নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু ছােলহ

আবু ছােলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ণ করে দিবে

০২ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮

আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ণ করে দিবে

The image created by AI

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক ও প্রভাবশালী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও, সময়ের ব্যবধানে দলটির চরিত্র ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আজ প্রশ্ন সর্বস্তরে। শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-পাতিনেতা পর্যন্ত—অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দখলবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জনবিচ্ছিন্নতার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ কেবল গুজব বা রাজনৈতিক রূপকথা নয়; বাস্তবতা বলছে, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এখন কোটিপতি, শতকোটিপতি বা এমনকি হাজার কোটিপতির তালিকায় রয়েছেন—যাদের সম্পদের উৎস সম্পর্কে জনগণের নেই কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা। একইভাবে, একসময়ের আদর্শিক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এখন অনেকের চোখে এক আতঙ্কের নাম। ধর্ষণ, খুন, মাদক, চাঁদাবাজি, দখল—এসব অভিযোগ প্রায়শই ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। একসময় যে ছাত্ররাজনীতি ছিল ন্যায়, নৈতিকতা ও স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রতীক, তা আজ ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় কলঙ্কিত এক প্রতিচ্ছবিতে পরিণত হয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বাস্তবতা হলো, বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় আজ আওয়ামী লীগকে আবারও রাজনীতির সুযোগ দিতে প্রস্তুত। তারা হয়তো রাজনৈতিক সমঝোতার পথে হাঁটতে চায়, কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলে, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় ফিরে আসে, প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর আওয়ামী লীগের যে দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে, তাতে যদি দলটি আবারও ক্ষমতায় আসে, তবে বিএনপিসহ অন্যান্য নিবন্ধিত দলগুলোকেও রাজনীতি থেকে একে একে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া রাজনৈতিক সহনশীলতার নিদর্শন হতে পারে। তবে বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলে সেই সহনশীলতাকে তারা রাজনৈতিক দুর্বলতা হিসেবে দেখবে এবং প্রতিপক্ষকে দমন-নিষ্পেষণে আরও কঠোর পথে এগোবে। অতএব, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রয়োজন একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা—যেখানে প্রতিশোধ নয়, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গণতন্ত্র টিকে থাকবে এবং বিকশিত হবে। শুধু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয়—সার্বিক রাজনীতির জন্যই আজ জরুরি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালী করার উদ্যোগ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আগামী দশবছরের মধ্যে সম্ভাবনা নাই যদি না..... :(

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



ঠিক বলেছেন, যদি না মানুষের চিন্তাধারায় ও মানসিকতায় আমূল পরিবর্তন আসে। ধন্যবাদ।

২| ০২ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪

যামিনী সুধা বলেছেন:



আপনি ভয়ে আছেন? অপরাধ কম করেন, ভয়ের কিছু থাকবে না।

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১১

আবু ছােলহ বলেছেন:



ভয় সবসময়ই অপরাধ থেকে আসে না, কখনও অন্যায় সহ্য করাও ভয় সৃষ্টি করে।

৩| ০২ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: এখনো আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসলে পুরো আওয়ামী লিগের সমর্থকদের কাছ থেকে কোন প্রচারনা ছাড়াই শতকরা ৫০ ভাগের বেশী ভয় পাবে।

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১২

আবু ছােলহ বলেছেন:



ভয় নয়, জনগণ এখন সচেতন—তারা কাজ ও ন্যায়ের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে ভোট দিতে চায়।

৪| ০২ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: দল চিনার উপায় হলো তার নীতি কি গঠনতন্ত্রে কি লিখা আছে এবং দলটি গনতান্ত্রিক কি না।

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



নীতি ও গঠনতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ, তবে বাস্তবে সেই নীতিগুলো দল কীভাবে প্রয়োগ করে—তাও বিচার করা জরুরি। কাজীর গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নেই- এমন হলে তো হবে না।

৫| ০২ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

যামিনী সুধা বলেছেন:



মিলিটারীর ও চোরের দল বিএনপি'র জন্মটাই জাতির জন্য খারাপ খবর ছিলো।

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৬

আবু ছােলহ বলেছেন:


যে কোনো দলের জন্ম বা ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে গঠনমূলক সমালোচনা হওয়া উচিত শালীন ভাষায়।

৬| ০২ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: দলে গনতান্ত চালু না করলে দলটি এমনিতেই বিলিন হয়ে যাবে।

