নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ যা জানে এবং দেখে তাতে সে সন্তুষ্ট নয়

বেশী বেশী জানতে চাই

আবু সুফিয়ান সোহাগ

বাস্তব বাদী

আবু সুফিয়ান সোহাগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজ ও সংস্কৃতি

১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২১

সমাজ ও সংস্কৃতি আমাদের এমনই এক পর্যায় নিয়ে দাড় করিয়েছে যেন যান্ত্রিক যুগে যান্ত্রিক মানুষ হয়েই বসবাস করছি। ব্যক্তিত্ব আছে, বিবেক আছে তবুও বিবেক আজ দিশেহারা। সত্যি কথা বলতে আজ আমরা নানাবিধ মোহের মধ্যে আটকা পরে আছি। যার কারনে আমরা আমাদের স্বাভাবিক চিন্তা চেতনা থেকে ক্রমান্বয়ে দূরে স্বরে যাচ্ছি। বিবেকহীন সব কথাবার্তা বলছি। ভালো মন্দের পার্থক্য ঠিকই বুঝি কিন্তু তারপরও মন্দের সমর্থনে নিজের বুক ফাটাই । স্বার্থের জন্য নিজের জ্ঞান ,গরিমা এমনকি ধর্মকেও জলাঞ্জলি দিতে দ্বিধা বোধ করি না। নিজের চোখের সামনে অন্যকে কুপিয়ে মারার দৃশ্য দেখেও চুপ করে নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকি। কি আশ্চর্য, কি লজ্জার এতটুকু আত্মসমালোচনা বোধও আমাদের মধ্যে নেই। আমরা কি করছি ? আজ অন্যের ভাই, বোন কিংবা সন্তান আপনার চোখের সামনে অত্যাচারিত হবে, কাল আপনার ভাই, বোন কিংবা সন্তান অন্যের চোখের সামনে যে অত্যাচারিত হবেনা তার গ্যারান্টি কি আপনি দিতে পারবেন ?



দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে, ধর্মে ধর্মে আজ দ্বন্দ্ব লেগে আছে। এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য নানান রকম কৌশল ব্যাবহার করছেন। নিত্য নতুন অস্ত্র বানাচ্ছেন বোমা বানাচ্ছেন । রকেটের আঘাতে ধ্বংস করে দিচ্ছেন সব কিছু। কিন্তু একবারও কি কাগজে কলমে হিসেব করে দেখেছেন আপনার লাভের অংশ কতটুকু। আপনি বোমা মেরে দশ, বিশ কিংবা একশ জনকে মারলেন কিন্তু আপনার কি লাভ হল। সাময়িক ভাবে হয়তো কিছুটা লাভবান হবেন কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আপনি সবচেয়ে দুর্ভাগা। পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি এমন কোন মাখলুকাত আসেনি কিংবা কিয়ামত পর্যন্ত এমন কোন মাখলুকাত আসবে না যে, সে দাবী করতে পারে আমি অমর। একদিন না একদিন আপনাকে আমাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। আর মৃত্যুর পর কি হবে, কোথায় যাবেন সেটা কি একবারও ভেবে দেখেছেন ? আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আপনার বিশ্বাস করতে হবে আর এটাই ঈমানের বড় একটি অংশ ।আর আপনি মুসলিম না হলে আপনি কি ভাবেন সেটা আমার জানার কথা নয়। কিন্তু আপনি যদি মনে করে থাকেন মৃত্যুর পর কিছুই হবে না তাহলে সেটা আপনার ভুল ধারনা। তর্কের খাতিরে যদিবা ধরে নেই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন থাকার সম্ভাবনা ৫০:৫০ অর্থাৎ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। যদি না হয় তাহলেতো আপনি বেঁচেই গেলেন। আর যদি থাকে তাহলে সেদিন কোথায় যাবেন? কি করবেন, একবারও কি ভেবে দেখেছেন ?



