১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: এই ঘোষনা উনি ভুলেও দিবেন ণা। আপনি লিখে রাখুন।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

পথহারা সৈকত বলেছেন: হেরা কি আমগো কতা হুনব?

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

শফিক আলম বলেছেন: খালেদা জিয়ার গত দুই দশকের রাজনৈতিক ইতিহাস দেখলে কি আপনি যা চেয়েছেন তা আশা করতে পারেন?

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

এস এম সাইদুর রহমান বলেছেন: ভালো লাগলো।
আমরা জনগন ভালো কিন্তু আমাদের খারাপ পথে নেয় রাজনিতিবিদ রা । রাজনিতিবিদ্ রা ভালো হলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি অনেকদুর জেতে পারব।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

শিক কাবাব বলেছেন: আমি এক মজার লোক। আমি কোনো সরকারী চাকরী করি না, প্রাইভেট চাকরীও না। রাজপথে একটিভ রাজনীতিও করি না, কাউকে সমর্থনও করি না। না আমি পুলিশ, না ডাক্তার, না মাষ্টার। তবুও আমি সব সময়ই : বর্তমান সরকারের পক্ষে। আম্লিগ হোক, বিম্পি হোক, আমি সব সময় বর্তমান সরকারের পক্ষে, বিরোধী দলের বিপক্ষে। তবে, ৫ বছর পর যদি পুরাতন সরকার আবার ক্ষমতা পায় আমি এর বিপক্ষে। কারণ বর্তমান সরকারের কুকামের সাজা দেয়ার জন্য পরের টার্মে নতুন সরকার আসা জরুরী।

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

সামুরাই হান বলেছেন: চমৎকার । সহমত ।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

শোয়েব হাসান বলেছেন: সহমত আপনার সাথে

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

শিক কাবাব বলেছেন: ব্যাখ্যা না করলে জনগন বুঝবে না। বর্তমানে আম্লিগ ক্ষমতায়। আমি আগামী নির্বাচনে বিম্পিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবো। আবার ৫ বছর পর নতুন নির্বাচনে আম্লিগকে ভোট দিবো। অর্থাৎ প্রতি ৫ বছর পরপর একই দলকে ভোট দিতে থাকবো না। কারণ একই দল যদি ১০ বছর ক্ষমতায় থাকে তাহলে তা রাজতন্ত্রের মত হয়ে যাচ্ছে।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

রিফাত হাসান০২২৮ বলেছেন: উনি কখনই এমন ঘোষনা দিবেন না ...
যেখানে তারেক রহমান বলেন "বিএনপি ও জামাত একই মায়রে দুই সন্তান "
মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া,
আমি স্বাধীন বাংলাদেশের একজন তরুণ নাগরিক বলছি। আপনি কেবল বিএনপির নেতা নন, আপনি গোটা বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপমৃত্যুর সরাসরি সুবিধাভোগী হিশেবে আপনি একাধিকবার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবার সুযোগ পেয়েছেন। শেখ মুজিবের স্বাভাবিক মৃত্যু হলে আপনার স্বামী বা আপনি কখনোই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারতেন না। সেক্ষেত্রে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তার স্ত্রী হিশেবে শহিদ মইনুল রোডে সকাল-বিকাল জগিং করেই এখন আপনার সময় কাটত। দৈবক্রমে অতীতে আপনি প্রধানমন্ত্রী কিংবা বর্তমানে বিরোধীদলীয় নেতার ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। দৈবক্রমে ক্ষমতাও এলেও, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বল্প হলেও দেশপরিচালনায় আপনাকে ব্যর্থ বলা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী হিশেবে আপনাকে আপনার শত্রুরাও অসফল বলতে পারবে না।

আপনার দুই পুত্রের দুর্নীতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ার পরেও আপনি সম্প্রতি তা অস্বীকার করেছেন, তাও আমার আলোচ্য বিষয় নয়। আমার উদ্বেগের বিষয় জামায়াতে ইসলামির সাথে আপনার জোটবদ্ধতা। আপনার পতি ও আপনার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে আপনি ও আপনারা 'মহান স্বাধীনতার ঘোষক' হিশেবে দাবি করে চলছেন। আপনাদের দাবি আমি মেনে নিলাম। স্বাধীনতার 'ঘোষকই' হোন, আর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের 'পাঠকই' হোন; মার্চের যে তারিখেই হোক, জিয়া শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণা 'পাঠ' করেছিলেন, ইতিহাসে তা অবশ্যই লেখা থাকবে।
এখন আপনিই বলুন, যে দলের প্রতিষ্ঠাতা 'স্বাধীনতার ঘোষক' বা 'পাঠক', সেই দল চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে কীভাবে জোট করে? আপনার পতি 'স্বাধীনতার ঘোষক' হয়ে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী শাহ্ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করলেন কীভাবে? স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী হয়ে আপনি কীভাবে ঘৃণ্য স্বাধীনতাবিরোধী নিজামি-মুজাহিদদেরকে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে পবিত্র জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাধীনতাকে অপবিত্র করলেন?

