলো তাকে অন্তত একটিবারের জন্যও এসব খেতাবে ভূষিত করেনি। তারা ঘূনাক্ষরেও তাকে খৃষ্টান জঙ্গি বলেনি। ইহুদি সন্ত্রাসী তকমা লাগায়নি তার নামের সাথে।
আচ্ছা, এই হামলাকারী ব্যক্তিটি যদি মুসলিম হতেন? তাহলে অবস্থা কি দাঁড়াতো? 'মুসলিম জঙ্গি', 'মুসলিম সন্ত্রাসী' বলে এতক্ষণে তারস্বরে চিৎকার করে করে তারা কি কান ঝালাপালা করে তুলতেন না? 'মুসলিম জঙ্গি' বলে পৃথিবীর আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তুলতেন না? তাবত বিশ্বের মুসলমানদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্য তারা কি মুখে ফেনা তুলতেন না? কেন এই দ্বিচারিতা? কেন? এই বৈষম্য কেন? 'জঙ্গি', 'সন্ত্রাসী', 'জিহাদী', 'চরমপন্থী', 'উগ্রবাদী', 'টেরোরিস্ট' শব্দগুলো কি শুধুই মুসলিমদের জন্য? এই জাতীয় শব্দাবলীর যাবতীয় পেটেন্ট কি কেবলমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যই বরাদ্দকৃত? ধিক! শত ধিক! সভ্যতা নামের এমনতরো নিকৃষ্ট দুরাচারী দ্বিচারিতার প্রতি!
বন্দুক হাতের লোকটি অমুসলিম হলে কোনো সমস্যা নেই। বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। 'মানসিক ভারসাম্যহীন' কিংবা 'অসংলগ্ন' অথবা এই জাতীয় কোনো অযুহাতে বাঁচিয়ে দেয়ার চেষ্টা পরিলক্ষিত হবে। তিনি মুসলমান হন? তাহলে এটা নির্ঘাৎ এক ‘জেহাদি’ সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র। 'জঙ্গি' অপতৎপরতা। আর একমাত্র সমাধান: তাবত বিশ্বের সকল স্থান থেকে মুসলমান খেদাও। মুসলিম জঙ্গিদের ঝেটিয়ে তাড়াও।
এফবিআই ডেটাবেইস থেকে বের হওয়া একটা প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৮০-২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ঘটা মাত্র ৬ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনায় মুসলিম সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল। যুদ্ধাক্রান্ত সিরিয়াকে বাদ দিলে ২০১৬-১৭ সালেও বিশ্বের মোট সন্ত্রাসী ঘটনার বেশির ভাগই ঘটেছে অমুসলিমদের দ্বারা (গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স ২০১৮)।
ছবিঃ অনলাইন।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫৩
আবু ছােলহ বলেছেন:
ধন্যবাদ।
আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো এই মানবতার কলঙ্কটাকে জামাই বলতে পারলে সম্ভবত: তাও বলতো। বর্ণবাদ আর জাতিগত বিদ্বেষের সূত্রপাতটা এখান থেকেই। এই লোকটিকে কারা তৈরি করেছে? এই নষ্ট মিডিয়ারও এর পেছনে অনেক অনেক দায়।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিম হিন্দু এই বিদ্বেষ কি কোনো দিনই শেষ হবার নয়?
কেন আমরা সবার আগে মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখছি না?
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫
আবু ছােলহ বলেছেন:
আমাদের যদি ওরা মানুষই ভাবতো তাহলে এই জঘন্যতা প্রত্যক্ষ করতে হত না। তারা মুসলিমদের জীব জানোয়ারের সমতুল্য জ্ঞান করে কি না তাতেও সন্দেহ।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯
আখ্যাত বলেছেন: :
হামলাকারী মানসিক ভারসাম্যহীন কেউ হয়ে থাকতে পারে
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২৪
আবু ছােলহ বলেছেন:
মসজিদে হামলা করতে হবে এবং টার্গেট করে কেবলমাত্র মুসলিমদেরকেই হত্যা করতে হবে -এই জ্ঞানটুকু যার পূর্ণমাত্রায় থাকে, তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলার যুক্তি কোথায়? মানসিক ভারসাম্যহীনই যদি হয়ে থাকতো তাহলে সে তো যাকে সামনে পেত তাকেই হত্যা করতো। সে তো তা করেনি। সে তো দেখে শুনে মসজিদকেই হামলার জন্য বেছে নিয়েছে। নামাজরত মুসল্লীদেরই খুন করেছে। পুরো মসজিদজুড়ে নাড়কীয় তান্ডব চালিয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন হলে কেন মুসল্লীভর্তি মসজিদে এসে হামলে পড়লো খুনী ব্যক্তিটি? এতকিছু দেখার পরেও কি লোকটিকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলার কোনো সুযোগ থাকতে পারে?
