নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুমার ব্যাপারী

Nurul Afser Ratan

ব্লগ দেখতে ভালবাসি, লেখার সময় পাই না।

Nurul Afser Ratan › বিস্তারিত পোস্টঃ

ই-সিগারেট কি আপনাকে ধুমপান থেকে মুক্তি দিতে পারে?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

ই-সিগারেট কি আপনাকে ধুমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করতে পারে? যদি পারে কিভাবে অথবা কেন? ধুমপান ছেড়ে ই-সিগারেট ব্যাবহার করে আপনি আরো ক্ষতিকর কিছু বেছে নিচ্ছেন নাতো? এটা ব্যাবহার করলে খরচ কেমন পড়বে? আপনাদের এজাতীয় কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমার এ লেখা। যেহেতু সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে লেখার পরিমান অনেক বড় হয়ে যাবে, তাই লেখাটি কয়েক পর্বে প্রকাশ করার চেষ্টা করবো।



আপনি যদি একজন ধুমপায়ী হয়ে থাকেন, অথবা আপনার নিকটজন কেউ ধুমপায়ী হয়ে থাকেন, তবে এ লেখাটি আপনাদের কিছুটা হলেও অনুপ্রাণিত করতে পারবে বলে আমার ধারণা।



যেকোন ধুমপায়ী মাত্রই সিগারেট ছাড়তে চায়, অন্তত আমার ১৮ বছরের ধুমপায়ী জীবনে যে কজন ধুমপায়ীকে দেখেছি, তাতে এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই। শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তি দিয়েই ধুমপান ত্যাগ করা সম্ভব। আমি একাধিক ব্যাক্তিকে দেখেছি, যারা এটা করে দেখিয়েছে। তবে এজাতীয় লোকের সংখ্যা কম, খুবই কম। আবার যারা এভাবে ধুমপান ছেড়ে দেন, তাদের অনেকেই কিছুদিন পরে আবার ধুমপান শুরু করেন। বিশ্বব্যাপী বর্ত মানে এন্টি টোবাকো আন্দোলনের যেভাবে বিস্তার ঘটছে, তাতে করে অধিকাংশ লোকই এখন ধুমপান ছাড়ার ব্যাপারে সচেতন। কিন্তু জোর করে ধুমপান ছাড়া কি সম্ভব? এর উত্তর হল - সম্ভবত ন। কারন হল নিকোটিন। এটি একটি আসক্তি উৎপাদনকারী উপাদান, যেটি ধুমপায়ীর মস্তিষ্ককে প্ররোচিত করে ধুমপানের জন্য। তাই ধুমপায়ীদের ধুমপান ছাড়ানোর জন্য গবেষকরা কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যার অধিকাংশের মূলে আছে ধুমপায়ীকে নিকোটিন সরবরাহ করা, তবে ধুমপানের মাধ্যমে নয়।



আমাদের মাঝে অনেকেই জানিনা যে, ধুমপানের কারনে যে পরিমান ক্ষতি হয়, তার পেছনে নিকোটিনের অবদান অতি সামান্য, বলতে গেলে নেই বললেই চলে। আসলে মূল ক্ষতিটা হয় তামাক পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন ধোঁয়া এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থে র কারনে। মূলত এরাই ক্যানসারের কারন। অন্যদিকে ধুমপায়ীরা তামাক ব্যাবহার করে শুধুমাত্র নিকোটিন গ্রহনের তাড়না থেকেই। ফলে, যদি এমন কোন উপায় বের করা যায়, যার মাধ্যমে ধুমপায়ীরা নিকোটিন পাবে ঠিকই, কিন্তু ধোঁয়া বা অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে থাকবে সম্পূর্ন মুক্ত, তবে তার মাধ্যমে ধুমপায়ীদের ক্ষতির পরিমান উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমিয়ে ফেলা সম্ভব।



প্রথমেই বলে রাখা ভাল, ধুমপান থেকে মুক্তির জন্য ডাক্তাররা যে সকল পদ্ধতির কথা প্রেসক্রিপশনে লিখে থাকেন, তার মধ্যে ই-সিগারেট এখনো উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে পারেনি। কি কারণে এটা হয়নি সেটা বলার আগে আপনাদেরকে বলতে চাই যে, অন্যান্য যে যে সকল পদ্ধতির কথা ডাক্তাররা বলে থাকেন, তার একটিও ১০০% কাজ করেনা। তার চেয়েও বড় কথা এগুলো ব্যবহার করা সহজ নয় এবং এদের পেছনে খরচও কম নয়।



অন্যদিকে ই-সিগারেট ব্যবহার করে আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে অসংখ্য লোক বর্তমানে ধুমপান থেকে ১০০% মুক্ত। কিভাবে এটা সম্ভব? এর পেছনে আছে কিছু শারিরীক, মানসিক, এবং রাসায়নিক কারণ। আমার লেখার আগামী পর্বে এটা নিয়ে আরো লিখবো।



(আমি কোন বিঞ্জানী নই, আমার কোন গবেষণাও নেই, এখানে যে লেখাগুলো লিখছি এগুলো বিভিন্ন ইংরেজি ব্লগ/আর্টি কেল থেকে নেয়া। যদি লেখাটি পড়ে এটি শেয়ার করতে চান বা অন্য কোথাও প্রকাশ করতে চান, তবে অনুগ্রহ করে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। এছাড়াও যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলেও জানাবেন।)



(Previously posted in http://www.facebook.com/vapebd)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আমি ১৭-১৮ বছর পরে আপাতত গত ৫-৬ মাস থেকে ধুমপান মুক্ত......নিজের মধ্য এখোনো আসক্তিটা অনুভব করতে পারি........ধুমপায়ীদের সিগ্রেট খাওয়ার ব্যাপারটা এখোনো ঘ্রানের মতো লাগে.....(গন্ধ লাগেনা...) :P

এর আগেও এক বছরের জন্য ছেড়ে পরে কি মনে করে আবার শখ করে একখান সিগ্রেট খেয়ে প্রতিরোধের সলিল সমাধি করেছিলাম........জানিনা এবার কদ্দুর যেতে পারবো........

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

Nurul Afser Ratan বলেছেন: ”দোস্ত একটান দে - কিছু হবেনা “ , “সিগারেটই যদি ছেড়ে দিলি তো আর কি থাকলো” - এ সমস্ত কথা যারা বলে তাদের থেকে দূরে থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.