জানি, 'রাজনীতিতে শেষকথা বলে কিছু নেই', তাই বলে যুদ্ধাপরাধীদেরকে আঁচলতলে ঠাঁই দেয়াই কি তবে রাজনীতির 'শেষকথা'? শেষকথার আরও কিছু বাকি আছে? আওয়ামি লিগ এবং দেশের সাধারণ মানুষ বরাবরই জামায়াতকে কোণঠাসা করে রেখেছে, নিজস্ব জঙ্গিবাহিনী ছাড়া জামায়াতের পেছনে জনসমর্থন নেই, তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন কেবল আপনি! চিন্তা করে দেখুন তো -- আওয়ামি লিগ ও বিএনপি মিলে একসাথে ধাওয়া করলে জামায়াত পালাবার জায়গা পেত কি না, দুঃসাহস পেত কি না বিজয়ের মাসে হরতাল ডাকার? স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে আঁচলতলে রাখাটাই কি আপনার পতির স্বাধীনতার ঘোষণার নমুনা? 'দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও' স্লোগানের ক্যামোফ্লেজে 'জামায়াত বাঁচাও, রাজাকার বাঁচাও' নীতিই কি আপনার আপসহীনতার নজির?

জন্ম সেনানিবাসেই হোক, আর যেখানেই হোক, দল হিশেবে বিএনপি একটি মহীরূহ। সেই মহীরূহ দলটিকে জামায়াতের সাথে মিশিয়ে আপনি কি একটি ঐতিহাসিক ভুল করলেন না? জামায়াত বিএনপি-নির্ভর, নাকি বিএনপিই এখন জামায়াত-নির্ভর? জামায়াতের গর্ভাশয়ে বিএনপির ঢুকে যাওয়া প্রসঙ্গে আপনারই প্রিয়পাত্র আরেক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছিল, "লেজে কুত্তা নাড়ায়? নাকি কুত্তায় লেজ নাড়ায়?" এহেন মন্তব্যের জেরে আপনি তাকে দল থেকে বহিষ্কৃতও করেছিলেন! আপনার জেনে রাখা দরকার, অনলাইনজগতের অধিকাংশ তরুণ আপনাকে 'বিএনপির চেয়ারপার্সন' নয়, বরং 'বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামির বিএনপি শাখার মহিলা আমির' বলে সম্বোধন করে! আপনি হয়তো নিজেই জানেন না যে, বিএনপি অবচেতনভাবেই বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামির একটি 'শাখা' হয়ে গেছে এবং আপনি হয়ে গেছেন সেই শাখার 'মহিলা আমির'! এর চেয়ে আর কত অধঃপতন ঘটলে তবে আপনার হুঁশ হবে? আপনারই দলের ছাত্রসংগঠন 'ছাত্রদল' বহু আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে যে, ছাত্রদল ছাত্রশিবিরের সাথে কোনো জোটবদ্ধ আন্দোলনে যাবে না। ছাত্ররা জামায়াত-শিবিরকে চিনল এবং বর্জন করল, অথচ আপনি জামায়াতকে চিনলেন না! বিএনপিরই অনেক নেতা আছেন, যারা জামায়াতের সাথে বিএনপির জোটবাঁধার প্রসঙ্গ এলে লজ্জায় মাথা হেঁট করে রাখেন; তাদের হেঁট-হওয়া লজ্জিত মাথা কি আপনার দৃষ্টি পর্যন্ত পৌঁছে না? জামায়াতের সাথে বিএনপির জোটের ব্যাপারে তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপিনেতাদের আপত্তি কি আপনার কান পর্যন্ত পৌঁছে না? আপনাকে দৃষ্টিহীন করে রেখেছে কে? আপনাকে বধির করে রেখেছে কে? আপনাকে কে বানিয়ে রেখেছে জামায়াতপ্রতিবন্ধী?

