![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে হচ্ছে শিরোনামটা যুতসই হল না।
এগুলা হচ্ছে ইহুদি নাসারাদের চক্রান্ত, আমেরিকার চাল, ভারতীয় দালালদের ষড়যন্ত্র, ইজরাইলই হচ্ছে সকল সমস্যার মূল।
জ্বী হ্যাঁ বন্ধুগণ আজ আপনাদের শিখাব কিভাবে যাবতীয় দোষ অন্যের ঘারে চাপিয়ে দিয়ে নিজে সাধু সাজা যায়?
কিছু প্রশ্ন?
-সাম্প্রদায়ীকতা ছড়ায় কারা?
-ভিন্ন মতালম্বীদের সব সময় শত্রু মনে করে কারা?
-ভিন্ন মত / ভিন্ন গোষ্ঠিকে সহ্য করতে পারে না কারা?
-নিজেদের যে কোন দূরাবস্তার জন্য ভিন্ন গোষ্ঠি ( ইহুদী নাসাড়া, ভারত,আম্রিকা,ইজরাইল) কে দায়ী করে কারা?
সচেতন মানুষ মাত্রই এসব প্রশ্নের উত্তর জানেন কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রকাশ করতে পারেন না মনে এক ধরণের ভীতি কাজ করে। একে তো আল্লাহর ভয় তার উপর সমাজের ভয় তো আছেই।
সমস্ত ভয় ডরের ঊর্ধে উঠে আমি তা আপনাদের হয়ে প্রকাশ করে দিচ্ছি। ভুল হলে ক্ষমা করার প্রয়োজন নেই, আমাকে জাস্ট ভুলটি ধরিয়ে দিন আমি তা শুধরে নিব। ভুল স্বীকার করতে মুক্তমনারা লজ্জ্বীত নয়।
এবার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছি
উপরোক্ত প্রশ্নেগুলোর এক কথায় উত্তর হচ্ছে, মুসলিমরা।
হ্যাঁ আমরা মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশী সাম্প্রদায়ীকতা ছড়াই। প্রতিটি মুসলিমের মধ্যেই শুপ্ত অথবা অশুপ্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকে সাম্প্রদায়ীকতার বীজ। ছোট সময় থেকেই ধর্ম/ ধার্মিকেরা তাদের সে শিক্ষাই দেয়। একজন মুসলিম শিশু পরিবার এবং সমাজ থেকে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়, সচেতন অথবা অবচেতন ভাবেই সম্প্রাদায়ীকতার শিক্ষা পায়।
প্র্যাকটিক্যাল মুসলীমরা, মানে সহীহ মুসলীমরা আরও খোলাসা করে বললে আলেম সমাজ এবং মসজিদের হুজুররাই সবচেয়ে বেশী সাম্প্রদায়ীকতা ছড়ায় আর ভিন্ন ধর্ম ভিন্ন গোষ্ঠিকে ইঙ্গিত করে নানা কূটুক্তিমুলক বক্তব্য প্রদাণ করে। (কখনোই তারা নিজেদের দোষ দেখতে পায় না)
ময়না তদন্ত কেন মুসলীমদের কথাই বললাম? - কারণ এটাই সত্য। আমি নিজেও মুসলীম এবং একসময় প্র্যাকটিক্যাল মুসলীম ছিলাম ( শুধু তাই নয় কিছুটা জিহাদী মাইন্ডেডও ছিলাম ওই সময়টাতে আমাকে জঙ্গিতে রুপান্তর করা অসম্ভব কিছু ছিল না। ) এখনও মাঝে মাঝে ধর্ম পালন করি জ্ঞান অর্জনের উদ্দ্যেশ্যে কোন পূণ্যের আশায় নয়। মানে সত্যিই আমি ভুল পথে আছি কি না তা যাচাই করার জন্যই ধর্ম কর্ম পালন করি, ধর্মীয় সমাবেশে যাই, হুজুরদের বয়ান খুব মনযোগ সহকারে শুণি। বেশ কিছু হুজুরের সাথে আমার নিয়মিত উঠাবাসা তাদের সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমার অবিশ্বাসের কথা তারা জানে না,( একজন ছাড়া) তাদের সাথে মূলত ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় আশয় নিয়ে আলাপ হয় এভাবেই নিজকে যাচাই করি।
বলতে লজ্বা নেই- আমার অবিশ্বাসের অন্তত ৬০% কারণ এই সব হুজুরেরা বা প্র্যাকটিক্যাল মুসলীমেরা। তাদের সাথে যত মিশেছি, যতই ঘনিষ্ঠ হয়েছি, যতই তাদের চিন্তাধারার সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করেছি ততই আমার মনে অবিশ্বাসের ভীত শক্ত হয়েছে।
তার মানে এই হাদিসটি সহীহ- হাদিসে আছে আলেমরা সবার আগে দোযখে যাবে ৪০ কাতার আলেমদের মধ্যে মাত্র এক কাতার বেহেশতে যাবে।
উল্লেখ্য- আমাদের দেশের অধিকাংশ আলেম,হুজুররাই বেশ শ্বান্তিপ্রীয় শুধু ওই জিহাদীরা ছাড়া। জিহাদীরাও কিন্তু শ্বান্তিপ্রীয় শুধু ধর্মের ব্যপারটি ছাড়া, ধর্মের ব্যপারে তারা যারপর নাই উগ্র। জিহাদীরা সাধারণত চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই, অন্যন্য অপকর্ম করে না। শুধু ধর্মীয় ব্যপারে তারা খুন করতে দিধা বোধ করে না। আর এটাকে তারা পূণ্যের কাজই মনে করে, ধর্ম থেকে তারা সে শিক্ষায় পায়।
এবার আসি মূল কথায়- যদিও পুরোনো কাসুন্দি নতুন কিছু নয় তবুও তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি। গতকাল জুমার নামাজের জন্য মসজিদে ঢুকলাম ১:১০ এ, ১:২৫ পর্যন্ত বয়ান শুনলাম এই ১৫ মিনিটের মধ্যে ঈমাম সাহেব অন্তত ৭ বার ইহুদি নাসাড়া, ইহুদি নাসাড়া বলে প্রলাপ বকলেন। গুলশানের জঙ্গিদের নাকি ইহুদি নাসারাড়া ব্রেইন ওয়াশ করেছে ( প্রকৃত পক্ষে ব্রেইন ওয়াশের সর্বোচ্চ রশদ রয়েছে তাদের ধর্মে তরা কখনোই তা দেখতে পায় না শ্বান্তির চাদরে তা লুকিয়ে রাখে, আর অন্যের উপর দোষ চাপায়।
)
হুজুরের ধরাণা, ইহুদী নাসারাড়া সারা বিশ্বে ইসলামকে নস্যাৎ করার জন্য না না পাঁয়তারা করছে। এ ব্যপারে সকল মুসলীম ভাইদের সতর্ক থাকার আহ্বান করছেন।ঈহুদী নাসারাদের পণ্যে বর্জন করা প্রতিটি মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব। বিভিন্ন বিষয়ে হুজুর শুধু দেখতে পান ভারত,আমেরিকার চাল আর ইহুদী নাসাড়াদের ষড়যন্ত্র।
আমার মনে হয় কেউ যদি পিছন দিয়ে বায়ু ছাড়ে আর তাতে যদি গন্ধ বেশী হয় তাহলেই ঈহুদী নাসাড়াদের ষরযন্ত্র খুঁজে পাবে, খুঁজে পাবে ভারত,আম্রেকির চাল। তা না হলে বায়ুতে এত গন্ধ হইল কিভাবে? কোন মুসলিমের বায়ুতে গন্ধ হতে পারে না ইহা মোটেও ছহীহ বায়ু ছাড়া নয়। আমাদের বেশী বেশী সহীহ বায়ু ত্যাগ করা শিখতে হবে।
(লাইন গুলো হাস্যকর এবং নিম্নমানের কিন্তু ব্লগে এর চেয়ে ভাল উদাহারণ দেয়া সত্যিই কি অতটা প্রয়োজন? )
উপরোক্ত হুজুর জাস্ট একটা উদাহরণ মাত্র, দেশের সবগুলো ধর্মান্ধদের ঠিক একই চরিত্র একই চিন্তাধারা কারণ তরা সকলেই একই গ্রন্থ থেকে জ্ঞান অর্জন করেন। রাজনীতি,অর্থনীতি,সমাজ,সামাজিকতা ইত্যাদি বিষয়ে কোন ধর্মান্ধের সাথে ১০ মিনিটি আলাপ করবেন আর তার বক্তব্যে, *ইহুদী নাসারা* *ভারতের দালাল* *আম্রিকার চাল* *ষরযন্ত্র* *চক্রান্ত* এই শব্দগুলো বার বার উচ্চারিত হবে না তা হতে পারে না।
আমার কথা বিশ্বাস না হলে কষ্ট করে একটু নিজে ট্রাই করে দেখুন ধর্মান্ধদের সাথে আলোচনা করুন। তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন। আর পার্থক্যগুলো নিজ চোখেই যাচাই করুন। এভাবেই তারা নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিজে সাধু সাজার ব্যর্থ প্রয়াস করে।
আসলে আমি যা প্রকাশ করতে চাই তা হল- সাম্প্রদায়ীকতার বিষ ছড়ানোর জন্য ইসলামই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। প্রতিটি শিশুকে ছোট সময় থেকেই মগজে এই বিষের বীজ বপন করে দেয়া হয়। আর এ জন্য দায়ী তাদের ধর্মগ্রন্থ,হাদীস,আর ধর্মীয় পুস্তক। জিহাদের ফজীলত ও গুরুত্ব, কাফের হত্যা করার পুরুষ্কার, কাফেরদের হত্যা করো, তাদের কাটো জোড়ায় জোড়ায়, পিছন থেকে তাদের গর্দানে আঘাত করো। তাদের যেখানে পাও সেখানেই হত্যা করো, শহীদের পুরুষ্কার, বিধর্মীদের তোমরা কখনও বন্ধু রুপে গ্রহণ করো না, তাদের অনুসরণ অনুকরণ করো না। যে বিধর্মীদের অনুসরণ করবে পরকালে তার হাশর বিধর্মীদের সাথেই হবে... ইত্যাদি... ইত্যাদি... ইত্যাদি.... না না উস্কানীমূলক বক্তব্যে ভরপুর ইসলামিক জ্ঞান।
যদিও তারা তা দেখতে পায় না, তারা বলে এর আগে পিছের আয়াত পড়তে হবে আর শানে নূয়ুল জানতে হবে এভাবেই যুগ যুগ ধরে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। কেউই প্রশ্ন করে না- একটা আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে আমাদের সেই সময়ের ঘটনা, পরিস্থিতি জানতে হবে আমাদের ১৪০০ বছর পিছনে যেতে হবে। তাহলে এই সব আজগুবী গ্রন্থের আইনে কিভাবে তামাম দুনিয়া চলে? আল্লাহ পাক দুনিয়ায়, মানুষ সৃষ্টি করেছেন হাজার রকমের, খাদ্যভ্যাস করেছেন ভিন্ন, ভাষা সৃষ্টি করেছেন হাজারে হাজারে। তৈরী করেছেন ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ, মূল কথা- প্রতিটি জাতিতে জাতিতে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। জাতিতে জাতিতে ভৌগলিক সীমারেখা যত বেশি দূরত্ব তাদের পার্থক্যও তত বেশী। এত এত পার্থক্য থাকার পরেও আল্লাহ পাক, তামাম বিশ্ববাসীর জন্য একটি মাত্র আইন গ্রন্থ চাপিয়ে দিলেন। আর এই আজগুবী গ্রন্থগুলো শুধু মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতেই অবতীর্ণ হত একদল মূর্খ, মেষ পালক, ছাগল পালকদের উপর। বলা হল এই আইনে তামাম দুনিয়া চলবে এর অস্বীকারকারীকে হত্যা কর.. ইত্যাদি।
ওহহহহ আমি তো অন্য দিকে চলে যাচ্ছি!!! এই আলোচনা আজকে না আরেক দিন। কথা দিচ্ছি, একটি মাত্র আইনে সারা পৃথিবী চলতে পারে তার যৃক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা কেউ আমাকে দিতে পারলে আমি অবশ্যই বুঝ মানব। আর ততদিন পর্যন্ত কোরানের কথা অনুযায়ী আমি অবুঝ, আমি বধির, আমি শিশু।
ওহে মুমিন বান্দারা তোমরা আর কতকাল শ্বান্তির চাদরের আড়ালে লুকিয়ে থাকবে? এর পরেও কি তোমরা সবকিছুর জন্য ঈহুদী নাসারাদের দায়ী করবে? শোন হে মুমিন বান্দারা বেশিদীন অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে টিকে থাকা যায় না। তোমরা কখনোই তোমাদের দুর্গন্ধকে ধামা চাপা দিয়ে রাখতে পারবে না।
*তারা যতই করুক লুকোনোর চেষ্টা, মুক্তমনারা উম্মোচন করবে দিবে তাদের আসল রুপটা।*
ভিডিওটি দেখুন- এতে কি অন্য ধর্মানুভূতি আহত হয় না???
২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০২
মহা সমন্বয় বলেছেন: কিছু হলেই ইহুদী নাসারাদের চক্রান্ত, ভারতের চাল, আমেরিকার ষড়যন্ত্র... ইত্যাদি শুনতে শুনতে কান ঝালা পালা হয়ে গেছে সেই ছোট সময় থেকেই। এরা কখনোই নিজেদের দোষ দেখতে পায় না, শ্বান্তির চাদরে তা লুকিয়ে রাখে আর অন্যের উপর দোষ চাপায়।
রাজনীতি,অর্থনীতি,সমাজ,সামাজিকতা ইত্যাদি বিষয়ে কোন ধর্মান্ধের সাথে ১০ মিনিটি আলাপ করবেন আর তার বক্তব্যে, *ইহুদী নাসারা* *ভারতের দালাল* *আম্রিকার চাল* *ষরযন্ত্র* *চক্রান্ত* এই শব্দগুলো বার বার উচ্চারিত হবে না তা হতে পারে না।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কথাগুলো সত্য! তবে এভাবে উপস্থাপন করলে কোপ খেয়ে মরতে হবে । তারচে বিদ্যাসাগর এর মত পদ্ধতি অবলম্বন করাই শ্রেয় ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩২
মহা সমন্বয় বলেছেন: কিন্তু কি আর করা কিছু কিছু করে তো প্রকাশ করতে হবে। আমি যতটা সম্ভব কিছুটা ঢেঁকে অনুভূতিতে আঘাত না দিয়ে প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। যদিও বিভিন্ন কারণে ১০% ও প্রকাশ করতে পারছি না এর মাঝেই এরা নানা উস্কানী মূলক বক্তব্য খুঁজে পায় আর অনুভূতিতে আঘাত পায়। কাছের পরিচিত কিছু মানুষের চক্ষ্যু শূল হতে হয়, সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়, বন্ধু থেকে শত্রুতে রুপান্তরিত হয়।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে আপনি যেভাবেই প্রকাশ করুন না কেন? তা হউক বিদ্যাসাগরের স্ট্যাইল বা অন্য কোন স্ট্যাইল তারা অনুভূতিতে আঘাত পাবেই। আপনি যতই যুক্তিসহকারে বেশ সতর্কতার সহীত আকারে ইঙ্গিতে প্রকাশ করুন না কেন তারা আপনার বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহীতার অভিযোগের তীর ছুড়বেই। নাটক,কবিতা,গান,সিনেমায় যতই যুক্তি সহকারে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন না কেন এরা আপনাকে ইহুদি নাসারাদের দালাল বানিয়ে দিবে অতঃপর হত্যা করবে।
কেউই এদের হাত থেকে রক্ষা পায় নি।
এই মানুষগুলো তো ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখেননি তারা কিছু সত্য কথা বলেছিলেন মাত্র। আর সত্য কথা বললে তা সবসময় ধর্মের বিরুদ্ধেই যায়। কারণ ধর্মগুলো মিথ্যা, মানুষকে মিথ্যা আর ভুলের শিক্ষা দেয়, মানুষকে বিপদগামী করে।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: অন্যর উপর দোষ চাপানো আমাদের অভ্যাস কিন্তু মুসলিমরাই এর জন্য দায়ী ক্যামনে আপনি কি সব ধর্ম থেকে জেনে বলছেন?? আপনার কি মনে হয় যুদ্ধে আপনার নেতা আপনাকে বলবে যুদ্ধ কর কিন্তু হত্যা করোনা সামনে অথবা পেছন থেকে। যাদের বন্দি করা হয়েছে তাদের বার্গার চাইনিজ দেও। বন্দি করা নারীদের ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্স এ পাঠাও। এইটা খুবই স্বাভাবিক যে বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ তো দোষ মুসলমানদের পাবেন বেশি। যদি ভারতে যান দেখবেন ভারতের নাস্তিক রা হিন্দুত্ববাদ নিয়ে বেশি কথা বলে। আর একটা কথা জঙ্গিবাদ ইহুদি নাসারা করছে তার পক্ষে অনেক কারন আছে এমনি এমনি কথাটি আসেনি পুতিন এর ও কিছু কথা আছে যা আমরা জানি। আর যেকোন ইস্যু নিয়ে রাজনীতি হয় তা ও হয়ত আপনি জানেন। তুরস্কের অভ্যূথান নিয়ে অনেক বিতর্কিত কথা প্রচলিত। মুসলমানরা ইহুদির দোষ দিবে আপনারা মুসলমানদের দোষ দিবেন ব্যাপারটাকি এভাবেই চলবে ?? তাই আপনাকে অনুরোধ উভয় পক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করুন। আপনি বিশাল গবেষনা করে বার করলেন ইসলাম দায়ী। আপনি কি সাম্প্রদায়ীকতা ছরাচ্ছেন না?? নাস্তিক এরও তো একটা সম্প্রদায়। আইএস এর সৃষ্টি কি আপনি জানেন না নাকি মানেন না?? বর্তমানে সব কিছু নিয়েই রাজনীতি হয়। আর হুজুরদের সমস্যা তারা শুধু হাদিস কপি করে এ নিয়ে নিজে গবেষনা করে না। হুজুরদের নিজেদের মধ্য অনেক মত পার্থক্য আছে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:১০
মহা সমন্বয় বলেছেন: হুম মুসলীমরাই এ জন্য দায়ী, একজন মুসলিম হিসবে নিজের চৌদ্দ পুরুষের ধর্ম এবং নিজের জাত সম্পর্কে বেশ ভাল ধারণাই আছে এ জন্য অন্য ধর্ম ঘাঁটাঘাটির কোনই প্রয়োজন নেই। যার যার ধর্ম যার যার সম্প্রদায় নিয়ে সেই সেই কথা বলবে এটাই হচ্ছে নিয়ম। হুম যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধের কথা বলাই যুক্তি সঙ্গত শত্রুদের আঘাত করার কথা বলাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা তো সমস্যা নয় সমস্যা হল অন্য জায়াগায়। যুদ্ধ, যুদ্ধ আর যুদ্ধ, এই ইসলামটা ভরা শুধু যুদ্ধ,তলোয়ার,ঢাল, তরবারি আর সম্পদ লুন্ঠনে ভরপুর। বিধর্মীদের প্রতি বিদ্বেষে পূর্ণ। নবীজি নিজে বলেছেন, জিহাদের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করা হয়েছে, তলোয়ারের মাধ্যমেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইসলামের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে শান্তি তার মনে এই না যে ইসলাম দ্বারা কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে আর না কোন দিন সম্ভবও হবে। চাপাতি আর বোমাবাজির মাধ্যমেই ইসলাম টিকে রয়েছে তা দিনের আলোর ন্যয় স্পষ্ট। (ইসলাম হচ্ছে একটি রাজনৈতিক মতবাদ আর তা আল্লাহর নামে চালিয়ে দিয়ে ধর্ম বলে প্রচার করা হয়েছে )
মহান আল্লাহ তায়ালার আইন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এত যুদ্ধের প্রয়োজন কেন শুনি? বিশাল বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের মালিক যিনি বিস্তর যার কর্ম পরিধি, অতীত ও ভবিষ্যতের যাবতীয় বিষয়ে যে কি না সর্বোচ্চো জ্ঞাত সেই মহান আল্লাহ তায়ালা কি না সৌদি আরবের মক্কার কোন এক মুসলিম গোষ্ঠিকে নিয়ে পড়ে থাকবেন তাদের বিজয়ী করার জন্য ফেরেশতা পাঠাবেন!!! আবার তারই সৃষ্টি মানুষকে হত্যার আদেশ দিবেন! তাদের সম্পদ লুন্ঠন করার আদেশ দিবেন ইসলামে বিধর্মীদের প্রতি সদ্বয় হবার কথা যদি বলে একবার আার তাদের হত্যা করার কথা, তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে হাজার বার।
মুসলিমদের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য ফেরেশতা টেরেশতা কিচ্ছু পাঠায়নি এগুলো হচ্ছে সব মিথ্যা কথা। ধর্ম গুরুরা স্রষ্টার নামে সীমাহীন মিথ্যাচার করেছে এখন পর্যন্ত এই পৃথিবীতে যত মিথ্যা আর আজগুবী রটনা করা হয়েছে তার সবই এই স্রষ্টার নামে।
বর্তমান যুগে এসব কথা বিশ্বাস করলে পাপ হবে আল্লাহ বেরাজ হবেন বুঝতে পারছেন? আমরা স্রষ্টাকে এত ছোটলোক মনে করি না।
একটা আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে আমাদের সেই সময়ের ঘটনা, পরিস্থিতি জানতে হবে আমাদের ১৪০০ বছর পিছনে যেতে হবে। তাহলে এই সব আজগুবী গ্রন্থের আইনে কিভাবে তামাম দুনিয়া চলে? আল্লাহ পাক দুনিয়ায়, মানুষ সৃষ্টি করেছেন হাজার রকমের, খাদ্যভ্যাস করেছেন ভিন্ন, ভাষার মত জটিল একটি বিষয় সৃষ্টি করেছেন হাজারে হাজারে। তৈরী করেছেন ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ, মূল কথা- প্রতিটি জাতিতে জাতিতে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। জাতিতে জাতিতে ভৌগলিক সীমারেখা যত বেশি দূরত্ব তাদের পার্থক্যও তত বেশী। এত এত পার্থক্য থাকার পরেও আল্লাহ পাক, তামাম বিশ্ববাসীর জন্য একটি মাত্র আইন গ্রন্থ চাপিয়ে দিলেন। আর এই আজগুবী গ্রন্থগুলো শুধু মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতেই অবতীর্ণ হত একদল মূর্খ, মেষ পালক, ছাগল পালকদের উপর। বলা হল এই আইনে তামাম দুনিয়া চলবে এর অস্বীকারকারীকে হত্যা কর.. ইত্যাদি।
দয়া করে ভাল করে কোরানটা একটু নিরপেক্ষভাবে বুঝে পড়ুন, আর জাহাদি হাদিস,জিহাদের তৎপর্য জাহদের ফজিলত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন তাহলেই সব বুঝতে পারবেন।
রাজনীতি,অর্থনীতি,সমাজ,সামাজিকতা ইত্যাদি বিষয়ে কোন ধর্মান্ধের সাথে ১০ মিনিটি আলাপ করবেন আর তার বক্তব্যে, *ইহুদী নাসারা* *ভারতের দালাল* *আম্রিকার চাল* *ষরযন্ত্র* *চক্রান্ত* এই শব্দগুলো বার বার উচ্চারিত হবে না তা হতে পারে না।
এগুলা হচ্ছে ইহুদি নাসারাদের চক্রান্ত, আমেরিকার চাল, ভারতীয় দালালদের ষড়যন্ত্র, ইজরাইলই হচ্ছে সকল সমস্যার মূল। সারা জীবন এসব জপ করেও ইসলামকে শান্তির চাদরে লুকাতে পারবেন না। সত্য উদ্ভাসিত হবে তার আপন মহিমায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৩৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: না আমি মোটেও সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছি না, সম্প্রদায়িকতা ছড়ায় হচ্ছে ধার্মিকেরা মুক্তমনারা নয়।
প্রতিটি দেশের মুক্তমনারা নিজ নিজ ধর্ম নিজ নিজ সম্প্রদায়, নিজ নিজ সমাজের অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলে। এ হচ্ছে আত্নসমালোচনা, সাম্প্রদায়িকতা নয়। আর ধার্মিকের ভিন্ন ধর্ম,ভিন্ন মতবাদ,ভিন্ন সমাজ নিয়ে কূৎসা রটায়। যার পুরোটাই সাম্প্রদায়িক উস্কানীতে ভরপূর। আমি নিজেও যখন সহীহ মুসলীম ছিলাম তখন হিন্দুদের মুর্তিপুজা,তাদের ধর্ম নিয়ে ব্যপক লেখালেখি করতাম ঠিক এই পোস্টের ভিডিওর হুজুরের মতই। সেটাই ছিল সাম্প্রদায়িকতা।
একটু উল্টো চিন্তা করি, আমি যদি হিন্দু, বা মালাউন হতাম তাহলে আপনি একে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছি বলে অভিযোগ করলে ঠিক ছিল। প্রতিটি মানুষ সবসময় তার নিজ ধর্ম, নিজ সমাজ সমন্ধে বেশি জানে। আর প্রতিটি ধর্ম,সমাজেই রয়েছে কিছু না কিছু অসঙ্গতি। কোন মানুষ যদি নিজ ধর্মের,নিজ সমাজের অসঙ্গতি তুলে না ধরে শুধু অন্য ধর্ম,অন্য মতবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে বুঝতে হবে সামথিং গন্ডগোল সে অন্ধ,গোড়া এক কথায় ধর্মান্ধ, ধর্মান্ধরা সবসময় অন্য মতবাদের খুত খুঁজে বেড়ায় আর নিজেদের ধোঁয়া তুলসি পাতা মনে করে। কখনোই ধর্মান্ধরা নিজেদের দোষ দেখতে পায় না। পোস্টের বিষয়বস্তু এটাই আর তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।
আশা করি বুঝতে পরেছেন।
ভাল থাকবেন।
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: আপনার লেখা গুলো সম্পুর্ন হিংসাত্মক এবং.............।
যুদ্ধ, যুদ্ধ আর যুদ্ধ, এই ইসলামটা ভরা শুধু যুদ্ধ,তলোয়ার,ঢাল, তরবারি আর সম্পদ লুন্ঠনে
ভরপুর
ভাই যুদ্ধ সব ধর্মেই আছে নাস্তিকতার মধ্যেও আছে সোভিয়েতরা যা করেছে তাদের মতাদর্শ তুলে
ধরার জন্য তা আমরা জানি আর ন্যাটোর জন্য ওয়াল্ড এর সেরা টেকনোলজি ব্যাবহার করা হয়
সেরা ওয়েপন তৈরি করা হয় সপ্তাসচর্য ১ম হবার জন্য? ইসলাম বাস্তবতা এর জন্য যুদ্ধ করার কথা বলা আছে এবং অনুপ্রানীত
করেছে কিন্তু তা কিছু অসাধু লোক রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করছে। ১ম বিশ্বযুদ্ধ ২য় বিশ্বযুদ্ধ ধর্মের জন্য না। রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করেছে কোন ধর্মের জন্য। চীন পুরো দক্ষিন চীন সাগর দাবি করছে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য?? বিভিন্ন কারনে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পরে আপনি মহাভারত দেখলে তা বুঝতে পারবেন কারন এটার মূল থিম যুদ্ধের। তাহলে কেন আপনি শুধু ইসলামকে পেচাচ্ছেন। আপনি অবশ্যই সাম্প্রদায়ীকতা ছরাচ্ছেন। আপনার মত দিন নিরপেক্ষ ভাবে সব মতবাদ (নাস্তিকতা সহ) থেকে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০০
মহা সমন্বয় বলেছেন: দুঃখিত, আমার মন্তব্য আপনার কাছে হিংসাত্নক মনে হতেই পারে যে কোন মুসলিমের কাছেই হিংসাত্নক মনে হবে এই বাস্তবতা অস্বীকার করতে পারছি না। ( এবং আমারও একসময় এমন মনে হত) কিন্তু ভাই এটা তো সত্য, এ এক ভয়াবহ সত্য।
সেই আদিম যুগ থেকেই গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ ছিল,যুদ্ধ আছে এবং সম্ভবত যুদ্ধ থাকবে যতদিন মানবজাতি আছে। তাই যুদ্ধটাকে মানব জাতির একটি অবিচ্ছেদ্ধ অংশ বলেই মনে করি। বিভিন্ন কারণেই এই পৃথিবীতে যুদ্ধ সংঘটিত হয় এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্ম এবং রাজনৈতিক কারণ আর এই রাজনৈতিক করণটাও বেশিরভাগ সময় ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়। নাস্তিকতা কারও উপর জোড় করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে নাস্তিকতা অর্জনের জন্য কোন মানুষ হত্যা করা হয়েছে এমন ঘটনা আমার জানা নেই। কিন্তু এর বিপরীত উদাহরণ আছে হাজার হাজার যা আপনি নিজেও জানেন।
এই ছবিগুলো হেফাজতের তান্ডবের সময়ের । ( যদিও এখন সেই তারাই আবার ভিন্ন ফতোয়া দিচ্ছে শান্তির চাদের ঢেকে, এভাবেই না না স্ববিরোধীতায় পূর্ণ তাদের ধর্ম )
আমি ইসলামকে পেঁচাচ্ছি এ জন্য যে ইসলাম আমার ধর্ম তাই, আর এর ব্যাখ্যা উপরের কমেন্টে দিয়েছি।
সবগুলু ধর্মের মধ্যেই যুদ্ধ রয়েছে, আছে শান্তির বাণীও। ইসলামও এর ব্যতিক্রম নয় তাহলে ইসলামের আলাদা বৈশিষ্ট রইল কি?