একসময় দেখতাম আমাদের মা চাচীরা কোথাও বেড়াতে গেলে তাঁদের সাথে ছাতা নিয়ে বেরোতেন (আগে এক রকমের ছাতা ছিল অনেক বড়) । কোন পুরুষ আসতে দেখলে রাস্তার কিনারায় বসে ছাতা দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখতেন যতক্ষণ না পর্যন্ত পুরুষটি তাকে অতিক্রম করছেন , কিংবা কোথাও রিক্সায় করে যেতে হলে সে এক আরেক কাণ্ড । রিক্সার চারপাশে কাপড় পেঁচিয়ে ছোট বাক্সের মত করে তারপর রওনা দিতেন। আমিও কত গিয়েছি আম্মার সাথে নানা বাড়ি বেড়াতে। কিন্তু আজ সে দিন কোথায় গেলো ? কোথায় গেলো সেই সংস্কৃতি ? আজ কেন আমরা আমাদের মা বোনদের সেই সাজে আর দেখতে পাই না?আজ তারা বিমান চালাচ্ছেন , গাড়ি চালাচ্ছেন , অফিস আদালত , ব্যাংক, বীমা এমনকি দোকানে বসে ব্যাবসা করছেন। আমার কোন আপত্তি নেই নারীদের চাকুরীর ক্ষেত্রে কিংবা ব্যাবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে । শুধ প্রশ্ন আপনি কি আপনার হিজাব যথাযথ ভাবে পালন করেই এসব করছেন ?যদি না করেন তাহলে কেন হিজাব পালন করছেন না ? করলে কি সমস্যা সেটা জানতে চাই? কেনই বা বিজ্ঞাপনে অপ্রয়োজনীয় ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছেন ? যে বিজ্ঞাপনে নারীর আদৌ কোন প্রয়োজন নেই সেই বিজ্ঞাপনেও আপনাকে ব্যাবহার করা হচ্ছে যথেচ্ছ ভাবে। আর আপনি সামান্য কিছু টাকার জন্য বিলিয়ে দিচ্ছেন নিজের সবকিছু। এতে আপনার সম্মান কতটুকু বেড়েছে আমি জানি না, তবে আমার মতে আপনাদের বাজারের পন্যের মত টাকা দিয়ে কিনে খেয়াল খুশি মত ব্যাবহার করছে কিছু মহল।



বিজাতীয় সংস্কৃতির বহুল ব্যাবহারের ফলে আজ অশালীনতা কে অশালীন মনে হয় না । মনে হয় এটাই শালীন এটাই বুঝি আমার উপরে উঠার সিঁড়ি। আজ ছকিনার জন্য আঃ কুদ্দুস কিংবা আঃ কুদ্দুস এর জন্য ছকিনা পাগল হয়। জড়িয়ে পরে অনৈতিক কার্যকলাপে । ইভটিজিং এর মাত্রা বেড়েই চলছে । কেন বাড়ছে সেটা বোধয় আমার আর বোঝাতে হবে না । একটি গোলাপ যখন অপরিস্ফুটিত অবস্থায় থাকে অর্থাৎ যে গোলাপ এখনো ফোঁটেনি তার ঘ্রান কেউ নিতে চায় না। প্রজাপ্রতি তার মধু সংগ্রহ করতে আসেনা। কিন্তু যখনি তার বহিরাবরণ ছেড়ে নিজেকে প্রকৃতিতে মেলে ধরে তখনই সবাই তার সুবাস নিতে চায়, প্রজাপ্রতি তার মধু সংগ্রহ করতে আসে। ঠিক তেমনি নারীরা যদি নিজেদের আবৃত করে রাখত তাহলে আমার মনে হয় এসব ইভটিজিং এর মত ঘটনা কিংবা এই নামের সাথেই আমরা পরিচিত হতাম না ।



চারিত্রিক অবক্ষয়ে দিশেহারা সমাজে আজ আমাদের বসবাস। আমাদের কথা না হয় না’ই ভাবলাম কিন্তু আমাদের অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে যদি এখনি সমাজটাকে ঢেলে সাঁজাতে না পারি তাহলে এ ব্যর্থতার দায়ভার আমাদেরই বহন করতে হবে।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.