আমেরিকা যার বন্ধু, তার যেমন শত্রুর দরকার পড়ে না; জামায়াত যার বন্ধু, তারও তেমনি শত্রুর দরকার পড়ে না। জামায়াতের পেছনে জনসমর্থনের যে ঘাটতি, তাতে এত দিনে জামায়াত থাকত মুমূর্ষু অবস্থায়। আলো দিয়ে, বাতাস দিয়ে সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা করে জামায়াতকে অদ্যাবধি আপনিই বাঁচিয়ে রেখেছেন।

আপনার বয়স হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবেই আপনি একসময় পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন। কিন্তু জামায়াতের সাথে জোট বেঁধে যে ঐতিহাসিক ভুলটি আপনি করলেন, ইতিহাস তার ক্ষমা করবে না। ইতিহাস ক্ষমা করেনি মহা-উদ্ধত আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানকে, ইতিহাস ক্ষমা করেনি মহা-ধুরন্ধর জুলফিকার আলি ভুট্টোকে; ইতিহাস ক্ষমা করেনি মহা-বেইমান খন্দকার মোশতাক আহমেদকে! ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াবার ভয় আপনার কতটুকু আছে, তা অবশ্য আমি জানি না!

এখনও সময় আছে। আপনার দলের তৃণমূল নেতাদের, আপনার ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের, সর্বোপরি জনতার আহ্বান-আওয়াজ শুনুন -- আঠারো দলীয় জোটকে প্রয়োজনে ছত্রিশ দলীয় জোট করুন, তবু দয়া করে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ুন। জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে আপনার ভোট কমবে না, বরং বাড়বে; এবং বিএনপি ও আপনি মুক্তি পাবেন জামায়াত নামক একটি ঐতিহাসিক অভিশাপ থেকে!

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: ভাই না বুঝে একটা ভুল পথে প্রবাহিত করছেন কি না জানিনা। তবে এরকম কিছু করতে গিয়ে বরঞ্চ রাজাকারদের বিষয়ে জাতীকে দ্বিধাবিভক্তই করবে এবং এই রাজাকার বিরোধী বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া বেশি কিছু হবে বলে মনে হয় না।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

এই আমি সেই আমি বলেছেন: বি এন পি তো হত্যা কাণ্ডের বিচার করে না, হত্যা কাণ্ডের বিচার করা যাবেনা এই মর্মে ইনডেমনিটি আনে।

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

রাফা বলেছেন: উনিতো বিচার চান শধু ১৯৫-জনের ।নিজামি,গো.আজম,মুজাহিদ কিংবা সাকার বিচার চান না।শধু শেখ হাসিনার বেয়াইর বিচার চান উনি। কারন শেখ হাসিনার বেয়াইর চেয়ে বড় রাজাকার আর কেউ নেই।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: @লেখক: রিফাত হাসান০২২৮ ভাই বলে দিছেন। আমি আর কি বলব। দেখেন , আওয়ামী লিগ পদ্মা সেতু করতে পারবে না, তাই উনি বলছেন ক্ষমতায় গেলে দুইটা সেতু করবেন, আওয়ামি লিগ বিদ্যুত দিতে পারছে না পুরোপুরি , উনি বলছেন উনি দিবেন, আওয়ামি লিগ দেশের উন্নয়ন করতে পারছে না , উনি বলছেন উনি দেশকে বদলে দিবেন, সরকার দলের লোকদের লুটপাটের বিচার করছে না , উনি বলছেন উনি এসব লুটপাটের বিচার করবেন। কিন্তু উনাকে কি ভুলেও একবার বলতে শুনছেন, আওয়ামী লিগ বিরোধী দলের নেতাদের বিচার করছে, আমরা ক্ষমতায় গেলে সরকারী দলের যুদ্ধপরাধীদের বিচার করবো। এমনকি বিএনপির কোন নেতাও এরকম কোন কথা বলছে না। ওদের কথার সুর হলো, ভাই যুদ্ধপরাদী তোর দলেওআছে, তাই আমগো গুলোরে ছাইরা দে, আমরা কাইন্দা বাচি, তোরাও বাচ। ভন্ড সব। কেন হাসিনার নামে যদি মিগ-২৯ মামলা করতে পারে , তাইলে হাসিনার বেয়াই এর বিচার করতে তোগো এত লজ্জা কিসের। ভন্ডামির একটা লিমিট আছে, বিএনপি যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে সেই লিমিট ক্রস করে ফেলছে।

ধন্যবাদ