হিন্দুরা মূর্তির সামনে বিড়বিড় করে ( প্রার্থণা করে) ইহুদিরা দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে বিড়বিড় করে (প্রার্থণা করে) খ্রিষ্টানরা আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে ( প্রার্থণা করে ) আমরা মুসলিমরা মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে বিড়বিড় করি ( প্রার্থণা করি ) বৌদ্ধরাও তেমন কিছু একটা করে।
প্রকৃত পক্ষে এসব বিড়বিড় করে কোন সমস্যা সমাধান করা যায় না এসব ঐশ্বরিক কনসেপ্ট মানব জাতির কোনই উপকারে আসে না। তা বরং মানবজাতিকে বিপদগামী করে তাদের অন্ধকারের দিকে ধাবিত করে। এসব ঐশ্বরিক কনসেপ্ট মানব জাতির উন্নতিতে প্রধাণ অন্তরায়। ঐশ্বরিক কনসেপ্ট কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি উল্টো শান্তির নামে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে এ জন্য শুধু ইসলাম হবে কেন? সবগুলো ধর্মই দায়ী, মধ্যযুগে ইউরোপে খ্রিষ্টানদের অরাজকতার কথা আমরা জানি, জানি হিন্দু, বৌদ্ধদের অত্যাচারের কথা। কিন্তু অন্যন্য ধর্ম এখন বুড়ো হয়ে গেছে তারা আগের মত অতটা অত্যাচার করে না। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে, জ্ঞান,বিজ্ঞানের উন্নতির এই যুগে অত্যাচার করে কখনোই তারা তাদের ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না তাই তারা অত্যাচারে ক্ষান্ত দিয়ে কিছুটা সহনশীল হয়েছে। অপরদিকে প্রায় ১৫০০ বছর সময়কাল হচ্ছে ইসলামের জন্য যৌবন সময়। বর্তমান সময়ে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য ইসলামই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। সবকটা মুসলিম রাষ্ট্রের দিকে নজড় দিলে তা দিনের অলোর ন্যায় স্পষ্ট হয়ে যায়। ( যদিও অধিকাংশ মুসলিমই তা দেখতে পায় না, ধর্মীয় ভাবাবেগ তাদের বিবেক কে কেড়ে নিয়েছে, বিশ্বাসের ওই লোভনীয় মূলা তাদের চোখকে দৃষ্টিহীন করে দিয়েছে ) ।
আমরা প্রর্থনায় ছিলাম - হ্যাঁ এসব বিড়বিড় ( পড়ুন প্রার্থণা ) এর মাধ্যমে মানসিক কিছু শান্তি আসে বটে। সবগুলু ধর্মের অনুসরীরাই প্রার্থণা করে শান্তি পায় কিন্তু এই শান্তি উপর থেকে ঐশ্বারিক ভাবে বর্ষীত হয় না এর পুরোটাই মনোস্তাত্বিক ব্যপার এখানে ঈশ্বরের কোন হাতই নেই। তারপরেও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থগুলো ঈশ্বরের নামে সীমাহীন মিথ্যাচার চালিয়েছে।
মনব জাতির সমস্যা সামাধাণের জন্য মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। পুরোণো আইন বিলুপ্ত করে নতুন নতুন আইন তৈরী করতে হবে যা সময়োপোযাগী ও কল্যাণকর। পরবর্তী প্রজন্ম প্রয়োজন মনে করলে পূর্বের আইন বিলুপ্ত করে আবার নতুন আইন তৈরী করবে যা তাদের জন্য তাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সময়য়োপোযোগী। এভাবেই পৃথিবী সমানের দিকে ধ্বিবত হবে।
আল্লাহ পাক সবকিছু পরিবর্তনশীল করে সৃষ্টি করেছেন আথচ আইন কেন নয়? কেন এই স্থবীরতা? সবকিছুই পরিবর্তনশীল, মানুষ এটা স্বীকার করুক আর না করুক এই পরিবর্তনশীলতার ছোঁয়া থেকে কোন কিছুই মুক্ত নয়। পরিবর্তনশীলতাই শক্তি. পরিবর্তনশীলতাই গতি, পরিবর্তনশীলতাই উন্নতি, পরিবর্তনশীলতাই উন্নতি। পরিবর্তনশীলতাই হচ্ছে প্রকৃতির এক অমোঘ নিয়ম। স্থবিরতাই হচ্ছে প্রকৃতি বিরুদ্ধ, আর যা কিছু প্রকৃতি বিরুদ্ধ তাই মানব জাতির জন্য অকল্যাণকর ( যেমন, ধর্ম, ধর্মীয় আইন)
আরব মরুভুমির একটা আইন দ্বারা তামাম দুনিয়ার সমস্ত যুগের মানুষ চলতে পারে না। ( নিঃশ্চই ঈশ্বর নির্বোধ নয়) ধর্মগ্রন্থগুলোই নির্বোধ ইশ্বেরের পুঁজা করতে শেখায়। সমস্ত ধর্মের অনুসারীরাই অথর্ব ঈশ্বের পুজা করে আর ঈশ্বরের নামে মিথ্যা আজগুবি রটায়।
এসব ঐশ্বরিক চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে মানব জাতির সমস্যা সমাধানের জন্য মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। ঐশ্বরিক চিন্তা মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িকতা শিক্ষা দেয়।
আপনি দশটি ধর্মমুক্ত রাষ্ট্র ( স্ক্যান্ডেনেভিয়ার দেশুগুলো) আর দশটি ধর্মীয় রাষ্ট্রের দিকে নজড় দিন এবং নিজ চোখেই দেখে নিন কোথায় শান্তি আর কোথয় অরাজকত? আশা করি আপনার কাছে দিনের আলোর ন্যয় স্পষ্ট হয়ে যাবে যে ঐশ্বরিক কনসেপ্ট কতটা ভয়াবহ মানব জাতির জন্য।
ধর্ম কখনোই প্রকৃত শান্তি রচনা করতে পারে না, মানুষকে মিথ্যা শান্তির আশ্বাস দেয় আর বিপদগামী করে। ধর্ম ছাড়াই বর্তমান মানব জাতি অনায়াসেই চলতে পারে, এক সময় হয়ত ধর্মের প্রয়োজোনীয়তা ছিল ( সেট ছিল অজ্ঞতার যুগ, আর যেখানে অজ্ঞতা সেখানেই ধর্ম, সেখানেই প্রার্থণা, যে যত বেশি অজ্ঞ সে ততবেশি ধর্মিক ) বর্তমান সময়ে মানব জাতির জন্য ধর্ম একটি বিষফোঁড়া।
এটাই হচ্ছে আমার শেষ কথা।
আমার কথায় আমার ছবিগুলো থেকে কষ্ট পেয়ে থাকলে দুঃখিত।
শুভ কামনা রইল।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধর্মকে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে উপস্থাপনের প্রবণতাকে সমর্থন করি না। বিজ্ঞান ও ধর্ম উভয়ের পথ আলাদা! তবে ....
ধর্মে বিশ্বাসীরাই সবথেকে বেশি পরিমাণে হিপোক্রেসি করছে। শান্তির কথা যদি ধর্মের মুলকথা হয় তবে কেন অশান্তির নানান থিওরিতে তারা সমর্থন/সহযোগিতা/অংশগ্রহণ করেন? এইগুলোর সদুত্তর পাওয়া যায় না।
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: উপরের কমেন্টে উক্ত ছবিটি দিয়েছি অন্য একটি কারণে, যদিও পোস্টের মূল বিষয় এটা না- কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গেমু ভাই, বিজ্ঞান ধর্ম নিয়ে কখনোই টানাটানি করে না, প্রকৃত পক্ষে ধর্মই বিজ্ঞান নিয়ে টানাটানি করে। আর ধর্ম সবসময় বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে যায়। প্রকৃত বিরুদ্ধ নানা আজগুবি কান্ড কারখানায় ভরপুর প্রতিটি ধর্ম যার সবগুলোই মিথ্যা।
আপনি প্রকৃত বিরুদ্ধ কোন কাজ বা মধ্যাকর্ষণের শক্তিকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে আজকে একটু বাতাসে ভেসে বেড়ান অথবা কয়েক মিনিট আগুনে বসে থেকে দেখান। আমি কথা দিচ্ছি দুই দিন পড়েই আপনি বড় একজন ধর্মগুরু সাজতে পারবেন হাজার হাজার মানুষ আপনার পিছনে লাইন লাগবে।
যে যত বেশি আ্জগুবি ( প্রকৃত বিরুদ্ধ) কান্ড কারখানা করতে পারে সে তত বড় ধর্মগুরু। আগের যুগে এসব অলৌকিক ( যার পুরোটাই মিথ্যা আর ফাঁকিবাজি ) কান্ড কারখানা দেখিয়ে মানুষকে নিজ নিজ ধর্মের দিকে টেনে আনতো।
এভবে যে ধর্মগুরু যত বেশি ফাঁকিবাজি ( অলৌকিক কান্ড) করতে পারতো সে তত বেশি জনপ্রিয় হত।
সে যাই হোক আজকের পোস্টের মূল বিষয় হচ্ছে সাম্প্রদায়ীকতা নিয়ে, আমার অভিমত হল, সাম্প্রদায়িকতার মূল উৎস হচ্ছে ধর্ম। সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর জন্য সবগুলো ধর্মই দায়ী আর এর মধ্যে সবার বস মানে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে আমাদের ইসলাম। বর্তমান সময়ে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য ইসলামই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। এটাই হচ্ছে আমার মূল বক্তব্য। এ ব্যপারে আমার উপরের কমেন্টগুলো দেখতে পারেন। আর যদি দ্বীমত মনে করেন তাহলে আলোচনা করে আমাকে বুঝ দান করতে পারেন নো প্রবলেম।
আপনাকে থ্যাংকু
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: ধর্ম হচ্ছে মানুষের একটি বিশ্বাস। ধর্ম ছাড়া মানুষ অনায়াসে চলতে পারে ঠিকই কিন্তু ধর্ম একটি পথ দেখায় পরকালেন বিশ্বাসের জন্য, যখন আমি পরকাল বিশ্বাস করব না তখন কিছু্ই দরকার নাই। মৃত্যু একটি চরম বাস্তবতা মূলত মৃত্যু জয় করতে পারলে আর ধর্ম থাকবেনা। বিজ্ঞান ইসলাম আলাদা ভাবার কোন কারন নেই বিজ্ঞান তো মানুষ ই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানও পরিবর্তনশীল যা মানুষ ব্যবহার করে। সব ধর্ম সম্পর্কে আমি জানি না তবে জনপ্রিয় ধর্ম গুলোর মধ্যে মুসলমানরা তাদের ধর্ম সম্পর্কে বেশি আগ্রহী এবং রক্ষনাত্মক। আরবে রচিত গ্রন্থ সবার জন্যই প্রযোজ্য আর ইসলামে কিয়াস আছে ইজমা আছে যা দ্বারা সমসাময়িক বিষয় এর সমাধান করা হয় কিন্তু তা কোরআনের বাইরে যেতে পারবেনা। সবই পরিবর্তনশীল কোরআন ব্যতিত(অন্য কিছু থাকতে পারে)। আপনি একটা ইসলামিক দেশ দেখাতে পারবেন না যেখানে নেতা সম্পুর্ন ইসলামিক মাইন্ডেট, সবখানেই তারা নিজেদের স্বার্থে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ইসলাম ব্যবহার করছে যারা মূলত ধার্মিক তারা রাজনীতি করেনা পরকালের চিন্তায় ব্যাস্ত তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে সেটা হতে পারে দেশের জন্য কিন্তু ক্ষমতায় থাকতেই হবে তা নয়। ইহুদীদের দোষ আম্রিকার দোষ এগুলো সাধারন মানুষ বলে আবেগ থেকে কিন্তু দোষ ঐ সব নেতার যারা নিজের স্বার্থে ইসলাম ব্যাবহার করে আর তাদের সাহায্য করে ঐ সব দেশ। স্টালিন এর নির্যাতনের জন্য রাশানদের, হিটলালের হত্যাকান্ডের জন্যা জার্মানদের দোষ দেয়া ঠিক হবেনা তেমনি তালেবান কি করল আই.এস কি করল তার জন্য ইসলামকে দোষারোপ করা ঠিক না। ধর্ম কে বিষ ফোড়া মনেই হতে পারে এটাই স্বাভাবিক তেমনি জাতি টাই বিষ ফোড়া যেমন বাঙ্গালীরা চাইনিজরা আফ্রিকানরা চোর জাতি সমকামী জাতি এক জাতি আর এক জাতির কাছে বিষ ফোড়া। তাই সাম্প্রদায়ীকতার জন্য ইসলাম না স্বার্থপোরী লোভ দায়ী যা অধিকাংশ মানুষ বহন করে।
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: কিছুটা একমত কিছুটা দ্বীমত ভাই। কেউই ভাই দোষের ভাগীদার হতে চায় না এটা একটা সমস্যা।
সেই ঘুরে ফিরে কিন্তু আমরা একজায়গায় এসেই আটকিয়ে যাচ্ছি আর তা হচ্ছে ধর্ম, ধর্ম আমাদের লাগবেই। পরকাল কেন্দ্রিক ওই শিশু ভোলানো চিন্তা ভাবনা মনব জাতির জন্য কখনোই মঙ্গল জনক নয়। ব্যক্তিগত ভাবে কেউ ধর্ম পালন করতেই পারে তাতে সমস্যার কিছু দেখি না। কিন্তু সমস্যা হয় যখন সবকিছুই ধর্ম দ্বারা যাচাই করা হয়। বর্তমান সময়ে ঐশ্বরিক গ্রন্থের জীবন বিধান অনূযায়ী যেখানে সিঙ্গেল একজন মানুষের পক্ষেও জীবন ধারণ সম্ভব নয় সেখানে রাষ্ট্র চলে কিভাবে? আবেগ দিয়ে ব্যক্তি জীবন হয়ত চলতে পারে কিন্তু রাষ্ট্র কখনোই নয়। আমি আপনাকে হলফ করে বলতে ভিন্ন কোন রাষ্ট্র তো দূরের কথা খোদ মুসলিম কোন রাষ্ট্রও ঐশ্বরিক গ্রন্থের আইনে চলতে পারে না। ( সবগুলো ধর্মের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ) কোন রাষ্ট্রই দুই তিনশত বছরের পুরোনো আইনে চলতে পারে না। আমার ভাই সোজা কথা নিত্য নতুন আইন ছাড়া বর্তমান দুনিয়া অচল। আবার শক্তিশালি কিছু প্রথা রয়েছে যেগুলো জোড় করে নির্মূল করাও ঠিক হবে না।
কিছু বিষয় আছে প্রকৃতিকগত ভাবেই সমাজে সেট হয়ে যায় আবার কিছু বিষয় বিলুপ্ত হয়ে যায় এখানে নিদ্রিষ্ট কোন মানুষের হাত থাকে না। শক্তিশালি বিষগুলোই সমাজে থেকে যায় দূর্বগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায় বা পরিবর্তন হয় বিভিন্ন ভাষার শব্দগুলো যেভাবে তৈরী হয় বা পরিবর্তন হয় ঠিক তেমনই - যেমন দাস প্রথা, দাস প্রথা এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে অতচ অতীতে এই প্রথাটা অত্যন্ত শক্তিশালি ছিল বিধায় সমাজে তা ছিল স্বয়ং আল্লাহ পাকও এই প্রথাটাক বিলুপ্ত করার সাহস করেন নাই ( যদিও কোরান আল্লাহ পাকের বাণীয় নয়, আমি জাস্ট উদাহরণ দিচ্ছি ) কিন্তু সময়ের পরিক্রময় এই শক্তিশালি প্রথাটাই এক সময় দূর্বল হয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেল, এ জন্য নিদ্রিষ্ট কোন মানুষ দায়ী না আর না কোন স্রষ্টা। ( আচ্ছা দাস প্রথাটা বিলুপ্ত হল ক্যারে? এই দাস প্রথা বিলুপ্ত করল কোন আল্লায়? আল্লাহ পাক তো স্বয়ং কোরানেও দাস প্রথা বিলুপ্ত করেন নি
) মূল কথা হচ্ছে - সার্ভাইবল অব দ্যা ফিটেস্ট- যোগ্যতমরাই টিকে থাকে আমি এখানে বলতে চেয়েছি যোগ্যতম প্রথাগুলোই টিকে থাকে। যেমন বিয়ে- বিয়ে নামক এই সামাজিক প্রথাটা হাজার বছর ধরে বিশ্বের প্রতিটি সমাজে বাহাল তাবিয়াতেই টিকে রয়েছ কারণ এটা অত্যন্ত শক্তিশালি একটা প্রথা। এরকম বহু বিষয় রয়েছে যেগুলো সমাজে টিকে রয়েছে। কোন সমাজ/কোন দেশ যদি তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দ্বারা বুঝতে পারে যে কোন নিদ্রিষ্ট প্রথা তাদের জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে তাহলে তারা তা বাদ দিয়ে দিতে পারে বা বিলুপ্ত করে দিতে পারে তাতে সমস্যার কিছু দেখি না। আমি কোন মতেই পুরোনোকে আকড়ে ধারার পক্ষাপতি নই যদি না তা সমাজের জন্য কল্যাণকর না হয়। আমার কথা হচ্ছে যা কিছু কল্যাণকর তা ধরে রাখো আর যা কিছু অমঙ্গলজনক তা ঝেঁটিয়ে বিদায় কর।
দ্যাটস ইট। কোনটা আল্লাহর আইন ( যদিও আল্লার আইন বলতে কিছু নেই, মানুষ আল্লাহর নামে শুধু মিথ্যা রটনা করেছে তার গ্রহণযোগ্য তা বাড়ানোর উদ্দ্যেশে ) আর কোনটা কোন মাহাজ্ঞানীর আইন তা দেখার কোনই প্রয়োজন নাই শুধু দেখতে হবে উক্ত আইনটি বর্তমান সময়ের সাথে যায় কি না যদি যায় তাহলে ঠিক আছে।
আরেকটু পরিষ্কার করে দেই- আমি ভাই মানুষের আইনে বিশ্বাসি, ধর্ম গ্রন্থের আইনে নয়। কারণ মানুষের তৈরী আইনগুলোই পরিবর্তনশীল, সময়উপোযোগী এবং যোগ্যতম। যাবতীয় স্থবীরতা হচ্ছে ধর্ম গ্রন্থগুলোতে। স্থবিরতাই হচ্ছে প্রকৃতি বিরুদ্ধ, আর যা কিছু প্রকৃতি বিরুদ্ধ তাই মানব জাতির জন্য অকল্যাণকর ( যেমন, ধর্ম, ধর্মীয় আইন)
আপনি ইজমা কিয়াসের কথা বলেছেন এই ইজমা কিয়াসই হচ্ছে সমস্যার আরেক নাম, যাবতীয় বিদাআতের উৎস হচ্ছে এই ইজমা কিয়াস। এর ভাল দিক এবং খারাপ দিক দুটোই রয়েছে। এটা অন্য আলোচনার বিষয়।
আপনি বলেছেন সাম্প্রদায়ীকতার জন্য ইসলাম না স্বার্থপোরী লোভ দায়ী যা অধিকাংশ মানুষ বহন করে। আর এ জন্য সরাসরি দায়ী হচ্ছে ধর্ম, ধর্মই মানুষকে স্বার্থপর করে আত্নকেন্দ্রিক করে। ধর্মীয় চিন্তা ক্ষেত্র বিশেষে মানুষকে হিংস্র, উম্মাদ করে তোলে প্রয়োজনে মানুষ খুন এমনকি নিজের শিশুপুত্রকেও খুন করতে দ্বীধা বোধ করে না। আর এটা করে তারা ওই পরকালের পূণ্যের আশাই। পরকাল কেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনা মানব জাতির জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ।
ধর্মহীন মানুষ/ধর্মহীন সমাজ, ধর্মীয় সমাজের চাইতে হাজার গুন বেশি শান্তি প্রিয়, হাজারগুন বেশি পরোপোকারী, হাজারগুন বেশি সত্যবাদি, হাজার গুন বেশি অরাজকতামুক্ত, হাজর গুন বেশি জ্ঞান বিজ্ঞানে চর্চাকরি, হাজরগুন বেশি অপরাধ মুক্ত।
আর এ জন্য তাদের স্রষ্টা বিশ্বাস আর পরকালের মিথ্যা পূণ্যের আশার কেনই প্রয়োজন হয় না।
শেষ কথা- ঐশ্বরিক গ্রন্থ, ঐশ্বরিক চিন্তুভাবনা, ঐশ্বরিক আইন এগুলা হচ্ছে সুস্পষ্ট আরাজকতার নাম শান্তি প্রতিষ্ঠার ধুঁয়া তুলে এসব ঐশ্বরিক মতবাদ মনবজাতিকে শুধু বিপদগামীই করেছে। আর এর মূলে রয়েছে, ভয়,লোভ আর অন্ধবিশ্বাস। ভয়,লোভ আর অন্ধবিশ্বাসের সমষ্টিগত রুপটাই হচ্ছে ধর্ম ( ইহা কখনোই ঈশ্বরের হতে পারে না যদিও ঐশ্বরিক বলে মিথ্যা দাবী করা হয় )
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০
মহা সমন্বয় বলেছেন: আপনাকে আরও কিছু উত্তর করি
আপনি বলেছেন- ধর্ম হচ্ছে মানুষের একটি বিশ্বাস। না রে ভাই বিশ্বাস হলে তো কথাই ছিল না ধর্ম হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস, যুক্তিহিন বিশ্বাস,বাস্তবতা বিবর্জিত বিশ্বাস। যুক্তির যেখানে মূল্যই নেই। একমাত্র অন্ধবিশ্বাসই হচ্ছে ধর্মের মূল পুঁজি।
প্রকৃত বিশ্বাস হচ্ছে- একজন সন্তান যেমন তার বাবাকে বিশ্বাস করে, সে তার বাবাকে জন্ম দিতে দেখেনি বা কোন টেস্ট্ও করেনি তবুও সে তার বাবাকে জন্মদাতা হিসেবে বিশ্বাস করে। এটাই হচ্ছে প্রকৃত বাস্তব ভিত্তিক বিশ্বাস, যুক্তি নির্ভর বিশ্বাস। আমি আমেরিকাতে কোনদিন যাই নি বা সরাসরি দেখিও নি কিন্তু বিশ্বাস করি আমেরিকা বলতে এই গ্রহে একটি রাষ্ট্রে আছে এবং তাদের কর্যক্রমও মোটামুটি জানি- এরকম প্রকৃত যুক্তিনির্ভর বিশ্বাসের অনেক উদাহারণ আছে।
যুক্তি এবং বাস্তবতা বিবর্জিত বিশ্বাস বেশিরভাগ সময় ক্ষতিকারক।
আপনি বলেছেন- ধর্ম একটি পথ দেখায় পরকালের বিশ্বাসের জন্য, ধর্ম পরকাল বিশ্বাসের একটি অন্ধ পথ দেখায়, যার মূলে রয়েছে, ভয়,লোভ আর অন্ধবিশ্বাস। পরকালের যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত যতগুলো ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে তার সবই মনগাড়া, মনের কল্পনা মাত্র।
আপনি বলেছেন- যখন আমি পরকাল বিশ্বাস করব না তখন কিছু্ই দরকার নাই। না ভাই্, আপনি সম্পূর্ণ উল্টো বললেন, অতি পরকাল নির্ভরতাই মানুষকে দুনিয়া বিমূখ করে, এই দুনিয়ার সবকিছুই তখন তার কাছে অপ্রোয়োজনীয় মনে হয়, দুনিয়াডা তার কাছে খেলনা মনে হয় সে সবসময় পরকালের চিন্তায় বিভোর থাকে।
প্রকৃতপক্ষে এই পৃথিবীর বাসিন্দা হিসেবে প্রতিটি মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব আছে আর এই দায়িত্বটা যার যার অবস্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন। প্রকৃত মানব সেই, যে যাবতীয় ডর,ভয়,লোভের ঊর্ধ্বে উঠে মনব সেবা করে ভাল কাজ করে। আর এ জন্য তার পরকালের একাউন্টে নেকি জমা করার কোনই প্রয়োজন পরে না।