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: এই হামলার পরিকল্পনা ২ বছর ধরে করেছে
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩২
আবু ছােলহ বলেছেন:
সারা জীবন ধরেও যদি তারা শান্তিপ্রিয় মানুষদের হত্যার ছক আঁকে, তারা যেন দুধে ধোয়া তুলসি পাতাই থেকে যান। মানবতার গায়ে কলঙ্ক লেপনকারী নাড়কীয় এই হত্যাযজ্ঞের সিংহভাগ ধন্যবাদ পশ্চিমা একচোখা অন্ধ মুসলিম বিদ্বেষী মিডিয়াদের প্রাপ্য।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৪
নতুন বলেছেন: newzeland PM calling it a terriost attack
https://www.youtube.com/watch?v=1ZITl3O5sXo
নিউজিল্যান্ডের প্রধান মন্ত্রী এটাকে টেররিস্ট এটাক বলেছে.... তাহলে কে কে এটাকে টেররিস্ট বলছেনা?
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮
আবু ছােলহ বলেছেন:
নিউজিল্যান্ড এর প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই। এরকম নাড়কীয় হত্যাযজ্ঞের নায়ক যদি দুর্ভাগ্যক্রমে কোনো মুসলিম সন্তান হতেন, তাহলে শুধু নিউজিল্যান্ড ফিউজিল্যান্ড নয়, গোটা ইউরোপ আমেরিকা এতক্ষনে লাঠি সোটা নিয়ে হামলে পড়ে মুসলিমদের আটলান্টিকে নিক্ষেপের আয়োজনে ব্যস্ত হতেন। ওদের মিডিয়া ফিডিয়ার মুখে ফেনা উঠতো না। রক্ত ঝড়তো, সারা পৃথিবীর মুসলমানদের জঙ্গি প্রমানের কসরতে।
টুটা ফাটা দু'এক জনের স্লিপ অফ টাং ধরে লাভ কী, ভাই?
আপনার কি মনে হয়?
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৫
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মিডিয়ার এই বৈষম্য, পক্ষপাতিত্ব মানবতার জন্য ক্ষতিকর। যেকোনো হত্যার পেছনে তারা মুসলিম জঙ্গিবাদের গন্ধ খুজে।
আলকায়েদা, তালেবান নামক মুসলিম নামধারী জঙ্গিরাও দায় নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে নেয়।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
আবু ছােলহ বলেছেন:
মিডিয়ার এই বৈষম্য, পক্ষপাতিত্ব মানবতার জন্য ক্ষতিকর। যেকোনো হত্যার পেছনে তারা মুসলিম জঙ্গিবাদের গন্ধ খুজে।
আলকায়েদা, তালেবান নামক মুসলিম নামধারী জঙ্গিরাও দায় নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে নেয়।
সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
নতুন বলেছেন: New Zealand terror attack at mosques in Christchurch: Live updates ...
https://www.cnn.com/asia/live-news/new-zealand-christchurch-shooting.../index.html
CNN বলছে টেরট এটাক...
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮
আবু ছােলহ বলেছেন:
সিএনএন মিএনএন সবই চেনা। এ-ও যে নিতান্ত দায়সারা কম্ম, তা কে না বোঝে!