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



একদম ঠিক, গণতন্ত্রহীন দল টিকতে পারে না—অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতাই টিকিয়ে রাখে।

৭| ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:৫৯

কাঁউটাল বলেছেন: হাউয়ামী লীগ একটা ক্রিমিনাল দল হয়ে গেছে। এদেরকে দমন করতে হবে।

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:২০

আবু ছােলহ বলেছেন:



অধিকাংশ মানুষের ধারণার সাথে আপনার মিল আছে। চরম ফ্যাসিবাদে আক্রান্ত এই দলটি এখন সাধারণ জনতার কাছে অপরাধীদের সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

৮| ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ৯:০৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আওয়ামিলীগ যদি কখনও আবার ক্ষমতায় আসে তবে সামনে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে জনগনকে পাশে পাবে। মানুষ প্রকৃতগতভাবে সবচেয়ে ঘৃনা করে বেইমান ও মীরজাফরদের।

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



যথার্থ বলেছেন। অপরাধীদের বিচার না হলে মানুষের মাঝে স্বাভাবিকভাবেই হতাশা বৃদ্ধি পায়। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে প্রয়োজন শান্তি, ন্যায়বিচার ও সচেতন রাজনৈতিক অংশগ্রহণ।

৯| ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:০৪

কিরকুট বলেছেন: আওয়ামীলীগ এর ক্ষমতায় আসার ভয় একমাত্র নতুন কিছু ছাগলের দ্বারা গঠিত দল, যে দলের পাঠা গুল মাঝে মাঝেই ভ্যা ভ্যা করে শব্দ দুষন করে। তো এরাই ভয়ে থকাবে। বিএনপি নয়। যদি তাই হতো, বিএনপি বিগত ১৫ বছরে নিঃশ্চহ্ন হয়ে যেত।

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭

আবু ছােলহ বলেছেন:



আওয়ামীলীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল। এটি অপরাধীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। গত ১৫/১৬ বছর তারা অপরাধের রাষ্ট্র কায়েম করেছিল। দেশের সাধারণ মানুষ ছিল ভীত সন্ত্রস্ত ও তটস্থ। দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ছিল না। ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট আর বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ পাচারে ব্যস্ত ছিল নেতা মন্ত্রীরা। দলীয় ক্যাডাররা লিপ্ত ছিল ধর্ষন, গুম, খুন আর নারকীয় হত্যাযজ্ঞে।

এই ফ্যাসিস্টরা আবার ক্ষমতায় এলে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ণ করেই ক্ষান্ত হবে না, এরা নতুন সিস্টেমে আধুনিক বাকশাল কায়েম করবে।

১০| ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:৫৬

ইলি বলেছেন: আওয়ামীলীগ এর ক্ষমতায় আসার ভয় একমাত্র জামাত ও এন সি পি করতেছে। বি এন পি না।

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



বিএনপি গত ১৬ বছর সুষ্ঠুভাবে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচী দিতে পারেনি কেন? মাঠে নামতে পারেনি কেন?

এই ফ্যাসিস্টরা আবার ক্ষমতায় এলে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ণ করেই ক্ষান্ত হবে না, এরা নতুন সিস্টেমে আধুনিক বাকশাল কায়েম করবে।

১১| ০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: এনসিপি বলছে আওয়ামীলীগ খারাপ, খুনী, দূর্নীতিবাজ ইত্যাদি। তাহলে এনসিপি আওয়ামীলীগকে ভয় পাচ্ছে কেন?

০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৩

আবু ছােলহ বলেছেন:


শুধু এনসিপি কেন, সবার ভেতরেই আওয়ামীলীগ ভীতি আছে। কারণ, এটি একটি ফ্যাসিস্ট দল। এটি অপরাধীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। গত ১৫/১৬ বছর তারা অপরাধের রাষ্ট্র কায়েম করেছিল। দেশের সাধারণ মানুষ ছিল ভীত সন্ত্রস্ত ও তটস্থ। দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ছিল না। ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট আর বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ পাচারে ব্যস্ত ছিল নেতা মন্ত্রীরা। দলীয় ক্যাডাররা লিপ্ত ছিল ধর্ষন, গুম, খুন আর নারকীয় হত্যাযজ্ঞে।

এখন অনলাইনে ইনিয়ে বিনিয়ে যারা আওয়ামীলীগের গুনগান গায় এরাও ফ্যাসিস্টের উচ্ছিষ্টভোগী এবং দোসর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.