ধর্মিকদের চেয়ে বহুগুণ বেশি দুস্থদের সাহায্য, ভাল ভাল কাজ, নাস্তিকরাই করে। তারা এটা করে মানবতার জন্যই, ওই মিথ্যা পরকালের লোভে করে না। ( নিশ্চই স্রষ্টা অন্ধ নয় )
অন্যভাবে বললে ধর্ম,পরকাল বিশ্বাস কখনোই মানুষকে কূপথ থেকে বিরত রাখতে পারে না। আমি খারাপ কাজ করছি না আল্লাহ বা পরকালের ভয়ে এই কথাটা মানুষের মুখের বুলি মাত্র তাদের মনের কথা নয়।
(কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা আছে আর ভিন্নতা কখনো উদাহরণ হতে পারে না। )
আপনি বলেছেন- বিজ্ঞান ইসলাম আলাদা ভাবার কোন কারন নেই না না আলাদা ভাবব কেন? সমস্ত বিজ্ঞান তো ইসলাম থেকেই উৎপত্তি হয়েছে।
ইহুদি নাসাড়ারা কোরান গবেষণা কইরাই তো এত কিছু আবিষ্কার করতেছে কিন্তু মিথ্যাবাদী ইহুদি নাসাড়ারা তা স্বীকার করে না। সূতরাং কোরানই হচ্ছে সমস্ত জ্ঞান, বিজ্ঞানের একমাত্র উৎস প্রমাণিত
এটা কিন্তু আমার কথা না বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদের কথা।
( জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এখানে রয়েছে নিদর্শন)
আপনি বলেছেন- মৃত্যু একটি চরম বাস্তবতা মূলত মৃত্যু জয় করতে পারলে আর ধর্ম থাকবেনা। প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যু অবধারীত কিন্তু তা পূর্ব নির্ধারীত নয়। জীব বিজ্ঞান তো তাই বলে। প্রাণী জগতের এ এক চিরন্তন প্রাকৃতিক নিয়ম। মৃত্যুকে অস্বীকার করার স্পর্ধা মানব জাতি এখনও দেখাতে পারেনি। ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। তবে আপাদত মৃত্যুর পরে আর কোন কিছু পাওয়া যায়নি সব অন্ধকার সব শেষ খেল খতম। ঠিক আপনার জন্মের পূর্বের কথা চিন্তা করুন মৃত্যুর পরও ঠিক তেমনই, সবাই থাকবে সবকিছু থাকবে শুধু যে মৃত্যুবরণ করবে সে অস্তত্বহীন হয়ে যাবে। আপদত মৃত্যু নিয়ে এর বেশীকিছু পাওয়া যায়নি। এর বেশিকিছু বলতে গেলেই, কল্পকাহিনী, মনগড়া গল্প ফাঁদতে হবে। সবগুলো ধর্মই সেই গপ্পো ফেঁদেছে খুব সুন্দর ভাবে। B:-)
কেউ যদি মৃত্যু পরবর্তী সময় নিয়ে চিন্তা করতে চায় তাহলে সে যেন তার জন্মের পূর্বের সময়ের কথা চিন্তা করে, তাহলে অনেকিছু সহজ হয়ে যাবে তার কাছে আর মন থেকে অজানা ভয়ও দূর হবে যাবে।
মৃত্যু পরবর্তী জীবন নামক মিথ্যা বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে এই পৃথিবীকে কিভাবে সুন্দর করে সাজানো যায়, অন্যন্য গ্রহে কিভাবে মনবজাতিকে ছড়িয়ে দেয়া যায় বুদ্ধিমান মানুষের সে চেষ্টাই করা উচিৎ । মৃত্যু হচ্ছে একটা অন্ধকারের নাম, এই অন্ধকারের কথা চিন্তা করে করে এই দুনিয়াকে নরকে পরিণত করছে ধর্ম। যেখানেই অন্ধকার, যেখানেই অজানা, সেখানেই ধর্মের লাফলাফি বেশি। মৃত্যু হচ্ছে এক অন্ধকারের নাম আর তাই যাবতীয় ধর্মের লাফালফিও ওই মৃত্যু নিয়ে বেশি।
আল্লাহ পাক মানুষকে পরকালের চিন্তায় বিভোর না করে বেশি বেশি দুনিয়া নিয়ে চিন্তা করার তৌফিক দান করুন- আমিন।
৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: সমস্যা ঐই এক জায়গায় সাম্প্রদায়ীকতা ইসলাম ছরাচ্ছে না ছরাচ্ছে কোন একাধিক মহল(স্বার্থপোরী লোভী) আপনি কোন ইসলামকে দায়ী করবেন মধ্যপ্রাচ্যেই কয়েক ধরনের ইসলাম আছে। আপনি কাদের দায়ী করবেন ইসলামই তো কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে গেছে এই ভাগ কি কোরআন দ্বারা হইছে?? (আপনিও জানেন) বাঙ্গালীরা যদি বলে ভারতীয় পন্য বর্জন করব, তাহলে তারা কি সাম্প্রদায়ীকতা ছরাচ্ছে?? সম্প্রদায় কি শুধু হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান?? নিজস্বতা রক্ষা করা সাম্প্রদায়ীকতা নয় আপনি অহেতুক ইসলামকে দায়ী করছেন।একটু নিরপেক্ষ ভাবে ভাবুন ইসলাম দায়ী না। আপনি এখানে একতরফা দোষ দিতেছেন। আপনার পোষ্ট অনেক তথ্যবহুল যা থেকে আমি অনেক কিছু জানতে পারছি কিন্তু আমি আপনার এই সাম্প্রদায়ীকতা নিয়ে মন্তব্য মানতে পারছিনা (মানার মতও না) আর আপনি আইনের কথা বলছেন আমি কোথাও দেখিনি দাস রাখতেই হবে। দাস বিলু্প্ত হয়নি পরিবর্তন হইছে (ব্যাক্তিগত মত) যখন একজন জেনারেল সিপাহিকে ব্যাক্তিগত কাজের জন্য বলবে এটা কর ওটা কর তাকে তা করতেই হবে সেও এক প্রকার দাস। যখন বাসার কাজের জন্য বুয়া রাখা হয় সেও তো দাস। একটা গল্প আছে দাস নিয়ে ছোট বেলায় পড়েছিলাম আমরা সবাই সবার ভৃত্য এখন আপনি যৈনতা,ক্রয় নিয়ে প্রশ্ন করবেন তাও বুঝতে পারছি তাই বলি এখানে সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে এবং কোন বিশেষ কর্মকান্ড না থাকলে সেই সংক্রান্ত আইনও দরকার নাই। ইসলাম শুধু ধর্ম না একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা এখানে অপরাধের শাস্তি যেমন উল্লেখ আছে অপরাধ না হওয়ার পথ ও দেওয়া আছে অপরাধ অনুযায়ী বা সামাজিক কর্মকান্ত দ্বারা আইন তৈরি হয়, ইসলামে নির্দিষ্ট আইন আছে নতুন আইন ও হবে ইজমা কিয়াস দ্বারা যেমন সাইবার ক্রাইম।
আমার ভাই সোজা কথা নিত্য নতুন আইন ছাড়া বর্তমান দুনিয়া অচল। ঠিকই তাই বলে প্রয়োজনীয় আইন বাদ দেওয়ার দরকার নাই। সব আইন সবার ভাল লাগে না। কিছু আছে যা অপরিবর্তনীয়
সাম্প্রদায়ীকতা থেকে গেলাম আইন-এ, এটাই সমস্যা যখন দরকার ঐকের তখন সব অনৈক্য আসে। আপনি ইসলামকেই দায়ী করছেন যদিও কারন আপনি উল্লেখ করেছেন। ধন্যবাদ
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩২
মহা সমন্বয় বলেছেন: ভাই আপনি বলেছেন, সমস্যা ঐই এক জায়গায় সাম্প্রদায়ীকতা ইসলাম ছরাচ্ছে না ছরাচ্ছে কোন একাধিক মহল(স্বার্থপোরী লোভী) আর ওই স্বার্থবাদী লোভী মহলই ইসলাম থেকে জ্ঞান অর্জন করে ইসলামই তাদের ধর্ম কিন্তু ইসলাম তাদের স্বার্থবাদী, লোভী হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে নি। ( তাহলে এখানে দোষ কার? ইসলামের? নাকি মুসলিমদের? )
আমি এটাই বুঝাতে চাই যে, ধর্ম কখনোই মানুষকে খারাপ পথ থেকে বিরত রাখতে পারে না যা পূর্বের কমেন্টেই উল্লেখ করেছি। একমাত্র মানুষত্ব বোধ আর মানবতাই মানুষে কূপথ থেকে বিরত রাখতে পারে আর এ জন্য প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা। ধর্মীয় শিক্ষা কখনোই মানুষকে মানুষ হিসবে গড়ে তুলতে পারে না। তারা হয় মুসলিম,হিন্দু, খ্রীষ্টান ইত্যাদি ( যে কারণে বলা হয় যে ধর্মই যাবতীয় সাম্প্রদায়ীকতার মূল উৎস) আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি যে কোন একজন মুমিন বান্দাকে জিগ্যেস করুন যে ভাই আপনি কি মানুষ, না বাঙালী, না মুসলিম? দেখবেন সবার আগে সে বলবে আমি একজন মুসলিম, তারপর হয়ত অন্যকিছু। ধর্মিকরা তো নিজেদের মানুষ হিসেবই মনে করে না।
আর সেই ধার্মিকরাই কিভাবে মানবতার পথ দেখাবে? মানবতার নামে শুধু তারা অশান্তিই সৃষ্টি করে। ( নিশ্চই আল্লাহ সব দেখেন ও সব শুনেন কোন কিছুই তার অজ্ঞা বহির্ভূত নয় )
আপনি কষ্ট করে আরেকটু গবেষণা করে দেখতে পারেন- দুনিয়ার যত বড় বড় দাগী আসামী,খুনি,ধর্ষক এরা সবাই কোন না কোন ধর্মের অনুসারী এরা সবাই আল্লাহ খোদাকে ভয় করে কিন্তু ওই আল্লাহ খোদার ভয় তাদের খারাপ কজ থেকে বিরত রাখতে পারে নি। নাস্তিক বা ধর্মহীন মানুষদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা অন্তত পক্ষে ৯৭% কম। আপনি নিরপেক্ষভাবে তামাম দুনিয়ায়ার কয়েদ খানায় গিয়ে এটা নিয়ে জাড়িপ চালিয়ে দেখতে পারেন। সুইজারল্যন্ড,নরওয়ে আরেকটি কি যেন দেশ ঠিক মনে করতে পারছি না তারা তো তাদের কয়েদখানাই বন্ধ করে দিয়েছে কোন কয়েদি নাই দেখে অথচ স্ক্যান্ডেনেভিয়ার ওই দেশগুলোর মানুষ ধর্ম তো দূরের কথা স্বয়ং স্রষ্টাকেই বিশ্বাস করে না। ওই সকল দেশ তো অরাজকতায় পূর্ণ হবার কথা ছিল। অথছ ওই সকল দেশের পুলিশ এখন অপরাধীর পিছনে না ছুটে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে সময় ব্যয় করে। আমি মিথ্যা মনগড়া কথা বলছি কি না তা যাচাই করার জন্য আপনি ওইসকল দেশে যারা থাকে তাদের কাছে জিগ্যেস করতে পারেন অথবা ইন্টারনেটের সহায্য নিতে পারেন আমি কোন লিং দিচ্ছি না।
ঠিক উল্টো ভাবে আপনি কয়েকটা ধার্মিক রাষ্টের দিকে চোখ রাখুন আর পার্থক্যটা নিজ চোখেই দেখে নিন।
ইসলাম যদি শান্তি কয়েম করতে পারত তাহলে আমাদের ঢাকা হত বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ শহর। ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর, আর দূর্ণীতীতে আমরা কতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি তা নিশ্চই মনে আছে আপনার?
এখন আপনি বলবেন আমরা সহীহ ইসলাম পালন করছি না, এটা আমাদের দোষ ইসলামের এখানে দোষ নেই এইটা সেইটা ইত্যাদি, ওয়েল .. তাহলে চলুন ঘুরে আসি ইসলামের পবিত্র চরণভূমি বলে খ্যাত মধ্যপ্রাচ্য থেকে। যে পবিত্র চরণভূমিতে লক্ষ লক্ষ নবীর আবির্ভব হয়েছে ঐশ্বরিক মতবাদ নিয়ে। আপনাকে কি আর কিছু ভেঙ্গে বলার প্রয়োজন আছে? আমি মনে করি জ্ঞানীর জন্য ইঙ্গিতই যথেষ্ট। কমেন্ট বড় হয়ে যাচ্ছে তবুও ছোট করে বলি- ধর্মীয় গুরুদের মধ্যপ্রাচ্যের ওই পবিত্র চরণভূমি হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের দোজখ, হ্যাঁ হাবিয়া দোযখ, আরাজকতা,খুনাখুনি আর বোমাবাজিতে ভারপূর। আপনি এখন বলবেন এগুলো সব ঈহুদী নাসাড়াদের চাল ( দয়া করে পোস্টটি আবার পড়ুণ এবং অনুধাবন করার চেষ্টা করুন কেন এই ইসলাম বিরোধী পোস্ট করেছি?
)
মধ্যপ্রাচ্যে কেন এত হানাহানি হয় জানেন? কারণ লক্ষ লক্ষ ধর্মীয়গুরুদের আবির্ভাব হয়েছে ওই মধ্যপ্রাচ্চ্যে যে কারণে তাদের মধ্যে এত ভেদাভেদ, ধর্মই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করার সর্বোচ্চো হাতিয়ার।
আমি জানি তবুও আপনি বলবেন, এখানে ইসলামের কোন দোষ নেই এটা মানুষের দোষ ইসলাম শান্তিপূর্ণ ধর্ম ইত্যাদি। ( কেন আপনি এমন ভাবছেন বা মুসলিমরা কেন এমন ভাবে এর পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হলে আমাকে অন্তত আরও দুই পাতা লিখতে হবে )
আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করে শেষ করছি আর তা হল - ইসলামের ঠিক কোন যুগে শান্তি ছিল? নবীজির আমলে? নাকি খেলাফত আমলে? নাকি তাবে তাবেঈন আমলে? না বর্তমন সময়ে? ইসলাম আবির্ভব হবার সময়কাল থেকে বর্তমান সময়ে ঠিক কোন জাতি সহী ইসলাম চর্চা করে শান্তি রচনা করতে পেরেছে, যে জাতিকে বা যে সময়কে আমরা ফলো করতে পরি?
আশা রাখছি আপনি সুন্দর যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিবেন এবং আমার ভুল ভাঙ্গিয়ে দিবেন। আর সত্যিই যদি তা পারেন তাহলে কথা দিচ্ছি আমি বাধ্য হব আমার পোস্ট ডিলিট করে দিতে এবং সবার কাছে ক্ষমা চাইব মানুষের ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য।
ইসলাম কখনোই পূর্ণঙ্গ জীবন বিধান নয় ইসলাম হচ্ছে এক পূর্ণাঙ্গ অরাজকতার নাম।- আমি এর পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিচ্ছি।
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------
আপনি দাস প্রথা নিয়ে কিছু বলেছেন তা নিয়ে পরে আসছি। ( যদিও দাস প্রথা নিয়ে উপরে কমেন্ট করেছি)
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: ইসলাম শুধু ধর্ম না একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা আমিও সে দৃষ্টিতেই দেখি তবে কিছুটা ভিন্নভাবে ইসলাম ধর্ম না,এটা হচ্ছে একটি মতবাদ, রাজনৈতিক মতবাদ ( আর এই মতবাদ ১৪০০ বছর পূর্বের আরব অঞ্চলের জন্যই প্রযোজ্য ছিল ) যে কারণে এ মতবাদ টিকিয়ে রাখতে এত এত যুদ্ধের প্রয়োজন হয় ইসলাম ত্যাগ কারীদের হত্যা করার প্রয়োজন হয়। নবীজির জীবদ্দশায়ই কোরানের আয়াত রদবদল করতে হত। মাত্র ২০ বছরের মধ্যে বেশকিছু আয়াত রদবদল করতে বাধ্য হয়েছেন আল্লাহ পাক ( মূলত নবীজি ) মক্কার ওই ছোট একটি সমাজে এক আইন দ্বারা পরিচালিত করতে পারেন নি আল্লাহ পাক। না না ঘটনার প্রেক্ষিতে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন হয়েছে, আয়াত রদবলদ করতে হয়েছে।
বলা হল এটা আল্লাহর বাণী, এর অস্বীকার কারীদের হত্যা কর। আল্লাহর বাণীর এই মতবাদ অনুসারে সমস্ত যুগের তামাম বিশ্বের সকল জাতির চলতে হবে। খিকি খিক
( নিশ্চই স্রষ্টা অবুঝ বালক নয়, অবশ্যই স্রষ্টা যুক্তির পক্ষে থাকিবেন আমরা যুক্তি বিবর্জিত স্রষ্টার স্তুতি করি না এবং তার মুখাপেখিও নই)
আল্লাহ পাক কেন এত বাস্তবতা আর প্রকৃত বিরুদ্ধ একটু শুনি? এই প্রকৃতি কি আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন? নাকি অন্য কেউ? আল্লাহ পাকের কাম কাজ কেন সবই প্রকৃত বিরুদ্ধে হয়? নিশ্চই এ মিথ্যা আল্লাহ।
আমি স্বাক্ষ্য প্রদাণ করিতেছি যে, ধর্মগ্রন্থগুলোর আল্লাহ মিথ্যা আল্লাহ এবং অবশ্যই তা মানব রচিত। আর এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ এবং স্বংশয় নেই।
ইসলাম এমনই এক জীবন ব্যবস্থা যে ব্যবস্থায় কোন জাতি চলতে পারে না। নিদ্রিষ্ট কোন মতবাদে কখনোই সারা দুনিয়া চলতে পারে না। আল্লাহ পাক এ কেমন জীবন বিধান দিলেন যে বিধান অনূসারে কেউই চলতে পারে না? অথচ সে মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন হয়!! আল্লাহ পাক কেন এর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? কেন আল্লাহ আরব অঞ্চলের একটি মতবাদ সারা বিশ্বের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন? ( এই সব মিথ্যা অথর্ব আল্লার পদত্যাগ দাবী করছি )
আপনি ইজমা, কিয়াসের কথা বলবেন? আমি আগেই উপরের কমেন্টে উল্লেখ করেছি ইজমা, কিয়াস হচ্ছে সমস্যার আরেক নাম। ( এটা নিয়ে বিস্তারিত আ্লোচনা করলেই থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসবে। )
মুসলিমদের স্বর্ণ যুগ বলে খ্যাত খেলাফতের যুগ, যে যুগে মুসলিম সম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেত না, যে খেলাফত কায়েম করার জন্য বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম স্বপ্নে বিভোর থাকে ( যারা খেলাফত কায়েমের বিরোধীতা করবে তারা কখনোই সঠিক মুসলিম নয় ) যে কোন মূল্যে স্বপ্নের খেলাফত আর্জন করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এই অযৌক্তিক স্বপ্ন থেকেই রচনা করা হচ্ছে যাবতীয় অজ্ঞতা,আরাজকতা, বোমাবাজি আর কোপাকুপি।
যে খেলাফত কায়েমের জন্য মুসলীমরা এত উদগ্রীব, যা কায়েমের জন্য আরাজকতা, বোমাবাজি করছে সত্যিই কি সেই খেলাফত যুগে মুসলিম বিশ্বে শান্তি ছিল?
না মোটেও না, খেলাফত যুগে আরাজকতা আর হানাহানি আরও বেশি ছিল, ইসলামের পাঁচ খলিফার চরজনকেই হত্যা করা হয়েছে আর তা মুসলিমরাই করেছে, যে শান্তি তারা নিজেরাই রচনা করতে পারিনি যে শান্তি তাদের নিজেদেরই রাক্ষা করতে পারেনি, যে ধর্মীয় বিশ্বাস যাদের ক্ষমতার লোভকে সংবরণ করতে পারে নি। তা সরা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে কি করে? ????
ঈমাম হাসান, এজিদের ঘটনা আমরা সবাই জানি, বিখ্যাত উষ্ট্রের যুদ্ধ খেলাফত আমলেই হয়েছিল, মুসলিমদের যাবতীয় বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে খেলাফত আমল থেকেই। শিয়া,সুন্নি ওই খেলাফত আমলেরই সৃষ্টি। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া সুন্নীরা কি শান্তি প্রতিষ্ঠা করছে তা বিশ্ববাসী দেখতে পাছে।
তারা যতই শান্তির চাদের লুকোনোর করুক চেষ্টা, মুক্তমনারা উম্মোচোন করে দিবে তাদের আসল রুপটা।
ধরুন-আমি একটা ট্যাবলেট তৈরী করলাম এর নাম হচ্ছে পেইন কিলার আর এটা খাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে একটা দিকনির্দেশনা দিয়ে দিলাম। আর বলা হল বিশ্বের সকল মানব জাতির পেইন দূর হবে এই ট্যাবলেট খেলে তবে অবশ্যই তা সহীহ উপায়ে খেতে হবে। কিন্তু দেখা গেল, যেই এই ট্যাবলেট খাচ্ছে তার পেইন দূর হচ্ছে না উল্টো ব্যাথা আরও বাড়ছে। সে যতই সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসারে তা গ্রহণ করুক না কেন। তাহলে এখনে দোষ অবশ্যই ট্যাবলেটের। যতই আমি বা আমার সমর্থনকারীরা যতই বলুক না কেন এখানে ট্যাবলেটের কোনই দোষ নেই যারা তা গ্রহণ করছে তাদেরই কোথাও ভুল হচ্ছে ইত্যাদি তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে? ( আর এভাবেই বিভিন্ন ফাঁক ফোঁকর দিয়ে যুগে যুগে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে)
অনেকেই বলেন- সবকিছুতেই যুক্তি খুঁজা ঠিক না ধর্ম একটি ভিন্ন পর্যায়ের জ্ঞান ধর্ম আর বিজ্ঞান মেলানো ঠিক না ইত্যাদি।
আমি বলব- যা অযৌক্তিক তা সবসময় বর্জনীয় তার পক্ষে সাফাই গাওয়া ঠিক না। ধর্ম মোটেও বিশেষ কোন জ্ঞান নয় আর নয় কোন বিশ্বাসও এ হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস। আন্ধবিশ্বাস, অজ্ঞতা, ভয় আর লোভের সমষ্টিগত রুপই হচ্ছে ধর্ম। আর বিজ্ঞান ধর্ম নিয়ে টানাটানি করে না বরং সমস্ত ধর্মগ্রন্থগুলোই বিজ্ঞানের কোলে আশ্রয় নিয়ে বাঁচার শেষ চেষ্টা করতেছে।
আর তাই- সাম্প্রদায়ীকতা মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হলে ধর্ম মুক্ত সমাজ গড়ে তুলন, ৯০% সমস্যা এমনিতেই দূর হয়ে যাবে।
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭
কল্লোল পথিক বলেছেন:
অন্যর উপর দোষ চাপানো আমাদের অভ্যাস !!!!!!!!!!!!!!