সাফাই গেয়ে গেয়ে আর কত? পশ্চিমা বর্ণবাদী এবং মুসলিম বিদ্বেষী এসব খুনীদের তৈরি করেছে কারা? ওদের মিডিয়া নটদের ন্যাংটো চেহারা বিশ্ববাসীর দেখার বাকি নেই। আর কত? ওরা আর কত মিথ্যাচার করলে আপনাদের কাছে নির্মম সত্যগুলো সত্য বলে প্রতিভাত হবে?
প্রথম আলোর সাথে আপনার বিরোধ নেইতো?
এক নজর দেখে আসুন, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফের কলামটি-
নিউজিল্যান্ডের খুনিটা যে কারখানায় তৈরি
ধন্যবাদ।
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ইসলাম ধর্মের লোক হলেই মানুষদের যত চুলকায়। অন্য ধর্মের লোক হল মাথা ব্যাথা নেই। স্বাভাবিক ঘটনা বলেই ধরে নেই।
আর সন্তাসের আগে ধর্ম ট্যাগ জুড়ে দেয় না। মুসলিমরা সামান্য অপরাধ করলেও তাঁদের আগে ধর্ম নামটি আনবেই....
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪
আবু ছােলহ বলেছেন:
একদম সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
বর্ণবাদী, মুসলিম বিদ্বেষী খুনীর চরিত্র আর তাদের দোসর পাশ্চাত্য-মিডিয়া মোঘলদের আসল চেহারা প্রকাশ পাচ্ছে তাদের মিডিয়ার অন্ধ, বিদ্বেষী এবং একচোখা নীতিতে।
৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯
শায়মা বলেছেন: এই ধরনের মানসিক ভারসাম্যহীনতা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে!
নীতিহীনতা
অজ্ঞনতা
নিজেকে হনু ভাবা
নিজেই সেরা এবং পন্ডিৎ এবং নেগেটিভ উপায়ে সমস্যার স্যলুশান করতে পারেন ভেবে নিজেকেই অজুহাত দিয়ে নেগেটিভ কাজ করা।
ভিডিও গেম বা ভার্চুয়াল লাইফ লিড করতে করতে বাস্তবতা ভুলে যাওয়া
পরিনতিজ্ঞানহীনতা
এমন সব কারণগুলিই আমার মনে হয়েছে!
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০২
আবু ছােলহ বলেছেন:
হয়তোবা। আপনার ধারনা বাস্তবতার পরিপন্থী নয়। নিউজিল্যান্ড হত্যাযজ্ঞের পেছনে এইসবগুলো কারণই থাকতে পারে। আশ্চর্য হওয়ার বিষয় হচ্ছে, ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড বলে খ্যাত, বিশ্ব উন্নয়নের তথাকথিত ঠিকাদার মাতব্বরদের হাতে থাকা পারমানবিক মারনাস্ত্রের বলি যেমন বিশ্বের পিছিয়ে পড়া বাকি মানুষ; দুনিয়ার সকল অঘটন, অকল্যানের দায়ভারও তারা অজান্তেই চাপিয়ে দিতে চায় এই শ্রেনিরই উপরে। কোনো কারণে বড়সড় কোনো অপরাধের দায় নিজেদের গায়ে পড়ে গেলে চিবিয়ে চুবিয়ে 'মানসিক ভারসাম্যহীন', 'নেশাগ্রস্থ', 'বিকারগ্রস্থ' ইত্যাকার বিশেষনে দায়ভারটাকে হালকা করার কসরতে লিপ্ত হয়।
একটিবার ভেবে দেখুন তো, এই হামলাকারী ব্যক্তিটি যদি মুসলিম হতেন, গোটা পৃথিবীর অবস্থাটা এতক্ষনে কি দাঁড়াতো। তাবত মুসলিমকে সন্ত্রাসী জঙ্গি আখ্যায়িত করতে তারা কি দিনের ঘুম রাতের ঘুম একাকার করতেন না? কিন্তু, কই? এতবড় হত্যাযজ্ঞের পরেও মুসলিম বিশ্ব তো শান্তির পথেই আছে। তারা তো কোথাও পাল্টা কোনো আক্রমন কিংবা উদ্ধত কোনো আচরন করেনি। তাহলে সত্যিকারের শান্তির দূত কারা?
