![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ও আমার তিন বন্দু কোথাও যাবার জন্য দারিয়ে আছি সায়েদাবাদে হানিফ বাসএর কাউন্টারে, এমন সময় ৭-৮ বছরের একটি মেয়ে আমাদের কাছে এসে বলল, “ভাই দুইডা টাহা দেন কিছু খামু” তার অবস্তা দেখে আমাদের মায়া হল, তাকে জিঙ্ঘাসা করলাম, তোমার বাবা নাই, সে বলল “মায় আরেক লোকের সাথে চইল্লাগেছে, হেরপর আব্বা আরেক বিয়া করছে, আব্বা হের লগে আমারে থাকতে দেয় না আমি দাদির লগে থাহি, দাদি মাইনষের বাসায় কাজকরে ’’।
মেয়েটির নাম পূর্নিমা, প্রতিদিন বারছে পূর্নিমারমত পথশিশুদের সংখ্যা। আমরা তিন জনে মিলে তাকে ৪০ টাকা দিলাম। কিন্তু এটাই কি সমাধান, এদের জন্য আমাদের সমাজ, সরকার ও বৃত্তশালীদের কি কিছুই করার নেই? সরকারিভাবে এদের পর্যবেক্ষনের কোন ব্যবস্থা আছে কিনা আমার জানা নেই।
বাংলাদেশের প্রায় সবকটি জেলায় “সরকারী শিশু পৃর্নবাসন কেন্দ্র রয়েছে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এর পরেও কেন রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে অবিভাবকহীন হাজার হাজার পথশিশুদের দেথা যায়। যাদের না আছে খাবার কোন ব্যবস্থা আর না আছে থাকার কোন নিশ্চয়তা। এদের দূর্বলতাকে ব্যবহার করছে আবার আপরাধী চক্র- মাদক পাচার , ছিনতাই, মানুষের বাসাবারিতে চুরি, টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষ হত্যা এবং ভিবিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে এদের ব্যবহার বারছে দিন দিন।এছারা পথশিশুদের মধ্যে প্রায় সবাই কোন না কোন ভাবে নেশাগ্রস্ত। পরবর্তিতে এরাই আবার জরিয়ে পরে বড় বড় সন্ত্রাশি কর্মকান্ডে।
তাই যত দ্রুত সম্বব পথশিশুদের পৃর্নবাসনের ব্যবস্থা করে এদের সংখ্যা শুন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য সরকারকে এদের পরিসংখান তৈরি করে পর্যায়ক্রমে সকল পথশিশুকে পৃর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপশি বিভিন্ন সংগঠন ও বৃত্তশালিদের এগিয়ে আসতে হবে এবং কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
সমাজের প্রত্যেকটি মানুষকে মানবিক কারনে এদের পাশে এসে সাহাস্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তবেই সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করে স্বর্নিভর বাংলাদেশের সপ্ন বাস্তবায়ন করা।
©somewhere in net ltd.