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: কিন্তু এই অভ্যাস কিভাবে দূর করা যায় তা নিয়ে হয়ে যাক একটা কবিত।
ধন্যবাদ কল্লোল ভাই এক নজর বুলানোর জন্য।
৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মহা সমন্বয়,
প্রকৃতপক্ষে এই পৃথিবীর বাসিন্দা হিসেবে প্রতিটি মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব আছে আর এই দায়িত্বটা যার যার অবস্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন। প্রকৃত মানব সেই, যে যাবতীয় ডর,ভয়,লোভের ঊর্ধ্বে উঠে মনব সেবা করে ভাল কাজ করে। আর এ জন্য তার পরকালের একাউন্টে নেকি জমা করার কোনই প্রয়োজন পরে না।
সহমত ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: ধন্যবাদ জী এস ভাই।
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতার্থ হলাম
১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে সব ধর্মই কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ন।। ভেবে দেখবেন, প্লিজ।। দেশ ও ধর্মের ভিত্তিতে।। এক এক করে দেখুন এবং বিশ্লেষন করুন।।
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: কিন্তু ইহা কেউ বিশ্লেষন তো দূরের কথা, বিশ্বাসই করতে চায় না।
সব ধর্মের লোকজনের হাবভাব কিছুটা এমন- হ্যাঁ হতে পারে, তবে, কিন্তু, আসলে মূল বিষয় অনূধাবন করতে হবে, এইটা, সেইটা, তাই বলে আমাদের ধর্ম প্রতিহিংসাপরায়ন না। আমাদের ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম।
অনেকেই দাবী করে এমন? - আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আমার ধর্মে আপনি প্রতিহিংসাপরায়ন একটা বাণীও দেখাতে পারবেন না।
( আমি শুধু মনে মনে বলি, ধর্ম এভাবেই তাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি কেড়ে নিয়েছে, হরণ করেছে তাদের বিবেককে, হত্যা করছে তাদের মানুষত্ব বোধকে, সীল গালা করেছে তাদের হ্রদয় কে। )
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণীত হলাম, থ্যাংস।
১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৬
আবুল হায়াত রকি বলেছেন: কালনীরে কি মন্ত্র পড়িয়েছেন? আপনার পোস্ট প্রিয়তে নিছে! ব্যাটা নির্ঘাত গাঁজা খাইছে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: মানে কি!! তাই বলে তাকে গাঁজা খোর বলবেন???
যে কেউ যে কোন পোস্ট প্রিয়তে রাখতে পারে এতে মহাভারত অসুন্ধ হয় না, আর না তার ঈমান দূর্বল হয়ে যায়, এটা জায়েজ আছে।
যারা সত্যকে ভয় না পায়, সত্য জানতে যারা ভীতু নয়। তাদের ঈমান এত সহজেই নড়বড়ে হয় না বুঝতে পারছেন?
১২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৪
জেন রসি বলেছেন: নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই ধর্মকে হিংস্র হতে হয়। একটা নির্দিষ্ট সময়ের কিছু মতবাদ নিয়ে সমাজ চলতে পারেনা। তাই একটা বিকাশমান সমাজ ব্যবস্থার সাথে ধর্মের সংঘর্ষ অনিবার্য।
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২২
মহা সমন্বয় বলেছেন: বেশ বলেছেন আপনার সাথে সহমত, যদিও অধিকাংশ মানুষই তা দেখতে পায় না।
১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: হাঃ হাঃ তাই নাকি ?
আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হলাম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯
মশিউর বেষ্ট বলেছেন: অন্য ধর্মের মানুষ কোরআন পড়ে জানার জন্য বা জ্ঞান অর্জনের জন্য। আর মুসলিমরা পড়ে বেহেস্ত লাভের জন্য। একজন জ্ঞানীর ঘুম একজন বেহেস্তলোভী মুর্খের সারা রাতের এবাদতের চেয়ে উত্তম।
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩
মহা সমন্বয় বলেছেন: হাঃ হাঃ দারুণ বলেছেন, এ জাতিয় একটা হাদিস ও আছে।
সে যাই হোক।
আমিও আপনাকে একটা হদিস ( হাদিস না কিন্তু খেয়াল কইরা ) শুনিয়ে দেই্।
স্রষ্টা নিয়ে একজন নাস্তিকের এক মিনিটের চিন্তাভাবনা একজন ধার্মীকের হাজার বছরের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: মশিউর বেষ্ট বলেছেন একজন জ্ঞানীর ঘুম একজন বেহেস্তলোভী মুর্খের সারা রাতের এবাদতের চেয়ে উত্তম।
আপনি মন্তব্য করতেই পারেন তবে এই ভাবেনা। এই কথা বললেন ইসলাম থেকে বৃক্রিত করে। এভাবেই অরাজকতা তৈরি হয়। আপনার মা যখন আপনাকে বলবে “ভাত খাও বাব” আর আমি সেটাই আপনাকে ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে যদি বলি তাহলে আপনার মনে ক্রোধ তৈরি হবে যদিও কথাটা আপনার না আাপনার মায়ের। তাই ভালমত বুঝান।
লেখক যা বললেন আর ওই স্বার্থবাদী লোভী মহলই ইসলাম থেকে জ্ঞান অর্জন করে ইসলামই তাদের ধর্ম কিন্তু ইসলাম তাদের স্বার্থবাদী, লোভী হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে নি। ( তাহলে এখানে দোষ কার? ইসলামের? নাকি মুসলিমদের? )
স্বার্থবাদী লোভী মহলই ইসলাম থেকে জ্ঞান অর্জন করে নাস্তিকতা থেকে ইহুদীবাদ খ্রিষ্টান বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। আপনি শুধু কেন ইসলাম দেখতেছেন (আপনি তো আর ধর্মান্ধ না)। ইউ.এস.এ সরকার তো তাদের দেশের সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রন করতে অনেক আইন টেকনোলজি ব্যবহার করে সচেতনতামূলক বানী প্রচার করে ,সন্ত্রাসী নির্মুল করতে পারলো কি? দোষ কার ??
একমাত্র মানুষত্ব বোধ আর মানবতাই মানুষে কূপথ থেকে বিরত রাখতে পারে আর এ জন্য প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা।
(একমত) ইসলাম ধর্মে যথেষ্ট মানবতা মানুষত্ব আছে কিছু যোগ করতে চাললে তাও পারেন কিন্তু তা কোরআনের বাইরে যেতে পারবে না (একজন খুনি আর একজন পরপোকার ব্যাক্তির জন্য সমান মানবতা কাজ করবে না)। আমি বিশ্বাস করি অপরাধ করলে কঠিন শাস্তি পাব পরকালে (দুনিয়াতে তো বটেই) তাও আমি কুকর্ম করতেছি। যখন আমার পরকাল বলে কিছু থাকবে না তখন কোন যুক্তিকে আমি অপরাধ করব না?? আমি বুঝতেছি আমাকে একজন ফলো করতেছে তাও আমি শয়তানি করি যখন জানব দেখার কেই নাই তখন কি করব তা কে বলতে পারে?
ধর্মিকরা তো নিজেদের মানুষ হিসেবই মনে করে না।
যখন কেই বলবে আমি মুসলমান তখন সে মানুষ থাকে না এটা কোন কথা? যখন কেই বলবে আমি আফ্রিকান তখন সে মানুষ থাকে না?? যখন কেই বলবে আমি পুরুষ তখন সে মানুষ থাকে না? সাম্প্রদায়ীকতা ছড়ায় নাস্তিকরা যারা অহেতুক কোন নির্দিষ্ট গোত্রকে হেয় করে, ডেনমার্ক ফ্রান্স এরা কেন নবীজিন কার্টুন আকলো? কার্টুন না আকলে পৃথীবি ধ্বংষ হইত? এটা কোনো সাম্প্রদায়ীকতা না?? কথা হল সব গোত্রতেই খারাপ থাকে। দুই কোরিয়ার যে দ্বন্দ, রাশান মার্কিন দ্বন্দ, চীন জাপান দ্বন্দ, কিইবা মার্কিন দ্বন্দ এগুলো কেন? এগুলো হয় নেতাদের কারনে তারা চাইলে অনেক কিছু করতে পারে এই দোষ কোন দেশের না।
দুনিয়ার যত বড় বড় দাগী আসামী,খুনি,ধর্ষক এরা সবাই কোন না কোন ধর্মের অনুসারী
দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ কোন না কোন ধর্ম পালন করে তো অপরাধী বেশী হবেই দুনিয়ায় নাস্তিক বেশী থাকলে অপরাধী বেশি নাস্তিক হইত।
নাস্তিক বা ধর্মহীন মানুষদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা অন্তত পক্ষে ৯৭% কম এগুলো আবেগী কথা
সুইজারল্যন্ড,নরওয়ে আরেকটি কি যেন দেশ ঠিক মনে করতে পারছি না তারা তো তাদের কয়েদখানাই বন্ধ করে দিয়েছে
ভাই কথা ঠিক নেদারল্যান্ডস আসামির অভাবে কারাগার বন্ধ করেছে (সব না) কিন্তু তা নাস্তিকতার জন্য না তাদের সেরা নেতৃত্ব যা দারুন আইন ও নিয়মে বাধা। আপনি যদি চীন রাশিয়া কিউবা (যাদের মূল থট নাস্তিকতা) তাদের দিকে তাকান তাহলে উল্টোটা দেখবেন আর স্ক্যান্ডেনেভিয়া অঞ্চলের দেশের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে আপনি হয়ত জানেন তারা কোনকিছুর আগেও নাই পাছেও নাই। নিজ দেশের উন্নাতি করা তারা কি মানুষ নাকি সুইডীস/নরয়েয়িয়ান/ড্যানিস ( এইটা অন্য রাজনৈতিক আলাপ )
তবে স্ক্যান্ডেনেভিয়া অঞ্চলের দেশের মত মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, কাতার দারুন নীতি পালন করে যার কারনে মধ্যেপ্রাচ্যে দেশ হওয়া সত্বেও কাতার অনেক শান্তিতে আছে অতএব আমরা বলতে পারি অশান্তির কারন নষ্ট রাজনীতি(বর্তমান বাংলাদেশে প্রচলিত) বাংলাদেশ কি ইসলামি প্রজাতন্ত্র?
ধর্মীয় গুরুদের মধ্যপ্রাচ্যের ওই পবিত্র চরণভূমি হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের দোজখ, হ্যাঁ হাবিয়া দোযখ, আরাজকতা,খুনাখুনি আর বোমাবাজিতে ভারপূর।
প্রাচীন আরব ছিল অরাজকতায় ভরা যাকিনা বলতে পারেন ভৈৗগলিক ভাবে তারা একটু ঘারত্যারা টাইপের অলস ও সৈৗখিন অন্য গোত্র তাদের শাষন করতে পারে নাই।এমন এক জাতিতে নবীজির আগমন(থাক আপনি জানেন) এখন দেখার বিষয় মধ্যপ্রাচ্য কেন?? বর্তমানে আরবে অস্থির রাজনীতি বিদ্যমান আর এর সুত্রপাত দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর (১ম বিশ্বযুদ্ধের পরও বলা যায় আপনি ফ্রান্স বৃটেন গোপন চুক্তির বিষয়ে জানেন কি?) যখন বৃটেন থেকে পরাশক্তি আমেরিকা ও সোভিয়েত এর আগমন তাদের রাজনীতির কারনে মূলত সবপ্রান্তেই যুদ্ধ হয়েছিল যা মধ্যেপ্রাচ্যে বর্তমান অব্দি আছে। কারন সঠিক নেতৃত্বের অভাব। মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, কাতার, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, এইসব দেশ তো ভালই আছে। ফ্রান্স বৃটেন ১০০ বছরের যুদ্ধ পরাপর ২টা বিশ্ব যুদ্ধ ইউরোপ তখন ছিল বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যর মত ঔ সাম্প্রাদায়ীকতা কাদের দ্বার হইছে ইসলাম দ্বারা?? অবশ্যই না, তা ছিল রাজনৈতিক ফলাফল।
ধর্মই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করার সর্বোচ্চো হাতিয়ার।
ভুল না কিন্তু আপনার দেখতে হবে যে, মানুষের ভেদাভেদ নিয়ে জন্ম, আমাকে ভুল বুঝবেন না। এই যে এক এক জাতি তাদের সংস্কৃতি আলাদা, নারী পুরুষ শেতাঙ্গ কৃস্নাঙ্গ আবার সমলিঙ্গ ইত্যাদি, তাই বলে কি তারা সবাই সবার শত্রু, একদমই না এখানেও ঔ রাজনীতি অর্থ্যাত যোগ্য নেতা দরকার। এবং আপনি জানেন সবচেয়ে কঠিন বিচার হবে ওলামা আর শাসকের(ইসলামিক দৃষ্টিকোন)
ইসলামের ঠিক কোন যুগে শান্তি ছিল? নবীজির আমলে? নাকি খেলাফত আমলে? নাকি তাবে তাবেঈন আমলে? না বর্তমন সময়ে? ইসলাম আবির্ভাব হবার সময়কাল থেকে বর্তমান সময়ে ঠিক কোন জাতি সহী ইসলাম চর্চা করে শান্তি রচনা করতে পেরেছে, যে জাতিকে বা যে সময়কে আমরা ফলো করতে পরি?
ইসলামে নবীজির আমল এবং ১ম ও ২য় খলিফার আমল পর্যন্ত আরবে অনেক শান্তি ছিল এবং উসমান (রা) এর সময় থেকে অরাজকতা শুরু হয় এবং উসমান (রা) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনার আমলে এমন অরাজকতা কেন তখন সে বলেছিলএমন যে, আমরা তাদের(খলিফাদের) যেভাবে সাহায্য করেছিলাম তোমরা সেভাবে করছনা। শিয়াসুন্নি বিভেদ একটি রাজনৈতিক কারন যাই হোক আমরা কোন জাতিকে না কোন ব্যাক্তিকে না কোন বুজুর্গকে না ফলো করব শুধু নবীজিকে (এখানে ফলো বলতে তার আদর্শ) তাই বলে এমন না যে সে উটে যাতায়ার করত আমরাও তাই করব, প্রযুক্তি আর্শিবাদ স্বরুপ বিজ্ঞান আমাদের জীবন মান উন্নত করেছে। আরবদের সমস্যা হল তারা অয়েল মানি পেয়ে আর কিছু ভাবছেনা সেখানে জীবন যাত্রাম মান যেকোন দেশের চেয়ে ভাল। তারা পিছিয়ে শূধু মাত্র বিজ্ঞান চর্চার অভাবে। এর জন্য ইসলাম দায়ী না। দায়ী তাদের মনোভাব
আর আমি বাঙ্গালী তাই যে কোন বাঙ্গালী জন্য মন ভাববে আমাকে তার দিকে টানবে এটাই স্বাভাবিক মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই, এখানে এদের সম্পর্ক-এর কথা হয়েছে একটি পরিবার, তাই বলে এখানে অন্য পরিবারকে ঘৃনা করতে বলা হয়নি। তারপর বির্ধমীদের সাথে বন্ধুত্ত করা যাবে না, এখানে লক্ষনীয় একজন মা তার বাচ্চাকে বলে অমুক বন্ধুর সাথে মিশবি না এটা মূলত তার ভালর জন্য তার মানে এই না যে মুখ দেখা বন্ধ বিপদে পাশে না থাকা, মূলত তাকে অনুসরন না করা তার সাথে অন্তরঙ্গ ভাবে না মেশা। সবার আগে আমার পরিবার তারপর সমাজ তারপর দেশ ব্ল ব্ল ..... এভাবে দেখলে ই হয়
আমাদের সমাজে অনেক বুজুর্গ কোনটি সঠিক তা বোঝা কঠিন তাই কোরআন দেখবো তারপর হাদিস। অনেক ভুল হাদিস আছে তাই সব মতবাদ দেখে নিজের বিচার করতে হবে কোনটি করব আমি।
একটি কথা ভাই ইসলাম দায়ী না আপনি হয়ত মানতে পারছেন না আপনি ইসলাম কে দোষী বলতেছেন আমি অনেক ভাবে বুঝাতে চেষ্টা করেছি যে ইসলাম দায়ী না। আমার লেখায় বানানগতভূল থাকতে পারে আপনি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন
ধন্যবাদ...
৩০ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:২৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: ধন্যবাদ জ্ঞান ক্ষুদা ভাই সুন্দর ভাবে আপনার মতামত তুলে ধরার জন্য। সত্যি বলছি আপনার সাথে আলোচনা করে আমার ভাল লাগছে।
এখানে আপনি ব্যতীত অন্য কেউ বা কোন ধর্মান্ধ যদি হত তাহলেই কিন্তু লেজে গোবরে অবস্থা হয়ে যেত, আলোচনা এতদুর পর্যন্ত টেনে আনা প্রায় দূরুহ হয়ে যেত। অনেক আগেই কাঁদা ছুড়াছুড়ি শুরু হয়ে যেত। যদিও আপনি ইসলাম বা ঐশ্বরিক মতামতের পক্ষে কিন্তু আপনি অন্যন্যদের তুলনায় বেশ সহনশীল এবং তাদের মত উগ্র নন, এটা আমি শিওর। আর ধর্ম বিষয়ে এ জাতিয় লোকদের সাথেই আলোচনা করতে আমার ভাল লাগে। একজন সত্য অনেষণকারী মানুষ আর একজন ধর্মান্ধের মধ্যেই এটাই সবচেয়ে বড় পার্থক্য, আপনাকে +++
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এখন আপনার সাথে আরো কিছু আলোচনা করি, বিশ্বাস করি আলোচনা থেকেই ভাল কিছু উঠে আসে।
'মশিওর বেষ্টের' মন্তব্য এবং তার প্রতিউত্তরে আমি যা বলেছি, যদিও এটা আবেগ থেকে বলা, কিন্তু এটা যুক্তি সঙ্গত অযৌক্তিক নয়। আর এতেই্ যদি অরাজকতা সৃষ্টি হয় তাহলে এর জন্য দায়ী কে বলে আপনি মনে করেন? হুজুরদের মত সবাই কি হুবহু কোরান হাদিসের উদৃতি দিয়ে কথা বলবে? নিজস্ব মত বলে কিছু থাকতে পারে না? ধার্মিকরা সাধারণত সবকিছুই নিজের মত চিন্তা করে এবং সেভাবেই হতে হবে ভাবে। পান থেকে চুঁন খসলেই হাঙ্গামা বাঁধায়। খুব অল্পতেই এদের অনভূতিতে আঘাত লাগে। ( পার্সোনালি নিবেন না ভাই আমি আপনাকে বলছি না ধর্মিকদের মেন্টালিটি কি হয় আমি তাই উল্লেখ করছি )
আপনি ভালমত বুঝাতে বলেছেন- আপনার এ কথার সাথে প্রায় সবাই একমত হবেন। আমিও একমত তবে পুরোপুরি না। কেন??
কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে, কিছু কিছু ধর্মান্ধের সাথে আপনি কখনোই সৎ এবং সঠিক যুক্তি দ্বারা বুঝাতেই পারবেন না। উল্টো আপনাকেই হেনেস্তা হতে হবে, যুক্তি দেয়ার কোন সুযোগই আপনাকে দেয়া হবে না বা আপনার কোন যুক্তিই তারা গ্রহণ করবে না। । সে ক্ষেত্রে ব্যঙ্গ, হেয়ালি,আবেগী, কিছুট তীর্যক অথচ বাস্তব সঙ্গত আলাপন ভাল কাজে দেয়। একটা বাস্তব এবং যুক্তি সঙ্গত কার্টুণ হাজারটা বাক্যের চেয়ে উত্তম । যদিও এখানে কিছুটা রিস্ক থেকেই যায়, ধর্মের ওই কাল সাপ নিয়ে কথা বলা হবে আর সেখানে রিস্ক থাকবে না তা হতে পারে না। দুনিয়া এবং আখেরাত দু জায়গাতেই রয়েছে এক বিশাল রিস্কের সম্ভবনা। ( প্রকৃত অর্থে আখেরাতে কোন রিস্কই নেই বিন্দুমাত্র রিস্কের সম্ভবনা থাকলে কেউ ধর্মের বিরুদ্ধে লিখত না। সে পর্যায়ের আত্নবিশ্বাস অর্জিত হবার পরেই কেবল নিজের আজন্ম লালিত বিশ্বাস, নিজের চৌদ্দ পুরুষের ধর্মের বিরুদ্ধে লিখা যায়, তার আগে নয়। যাবতীয় রিস্ক হচ্ছে দুনিয়ায় ওই ধর্মন্ধ মানুষের রিস্ক )
আবার সবাই বিদ্যাসাগর, রোকেয়া সাখাওয়াত ও না সবারই নিজস্ব কিছু স্ট্যাটাইল থাকে। ( আমার যে রকম স্ট্যাটাইল কথায় কথায় লেখা সম্বলিত কিছু ছবি শেয়ার করা ) এ এজন্য আমি ইহুদী নাসাড়াদের কাছ থেকে ডলার পাই না, আর আমি ভারতের দালাল ও নই। আমার কাজ হচ্ছে সত্য প্রকাশ করে যাওয়া মাত্র আর এটাকে আমি আমার নৈতিক দায়িত্ব বলেই মনে করি। একে নিজের খেয়ে বনের মেষ তাড়ানোর মত বলা যেতে পারে)
সে যাই হোক- আমাদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ইসলাম সাম্প্রদায়িকতা এবং অরাজকতার মূল উৎস এর পক্ষে এবং বিপক্ষে।
আমি বলেছিলাম- আর ওই স্বার্থবাদী লোভী মহলই ইসলাম থেকে জ্ঞান অর্জন করে ইসলামই তাদের ধর্ম কিন্তু ইসলাম তাদের স্বার্থবাদী, লোভী হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে নি। ( তাহলে এখানে দোষ কার? ইসলামের? নাকি মুসলিমদের? )
আপনি এখানে আরেকটু যোগ করে দিয়ে বললেন, এই স্বার্থবাদী,লোভী মহলগুলো শুধু ইসলাম থেকে না ইহুদী, নাসারা এবং নাস্তিকদের কাছ থেকেও জ্ঞান অর্জন করে। ( পোস্টে বহু আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, কিভাবে যে কোন কিছুর পিছনেই আমারা ইহুদী,নাসারাদের হাত দেখতে পাই।
আমি কেন শুধু ইসলামকেই দোষ দিচ্ছি?
কারণ এখানে আমি শুধু মুসলিম সমাজ,মুসলিম জাতি, মুসলিম রাষ্ট্রের অসঙ্গতিগুলোই তুলে ধরছি তাই। আর তাদের ধর্ম ইসলাম তাই আমি শুধু এখানে ইসলামেরই দোষ দেখতে পাচ্ছি।
তাহলে অন্যন্য ধর্মে কি অসঙ্গতি নেই? অন্যন্য জাতি বা অমুসলিম রাষ্ট্রে কি অরাজকতা সাম্প্রদায়িকতা নেই?
-অবশ্যই আছে।
তাহলে কেন আমি শুধু ইসলাম আর মুসলিমদের পিছনেই লাগলাম? নিশ্চই আমি ইসলাম বিদেষী? আমি আসলে মুক্তমনা না??
এর ব্যাখ্যা আমি ৩ নং কমেন্টের দ্বীতিয় উত্তরে দিয়েছি। তবুও হালকা উল্লেখ করছি, যার যার সমাজের, যার যার ধর্মের অসঙ্গতি সেই সেই ধর্মের মুক্তমনারাই তুলে ধরবে। অন্য ধর্মের কেউ ইসলাম/মুসলিমদের নিয়ে কথা বললে সবার আগে তার মাথা ফাঁটিয়ে দেয়া হবে আর সেটাই হবে প্রকৃত সাম্প্রদায়িকতা। আর সাধারণত ধার্মিকরাই এ কাজটি করে থাকেন যার যার ধর্ম ঠিক রেখে, অন্য সব মতবাদ/গোষ্ঠির/জাতির বিরুদ্ধে কথা বলে, কিছুতেই তারা নিজেদের ভুল দেখতে পায় না।
আপনি বলেছেন- ইউ.এস.এ সরকার তো তাদের দেশের সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রন করতে অনেক আইন টেকনোলজি ব্যবহার করে সচেতনতামূলক বানী প্রচার করে ,সন্ত্রাসী নির্মুল করতে পারলো কি? দোষ কার ??
তাহলে কি আমরা সবাই নিজেদের ধুয়া তুলসি পাতা ধরে নিয়ে, আমেরিকার আইন,আমেরিকার সমাজ,রাজনীতি, ধর্ম নিয়ে লেখালেখি শুরু করব?
আর যদি করি তাহলে তা কতটু যুক্তি সঙ্গত হবে বলে আপনি মনে করে? এই মহান কাজটি তো প্রতিনিয়ত মুসলিমরা করেই যাচ্ছে কথা কথায় তারা আমেরিকার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে ছড়ছেন হুজুরদের রাজনৈতিক এমন কোন বক্তব্য নেই যেখানে আমেরিকাকে ধুঁয়ে দেয়া হয় না। আমেরিকার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য বাংলাদেশের হুজুররাই যথেষ্ট, আমেরিকা নিয়ে তাদের যথেষ্ঠ গবেষণা করা আছে
আর আমার পোষ্টের মূল বিষয় বস্তুও কিন্তু এটাই পোষ্টের শুরুতেই যা উল্লেখ করা হয়েছে। -ভিন্ন মত / ভিন্ন গোষ্ঠিকে সহ্য করতে পারে না কারা?
আর আমি এই বিষয়টাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই এই পোস্টটি দেখুন: mom's boyfriend - আমেরিকান মেন্টালিটি - জানতে মন চায় সাত সুমুদ্র তের নদী দূর থেকে আমরা আমেরিকার সমাজে বহুল প্রচলিত একটি প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলছি আর বাংলাদেশি সমাজের নিরিখে তা বিচার করছি। বাংলাদেশে বসে বসে আমরা ঠিক করে দিবো আমেরিকার সমাজের জন্য কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ!! ( হুমম তা তো করতেই পারি কারণ প্রতিটি মুসলিম এক একটা মহাবিজ্ঞানী কারণ আমাদের আছে মহাগ্রন্থ যার দ্বারা আমরা তামাম বিশ্বের সামাজিকতা ঠিক করে দিতে পারি।
)
আমেরিকার বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগটি আবার তুলে ধরছি- ইউ.এস.এ সরকার তো তাদের দেশের সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রন করতে অনেক আইন টেকনোলজি ব্যবহার করে সচেতনতামূলক বানী প্রচার করে ,সন্ত্রাসী নির্মুল করতে পারলো কি? দোষ কার ??