১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সায়মা আপুর সঙ্গে একমত এটা এক ধরনের সাইকো। পাশাপাশি আপনার লেখার প্রথম অর্ধের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি । মিডিয়া সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচিত করে ঘটনাগুলিকে যেভাবে দেখে সেটাও যেমন ঘৃণ্য অপরাধ,তেমনি এই ধরনের সন্ত্রাসবাদকে ধর্ম দিয়ে চিহ্নিত করা সমান ন্যাক্কারজনক । সন্ত্রাসের কোন ধর্ম , কোন দেশ , কোন রং হয় না । কাজেই এক ধরনের সাইকোর বশীভূত হয়েই এই ঘৃণ্য অপরাধ প্রবণতা ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯
আবু ছােলহ বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন।
সন্ত্রাসের কোন ধর্ম , কোন দেশ , কোন রং হয় না ।
এটাই হচ্ছে আসল কথা। কিন্তু তারা সন্ত্রাসের সঙ্গা পাল্টে দিচ্ছেন। একই অস্ত্র একই উদ্দেশ্যে একজনের হাতে ব্যবহৃত হলে বলা হয়, সন্ত্রাস দমন অথবা মানসিক বিকৃতি। ভিন্নজন সেই অস্ত্র ব্যবহার করলে তাকে বলা হয় সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চরমপন্থী, উগ্রবাদী কিংবা জিহাদি। এমনটা কেন?
১১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২
শায়মা বলেছেন:
একটিবার ভেবে দেখুন তো, এই হামলাকারী ব্যক্তিটি যদি মুসলিম হতেন, গোটা পৃথিবীর অবস্থাটা এতক্ষনে কি দাঁড়াতো। তাবত মুসলিমকে সন্ত্রাসী জঙ্গি আখ্যায়িত করতে তারা কি দিনের ঘুম রাতের ঘুম একাকার করতেন না? কিন্তু, কই? এতবড় হত্যাযজ্ঞের পরেও মুসলিম বিশ্ব তো শান্তির পথেই আছে। তারা তো কোথাও পাল্টা কোনো আক্রমন কিংবা উদ্ধত কোনো আচরন করেনি। তাহলে সত্যিকারের শান্তির দূত কারা?
ভাইয়া
তোমার কথাটা ভাবার সাথে সাথে আরও একটি কথাও আমার কাল মাথায় এসেছিলো যা অনেক আগেই আমার মনে হয়েছিলো-
এবং এ যাবৎকালে যখন তথাকথিত মুসলিম জঙ্গীরা এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো তখন আমি শিউরে উঠেছিলাম এটা ভেবে যে অন্য ধর্মালম্বীরাও যখন জঙ্গী হয়ে উঠবে তখন গোটা পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে!
নিজেকে সেরা ভেবে অন্যদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো কোনো সুস্থ মানুষের কাজ নয় সে একক হোক বা দলীয় হোক। এই লোক মুসলিম হলে কি হত এতক্ষনে এটা না ভেবে এই মানসিক অসুস্থ চিন্তা ভাবনা ও কার্যকলাপের অবসান হোক। যে যেই ধর্মেই থাকুক বা ধর্মের বন্ধনেই না থাকুক সবার মাঝে মনুষত্ব বা মানব ধর্মের জয় হোক।
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩১
আবু ছােলহ বলেছেন:
নিজেকে সেরা ভেবে অন্যদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো কোনো সুস্থ মানুষের কাজ নয় সে একক হোক বা দলীয় হোক। এই লোক মুসলিম হলে কি হত এতক্ষনে এটা না ভেবে এই মানসিক অসুস্থ চিন্তা ভাবনা ও কার্যকলাপের অবসান হোক। যে যেই ধর্মেই থাকুক বা ধর্মের বন্ধনেই না থাকুক সবার মাঝে মনুষত্ব বা মানব ধর্মের জয় হোক।
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। এই সত্যেরই জয় হোক। সুন্দর বলেছেন। আবারও এসে মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ।
সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিদ্বেষহীন, বিভীষিকামুক্ত একটি নিরাপদ বিশ্ব গড়ে উঠুক। মিডিয়া মোঘলগন ধর্মের বিভেদে নিজেদের আটকে না রেখে মানুষ হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন গোটা বিশ্ববাসীকে।
১২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আর যেন এরকম ঘটনা না ঘটে। সেজন্য সকল দেশকে সাবধান থাকতে হবে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩২
আবু ছােলহ বলেছেন:
সেটাই। সকল মহলের ভেতরে এই বোধ ও শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
ধন্যবাদ।
১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৭
জুন বলেছেন: ভিডিওটি দেখে শিউড়ে ইঠেছিলাম । মানুষ না পিশাচ ! ভবিষ্যত পৃথিবী দেখে বড় ভয় হয় । আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কোথায় রেখে যাচ্ছি ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭
আবু ছােলহ বলেছেন:
ভিডিওটি আমিও দেখেছি। কিন্তু পুরোটা দেখতে পারিনি। দেখা সম্ভব হয়নি। এমন নৃশংসতা দেখা যায় না। এমন উম্মত্ততা দেখার নয়। হায় হায়! কি বিভতস নারকীয়তা! কি জঘন্য অমানবিকতা! কি অকল্পনীয় পাষন্ডতা! কি অসহনীয় নির্মমতা!
এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন পৃথিবীবাসীকে আর দেখতে না হয়। আপনার কথায়ই বলি, সত্যিই ভয় হয়, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কোথায় রেখে যাচ্ছি!
১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩১
এ আর ১৫ বলেছেন: নিউজিল্যান্ডের খুনিটাকে সন্ত্রাসী বলা জায়েজ হবে কি?
হ্যা বলা যাবে , তবে খৃষ্টান সন্ত্রাসী বলা যাবে না , তাকে বোলতে হবে বর্ণবাদী সন্ত্রাসী বা জংগি , সে সাদা বর্ণবাদী ব্লেক সান গ্রুপের অনুসারী । ঐ লোক ব্যাখা করেছে কেন সে মসজিদে অক্রমণ করেছে । সে প্রতিশোধ নিতে আক্রমণ করেছে । যদি মুসলমান জংগিরা খুন না করতো তাহোলে সে প্রতিশোধ নিত না । সুতরাং মুসলমান জংগির অপকর্ম তাকে অপকর্ম করতে প্ররোচিত করেছে । সুতরাং মুসলমান জংগিরা না থামলে এরাও থামবে না । যদি মুসলমানদের বাচাতে চান , তাহোলে মুসলমান জংগিদের থামাবার জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন কিন্তু আমরা জানি সেটা আপনি জীবনে চেষ্টা করবেন না ।
এবার বলুন অমুসলিম মুসলমান মেরেছে তাই আপনার এই পোষ্ট ,এবার নীচের লিংকে শুধু মাত্র পাকিস্তানে বিগত ১০ বৎসরের মুসলমান কর্তৃক মুসলমান , বোমা মেরে মসজিদে হত্যা করার মাত্র ১৭ ঘটনার ( মাত্র ১৭ দিয়েছি আরো আছে ) রেফারেন্স দিলাম । এবার এটা নিয়ে একটা পোষ্ট আসা করছি কারন মুসলমান জংগিরা যা করছে সেটা যদি একশন হয় তবে অমুসলিম জংগিদের কর্ম হবে রি একশন । যখন একশন থাকবে না , তখন রো একশন থাকবে না ।
শুধু মাত্র পাকিস্তানের মসজিদে বোমা হামলায় নিহতের মাত্র ৯ বৎসরের পরিসংখান শুধু মাত্র পাকিস্তানের মসজিদে বোমা হামলায় নিহতের মাত্র ৯ বৎসরের পরিসংখান
২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
আবু ছােলহ বলেছেন:
আপনি তো বেশ মুসলিম দরদী। আপনিই সেই পোস্ট দিন জনাব।
কোনো কারণে হয়তো মুসলিমদের প্রতি আপনার বিদ্বেষ রয়েছে তাই এমন মনোভাব প্রকাশ করলেন। আপনি তো ৯ বছরের এক পক্ষের খতিয়ানের পেছনে ছুটছেন। খুঁজে দেখুন, দেখবেন এরকম খতিয়ান কম বেশি সকলেরই রয়েছে।
তবে, মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে প্রতিটি হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই আমরা। প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি তো ৯ বছরের এক পক্ষের খতিয়ানের পেছনে ছুটছেন। খুঁজে দেখুন, দেখবেন এরকম খতিয়ান কম বেশি সকলেরই রয়েছে।
আমি তো আপনার পেয়ারের লোকদের খতিয়ান খুব সামান্য দিয়েছি । তবে বলতে পারি--- মুসলমানের হাতে মুসলমান হত্যার ঘটনা যদি ১০০০টা হয় তার বিপরীতে অমুসলমানদের হাতে মানুষ মারার ঘটনা হবে খুব বেশি হলে ১০ হবে। সুতরাং খতিয়ান কম রয়েছে অমুসলিমদের আর বেশি রয়েছে আপনার পেয়ারের মমিনদের ।