এর উত্তর আরও দুই ভাবে দেয়া যায়, নাম্বার ১: ব্যঙ্গাত্বক ভঙ্গিতে নাম্বার ২: কিছুটা সাধু ভাবে। আমি দুই ভাবেই উত্তর দিচ্ছি ( জ্ঞান ক্ষুদা ভাই দয়া করে আমার কোন কিছু পার্সনালি নিবেন না প্লীজ, প্লীজ। ধর্মের অসাড়তা তুলে ধরতে গিয়ে অনেক সময় ধার্মিকদের মেন্টালিটি তুলে ধরতে হয় তা কখনোই ব্যক্তিগত না যদিও অনেক সময় তাই মনে হয়। আমি শুধু ধর্মের বিরোধিতা করি আর ধর্ম থেকে যে মেন্টালিটির জন্ম নেয় সেই মেন্টালিটির বিরোধিতা করি কোন ব্যক্তির না। হুজুরদের সাথে আমার কোনই ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই বরঞ্চ তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
)
নাম্বার ১: যেহেতু আধুনিক প্রযুক্তি,সচেতনমূলক বাণী প্রচার করেও আমেরিকা সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারেনি সুতরাং ইসলামই হচ্ছে একমাত্র শান্তির পথ ( সবাই বলুন সুবহানাল্লাহ ) হ্যাঁ সব আম্রিকার দোষ। এই আমেরিকার জন্যই তো সারা বিশ্বে এত মারামারি কোপাকোপি হইতেসে। সুতরাং এই কোপকুপি বন্ধ করার জন্য আমেরিকাতে বেশি বেশি ইসলাম প্রচার করতে হবে। ( পোস্টের বিষয় বস্তুু সাথে কোন কিছুর মিল খুঁজে পেলে লেখক দায়ী না
নাম্বার ২: ইউ.এস. সরকার তাদের দেশে সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারে নি অবশ্যই এটা তাদের ব্যার্থতা ? হ্যাঁ সন্ত্রাস নির্মূল করার সর্বোত্তম পন্থা যদি কারো জানা থাকে তবে তা ইউ.এস প্রশাসনকে জানিয়ে দেয়া যেতে পারে।( যদিও কোন পন্থাই সারা বিশ্বে সমানভাবে কাজ করবে না। আমেরিকানদের সামস্যা আমেরিকানরাই সবচেয়ে ভালভাবে মোকাবেলা করতে পারবে ) তবে তা তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না। যদি তারা তা গ্রহণ না করে তাদের শত্রু ভাবা যাবে না বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা তাদের নাগরিককে হত্যা করা যাবে না।
আশা করি নতুন সরকার স্রন্ত্রাস দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আচ্ছা জ্ঞান ক্ষুদা ভাই, নিচের এই সুন্দর নূরানী চেহারার আফগান বংশদ্ভুত ওমর মাতিন সাম্প্রতিক সময়ে ইউ.এস এর সমকামী ক্লাবে যে হামলা চালিয়ে ৫০ জন মানুষকে ( হত্যাকারীর দৃষ্টিতে কাফের মানুষ নয় ) হত্যা করল। view this link
view this link
এর নিরপেক্ষ্য ব্যাখ্যা আপনার কাছ থেকে আশা করছি। সে কেন এমনটা করল? কিসের নেশায়? কিসের আশায়? কি সেই প্রলোভন যার আশায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে তারা জঙ্গিবাদের রাস্তা খুঁজে নেয়?
আমরা অনেক দূরে যে কোন ব্যাখ্যাই আমাদের ভুল হতে পারে তবুও আপনার কাছ থেকে যথা সম্ভব নিরপেক্ষ্য এবং সর্বাধিক যুক্তি সঙ্গত ব্যাখ্যাই আশা করছি?
কমেন্ট বড় হয়ে যাচ্ছে, সকালও হয়ে যাচ্ছে যদিও আপনার কমেন্টের এক তৃতীয়াংশেরও ময়না তদন্ত এখনো করা হয়নি। বাকিটুকু নিয়ে পরে আবার আসছি আপদত এতটুকুই আর ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকুন।
ধন্যবাদ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: এবার আপনার মন্তব্যের দ্বীতিয়াংশে আসি।
একমাত্র মানুষত্ব বোধ আর মানবতাই মানুষকে কূপথ থেকে বিরত রাখতে পারে আর এ জন্য প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা।
আমার এ কথার সাথে আপনি একমত পোষণ করে আর কিছু কথা যোগ করছেন যার সারমর্ম হল- ইসলামে যথেষ্ট মানবতা আছে,আমাদের ধর্মীয় নীতিতেই থাকা উচিৎ এবং একজন স্রষ্টা আমাদের লাগবেই। একমাত্র স্রষ্টা বিশ্বসের মাধ্যমেই মানুষে কূকর্ম থেকে দূরে রাখা সম্ভব।
কথা কিন্তু সত্যি, শুধু ইসলাম কেন প্রতিটি ধর্মেই যথেষ্ট মানবতা রয়েছে। ননা মানবতা, মাহনুভবতার বাণীতে ধর্মগ্রন্থগুলো পূর্ণ। এ কথা দুনিয়ার কেউই অস্বীকার করবে না। আর যাবতীয় গন্ডগোলের মূল এখানেই।
কেন সবগুলু ধর্মেই এত এত মানবতা কথা বলে? কেনই বা সব ধর্মেই ভাল ভাল বিষয়ের ছাড়ছড়ি ? প্রতিটি ধর্মে কিভাবেই বা এত এত মনবতার কথা আসল? তার বিস্তর ব্যাখ্যা করতে যথেষ্ট সময় প্রয়োজন। এটা নিয়ে অন্য কোন কমেন্টে আলোচনা করার ইচ্ছা রাখি।
আমি এখানে কিছু বিষয় তুলে ধরছি, ভুল হলে শুধরিয়ে দিবেন ।
ইসলামের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে শান্তি, মানবতা মাহনুভবতা,সত্যবাদীতা ইত্যাদি না না বাণীতে ইসলাম ধর্ম পূর্ণ। পঁথে কাঁটা বিছানো বুড়ির গল্প আমরা সবাই জানি। নবীজীর বিছানায় এক ইহুদী হাগু করে দেয়ার পরেও নবীজি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। ( ইসলামের অরাজকতায় পরে আসছি ) আর এই ভাল ভাল বাণীগুলোর জন্যই ইসলাম ধর্ম আলাদা বৈশিষ্ট বহন করে না বা তা স্রষ্টার বাণী হয়ে যায় না। যদি তাই হত তাহলে সবগুলু ধর্মই স্রষ্টার বাণী যেহেতু সবগুলু ধর্মেই রয়েছে প্রচুর মানবতার ডাক। মানবতা,মহানুভবতা,সত্যবাদীতা, এ বিষয়গুলু নেই এমন একটি ধর্মও কি দেখাতে পারবেন? জানি পারবেন না। ( ডাল মে কুঁচকালা হ্যায়
) তাহলে কি সবগুলু ধর্মই স্রষ্টা প্রদত্ত? যেহেতু সবগুলু ধর্মেই ভাল ভাল কথা রয়েছে, সূতরাং সবগুলু ধর্মই স্রষ্টা প্রদত্ত আপনার যুক্তি অনুযায়ী তো তাই হয়। আর সবগুলু ধর্মই যদি স্রষ্টা প্রদত্ত হয় তাহলে কেন এক ধর্ম আরেক ধর্মকে নাকচ করে দেয়? আর এই নাকচ করে দেয়ার কারণেই শুরু হয় ঘৃণা, বিভেদ সহ যাবতীয় সাম্প্রদায়িকতা। আবার কিছু কমন বিষয় আছে যা সবগুলু ধর্মেই রয়েছে যেমন,বিয়ে,আত্নীয়তার সম্পর্ক, না না অলৌকিক কর্মকান্ড, ইত্যাদি, এই বিষয়গুলু নেই এমন একটি ধর্মও দেখাতে পারবেন না। (এ ক্ষেত্রে সবগুলু ধর্মের স্রষ্টারই এত মিল ক্যারে?? ) বুঝতে পারছেন প্যাঁচটা কোথায়? এসব দিক বিবেচনায় ইসলাম ধর্মের আলাদা বৈশিষ্ট কোথায়? আমাকে একটু বুঝ দান করুন যার কারণে প্রামাণ হয় যে ইসলাম স্রষ্টার মতবাদ আর এই মতবাদেই বিশ্ব চলবে? ( যে কেউ এর যৌক্তিক ব্যাখা প্রদান করতে পারেলেই আমি বুঝ মানব এবং এই পোস্ট ডিলিট করে দেয়া হবে ) তাহলে আমি নিজেও সারা বিশ্বে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার যুদ্ধে নেমে পড়ব। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য, আল্লাহর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। যদি তা আসলেই প্রকৃত স্রষ্টার আইন হয়ে থাকে।
ইসলাম স্রষ্টার মতবাদ এ কথা বিশ্বাস করার পরেও আপনি কেন স্রষ্টার আইন প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করছেন না? আপনি মুনাফিক, আপনার ঈমানই নেই এটা আমার কথা না এটা এই বিশিষ্ট ইসলামি বক্তার কথা, সাথে আরও ভাল করে শুনুন ইসলামে জিহাদের গুরুত্ব, ও তৎপর্য। আর্যচ্য আপনি কি জিহাদের মত এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ফরজকে অস্বীকার করতে চান?
আমার এ বক্তব্যের সপক্ষে আমি বহু আয়াত এবং হাদিস দিতে পারি, যদি আপনি চান । তবে আপদত হুজুরের ওই ভিডিওটারই ব্যাখা প্রদাণ করুন যে হুজুর ভুল বলেছে এবং ইসলাম সমন্ধে আপনি যে ধারণা পোষণ করেন সেটাই সঠিক।
এখন আসি পোষ্টের মূল প্রসঙ্গ ইসলামের অরাজকতার কথায়- অরাজকতা কমবেশী সব ধর্মেই আছে তার মধ্যে ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ
আমি আগেও বলেছি এখনও বলি, মনবতা সব ধর্মেই আছে মনবতার ডাক, মানবতা শুধু ইসলাম ধর্মের সম্পত্তি না, তাই এই মানবতার জন্য ইসলাম ধর্ম আলাদা বৈশিষ্ট বহন করে না বা তা স্রষ্টার আইন হয়ে যায় না ( আর এ মনবতাগুলো প্রকৃতি বা মনব সমাজ থেকে ধর্মগুলো চুরি করছে, এই মনবতা গুলু মানুষই সৃষ্টি করেছে তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দ্বারা। এই মানবতা গুলো স্রষ্টা মনুষকে শিক্ষা দান করেন নাই। )
আমার কাছে ইসলাম যে কারণে আলাদা বৈশিষ্ট বহন করে তা হলো, এই মনবতার ডাকের আড়ালে, শান্তির চাঁদরে লুকিয়ে ইসলাম অরাজকতা ছড়ায়, ছড়ায় সাম্প্রদায়িকতা, খুনাখুনি, আর রাজাহানি, (সবগুলু ধর্মই এ জন্য দায়ী কিন্তু ইসলামই সর্ব শ্রেষ্ঠ, আর আমি ইসলামের কথাই বলছি)
ইসলাম যতটুকু মানবতার কথা বলে তার চেয়ে ঢের বেশী হানাহনি আর অরাজকতার প্রতি মানুষকে আহ্বান করে। ( মানবতার কথা বলা প্রতিটি ধর্মের এটা ট্রিক্স মাত্র আর এই মানবতার চাদরের আড়ালেই নিজ নিজ মতবাদের সম্প্রাসারণ করে এখানে স্রষ্টার কোনই হাত নেই সব মানুষেরই কারসাজি ) ইসলাম ধর্মে বিধর্মীদের প্রতি সদ্বয় হাবার কথা যদি বলে একবার, তাদের হত্যা করা তাদের আঘাত করা, তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলে হাজার বার। ( আর এটা আপনিও জানেন, কিন্তু বিশ্বাসের কারণে তা স্বীকার করতে পারছেন না বা তা দেখতে পাচ্ছে না। যে কোন মূল্যে এটাকে শান্তির চাদর দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছেন। আর অন্য জাতির দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। নিজ নিজ ধর্মে প্রতি অগাধ বিশ্বাসের কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। সব ধর্মের লোকজনই এভাবে নিজ নিজ ধর্মের দোষ ক্রুটি দেখতে পায় না, তারা শুধু অন্য ধর্মের দোষ দেখতে পায়। ওই বিশ্বাসের কারণেই এটা হয়ে থাকে যে কারণে প্রতিটি ধর্মের প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে বিশ্বাস। আর এর পুরোটাই হচ্ছে মনস্তাত্বিক ব্যপার। )
কোরানের কোথাও নামাজের সঠিক বিবরণ নেই কিভাবে নামাজ পড়বে তাও উল্লেখ নেই ঠিক কত রাকাত নামজ পড়তে হবে তারও হদিস নেই। যে কারণে এই নমাজের বিভিন্ন নিয়ম নিয়েই মুসলিমদের মধ্যেই আছে বিভ্রান্তি একদল আরেক দলকে মুরতাদ কাফরে ঘোষণা করে।
খোদ জাকির নায়েকেই অনেকেই ইহুদী, নাসাড়দের দালাল বানিয়ে দিসে
আপনি জাকির নায়েকের পক্ষে না বিপক্ষে জানিনা। যদি পক্ষে থাকেন তাহলে এই ভিডিওগুলু দেখতে পারেন। এখানে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দেয়া হয়েছে।
view this link
view this link
view this link
view this link[link|
view this link
view this link
view this link
অথচ কোরানে কাফেরদের বিরুদ্ধে কিভাবে যুদ্ধ করবে, তাদের কখন কোথায় পাঁকড়াও করবে, তাদের কিভাবে কতল করবে, তাদের ঠিক কোন জায়গায় ( পিছন থেকে ঘাড়ে ) আঘাত করবে তার স্পষ্ট বিবরণ দেয়া আছে ভুঁরি ভুঁরি। আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করার না না ফজিলতের কথা বর্ণনা করা আছে। ( আমি কোরানের নিদ্রিষ্ট কোন আয়াতের কথা উল্লেখ করছি না, একজন বুদ্ধিমান মুসলিম হিসেবে এগুলো চাইবেন ও না আশা করি। তাহলেই থলের বিড়াল সব বের হয়ে যাবে অবশ্য আপনি যদি বলেন কোরানে এসব আয়াত নেই, আমি মিথ্যা বলছি তাহলে তা একে একে উল্লেখ করতে পারি সঠিক রেফারেন্স সহ। )
নিচের এই তিনটি ভিডিওর ব্যাখ্যা প্রদাণ করুন, এই সব হুজুররা কি ইহুদী নাসাড়াদের দালাল? নাকি এরা ইসলাম বুঝে না? কোনটা?
১: ইসলাম বলেছে নবীজির অমান্যকারিকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করতে হবে।
২: নবীজিকে নিয়ে কটু মন্তব্য করায় এক শিশুকে ছুরি মেরে হত্যা।
৩: নবীকে গালি দেয়ার কারণে ইহুদি মহিলাকে গলা টিপে হত্যা করার বর্ণনা।
আপদত এ পর্যন্তই, আবার পরে আসছি। আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা যা তা হলো আপনার এক একটি লাইনের জবাব দিতেই আমার পাতার পর পাতা লিখতে হবে এটা একটা সমস্যা ।
আশা করি আপনার কাছ থেকে দ্বীন ইসলামের সহীহ বুঝ নিতে পারব।
আর হ্যাঁ বানান ভুলের কথা আর বইলেন না ভাই এটা আমারও একটা সমস্যা, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতেই দেখবেন আশা করি।
১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪৪
আবুল হায়াত রকি বলেছেন: জ্ঞানখোদা ভাইরে কি জবাব দিবেন?
আর যাই বলেন আপনার জ্ঞানের কদর করতে হয় কিন্তু মাঝেমধ্যে আপনার উপরে রাগ পড়ে পরে আবার নগদে ভালোবাসায় রূপান্তর হয়ে যায়।
৩০ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৩৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: জ্ঞান ক্ষুদা ভাইয়ের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করিতেছি আর ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি এই ভিডিওটা দেখতে থাকুন।
১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪৫
আবুল হায়াত রকি বলেছেন: জ্ঞানক্ষোদা . . *
৩০ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৪১
মহা সমন্বয় বলেছেন: রকি ভাই উপরের ভিডিওটা দেখে কি সহীহ ইসলাম রপ্ত করিতে পারিলেন?
যদিও এখনো সহীহ ইসলাম বুঝতে না পারেন তাহলে এই ভিডিওটা দেখুন।
১৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৫৮
আবুল হায়াত রকি বলেছেন: আপনারা দুজনি জ্ঞনি। দু:খিত এটা হবে জ্ঞান ক্ষুধা *
https://www.youtube.com/watch?v=n4RjJKxsamQ
গান শুন ভাই
০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: ওহহহ গানটা দরুণ, অনেকদিন পর শুনলাম
থ্যাঙ্কু
যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে আপনাকে আরেকটি জনপ্রিয় গান দেই।
১৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:০১
আবুল হায়াত রকি বলেছেন: আপনি এত সুন্দর করে মন্তব্যে ভিডিও যুক্ত করেন কেমনে ??
০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: হে হে কমু না
আপনাকে আরেকটি গান হুনাই খাঁটি বাংলা গান, এটু মনযোগ দিয়ে শুনেন।
২০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: প্রকৃত পক্ষে ভাই তর্ক অনেক কিছু শিক্ষা দেয় কেউ নেয় কেউ নেয় না। আমি আপনার মতবাদ থেকে অনেক কিছু শিখছি আর আল-হা্মদুলিল্লাহ আমার ঈমান দৃড় হচ্ছে। কারন আমি এখন ইসলাম নিয়ে ভাবছি। অধিকাংশ মানুষ ইসলাম নিয়ে ভাবে না তাদের ধর্মগুরু যে ভাবে বলে তাই মানে (যদিও কোর-আর পড়তে বলা হয়েছে এবং তা নিয়ে গবেষনার কথাও বলা আছে) যে কারনে অনেক ভন্ড পীর আজ কোটিপোতি। (লালশালু পড়লে বোঝা যায়)। যাই হোক আমি আমার যুক্তি প্রদান করছি কোন লিংক ছাড়া বা প্রমান ছাড়া কারন আমর অত সময় নাই জব করি আবার আড্ডাদেই এই জন্য মন্তব্য হয়ত অতো কালারফুল হয়না। তবে কোন কথা আপত্তিকর হলে অবশ্যই তার জন্য দলিল হজির করব। আলী (রা) এর একটা কথা মনে পড়ল যে, দূর্বল লোকের হাতিয়ার হচ্ছে গালাগালী তাই আপনার কথার যুক্তি খুজি, রাগ হবার কোন কারন নাই কারন আপনার কথা সবই লজিক্যাল আর আমি সংক্ষেপে আমার মন্তব্য করার চেষ্টা করছি যাতে সংঘর্ষ না হয়।
ধার্মিকরা সাধারণত সবকিছুই নিজের মত চিন্তা করে।
শুধু ধার্মিকরা নয় অধিকাংশরাই নিজের মত করে চিন্তা করে যেমন আপনি চিন্তা করেই বসে আছেন অরাজকতা সৃষ্টির জন্য ইসলামই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, এটা আপনার চিন্তা, সমকামীরা কিছু একটা চিন্তা করেই তাদের ঐই রিতী সমাজে প্রতিষ্টা করার চেষ্টা করে তবে মুসলিম হুজুর রা বর্তমানে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত( অর্থ্যাৎ তারা কোরআর বিজ্ঞান সমন্বয় ) ফলে তাদের মেন্টালিটি এক রকম আবার যারা ইসলাম নিয়ে পি.এইচ.ডি করতেছে তাদের মেন্টালিটি একরকম। আমি আগেই বলেছি ফলো করব শুধু নবীকে
একটা বাস্তব এবং যুক্তি সঙ্গত কার্টুণ হাজারটা বাক্যের চেয়ে উত্তম ।
কার্টুন মুলত বিনোদনের জন্য এবং এটি ব্যাঙ্গাত্বক সবাই তাই জানে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে কোন সমস্যা সমাধান হয় না বরং তা হিতে বিপরীত হয়। মশিউর ভাইর মন্তব্যর রিপ্লেতে আমি মা-এর একটা উদাহরন দিছিলাম এখানেও তাই। আমি কিন্তু এই কারনে সমস্ত নাস্তিককে সাম্প্রদায়ীকতা ছড়ানোর জন্য দায়ী করব না। নাস্তিক একটা বিশাল সম্প্রদায়। একই মতাদর্শ অনুসারী ব্যাক্তিরাই একটি সম্প্রদায়
যার যার সমাজের, যার যার ধর্মের অসঙ্গতি সেই সেই ধর্মের মুক্তমনারাই তুলে ধরবে।
দ্বীমত প্রকাশ করছি কোন ধর্মের মুক্তমনা হয় না। যে কোন বিষয়, বস্তু, ব্যক্তির সমালোচনা কারাই যায় কিন্তু অকট্য তথ্য প্রমান দরকার এবং তা হতে হবে বন্ধুত্ব সুলভ হিংসাত্বক বা ক্রোধ থাকলেই তার ফলাফল শূন্য। আপনি সমালোচনা করতেই পারেন কিন্তু ভুল দোষ উল্লেখ করে আপনি অনুভুতিতে আঘাত করতে পারেন না। ভুল দোষ কেন বললাম কারন আমি যুক্তি দিয়েছি যথেষ্ট যে ইসলাম দায়ী নয় সাম্প্রদায়ীকতা ছড়াতে। হুজুররাও একজন মানুষ।
ইউ.এস.এ সরকার তো তাদের দেশের সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রন করতে অনেক আইন টেকনোলজি ব্যবহার করে সচেতনতামূলক বানী প্রচার করে ,সন্ত্রাসী নির্মুল করতে পারলো কি? দোষ কার ??
আপনি দুভাবে উত্তর দিয়েছেন আর বলেছেন যে, তাহলে কি আমরা সবাই নিজেদের ধুয়া তুলসি পাতা ধরে নিয়ে, আমেরিকার আইন,আমেরিকার সমাজ,রাজনীতি, ধর্ম নিয়ে লেখালেখি শুরু করব?
আপনার উত্তর দুটির একটাও হয়নি। এখন কথা হচ্ছে আমেরিকা কে কেন জরালাম? আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করছি যে, আপনি আমেরিকার কোন দোষ খুজে পাচ্ছেন না তাই। আমার ঐই কথার উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাস কি কেউ নির্মুল করতে পারছে? দোষ কার??
উত্তর: দোস সন্ত্রাসীর কারন তারা এক রকম মানসীকতা নিয়ে চলে। ইসলাম তাদের মানা করবে কঠোর আইন দিবে না শুনলে কেন ইসলাম দায়ী হবে? জাহান্নামে তাহলে যাবে কারা??(ইসলামী দৃষ্টিকোণ)
আমেরিকার শত্রু শুধু মুসলিম না, আছে রাশারনা, কিউবানরা , আর্জেনটাইনরা , ভেনিজুয়েলা চীনারা ইত্যাদি (তাদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ব্যাপার )
মুসলিমরা আমেরিকাকে দোষ দেওয়ার অকট্য প্রমান আছে,
পুতিন যা বলল
আর আমি বলেছিলাম কোন বাঙ্গালী আক্রান্ত হলে সব বাঙ্গালী কাদে (বিবেচনা ছাড়াই)
আমি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি নিয়ে একটা নিরপেক্ষ ব্লগ করব দোয়া করবেন (যদিও আপনার মতে দোয়া অহেতুক)
সে কেন এমনটা করল? কিসের নেশায়? কিসের আশায়? কি সেই প্রলোভন যার আশায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে তারা জঙ্গিবাদের রাস্তা খুঁজে নেয়?
এটা তার দোষ। মতিনের ব্যাক্তিগত জীবন ও তেমন ভাল না। সে খুব সমকামী বিরোধী(মিডিয়ামতে) তাই এমন কাজ করেছে আমরা মুসলমানরা এটাকে একটা ব্যাধি মনে করি(সমকামিতা)। এর আপনি হয়ত ভাল দিক পাইতে পারেন কিন্তু আমরা কোন ভাল দিক পাইনাই। আপনার আমার পৃথীবিতে আসার একটা প্রসেস হচ্ছে যৈনতা আর এটি জীবনের একটি অংশ এবং নারী পুরুষ আলাদা হওয়ার পিছনে যৈনতা একটা কারন আর সমকামীতা আমি মনে করি বিকৃত মানষিকতা। তাই ধর্ম বাদ দিলেও এদের বিপক্ষে সাধারন অসাধারন অধিকাংশ শ্রেনীই সন্তুষ্ট না। মতিন যেটা করল সে নিজেই বিচার শাস্তি দিয়ে একাই একশো। এটা সঠিক পথ নয়। প্রথমে হাত দিয়ে বাধা দেব নাইলে মুখ দিয়ে বাধা দেব সবশেষে মনে মনে ঘৃনা করব, হত্যা নয়। হত্যার আদেশ দিবে রাষ্ট্র, ব্যাক্তি বিশেষ নয়। জানি না আসলে কেন মতিন এমন করল তবে হয়ত আবেগে। আর এই আবেগ ইসলাম না তার মানষিকতা আর ভুল শিক্ষার জন্য।
বানান গত ভুল থাকতে পারে, (ক্ষমাপ্রার্থী) আশা করি আপনি ইসলামকে আর দোষ দিবেন না। ধন্যবাদ ভাই মহা সমন্বয়
০২ রা আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: জ্বী জ্ঞান ক্ষুদা ভাই ঠিক বলেছেন, তর্ক থেকে অনেক কিছু উঠে আসে, অনেক কিছু জানা যায়, বুঝা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষের জন্য তর্কই করা যায় না, লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে নয়তো গলাবাজি করে। যদি ঠিক মত তর্ক করা যেত তাহলে সমাজ থেকে অনেক অন্ধকারই দূর করা সম্ভব হত। অনলাইনের কল্যাণে ইদানিং অনেক কিছুই উঠে আসছে যদিও তা বন্ধের নানা পাঁয়তারা হচ্ছে। 'তর্ক থেকে অনেকেই শিক্ষা নেয় না' দারুণ একটা কথা বলেছেন। আর এই শিক্ষা না নেয়ার করণ হচ্ছে গোঁড়ামি এরা যুক্তি বুদ্ধির কোন ধার ধারে না।
আপনার উপরের কমেন্টের প্রতিউত্তরে আরও অনেক কিছু বলার থাকলেও সময় স্বল্পতার কারণে বলা হয় না। যদি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ দিয়ে থাকি বা ভুল ব্যাখ্যা করে থাকি তাহলে আশা করি তা তুলে ধরবেন।
আপনি বলেছেন- আমি আপনার মতবাদ থেকে অনেক কিছু শিখছি আর আল-হা্মদুলিল্লাহ আমার ঈমান দৃড় হচ্ছে। কারন আমি এখন ইসলাম নিয়ে ভাবছি।
ওয়াও অসাধারণ নিশ্চই আল্লাহ পাক আমাকে বেহেশত নসিব করবেন ( যদিও আমি কোন মতবাদ প্রচার করছি না) আর যা সন্দেহ করেছিলাম তাই সত্যি হল, আপনি সবেমাত্র ইসলাম নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন, আপনি এখনো প্র্যাকটিক্যাল মুসলিম হতে পারেননি। বিভিন্ন ইসলামি বই পুস্তক থেকে ধর্মের ওই ভাববাদী বাণীগুলো আপনাকে যথেষ্ট আকর্ষণ করেছে তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। এটা ভাল, আপনার যুক্তি, বুদ্ধির বিবেচনায় যা ভাল মনে হবে অবশ্যই তা গ্রহণ করবেন। আর হ্যাঁ শুধু বই পুস্তক থেকে ধর্ম ঘাঁটলে হবে না, আপনাকে ধর্মীয় পরিবেশেও থাকতে হবে তা না হলে প্রকৃত ইসলাম অনুধাবন করতে পারবেন না। আপনার জন্য শুভ কামনা।
যা হোক, আমি সেই কুটিকাল থেকেই ধর্ম পালন করে আসতেছি আর ধর্মীয় পরিবেশেই বড় হয়েছি, যথেষ্ট ধার্মিক তথা ইসলামি মাইন্ডেডও ছিলাম। আর বর্তমানে হুজুরদের সাথে আমার নিয়মিত উঠাবসা। বেশ কিছু হুজুরের সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
এসব ব্যক্তিগত কথা থাক এবার কাজের কথায় আসি। আপনি উপরের কমেন্টে বর্তমান বিশ্বের বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন আর বুঝাতে চেয়েছেন যেহেতু অন্যন্য দেশ ও জাতিতে সমস্যা রয়েছে সুতরাং ইসলামই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ পথ। এই ভুলটা সবাই করে,
এবং আপনি সেই ভুল চিন্তাটা করিয়াছেন ভাই। ( ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেল না ভাই? আমি চুরি করেছি তাতে কি হয়েছে, ওমুকেও তো চুরি করে। । ইসলাম শান্তির ধর্ম,ইসলামে অরাজকতা নেই তা কিন্তু আপনি কস্মীন কালেও প্রমাণ করতে পারবেন না, উল্টো থলের বিড়াল সব বেড়িয়ে যাচ্ছে
)
আপনি ইচ্ছে করলে হিন্দুদের ভুঁরি ভুঁরি অরাজকতার উদাহরণ দিতে পারবেন, পারবেন খ্রিষ্টানদের অনেক অনেক আরাজকতার উদাহারণ। কিন্তু যা পারবেন না তা হচ্ছে ইসলাম যে প্রকৃতই শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম তা কখনোই প্রমাণ করতে পারবেন না আর এ কখনও সম্ভবও না। যে কারণে যুক্তিবাদীরা যখন ইসালামের অসাড়তার কথা তুলে ধরে তখনই ধার্মিকরা তাদের কোন যুক্তি খন্ডন না করে অন্যন্য ধর্মের বা অন্যন্য জাতির অসঙ্গতি তুলে ধরে, যা নিতান্ত্যই হাস্যকর। এভাবে চলতে থাকলে কখনোই সমস্যার মূলে হাত দেয়া যাবে না।
আমি যা বলতে চাই- এই দুনিয়ায় রয়েছে অনেক অনেক অসঙ্গতি, সমস্যার শেষ নেই ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি জাতিতে রয়েছে সমস্যা। মাঝে মাঝে মনে হয় এই পুরো পৃথিবীটা মিথ্যা আর মিথ্যার উপর ভাসছে। এসব সমস্যা দূর করার জন্য বাস্তবিক উপায়ে মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে, কোন মতেই ঐশ্বরিক মতবাদের মত একটি ভ্রান্ত মতবাদ দ্বারা এসব সমস্যা কোনদিন দূর করা যায়নি এবং যাবেও না।
এমন কোন ব্যাক্তি,এমন কোন সমাজ, এমন কোন জাতি নেই যাদের মধ্যে সমস্যা নেই। আর এই সমস্যাগুলু যৌক্তিক উপায়েই সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।ধর্ম কোন মতেই এর সমাধান নয়। ধর্মের ওই অন্ধকার কূঁয়ায় ঝাঁপ দিলেই সমস্যা সামাধান হয়ে যায় না ব্রো। শুধু সাময়িক কিছু শান্তি পাওয়া যায় বটে আর পাগলের সুখ মনে মনে এটা জানেন তো? ( প্লীজ মাইন্ড করবেন না আপনাকে উদ্দ্যেশ্য করে বলি নি )
আর এই শান্তি সব ধর্মের লোকজনই পায়, শুধু মুসলিমদের উপরে স্রষ্টা শান্তি বর্ষণ করেন না, যদিও তারা তাই মনে করে। আর এই মনগড়া শান্তি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অরাজকতা ছড়ায় যার বিভিন্ন নিদর্শন আমার কমেন্ট গুলুতে আমি দিয়ে দিয়েছি ( কিন্তু অধিকাংশই তা দেখতে পাবে না বিশ্বাসের ওই মূলো তাদের বিবেকের চোখের দৃষ্টি শক্তি হরণ করেছে )
যে যেভাবেই ধর্ম পালন করুক না কেন নিঃসন্দেহে সে শান্তি পাবে আর তা হয় ওই বিশ্বাসের কারণেই ( মনোবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে Placebo ) যে কারণে সে নিজেকে সঠিক ধর্মপালনাকারী বলে মনে করে আর তার মতবাদই সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায় আর যারা তা গ্রহণ না করে তাদের উপর তা জোড় করে চাপিয়ে দিতে যায়। ঠিক নিচের এই ছবিটির মতই।
এভাবেই অরাজকতা আর খুনাখুনি হয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ধর্ম এই বিশ্বের কোন সমস্যারই সমাধান করতে পারেনি বরং সমস্যা আরও বৃদ্ধি করেছে। ( যদিও আপনি দাবি করেছেন স্রষ্টা বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষকে কূকর্ম থেতে বিরত রাখা সম্ভব। আপনি সম্পুর্ণ বিভ্রান্তিতে রয়েছেন জ্ঞান ক্ষুদা ভাই এবং আপনি স্পষ্টতই ভুলের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছেন, আমার পরবর্তী কোন কমেন্টে তার বিস্তারতি তুলে ধরে আপনার দাবীর অসাড়তা প্রমাণ করব ইনশাআল্লাহ [ এখন আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন এখানে আমি ইনশাআল্লাহ কেন বললাম ] )
ধর্ম হচ্ছে প্রগতির প্রধান অন্তারায়। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেই ধর্ম এবং ধার্মিকদের বুজুর্কি শুরু হয়। যার কোন কিছুই সত্যি নয় জাস্ট ধাঁপ্পাবাজি আর কি। ( আপনি ধর্মের এমন ধাঁপ্পাবাজির কতগুলু নিদর্শন চান বলুন ?)
হ্যাঁ মুক্তমনেই ঘোষণা করছি, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে ঐশ্বরিকভাবেই ধার্মিকদের উপর শান্তি বর্ষিত হয়, তাহলে আমি উক্ত ধর্ম মেনে নিব। ধর্মের হাজার হাজার ভুল আর মিথ্যার মধ্যে অন্তত একটি সত্যি হলেই বাকি সব সত্যি বলে ধরে নিয়ে আমি উক্ত ধর্ম গ্রহণ করব।
ঐশ্বরিকভাবেই বা মানুষের পাপের কারণেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ ভূমিকম্প, ঝড় বন্য ইত্যাদি হয় তা প্রমাণ করুন তাহলেই হবে। জানি ধর্মের ওই মিথ্যা দাবীর কোন কিছুই প্রমাণ করতে পারবেন না। পারবেন শুধু মনগড়া আবেগী কথা বলতে যার কোনই ভিত্তি নেই। ধর্ম পারে শুধু বাস্তবতা আর প্রকৃতিকে অস্বীকার করতে আর মানুষকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখাতে। আপনার কি ধারণা মানুষ বিনা কারণে ধর্মোদ্রহী হয়?
আমার এই পোস্টটিও দেখতে পারেন view this link ওখানে কিছুর দাবীর কথা বলা হয়েছে তার যুতসই ব্যাখ্যা পেলেই আবার নতুন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করব।
আপনি জাতিগত সাম্প্রদায়িকতার কথা বলেছেন, মানুষে মানুষে যে জাতিগত পার্থক্য এটাই তো হচ্ছে বাস্তবতা, প্রাকৃতিক নিয়ম আর এর সবই হছে বিবর্তনের ফসল। বিবর্তনের উপর করো হাত আছে? পৃথিবীর কোন জাতি কোন প্রজাতিই বিবর্তনের আওতা বহির্ভুত নয় এমনকি আপনি নিজেও নন, স্বয়ং নবীজিও নয়। এমনকি খোদ ধর্মও নয়। ধর্মের ও যে বিবর্তন আছে এটা বিশ্বাস করেন? যদিও এটা এ পোস্টের আলোচনার বিষয় নয়, জাস্ট জিগ্যাস করলাম।
আর মানুষে মানুষে জাতিগত পার্থক্যের এই প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম দেখেও কি আপনার একাবার ও ভাবান্তর হয় না সারা বিশ্ব একই মতবাদে চলতে পারে না এটা প্রকৃতি বিরুদ্ধ, আর যা কিছু প্রকৃতি বিরুদ্ধ তাই মানব জাতির জন্য অমঙ্গল জনক।
এবার ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার কথা চিন্তা করুন- প্রতিটি ধর্মের লোকজন অন্য ধর্মের প্রতি যে বিরুপ মনোভাবাব পোষণ করে, ভৌগলিক জাতিগত পার্থক্যের কারণে কি মানুষ অন্য জাতির প্রতি এতটা বিরুপ মনোভাব পোষণ করে? মোটেও না, বরং অন্য জাতির প্রতি আরও আগ্রহী হয় তাদের বেশি করে জানতে চায় সৌহার্দতা বৃদ্ধি পায়। আর যখনই এটা ধর্ম দ্বারা চিন্তা করে তখনই বাঁধে ক্যাচাল।
আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা আর ভৌগিলিক সাম্প্রদায়িকতার পার্থক্য কি? আমি একজন বাংলাদেশী তাই বলে কি একজন ভারতীয় বা পাকিস্তানকে ঘৃণা করি? মোটেও না, ঘৃণার উদ্রেগ তখনই হয় যখন এর মধ্যে মেশানো হয় ধর্ম, এবং রাজনীতি। রাজনৈতিক করণে ঘৃণা অথবা ভালবাসার যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাই এর মধ্যে মিশে থাকে বাস্তবতা। আর ধর্মীয় কারণে যে ঘৃণা অথবা ভালবাসার জন্য নেয় তার মূলে থাকে অন্ধত্বতা। রাজনৈতিক কারণে যে যুদ্ধ, হাঙ্গামা হয় তার জন্য আমরা ধর্মকে দায়ী করি না। ( যদিও রাজনীতি ধর্মীয় প্রভাবের বলয় মুক্ত হতে পারে নি ) দুজন মুসলিম বা দুই দল মুসলিম যদি, সম্পত্তি,অর্থ, প্রভাব,প্রতিপত্তি, প্রেম,ভালবাসা, রাজনীতি ইত্যাদি নানাবিধ করণে যদি মারামারি করে,খুনাখুনি করে তাহলে আমরা ইসলামের দোষ দেই না। শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে যে অরাজকতাগুলো হয় আমারা তার জন্যই শুধু ইসলামকে দোষ দেই এবং তা যৌক্তিক কারণেই। ( ব্যাপারটা বোধ হয় আমি আপনাকে বুঝাতে পাড়লাম না???
) আর যখনই আমরা ইসলামের এই ধর্মীয় অরাজকতা তুলে ধরি তখনই মুসলিমরা দুনিয়ার তবাৎ তবাৎ অরাজকতার চিত্র আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরে ইসলামের উপর শান্তির প্রলেপ লেপনের চেষ্টা করে। ধর্মীয় অরাজতা আর অন্যন্য অরাজতা দুটি যে সম্পুর্ণ ভিন্ন বিষয় তা তাদের মাথায়ই ঢুকে না।
ছোট একটা উদাহরণ দিচ্ছি- ধরুণ ১: আজকে একজন মুসলিম আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য বা নবীকে নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে কোন এক ব্যক্তিকে হত্যা করল। ২: ঠিক একই সময়ে অন্য কোথাও আরেকজন মুসলিম জামি জমার বিরোধের জের ধরে কাউকে হত্যা করল। তাহলে আমরা প্রথম হত্যাকান্ডের জন্য ইসলাম তথা মুসলিমদের দোষ দিবো আর দ্বীতিয়টির জন্য দোষ দিব সমাজ,আইন তথা রাষ্ট্রের। যদিও উভয় হত্যাকরীই মুসলিম। এবার আশা করি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন আমার কেন এবং কোন অরাজকতার জন্যই শুধু মুসলিমদের দায়ী করি। এবং কেন ধর্মীয় অরাজকতা মূলক পোস্টে অন্যন্য অরাজকতা টেনে আনি না। ধর্মের অরাজকতার পোস্টে শুধু ধর্মীয় অরাজকতা নিয়েই আলাপ করি। কিন্তু ধার্মিকরা ধর্মের এই ব্যপারটি বুঝতে না পরে ভাবে দুনিয়ায় তো প্রতিদিনই কত কত অরাজকতা হচ্ছে কিন্তু আমার কেন শুধু ধর্মীয় অরাজকতা নিয়েই কথা বলছি? এভাবেই তারা ধর্মীয় অরাজকতা আর অন্যন্য অরাজকতা গুলিয়ে ফেলছে।
কিন্তু আমরা দুটি অরাজকতার জন্য ভিন্ন বিষয়কে দায়ী করি উপরে যা উল্লেখ করা হয়েছে।
আমরা শুধু নিচের এ জাতীয় হত্যাকান্ডের জন্যই ইসলামকে দায়ী করি। অন্যান্য হত্যাকান্ডের জন্য ইসলামকে দায়ী করি না।
আর যখনই এ জাতীয় হত্যাকান্ডের কথা আমরা তুলে ধরি তখনই ধর্মিকরা সমস্বরে বলে উঠে, আজকে আম্রিকাতেও তো একটা খুন হইল, আফ্রিকাতেও খুন হইল, ভারতেও খুন হইল, এসবের জন্য দায়ী কে একটু হুনি? এসবে জন্য দায়ী কি ইসলাম? ইত্যাদি নানা আজগুবি, অবাস্তব,অসঙ্গতিপূর্ণ আর হাবাগোবা যুক্তি দ্বারা আমাদের কুপোকত করে। সত্যিই যা অত্যন্ত বিরক্তিকর।
আপনি রাজনৈতিক কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন- এর এক কথায় উত্তর হচ্ছে এসব সমস্যা রাজনৈতিক ভাবেই সমাধান করতে হবে। কোন মতেই ধর্ম এসব সমস্যার সমাধান করতে পারে না বরঞ্চ মানুষকে আরও পথভ্রষ্ট করে।
কোথায় সমস্যা নেই আপনি বলুন? সমস্যা আছে আমার মধ্যে, সমস্যা আছে আপনার মধ্যে, সমস্যা আছে প্রতিটি দেশ ও জাতিতে।আর এসব সমস্যা বাস্তব উপায়েই সমাধান করতে হবে। এ জন্য ধর্ম কোন সমাধান নয়। ধর্ম শুধু মানুষকে গভীর অন্ধকারের দিকেই ধ্বাবিত করে। আর সমস্যা সমাধানের কথা বলে মানুষকে মিথ্যা আশ্বাসে নিমজ্জিত করে।
আপনি ধর্ম দ্বারা এই পৃথিবীর একটাও সমস্যার সমাধান করে দিতে পারবেন? জানি পারবেন না, পারবেন শুধু মানুষকে সীমাহীন মিথ্যা আশ্বাস দিতে। এসব মিথ্যা আশ্বাসে আমি বিশ্বাসী নই, আমি বাস্তবতায় বিশ্বাসী। যদিও মাঝে মাঝে বাস্তবতার মাধ্যও আঘাত হানি আর এই আঘাত হানার মাঝেও থাকে বাস্তবতা।
নিজের যুক্তিকে পাল্টা যুক্তি দ্বারা নিজেই খন্ডন না করা গেলে মুক্তমনা হওয়া যাইবে না।
জ্ঞান ক্ষুদা ভাই চলুক, ধর্মের পক্ষে আপনার যুক্তিগুলো পেশ করতে থাকুন। আমি এটাই চাই, আপানা মত লোককেই খুঁজছি যার সাথে অন্তত আলোচনা করা যায়। অন্যন্য ধর্মিক হলে আলোচনা এ পর্যন্ত আসা সম্ভবই ছিল না। আলোচনাই যদি না করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের ভুলগুলো শোধরাব কি করে?
তবে আপনার কাছে একটাই অনুরোধ, অপনি অন্যন্য ধর্মের ধর্মীয় অরাজতাগুলো তুলে ধরে আমকে পাল্টা যুক্তি দিন। সামাজিক,রাজনৈতিক বা অন্যন্য অরাজকতাগুলো না। প্রতিদিন সারা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ খুন হচ্ছে সে বিষয় আমার অজানা নয় আর এ পোস্ট ওইসব অরাজকতা নিয়ে নয়। আপনি শুধু আমাকে দেখান গত ৬ মাস বা এক বছরে বা গত কয়েক বছরে খ্রীষ্টান,হিন্দু, বা অন্যন্য ধর্মের নামে পৃথিবীতে ঠিক কতগুলো খুন হয়েছে। অবশ্যই আমি আপনার যুক্তিকে গ্রহণ করব। আপনার তুখোড় বাস্তব সম্মত যুক্তির কাছে আমি পরাজিত হই আমি এটই চাই। আমি শুধু চাই সত্য বেরিয়ে আসুক, মানুষ সত্য জানুক আর তাতে যদি আমি ভুল প্রমাণ হই তাহাতে কুনই সমস্যা নেই।
ধন্যবাদ শুভ কামনা রইল।
২১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: একটা বিষয়ে কথা হলে তা অন্য বিষয়ের দিকে মোড় নেয় যাই হোক আল্লাহ উপর বিশ্বাস রাখলে কোন ক্ষতি নেই বরং উপকার, এইটা আমার কথা আর আল্লাহর উপর বিশ্বাস সমাজে শান্তি নষ্ট করে এটা আপনার কথা।
সমস্যা হচ্ছে আমি আপনার উত্তর অনেক আগেই দিয়েছি উপরের মন্তব্যে পরোক্ষ ভাবে যা আপনি বুঝেন নি আবার বলি জাতীয়তা রক্ষা করা সাম্প্রদায়ীকতা না। আমরা আমাদের দেশের শিল্প রক্ষা করার জন্য ভারতীয় পন্য বর্জন করব এখানে ভারতীয় পন্য বর্জন করে ভারতের উপর আমরা জুলুম করছি কি?? এটা কোন মানবতা যে ভারতের পন্য ব্যবহার করা উচিৎ হবে না? আবার দেশের জন্যই ভারতের পন্য বর্জন করা উচিৎ। এটাকে আপনি কোন সাম্প্রদায়ীর মধ্যে ফেলবেন? সব দেশেই বর্ডার থাকে। কেন এই বর্ডার? জার্মানরা মানুষ আর নাইজেরিয়ানরা কি কুকুর, কেন তদের দেশে যেতে ভিসা লাগবে? মুস্তাফিজ তো কাউন্টি খেলতে যাবে তা ভিসাই দেড়িতে পেল। কেমন মানবতা যে মানুষ হয়েও আমাকে এক স্থানে যেতে বিভিন্ন বাধা দেওয়া হয়। কোন দেশের হয়ে না পৃথীবির মানুষ হয়ে আপনি এটাকে কিভাবে মুল্যায়ন করবেন ???
মানবতা তো শুধু নাস্তিকতাতে ই আছে ইসলাম তো বলে ধর আর মার তাইনা?? (হাস্যকর)
আমি যদি আপনাকে বলি নাস্তান্ধ তাহলে কেমন হয়???
এগুলো ক্রোধের প্রকাশ
যদিও ব্যাপারটা হলো নিজস্ব অর্থনীতি,কালচার,পরিসংখ্যানগত ও অন্যান্য কারনের জন্য এটা একটা প্রসেস। ইসলামেও তাই নিজস্বতা রক্ষা করার জন্য নিয়ম নীতি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেটা কেমন?? মানবতা বিরোধী ??
আগে জানুন এবং আমিও জানি তারপর আসছি
আর আপনি বলেছেন যে, জিহাদ, তারপর ফজিলত আছে ভুরিভুরি পাকরাও করার নিয়ম ইত্যাদি নিয়ে আসছি ততদিন ভাল থাকবেন
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: এই যেমন আপনারা ধর্মকে রাজনীতির সাথে মিশিয়ে ফেলেন, কিন্তু আমরা যখন বলি ইসলাম ধর্ম নয় এটা একটা রাজনৈতিক মতবাদ আর এর স্বপক্ষে হাজার হাজার প্রমাণ হাজির করি কিন্তু তখন আপনারা উল্টো সূর তুলেন এবং লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন।
জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য নিচের এই ছবিটির মধ্যে নিদর্শন রয়েছে।
হাঃ হাঃ জ্ঞান ক্ষুদা ভাই জিহাদের নানা ফজিলতের সহীহ ব্যাখ্যা নিয়ে আসছেন শুভ কামনা রইল।
দেখুন চেষ্টা করে শান্তির প্রলেপ লাগিয়ে কিছু একটা করা যয় কি না? কিন্তু আমার মনে হয় না একটা মিথ্যাকে এভাবে যুগের পর যুগ শান্তির চাদের ঢেকে রাখা যায়। একসময় সত্য উম্মোচন হয়েই্ যায় কারণ সত্য উদ্ভাসিত হয় তার আপন মহিমায়।
বোধসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ কখনও মিথ্যাকে সত্য বলে স্বাক্ষী প্রদাণ করে না। শুধু মাত্র নির্বোধ সম্প্রদায়ীই মিথ্যাকে আঁকড়ে ধরে পরে থাকে।
ভাল থাকবেন ভাইয়্যু।
২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: যু্ক্তিসঙ্গত সুন্দর পোষ্ট।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য।
সমর্থণ জানানোয় বাধিত হলাম।
সত্যকে উপলব্ধি করার জন্য সত্যকে স্বীকার করার মধ্যে কোনই লজ্বা নেই এবং নেই কোন ভয়। যারা ভীতু তারাই মিথ্যাকে আকড়ে ধরে পরে থাক।
২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: নিজেকে জ্ঞানী ভইবা বইসা থাকলেই জ্ঞানী হয় না। ঠিকনা???
যাক আপনিও নিজেকে পরোক্ষ ভাবে বিভিন্ন উপায়ে সঠিক জ্ঞানী সাহসী ইত্যাদি বুঝাতে ব্যাস্ত। প্রকৃতি এমনই, হ্যাঁ???
ইসলাম শুধু ধর্ম না এটি পুর্নাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা আর রাজনীতি কি জীবনের বাইরে তাহলে কেন ইসলাম রাজনৈতিক মতবাদ ছাড়া থাকবে? মতবাদ কি শুধু মার্কস, লিংকন, লেলিন দিবে
আর আমেরিকার তো কোন দোষ নাই বিশ্বের জন্য তারা সব কিছু করে, ভিয়েতমান যুদ্ধ ইরাক হামল সব ছিল মানবতার কল্যানে(তাদের ভাষ্য মতে)। তাদের সমালোচনা করা যাবে না সমালোচনা করলেই সে মূর্খ।
জিহাদের ফজিলত তো আপনিও যানেন আমিও জানি মোটামুটি অনেকেই জানে তো ভাইয়্যৃু আপনি কি মনে করেন? জিহাদের প্রয়োজন নেই নাকি জিহাদ ইসলামের একটি নৈতিক ভুল আশা করি আপনার কাছ থেকে তথ্যবহুল উত্তর পাব
আমি জানতে চাই !!!! ভাই আমার......।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১২
মহা সমন্বয় বলেছেন: হাঃ হাঃ জ্ঞান ক্ষুদা ভাই মনে হয় কিঞ্চিৎ মাইন্ড খাইসে মাইন্ড খাইয়েন না ভাই মাইন্ড খেলে সাইন করা যাবে না।
আজকে আর মন্তব্যের কোন উত্তর করছি না। আগে একটু ঘুমাইয়া লই কালকে আধ্যান্তিক কিছু কথা লিখমুনে। মানুষের জীবনে আধ্যাত্নিকতার প্রয়োজন আছে।
১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩০
মহা সমন্বয় বলেছেন: জ্ঞান ক্ষুধা ভাই কেমন আছেন? অনেকদিন ধরে কোন খোঁজ খবর নেই, নতুন কোন লেখাও দিচ্ছেন না তাহলে ক্যেমতে হবে?