তবে, মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে প্রতিটি হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই আমরা।
আপনি অনন্ত একটা উদাহরন দেন আপনার কোন পোস্টিং থেকে যে আপনার পেয়ারের মমিনদের হাতে মুসলমান বা অমুসলমান হত্যার প্রতিবাদ করেছেন জীবনে । মাঝে মাঝে এই ধরনের বুলি গাল চালাকি করেন --- আমরা সব ধরনের হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই ।
পাকিস্তান বা ইয়েমেনের মসজিদে বোমা মেরে যে হত্যা কান্ড ঘটানো হয়েছে তার কি কোন নিন্দা করে পোস্ট দিয়েছেন জীবনে । আমরা মুসলমান কর্তৃক বা অমুসলমান কর্তৃক সব ধরনের হত্যা কান্ডের নিন্দা করেছি পোস্টং দিয়েছি বা পোস্ট না দিলেও অন্য জনের ব্লগে নিন্দা করেছি কিন্তু আপনারা, আপনার পেয়ারের মমিনরা হত্যাকারি হলে নিরব কিন্তু অমুসলিম হত্যাকারি হলে সরব ।
২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪২
আবু ছােলহ বলেছেন:
আপনি পাকিস্তান আর ইয়েমেন বলে বলে আপনি কি নিউজিল্যান্ড হত্যাকান্ড জায়েজ করতে চান, ভাইজান???
১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১১
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি পাকিস্তান আর ইয়েমেন বলে বলে আপনি কি নিউজিল্যান্ড হত্যাকান্ড জায়েজ করতে চান, ভাইজান???
সব কয়টাই না জায়েজ কিন্তু আপনার কাছে পাকি ইয়েমেনি বা অন্য মমিনদের অপকর্ম গুলো জায়েজ কিন্তু অমুসলিমদের অপকর্ম গুলো না জায়েজ কারন মমিনদের অপকর্মে আপনি নিরব কিন্তু অমমিনদের অপকর্মে আমি সরব ।
অতচ আমার কাছে সব কয়টাই না জায়েজ এবং সব কয়টার নিন্দার ব্যপারে আমি সরব ।
যেখানে অমুসলিমদের অপকর্মে ও আমি সরব, সেখানে আমি কি করে নিউজিল্যান্ডের হত্যাকান্ডকে জায়েজ মনে করবো । আপনি যেহেতু মমিনদের অপকর্মকে জায়েজ মনে করেন এবং নিরব থাকেন , তাই মনে করছেন আমরা বোধ হয় অমুসলিমদের অপকর্মকে জায়েজ মনে করি কারন আপনাদের মাইন্ড সেট যে ভাবে বিকশিত হয়েছে , সেটার জন্য এই ধরনের ভাবনা আমনাদের মনে উদয় হয় । ধন্যবাদ
২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
আবু ছােলহ বলেছেন:
সকল হত্যাকান্ডকে ঘৃনা করি। সকল দেশের সকল হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই।
আপনি কি সহমত?
নিউজিল্যান্ডের হত্যাকান্ডে আপনি কি কম খুশি না বেশি খুশি? কোনটা?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৫৯
ল বলেছেন: ওতো সভ্যতার অন্যতম জঘন্য অপরাধী --# ক্রিশ্চিয়ান হোয়াইট সন্ত্রাসী