আর হ্যাঁ আমি মোটেও নিজেকে জ্ঞানী ভাবি না, যতটুকু জানি বা বুঝি ততটুকুই প্রকাশ করতে চাই। যা জানি না বা যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে মিথ্যা জ্ঞান জাহির করি না একদমই না।
তবে পরকালের ওই মিথ্যা ভয় ভীতির ব্যাপারে আমি এখন সাহসী হয়েছি এসব ব্যপারে কিছুকাল আগেও প্রচন্ড ভিতু ছিলাম।
এ ব্যপারে আমার সৎসাহস এবং আত্নবিশ্বাস আছে। পরকালের মাইরের ডরে আমি মোটেও ভীতু নই আমি এখন মিথ্যা থেকে বের হয়ে গেছি। এসব মিথ্যা ভয় প্রলোভোনে নিজের সাথে, যুক্তির সাথে,মনবতার সাথে বেঈমানি করতে পারব না। আর পারবোও না নির্বোধ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হতে এবং মানুষকে অন্ধকারের দিকে টানতে। আর এ জন্য স্রষ্টা আমাকে কি শাস্তি দেয় তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।
যাদের স্রষ্টা সম্পর্কে যথেষ্ট আস্থা নেই তারাই মূলত যুক্তিকে বিসর্জন দিয়ে এসব রুপ কথা গাল গপ্পে বিশ্বাস করে।
না রাজনীতি জীবনের বাইরে নয় আর এজন্যই তো বলি ইসলাম একটি রাজনৈতিক মতবাদ, ধর্ম নয়। আর এ আমাদের মনগড়া বুলিও নয় ।
শুধু ইসলাম কেন পৃথিবীর কোন মতবাদই পূর্ণাঙ্গ নয় এবং তা হতেও পারে না। মার্কসবাদ, লিংকনবাদ, লেলিনবাদ, পুঁজিবাদ, একশ্বেরবাদ, ঐশীবাদ, অধ্যাত্নবাদ, মতবাদ, সব সব বাদ সব বাদ। ( যারা এসব বাদের (মতোবাদের) মধ্যে আছে নিশ্চই তারা বিভ্রান্তিতে আছে)
আমি কিন্তু সব বুঝবার পারতেসি ভাই্ আপনার মাথায় খালি একটা জিনিস ঘুঁরপাক খাচ্ছে আর তা হচ্ছে তাহলে এই পৃথিবী চলবে কোন মতবাদে??
হাঃ হাঃ ভয়ের কিছু নেই আবশ্যই এর সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন একটু ধ্যান করুন গভীরভাবে ধ্যান করুন আর চিন্তা করুন
কারণ আল্লাহ পাক চিন্তাশীলদের পছন্দ করেন।
পরবর্তীতে তথ্য বহুল একটা কমেন্ট করতেছি শুধু আপনার জন্য। যদি আল্লাহ পাক আমাকে সে সুযোগ দান করেন।
কয়েকদিন ধরে দুনিয়াবী কাজে একটু ব্যস্ত তাছাড়া সামুর সার্ভারও ইদানিং খুব স্লো হয়ে গেছে।
গুড লাক।
২৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৫০
সাগর মাঝি বলেছেন: যু্ক্তিসঙ্গত সুন্দর পোষ্ট।
১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৩
মহা সমন্বয় বলেছেন: ধন্যবাদ সাগর মাঝি ভাই।
অনেক অনেক ভালবাসা রইল।
২৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
রাসেল সরকার বলেছেন: ইসলাম হচ্ছে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা । সমাজনীতি-রাষ্ট্রনীতি তথা সবকিছুই তাওহীদভিত্তিক রেছালাতকেন্দ্রিক জীবন ব্যবস্থার অন্তগত । তাওহীদভিত্তিক রেছালাতকেন্দ্রিক জীবন ব্যবস্থায় ন্যায় বিচারই সব থেকে বড় কথা । ইসলাম অমুসলিমদের জন্যও ন্যায় বিচারের ক্ষেত্র্রে আলাদা কোন মানদন্ড অনুমোদন করে না ।
ধর্মকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার নামই সাম্প্রদায়ীকতা । যারা ধর্মকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চায় বা টিকে থাকতে চায় । তারা শুধু মানবতার শত্রু নয়, ঈমান-দ্বীনেরও শত্রু । তাই তাদের সমর্থক বা সহযোগী হয়ে ঈমানদার তথা মুসলিম কোনকিছুই দাবী করা যায় না । মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি বলেন, হাতুড়ে ডাক্তারের চিকিসায় রুগী মরে যাবার যেমন ভয় আছে তেমনি হাতুড়ে মোল্লার অনুসারী হলে ঈমান চলে যাবার ভয়ও থাকতে পারে ।
শান্তি, মুক্তি ও মানবতার ধর্ম পবিত্র ইসলামের নাম ব্যবহার করে, যারা যে কোন ধর্মের অনুসারীকে হত্যা করল, তারা যেন ইসলামের আদর্শকেই হত্যা করল । যে ব্যক্তি অন্যকে খুন করার অধিকার আছে বলে মনে করে, সে ফেরাউনি নাস্তিকতায় আক্রান্ত ।
যে সমস্ত মোল্লা, মৌলবীরা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে কু-পথে নিয়ে যাচ্ছে । তাদের ব্যাখ্যাকে ইসলাম মনে করা চরম মুর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয় ।
অপরাজনীতির নীতি নির্ধারকরা দুনিয়াকে আধাঁরে পরিণত করছে । এর থেকে উদ্ধার ও মুক্তির একমাত্র পথ মানবতার রাজনীতি । সালাম
১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: ধন্যবাদ রাসেল সরকার ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্যটি আপদত দৃষ্টিতে দেখতে অনেক শান্তিপ্রিয় হলেও বাস্তবতা কিন্তু তা বলে না। আর সঙ্গত কারণেই আমি আপনার সাথে একমত নই।
বর্তমানে তথাকথিত মুসলিমরা ইসলামের যে কোন অসঙ্গতির জন্যই হুজুরদের বা ঈমামদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে থাকে যা মোটেও ন্যয়সঙ্গত নয়। ইসলামের ধারক এবং বাহক তথা ইসলামের প্রকৃত রুপই হচ্ছে আলেম সমাজ বা হুজুরেরা। খামোখা এসব হুজুরদের দোষ দেয়ার কোনই মানে হয় না। আসলে সর্ষের মধ্যই ভূত থাকলে তা দিয়ে কখনো ভূত তাড়ানো যায় না।
ধন্যবদ,শুভ কামনা।
২৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: মুরুব্বিরা বলেছেন কেও নিজের পিঠ কখনো নিজে দেখতে পারে না।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:২২
মহা সমন্বয় বলেছেন: হাঃ হাঃ আমার কাছে অবশ্য একটা বুদ্ধি আছে আর তা হল আয়না, বড় দুটি আয়নার সাহায্যে নিজের পিঠ নিজেই দেখা যাবে।
মুক্তমনারাই হতে পারে এমন এক একটি আয়ানা।
শুভেচ্ছা রইল।
২৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
শেয়াল বলেছেন: ইসলাম নিয়া তেনা প্যাছানো ছইলতো না
১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১০
মহা সমন্বয় বলেছেন: একদম হক কথা শেয়াল মামা একদম হক কথা বুলসেন।
২৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
মেরাজ চৌধুরী বলেছেন: এতো রাগ আর ডেডীকেডেট , অনেক সচেতন তাই না ।
এমনকি স্পাই হয়ে মসজিদে ঢুকে ইসলামের ভুল বের করা , আপনার জ্ঞান সর্বস্ব বিশ্লেষণ অনুযায়ী এই পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলও যদি আপনার মত চিন্তা করে তাহলে কোন অশান্তিই থাকবে না ...মানে আম্রিকা ইসরাইল এও যদি ধধর্মহীন ভাবে চালিত হয়, বলা যায় one world order type কিছু । আসলে দ্বিধান্বিত হয়ে জানতে চাই , রাগ টা আসলে কিসে , ইসলাম , মুসলিম , নাকি সব ধর্মের উপর , নাকি নিজের উপর ?? নিজের উপর কথাটা বলাতে রাগ করবেন না , কারন মানুস অনেক সময় নিজেকে সারটিফাইড করার জন্য কিছু যুক্তি আর পন্থা তৈরি করে যেমন যে গাজা খায় তাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় গাজা খাওয়া ঠিক না বা গাজা খাও কেন?? , তখন অই বাক্তি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকে তাহলে এই গাজা খাওয়া যে ভাল আর উচিত তা প্রমান করার চেষ্টা করবে । যেমন অনেক কে দেখি যে মেয়েদের তথাকথিত স্বাধীনতা কে খুব প্রমট করে এবং এদের লাইফ দেখি সেপারেসন বেসি , মেয়েদের সাথে স্কেন্ডাল বেসি , এদের কাছে পর্ণ সবচেয়ে বেসি থাকে অথচ এরাই মেয়েদের সব থেকে বেসি অসম্মান করে , কিন্তু দেখায় আমরাই তোমাদের সাধিনতার বাহক । আমি মেয়েদের তথাকথিত স্বাধীনতা বললাম কারন সত্যিকারের স্বাধীনতা মানে একটা মেয়ের নিজেকে সম্মান করা আর এটাকে ধরে রাখা সেটা অনেক ভাবেই সম্ভব , শিক্ষিত হয়ে বা না হয়ে, সমাজ , পরিবার,দেশ এর স্বার্থে । কাপর খুলে আর সিগারেট টেনে , যে সব ছেলেরা মেয়েদের প্রমট করে তাদের আনন্দ দিলে নিজেকে সম্মান করা হয় না , এটা কি স্বাধীনতা ?? আবার চারুকলার এক টিচার যে কিনা নামাজ পরে নিয়মিত কিন্তু তার অনুসারিদের সামনে নাস্তিক !! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের এক প্রফেসর যে কিনা যখন জানতে পারলো তার ক্যানসার তখন নাকি পারলে তাহাজুদ্দের নামাজ ও পরে আবার যখন জানতে পারলো রিপোর্ট ভুল তখন আবার নাস্তিক । হা হা হা ... আমি জানি না এদের রাগ টা আসলে কোথায় , এরা কতজন , এরা আসলে কি চায় , কারন মুসলিম দেশ গুলোতে আসলে কারা মানুস মারছে, প্রোপাগান্ডা কিসের , অরাজকতা সৃষ্টিকারী কারা , নাকি যে মানসিকতা এই অরাজকতা সৃষ্টি কারী তারাই এরা , কারন তারাই পারে এভাবে অনেক সত্য না দেখে অপ্র মিথ্যা কে সুন্দর সত্তে ফুটিয়ে তুলতে । মোল্লাদের সমস্যা আছে এটা ঠিক সেটা সব ধর্মের গুরুদের অনেকেরি থাকে , এটা সমস্যা । কিন্তু আপনি তো শুধু মোল্লাদের সমস্যা কে হাতিয়ার বানাইয়া শুধু ইসলাম এর উপর হাতুরির বারি দিচ্ছেন , কেন কি হচ্ছে , আসলেই জানেন না ? নাকি জানাবুঝা যাবে না ?? নিষেধ আছে বিবেকের ??ষড়যন্ত্র , চাল আর সাতকাহন টা আসলে কোথাকার, হুম ম তাই বললাম হে মুক্তমনা ভাই, রাগ টা কার উপর শুধু ইসলামের উপর নাকি ??!! পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী মুসলিম মারা যাছে , সাফারার বেশী ওরাই , ওরা কাদের জন্য সমস্যা , এটা কি জানে আপনার জ্ঞান ?? এতটা ডেডীকেডেট আর নিরদয় হয়ে আল্লাহ্ , ইসলাম , মুসলিমদের আলাদা করেন কেন ভাই , ব্যপারটা কি? সত্যটা কি আসলেই জানেন না ??
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: ধন্যবাদ মেরাজ চৌধুরী ভাই, জ্বী ঠিক ধরেছেন রাগটা আমর ধর্মের উপর আর তা সবচেয়ে বেশী ইসলামের উপর। কারণ ইহা আমার চৌদ্দ পুরুষের ধর্ম তাই। আর মুসলিমরা বেশী সাফারার হচ্ছে কারণ এ জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। খামোাখা ইহুদী নাসরা,ইহুদী নাসরা বলে মুখে ফেনা তুলে লাভ আছে? আয়নায় আগে নিজেদের মুখ দেখলেই তো সব পরিষ্কার হয়ে যায়।
আপনি কি মনে করেন বর্তমান বিশ্বে মুসলিমদের অধঃপতনের জন্য দায়ী ইহুদী নাসরারা? বা আমেরিকা?
২৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিখাটির মধ্যে অনেক বিষয়ে যুক্তিকতা আছে ও ভাবনার বিষয় আছে ।
যুক্তিপুর্ণ তথ্য সম্বলিত লিখাটির জন্য ধন্যবাদ ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৪৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: কি যে বলেন ভাই? এসব যুক্তিটুক্তির ধার ধারি নাকি আমরা আবেগ দিয়ে সব ভাসিয়ে লইয়া যামু।
অধিকাংশ মানুষই আমাকে মনগড়া যুক্তি হুনায় যা অন্ধ বিশ্বাসের বেড়াজালে আবদ্ধ, প্রকৃত সত্য থেকে যা শত সহস্র মইল দূরে অবস্থান করে। আর না না অযৌক্তিক অভিযোগ করে আমার প্রতি যার কোনই সত্যতা নেই। এইডা একটা সমস্যা।
অনেকদিন পর আপনার পদচারণায় কৃতজ্ঞু হইলুম।
৩০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একেই বলে হেভী ওয়েট পোস্ট । ২ ঘল্টা লাগিয়ে মাত্র ২৫% পড়েছি । ঘুমের জন্য আজ অার পারছিনা । কাল সকালে আবার ধরব । বেশ ক্ষুরধার যুক্তি দু পক্ষরেই । এখন পর্যন্ত লিখকই পয়েন্টে এগিয়ে । বাকিটা সবটুকু পড়লে পরে বুঝা যাবে বলে মনে হয় ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
মহা সমন্বয় বলেছেন: হাঃ হাঃ ডঃ ভাই ব্যাপুক মজা পেলুম আপনার মন্তব্যে।
আসলে ভুল ভ্রান্তি আমাদের সবার মাঝেই আছে, আমি চাই যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমেই এসব ভুল ভ্রান্তি দূর হোক।
যদিও আমার কিছু লেখা উদ্যত্বপূর্ণ হয়ে যায় ধার্মীকেরা কষ্ট পায় এটা আমি অস্বীকার করছি না।
তাদের ভাবাবেগে আঘাতের কষ্টটা আমিও বুঝি আর এটা হচ্ছে টীকা সরুপ, টীকার মাধ্যমে রোগ ব্যাধি দূর হয় যদিও তা বেদনাদায়ক।
৩১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলিমরা পড়ালেখায় এত পেছনে যে, তারা জানে না ইউরোপ ও আমেরিকা কি ধরণের জীবন যাপন করছে।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩
মহা সমন্বয় বলেছেন: এই কথা আর কয়েন না ভাই, পাবলিক এমনিতেই আপনার উপর চেইতা আছে
তাড়াতাড়ি মোশারফ করিমের রম্য নাটকের মত রম্য পোস্ট করা শুরু করেন। তা না হলে জাতে উঠতে পারবে না।
৩২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ; আমি চেস্টা করবো আরো লজিক্যালী ভাবতে।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: মানুষের মন মর্জি সব সময় এক থাকে না আর এ সুযোগটাই বিরোধী পক্ষ নিয়ে থাকে।
আবার সবসময় সত্য কথাটাও বলা যায় না, উল্টো মিথ্যার স্তুুতি করতে হয়। পরিস্থিতি,সম্পর্ক, সমাজ,সামাজিকতা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে। পৃথিবীর কেউই তার পরিবার, সমাজ এবং পারিপার্শিক্তার প্রভাব মুক্ত নয়।
আমার বিরুদ্ধেও আছে বিস্তর অভিযোগ, আমাকে তো বহুতকাল আগে থেকে প্রথম পাতা থেকে ব্যান করেই রেখেছে।
৩৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাগলাদেশে ইসলাম আর সাম্প্রদায়িক রাজনীতি দুটো মিলেমিশে পুরাই জঙ্গিবাদে যাচ্ছে
২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১০
মহা সমন্বয় বলেছেন: এ থেকে উত্তরোণের উপায় কি? শুধু অণু পরমাণু নিয়ে গবেষণা করলে চলবে?
৩৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩০
সোহাগ আহসান বলেছেন: কেনো আহত হবে,
২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:০৩
মহা সমন্বয় বলেছেন: না একদম আহত হওয়া চলবে না।
আপনাকে স্বাগতম।
৩৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: মেহেদী ভাউ এগিয়ে চলো, হাম্রা আসি তোমার লগে.....
২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: ষড়যন্ত্রের গন্ধ পইতিয়াসি।
৩৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: মহা সমন্বয় ...... ভাই আছেন কেমন?
বাহ অনেক পোষ্ট হয়েছে এই কদিনে..... অনেক ব্যাস্ত যে ব্লগে আসতে পারিনা আবার সার্ভার সমস্যা হয় এই ব্লগে ।
যাই হোক সাম্প্রাদায়ীকতা ছড়াতে ইসলাম দায়ী না, তা আমি বুঝাতে পারলাম কিনা তা এখনও বুঝলাম না।
এবার কাজের কথায় আসি।
ইসলাম একটি রাজনৈতিক মতবাদ, ধর্ম নয়
রাজনীতি কি? আর ধর্ম কি? একটু আমাকে যদি পরের মন্তব্য তে পরিস্কার করে বলতেন তাহলে বুঝতে ভাল হতো
ধর্মে কি রাজনীতি থাকা নিষেধ ধার্মীকরা কি বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করতে পারবেনা। ইসলাম খারাপ আপনি বার বার বলতেছেন এজন্য আপনি নিজেকে দাখিল করছেন যে আগে আপনি মুসলমান ছিলেন। এরকম অনেক লোক মুসলমান হচ্ছে। কথা তা নয়।
আর আপনার আধ্যাত্নিক পোষ্ট এর অপেক্ষায় থাকলাম সাথে সাথে রাজনীতি ও ধর্মের ব্যাখ্যা
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: এই তো আছি মোটামুটি। আমিও কয়েকদিন ধরে দুনিয়াবী কাজে ব্যাস্থ থাকার কারণে ঠিকমত ব্লগে বসতে পারিনি।
না সাম্প্রদায়ায়ীকতা ছড়ানোর জন্য ইসলাম দায়ী তার যথেষ্ঠ নিদর্শন দেয়ার পারেও বিশ্বাস না করলে তো আর কিছু করার নেই।
আপনি ইসলামী সাম্প্রদায়ীকতা ছড়ানোর বিষয়টি শত চেষ্টা করেও ঢেকে রাখতে পারবেন না। কারণ দিন দিন তা প্রকট আকার ধারণ করছে।
ইসলাম অন্য ধর্মে প্রতি সনহশীল, অন্যন্য ধর্মাবলম্বীদের সমান চোখে দেখে ইত্যাদি শান্তিপূর্ণ কথা বার্তাগুলো শুধু পুস্তক ও ওয়াজ মাহফিলেই শুনতে পাওয়া যায় কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
ঠিক যে ভূমি থেকে ইসলামিক শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেই পবিত্র আরব ভূমিতেই বা মক্কা, মাদিনায় ভিন্ন ধর্মালবম্বীদের কোন স্থান নেই। সৌদি আরব তো দূরের কথা যে কোন ইসলামিক কান্ট্রিতে ভিন্ন ধর্ম প্রচার অত্যন্ত বিপদজনক একটি বিষয়।
আপনি কি মনে করেন? হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ ভারতে জাকির নায়েক যেভাবে নির্বিঘ্নে ইসলাম ধর্ম প্রচার করছে, হিন্দু ধর্মের বাঁশ দিচ্ছে। তদরুপ ভিন্ন কোন ধর্ম প্রচার করা,মুসলিম ধর্ম হেয় করা, পাকিস্তান,সৌদি আরব,আফগানিস্থান,বাংলাদেশ বা যে কোন মুসলিম কান্ট্রিতে সম্ভব? জাকির নায়েক ভারতে যে কাজটি করছেন ঠিক সেই কাজটি যদি কোন হিন্দু বা খ্রীস্ট্রান বাংলাদেশে করে তাহলে তার কতল হতে কতদিন সময় লাগবে? এবং তার পরিবারে আগুন লাগাতে কতদিন সময় লাগবে? বিজ্ঞ জ্ঞান ক্ষুধা ভাই, একটু হিসেব করে বলবেন কি তাদের মরতে ঠিক কতদিন বা কত ঘন্টা সময় লাগবে?
অধিকাংশ মুসলিম কান্ট্রিতেই দিন দিন বিধর্মীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে? গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে বিধর্মীদের সাংখ্যা কমা আথবা বৃদ্ধির পরিসংখ্যানটা যদি একটু দিতেন??
ঠিক তেমনই ভারত আম্রিকার মত দেশ যাদের মুসলীমরা শত্রুভাবে সে সকল দেশে মুসলিমদের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে? এর কারণই বা কি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? তারা তো মুসলিমদের শত্রু? তাদের দেশ তো মুসলিমদের জন্য নিরাপদ নয়? তাহলে সে সব দেশে মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন? মুসলিমদের শত্রু সেই ভারতকেই এখন মুসলীমরা নিরাপদ মনে করছে।
আমেরিকা মুসলিমদের জাত শত্রু সেই আমেরিকাতে গিয়েই মুসলিমরা নিরাপদ আবাসাস্থল গড়ে তুলছে,আবার সুযোগ পেলে তাদেরই হত্যা করছে। এটা দুধ কালা দিয়ে সাপ পুষার মত হলেও তাদের উদার নীতির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। (তার মানে এই না যে আমেরিকার সবকিছু ভাল বা তাদের কোন দোষ নেই সেটা ভিন্ন আলোচনা হতে পারে )
মূল কথা হচ্ছে- মুসলিমদের রক্ষণশীল/আক্রমনাত্নক মনোভাবই সাম্প্রদায়ীকতা ছাড়ানোর জন্য দায়ী। কুরআন হাদিস তাদের সে শিক্ষায় দেয়। এ ব্যাপারে আপনাকে কতগুলু হাদিস, কতগুলু আয়াত, কতগুলু ইসলামী বক্তব্য দিব বলেন? আমি জানি আপনি নিজেও এসব জানেন কিন্তু নিজ ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং ভালবাসার কারণেই আপনার অবচেনত মন তা স্বীকার করতে চায় না।
এটা কেন হয়? এই পোস্টটা দেখা যেতে পারে। view this link
যখনই ব্যাপারগুলু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে তখনই- এগুলা জাল হাদিস, এটা কুরানের সঠিক ব্যাখা নয় শানে নযূল পড়তে হবে, এই হুজুরের বক্তব্য সহীহ ইসলাম নয় ব্লা ব্লা ব্লা ইত্যাদি না না অযৌক্তিক কথা বলে মুসলিমরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
আরও কিছু ত্যানা সমগ্র
ইরানের এই বিশিষ্ট ইসলামী স্কলারের বক্তব্যগুলু একটু মনোযোগ সহকারে শুনুন? আপনি কি উনার সাথে একমত?
সমস্যা হচ্ছে কি জ্ঞান ক্ষুধা ভাই, আপনার যুক্তিপূর্ণ কমেন্টের উত্তর দিতে গিয়ে প্রতিবারই আমার কমেন্ট বড় হয়ে যাচ্ছে অল্প কথায় সম্ভবত আমি বুঝাতে পারছি না এ আমার এক বিরাট অক্ষমতা বলেই ধরে নিয়েছি।
ইসলাম একটি রাজনৈতিক মতবাদ, ধর্ম নয়
রাজনীতি কি? আর ধর্ম কি?
এটা একটা গরুত্বপূর্ণ আলোচনা এ ব্যাপারে আলোচনা হতেই পারে। ইসলাম যে একটি রাজনৈতিক মতবাদ ধর্ম নয় তার বিস্তারিত লিংক কিন্তু উপরের কমেন্টে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও এটা মুসলিমরা মানতে নারাজ।
ওয়েল, এখন তাহলে আমরা আলোচনা করতে পারি রাজনীতি কি? আর ধর্ম কি? এটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা প্রয়োজন অন্তত এই কমেন্টে আমি আর ত্যানা প্যাঁচাচ্ছি না
শুধু এতটুকু বলি- ধর্মের সাথে যখন রাজনীতি মিশানো হয় তখন অরাজকাতা আরও বৃদ্ধি পায় মানুষের আবেগ অনূভূতি নিয়ে রাজনীতিবীদরা অনৈতিক ফাঁয়দা লুটে। অনেক যোগ্য পার্থীও অনেক সময় জনসমর্থন পায় না। অথর্ব,গবেট অযোগ্য লোকজনাই গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে বসে থাকে শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে। এর ভুঁরি ভুঁরি উদাহরণ অবশ্যই আপনি জানেন এগুলা আপনার না জানার কথা নয়।
ধর্মের মধ্যে রাজনীতি মিশানোর কারণেই মুসলিম বিশ্বে এত অরাজকতা সবাই আল্লাহ আইন প্রতিষ্ঠায় ব্যাস্থ।
ধর্মের মধ্যে রাজনীতি মিশানোর কারণেই প্রতিপক্ষকে খুন করা অনেক সহজ বিষয় হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি কারার কারণে।
ধর্মীয় রাজনীতিবিদরা কখনও মানুষ ও সমাজের কল্যাণ চায় না তারা চায় আল্লাহকে রাজি খুশি রাখার জন্য, নিজ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য, অন্য ধর্ম বিলুপ্ত করার জন্য
এই ভিডিওটা একটু দেখুন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যদি এরা পায় তাহলে আমার মনে হয় এক মিনিটেই তাকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করবে ধর্মীয় রাজনীতি এতটাই ভয়বাহ।
আমার এক কথা ধর্মীয় রাজনীতি কখনওই মানব জাতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না।
ধর্ম কি আর রাজনীতি কি? এ ব্যাপারে লিখলে অনেক লিখাই লেখা যেতে পারে কমেন্ট বড় হয়ে যাচ্ছে তাই এক কথায় বলছি- ধর্ম হচ্ছে পরকাল সমন্ধীয় জ্ঞান যার মূল ভিত্তি হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস এবং পরকালময়। আর রাজনীতি হচ্ছে দুনিয়াবী সমন্ধীয় জ্ঞান যার মূল ভিত্তি হচ্ছে জনসমর্থন এবং মানবকল্যাণময়।
বর্তমান পৃথিবীতে অধিকাংশ রাজনীতিই এখনও ধর্মীয় প্রভাবের বলয়মুক্ত হতে পারেনি মানব জাতির অগ্রগতিতে এ এক বিরাট অন্তরায়।
ভাল থাকবেন জ্ঞান ক্ষুধা ভাই, বানান ভুলের জন্য আবারও ক্ষমা পার্থী।
৩৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:১১
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। অনেক কষ্ট করেছেন। ধন্যবাদ।" আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে।"
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:০৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: তবে এই জাগাজাগি শুধু অনলাইনে সম্ভব বাস্তবে এর ছিটাফোঁটাও প্রকাশ করা মাত্রই মাইর খেয়ে অমানুষ হয়ে যেতে হবে।
মুক্ত চিন্তা যদি অফলাইনে প্রচার করা সম্ভব হত তাহলে দলে দলে মানুষ ধর্মের ওই মিথ্যার বেড়াজাল থেকে আলোতে বেরিয়ে আসত।
৩৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৪১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভালো কিছু কথা আছে! তবে ইসলাম একটি মতবাদ, এর ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে মানুষের মুল যে সমস্যা সেটা সমাধান করা সম্ভব না। প্রগতির আলো ছড়িয়ে দিতে হবে আগে। মানুষের মনে এর আলো না দিলে ধর্মান্ধতা জঙ্গিবাদ কমবে না কোনদিনই।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:২৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: ঠিক বলেছেন গেমু ভাই, তবে ইসলাম কিন্তু শুধুই একটি মতবাদ নয় অনেক শক্তিশালী একটি মতবাদ ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ের সাথে এটা কোন মতেই যায় না। পৃথিবীর কোন মতবাদই ৩০০/৫০০ বছরের বেশীদিন যেতে পারে না তা আপডেট করা ফরজ। ইসলামটাকে যদি আপডেট করা হত তাহলে মুসলিম বিশ্বের জন্যই তা ভাল হত। গুজামিল দিয়ে কতদিন চলা যায় বলেন? জাকির নায়েকের হাজার হাজার গুজামিল সম্বলিত লেকাচার পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষ যা দেখে মরাত্নক বিভ্রান্ত হচ্ছে আর বেশী করে অন্ধকার আঁকড়ে ধরছে।
মুসলিম বিশ্বের উন্নয়ন,অগ্রগতির জন্য তাদের এক হওয়ার বিকল্প কিছু নেই। কিন্তু তরা তা করবে না তারা সেই ১৪ শত বছরের পুরোনো হাত কাঁটা,গলা কাঁটা মতবাদকেই আঁকড়ে ধরে পরে থাকবে আর নিজেদের দুরাবস্থার জন্য, ইহুদী নাসারা,আমেরিকা,ভারতকেই দায়ী করবে।
প্রগতির আলো ছাড়ানোর অন্যতম বাঁধা হচ্ছে ধর্মান্ধরা।
৩৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৪
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: মুসলমানরা হয় নিজেরা নিজেদের পশ্চাদ্দেশ মারতেছে অথবা খুন করতেছে। অপরদিকে আরেকদল মুসলমান সব যায়গায় শুধু ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বয়ান আউরাইতেছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৩
মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে এগুলা সবই ইহুদী নাসাড়াদের ষড়যন্ত্র
আমি তো আরও একধাপ এগিয়ে বলি পুরো ইসলমটাই হচ্ছে ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র।
৪০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৯
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: মজা পেলাম। আল্টিমেটলি তাইই তো দাড়ায়।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৩৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি এটাকে আরেকটু আপডেট করলাম কারণ স্বয়ং আল্লাহ পাক কুরানের বিভিন্ন আয়াতকে মাঝে মাঝে আপডেট করে দিয়েছে। যিনি নাকি ভূত ও ভবিষ্যতের সকল জ্ঞানের অধীকারি সর্বোচ্চো তত্বজ্ঞানী, সেই তিনিই বিশ বছরের মাধ্যে কুরানের বিভিন্ন আ্য়াতকে প্রয়োজনের তাগিদে পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ বিবর্তনের হাত থেকে স্বয়ং আল্লাহ পাকও রক্ষা পায়নি।
আর আমি তো নস্যি।
আসলে ইসলাম হচ্ছে ইহুদি নাসারাদের একটা ষড়যন্ত্র,আমেরিকার চাল। ভারতীয় দালালরা উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার করে। কমেন্ট নাম্বার ০০৭
৪১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাই রে ভাই লিখা তো নয় যেন পিএইডি থিসিস । পড়তে পড়তে শেষ হয়না । এখন একটু সময় আছে হাতে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম কবি কালীদাসের কবিতা পড়ে । সারা দিন পরে দেখলাম খবর হয়নি তেমন কোন ঘরে । মনে হল তাই সময়টা দেই ভাই এর ঘরে, যাই একটু দেখে আসি রেখে আসা লিখাটি ভাল করে ।
পড়লাম আর ভাবলাম আমারো অনেক কথা বলার যে আছে এ কোস্টের বিষয় ধরে । গিন্নিটা সবসময় ক্যাট ক্যাট করে নামাজের সময় পার হয়েছে বলে । মৌকাটা পেলাম কিছুদিন আগে সিংগাপুর থেকে ইউরোপে আসার কালে । প্লেনে আসার সময় সুর্যটা ছিল সাথে প্রায় একই সমান্তরালে , তা্ই মুসকিল ছিল সুর্য দেখে নামাজের ওয়াক্ত নির্নয়ে । গিন্নিকে বললাম প্রেনটা যদি ঘন্টায় ১০০০ মা্ইল বেগে চলে পুর্ব হতে পশ্চিমে, তাহলে সারাটা জীবন ধরে প্লেন হতে সুর্যকে দেখবে তুমি একই স্থানে , বল এখন নামাজের ওয়াক্ত ঠাহর করবে কার সনে । বললাম বিধাতা আছেন বসে তার কুরসীতে যথাস্থানে , তাাঁর কাছে উপাসনা কি পৌঁছিবেনা সময়ের হের ফের হলে । উত্তরটা জানতে চাইলাম তার কাছে কোরান হাদিস এর আলোকে । পরেছিল সে মহা ফাপরে । শেষে বলল মোরে ভেট ভেট কম কর এ ব্যাপারে ,সময়মত নামাজ পড় । সে বলল মোরে সহীহ- হাদিসে আছে বেশী বুঝা আলেমরা সবার আগে দোযখে যাবে, ৪০ কাতার আলেমদের মধ্যে মাত্র এক কাতার বেহেশতে যাবে। কি আর করা শান্তি শৃংখলার ভয়ে তর্ক করা দিলাম ছেরে । শুধু বললাম তাহলে আলেম হয়ে আর কাম নাই , কবিতা লিখা শুরু করলাম তাই ।
ভাই পরে আবার অাসব এ বেলায় উঠি তাহলে ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৫২
মহা সমন্বয় বলেছেন: হিঃ হিঃ রাত্রির এই শেষ লগ্নে ব্যাপুক মজা পেলুম আপনার মন্তবে।
আপনাকে কোন কবির উপাধী দেই তা ভাবছি বসে বসে
আপনার এ কমেন্ট, নয় তো সাধারণ কোন কমেন্ট যে
নিখাদ বাস্তবতার ছোঁয়া রয়েছে পদে পদে
এত সুন্দর কমেন্ট করেন কিভাবে?
আর তাই তো আসিতেছি
আপনার পোস্টে।
থ্যাংকু
৪২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আমিও রাতের এ শেষ প্রহরে আহ্লাদিত হলাম চমৎকার জবাবটা পড়ে ।
কালকে আবার আসব ফিরে ,করব অলোচনা কিছু পয়েন্ট ধরে ।
কবি কাকে বলে দেখে আসুন মহাকবি কালীদাসেরে
যাকে রেখে এসেছি আমার ঘরে তার কবিতায়
কেমন করে তিনি তুলে ধরেছেন পকৃতি
মানুষ দেবদেবী আর নর নারীগনে।
শুভেচ্ছা রইল লিখা অবসানে ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: কবিতার মত ছন্দে ছন্দে আপনার এ কমেন্ট আমার দারুণ লাগে।
আমিও চেষ্টা করিতেছি আপনাকে দেখে দেখে।
চলুক আলোচনার ঝড় পয়েন্ট ধরে ধরে।
ভাল থাকা হয় যেন প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
সর্বক্ষণ স্বাগতম আপনার পানে।
৪৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কিছু বিষয়ে আপনার সাথে সহমত পোষন না করে নেই কোন বিশেষ বিকল্প ।
কোন বিষয়ে একটু পগ্রেসিভ চিন্তা করলেই বলা হয় কষে এটা একটা
অনৈসলামী ইহুদী নাসারা চক্রান্ত, ভারতের চাল, আমেরিকার ষড়যন্ত্র
আলোচনায় বাধা দিতেই মনে হয় এটাই তাদের আসল তন্ত্র ।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হতেই জানি এরা তাদের জানার বাইরে
গেলে কিছুই শুনতে চায় না বরং বলে বেটা নাস্তিক জগন্য।
যুক্তিসহকারে বেশ সতর্কতার সংগে আকারে ইঙ্গিতে যতই বলা হোক না কেন
তারা মুক্ত আলোচনায় ধর্মদ্রোহীতার অভিযোগের তীর ছুড়বেই ছুরবে ।
এটা অস্বিকারের নেই উপায় ইসলামটা ভরা শুধু যুদ্ধ,তলোয়ার,ঢাল, তরবারি আর
সম্পদ লুন্ঠনের কারবারে পুর্ণ । বিধর্মীদের প্রতি রয়েছে বিদ্বেষে ঘৃনায় পরিপুর্ণ
চাপাতি আর বোমাবাজির মাধ্যমেই ইসলাম টিকে রয়েছে এতদিন পর্যন্ত ।
পকৃতই দোখা যায় ইসলামে বিধর্মীদের প্রতি সদয় হবার কথা যদি বলে একবার তাদের
হত্যা করার কথা বলা হয় বার বার, সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলা হয় হাজার বার।
মুসলিমদের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য দলে দলে ফেরেশতা প্রেরণের কথা হয় বলা,
মাথায় ডুকেনা ইশারাতেই যদি সব হয় খোদার তাহলে ফেরসতা পাঠানোর
কি ছিল দরকার । কে দিবে সবিস্তারে এ কথার যুক্তি সঙ্গত উত্তর ।
ধন্যবাদ আজ এ পর্যন্তই, আসব ফিরে আবার ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: মারহাবা মারহাবা. কালজয়ী এক কাব্য রচনা করে ফেলসেন
ডঃ এম এ আলী ভাইকে শান্তিতে নোবেল পুরুষ্কার দেওয়া হউক।
আপনার এই কবিতাখানি আমি পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিব ইনশাআলাহ।
মাথায় ডুকেনা ইশারাতেই যদি সব হয় খোদার তাহলে ফেরসতা পাঠানোর
কি ছিল দরকার । কে দিবে সবিস্তারে এ কথার যুক্তি সঙ্গত উত্তর ।
হে হে কথা সইত্যো।
ফেরেশতা পাঠিয়েছে ভাল কথা, আমার সমস্যা হচ্ছে যদি ফেরেশতারাই মুসলিমদের হয়ে যুদ্ধ করে থাকে। তাহলে কেন মুসলিমরা অমুসলিমদের কতল করে? ফেরেশতারাই তো এই কাম করতে পারে। মুসলিমদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের কোন প্রয়োজনই ছিল না। আল্লাহ পাক কেন মানুষ দিয়ে তার নিজেরই সৃষ্টি মানুষকে কতল করাচ্ছেন, ফেরেশতা দিয়ে কতল করালেই তো পারতেন। কেন মানুষে মানুষে যুদ্ধ লাগিয়ে উপর থেকে তামাশা দেখেন? যে নবীজির হাতের ইশারায় আকাশের চাঁদ দিখন্ডিত হয়ে যায়, খাইবারের যুদ্ধে সেই নবীজিরই পাথরের আঘাতে দন্ত মোবারক শহীদ হয়ে যায়!!! আচ্ছা ফেরেশতারাকি তখন ঘুমাচ্ছিল নাকি? আসলে ধর্মীয় নানা আজগুবি বিষয়ে লিখে শেষ করা যাবে না। যার কোনই সত্যতা নেই। পৃথিবীর সবগুলো ধর্মই মিথ্যা কথা বলতে বারণ করেছে অথচ তারাই সবচেয়ে বেশী মিথ্যার জন্ম দিয়েছে। ( প্রতিটি ধর্মে এটা একটা ট্রিক্স মাত্র )
এই যে আমি সারাদিন ধর্মের অসাড়তা তুলে ধরি ধর্মের বিরুদ্ধে লিখি, আল্লাহ কি এগুলা চোখে দেখেন না?? আমি যদি ভুলই হয়ে থাকি, আমি যদি প্রকৃতই মানুষকে বিভ্রান্ত করে থাকি, তাহলে ফরেশতা,জ্বীন পাঠিয়ে কি আমাকে কতল করতে পারেন না? অথবা রোগ,শোক দিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে পারেন না? আমাকে কেন মানুষকে বিভ্রান্ত কারা সুযোগ দিচ্ছেন? এর জন্য দায়ী নিশ্চই আল্লাহ পাক অথবা নিশ্চই আল্লাহ পাক আমার সাথেই আছেন।
আপনি স্বাক্ষী থাকুন ড: ভাই, আমাকে যদি কেউ কতল করে তাহলে জেনে রাখানু নিশ্চই সে মানুষ হবে। জ্বিন,ভূত,ফরেশতা মানুষকে কতল করার কোনই ক্ষমতা নেই এগুলার অস্তিত্বই নেই সবই মানুষের কল্পনা মাত্র।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে- এসব জ্বীন,ভূত,ফরেশতার কোন অস্তিত্বই নেই এসবের নামে মিথ্যাচার করেছে মিথ্যাবাদীর দল। আর সহজ সরল মানুষগুলোকে বিভ্রান্ত করেছে। রোগ,শোক,প্রকৃতিক দূর্যোগ কখনও মানুষের পাপ,পুণ্যের কারণে হয় না প্রকৃতিক কারণেই এসব হয়। ধর্মের কাজ হচ্ছে সহজ সরল মানুষগুলোকে ভুল ভাল বুঝিয়ে নিজ নিজ দল ভারী করা আর সামাজিক রাজনৈতিক ফাঁয়দা হাসিল করা।
পাপের কারণেই যদি প্রকৃতিক দূর্যোগ হত তাহলে আমেরিকা ইউরোপ সবার আগে ধ্বংস হয়ে যেত। আর বাংলাদেশ হত পৃথিবীর স্বর্গ কারণ মসজিদের শহর ঢাকা শহর। অথচ আমরা দেখি তার উল্টো।
আচ্ছা সরা দুনিয়ার পাপ কাম কি শুধু জাপানিরা করে নাকি? জাপানে এত বেশি বেশি ভূমিকম্প হয় ক্যারে? মূলত এর কারণ পাপ,পূণ্য নয় এ হচ্ছে প্রকৃতিক বা ভৌগলিক কারণ।
হাঃ হাঃ ডঃ ভাই একটু বকবক করলাম আপনার সাথে।
আমি এক দরবেশ বাবার কাছ থেকে এই পস্টে view this link জ্ঞান অর্জন করিতেছি। আপনিও যদি শান্তি পেতে চান এবং জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে ওই পোস্টে আসতে পারেন।
আল্লাহ পাক আপনাকে বেশী বেশি কাব্য রচনা করার তৌফিক দান করুন- আমিন।
৪৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ একটি সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য।
আপনার দেওয়া লিংকটা ধরে দরবেশ বাবার
দরবারে তির্থ ভ্রমন তরে করেছিলাম গমন ।
প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বাবার সেবা করলাম
বাবা তেমন সদয় না হওয়ায় ঐ সল্প
সময়ে কিছু করতে পারিনি শীরে
ধারন।এযাযত নিয়ে এসেছি
পরে আবার আসব বাবা
দর্শনে । এখন রাত
গভীর ঘুমে চোখ
ডুলু ডুলু তাই
এখন ঘুমের
ঘরে নিব
স্বরন ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: আহা ড: ভাই বরাবরের মত এবারও আপনার নয়নাভীরাম কমেন্ট কমেন্ট পড়ব আর কি দেখেই তো প্রাণ জুড়িয়ে গেল।
উত্তর করতে দেরি হওয়ায় দুঃখিত। আমি একটু দরবেশ বাবার কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করিতেছি তাই একটু দেরী হল, আপনিও চাইলে আসতে পারনে। ব্যাপুক আলুচুনা চলতিয়াসে
৪৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪
নীলপরি বলেছেন: যদি ধর্মকে ঢাল বানিয়ে কেউ হিংসাত্মক কাজ করে তবে সেই ধর্মকে দায়ী করা ঠিক না ।
শুভকামনা ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৩
মহা সমন্বয় বলেছেন: না একদম না ধর্মের দোষ দেয়া একদম ঠিক হবে না, সবই হচ্ছে মানুষের দোষ।
অনেকদিন পর আপুকে দেখলাম ভাল আছেন নিশ্চই?
আপনার কবিতা মিস করছি, নতুন কোন কবিতা আবিষ্কার করছেন নাকি?
৪৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০
বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট আর আসবে না?????
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০০
মহা সমন্বয় বলেছেন: বিজন দা যে ব্যস্ততার মাঝেও যে একবার ঢুঁ মেরেছেন সে জন্য কৃতার্থ।
হ্যাঁ অনেক দিন ধরে পোস্ট করা হয় না একটা পোস্ট করতে হবে।
তবে আমি আপাদত এক দরবেশ বাবার কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করিতেছি আপনিও চাইলে আসতে পারেন।
view this link
গুড লাক।
৪৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এ লেখায় এখন ব্যপপক গবেষনা চলছে । ফলাফল জানাব অচিরেই
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: ব্যাপক গবেষণা চলছে!! তাড়াতাড়ি এক বিশাল ভাষণ প্রদান করে আমাদের যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করুন।
৪৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
মেরাজ চৌধুরী বলেছেন: ইরাক যুদ্ধ , কেন ? আফগানিস্তান যুদ্ধ , কেন ? লিবিয়ার মত সয়ং সম্পূর্ণ দেশ ধংস , কেন? প্যালেস্টাইন , কেন ? সিরিয়া , কেন ? আইএস আইএস মত খুনি বাহিনি কেন সৃষ্টি হয়েছে? কেন ?? জানেন তো , আপনার তো জানার কথা , অনেক জ্ঞানী বিশ্লেষণ দেখলাম । এই যুদ্ধ গুলো কি মুসলিমরা শুরও করেছিল নাকি নিরদিস্ট একদের স্বার্থ ছিল , নাকি এখন বলবেন কাকতালীয় ভাবে নির্দিষ্ট একরা তাদের স্বার্থ আদায় করে নিচ্ছে । এই দেশ গুলা তো প্রথমে কার ক্ষতি করে নাই ওরা ওদের নিয়মে ছিল , স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল , তেল ছিল , গোল্ড ছিল , মানুষ বেঁচে থাকতো সাধারন নিয়মে , সুখেই ছিল , আর এখন !! এই সব দেশে এখন প্রতিনিয়ত মানুষ মরার মত একটা পরিবেশ যা সেই এক রা তৈরি করে রেখেছে , এটা জানেন তো নাকি ?, বিভেদ সৃষ্টিকারী পরিবেশ , এইটা তো আগে ছিল না , এখন যেখান থেকে তৈরি হচ্ছে জঙ্গি । বলবেন হয়ত অইসব দেশের শাসক রা ভাল না , আরে সেই হিসাব করলে আগে জরিপ দেখেন , আপনার আম্রিকা , ইসরাইল ছারাও বিশ্বে অনেক দেশ আছে যেখানে দুর্নীতি , ধর্ষণ , হত্যা , ধর্মীও বিদ্বেষ আর বেশী , but the fact is they have no oil , gold and those countries are not threat for them to control world . এতো কিছু দেখেন , এতো এনালাইসিস দেখাচ্ছেন ... সত্যটা দেখছেন তো?? অনুসারী অনেক পাবেন কিন্তু সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে নিজের কাছে সচ্ছ থাকা , বিশ্বাসী না হলে বলেন আমি বিশ্বাসী না কিন্তু যেটা সত্য সেটাকে কেন দেখেন না । একটা কিছু তো করবেন , হয় বিশ্বাসী আর নাহলে সচ্ছ ভাবে সত্য কে দেখবেন , বায়াসড হয়ে অনেক কিছু না দেখে কিসের উদ্দেশ্যে অনেক কিছু দেখছেন না ভাই ??!!
আর … আমি জানি মুসলিমদের দোষ আছে , আপনাদের কাছে দোষী ওরা , তেনাদের কাছে দোষী ওরা । এই দোষের কথা হাজার বছর আগেই বলা আছে ভাই … so carry on
আর … ধংস হয়ে যাওয়া দেশ গুলোর মুসলিমদের reaction আর এ জন্য যারা দায়ী তাদের ঘৃণা করার জন্য বিশ্ব মুসলিমদের মানসিকতাকে দোষ দিয়ে অনেক বাহবা নিচ্ছেন ।
আর হয়ত আপনি ঐসব দেশ গুলোর ইতিহাস , আর বর্তমান অবস্থা , আর কারা এর জন্য দায়ী এসব জানেন না , সেই ক্ষেত্রে আমাকে ক্ষমা করবেন , উপরের লেখা গুলো আপনার জন্য না । সেই ক্ষেত্রে অনুরধ করব , একটু জানার চেষ্টা করুন , আশা করি বুঝতে পারবেন ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৩
মহা সমন্বয় বলেছেন: ধন্যবাদ মেরাজ ভাই আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমি সাম্প্রদায়িকতার এই ব্যাপারটি আপনাকে ঠিকমত বুঝাতে না পারার জন্য। এটা অবশ্যই আমার ব্যার্থতা।
ইরাক যুদ্ধ , কেন ? আফগানিস্তান যুদ্ধ ? লিবিয়া যুদ্ধ? বাংলাদেশের সমস্যা তথা পৃথিবীর কোন দেশে সমস্যা নেই আমাকে একটু বলবেন কি? আর এই সমস্যাগুলোর কথা আমি কি অস্বীকার করছি কোথাও? আর কোথাও কি উল্লেখ করেছি যে আমেরিকাই একমাত্র শান্তির দেশ সুতরাং আমেরিকার পা চাটলেই আমরা শান্তি পাব?
আপনার কি ধরাণা সারা দুনিয়ার এই সমস্যাগুলো ধর্ম দ্বারা সমাধান করা সম্ভব?
যে কারণে আমি এই পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম যে, যখনই আমরা ধর্মীয় অরাজাকতার তথ্য চিত্র তুলে ধরি তখনই কিছু মানুষ দুনিয়ার তাবাৎ তবাৎ সমস্যার চিত্র তুলে ধরে ধর্মের এই অরাজকতাকে জায়েজ করার অপচেষ্টা করে, প্রকান্তরে উগ্রবাদীদের পিঠ চাপড়ে দেয়। এভাবেই ধর্মীয় উগ্রবাদীরা সাধারণ মানুষের আশকাড়া পেয়ে পেয়ে দিন দিন আরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এটা কেন বুঝতে পারেন না যে, মুসলিম দেশগুলোর এই সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যব্ধ হতে হবে। যতদিন পর্যন্ত না মুসলিম দেশগুলো ঐক্যব্ধ হতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত পশ্চিমা বিশ্বের মার খেয়েই যেতে হবে।
মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তথা উন্নতির অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় হচ্ছে ধর্ম। কারণ ধর্মই মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং সাম্প্রদায়িকতার প্রধাণ উৎস। কখনোই জঙ্গি দ্বারা চোরাগুপ্তা হামলা করে দুই চারটা ইহুদী, নাসাড়া মেরে এই সমস্যা দূর করা যাবে না। মুসলিম দেশগুলোর অধঃপতনের অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্ম। মুসলিমরা মনে করেছিল আল্লাহই তাদের রক্ষা করবে। ( কিন্তু আল্লাহ তাদের রক্ষা করেন নি। প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ কাউকে রক্ষা করেন না বা বিপদে ফেলেন না। মানুষ সাফল্য পাওয়ার পরই কেবল আল্লাহকে ক্রেডিট দেন এবং বিপদে পরলে আল্লাহর কাছে সহায্য চান )
আল্লাহই তাদের যাবতীয়,দুঃখ,দুর্দশার সমাধান করে দিবে। যখনই তারা দুঃখ,দুর্দশায় পড়ে তখনই তারা বেশি বেশি করে ধর্ম পালন করে এই ভেবে যে, তারা বুঝি ঠিকমত ধর্ম পালন করেনি তাই আল্লাহ তাদের দুঃখ,দুর্দশা বাড়িয়ে দিয়েছেন সূতরাং এই দুঃখ দুর্দশা দূর করার জন্য আমাদের বেশি বেশি ধর্ম পালন করতে হবে। এভাবেই দিন দিন তাদের দুঃখ দুর্দশা যত বৃদ্ধি পেতে থাকে তারা ধর্মকেও ততবেশি আকড়ে ধরে। কখনোই তারা দুঃখ,দূর্দশার মূল কারণ অনুসন্ধানে সচেষ্ট হয়নি, সবই আল্লাহর পরীক্ষা বলে ধরে নেয়। এভাবেই ধর্মের কূয়ায় বন্দি থাকতে থাকতে তারা জ্ঞান,বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়েছে। যথেষ্ট প্রকৃতিক সম্পদ থাকা সত্যেও তারা ততটা উন্নতি করতে পারেনি। উন্নতি, অগ্রগতির প্রধাণ অন্তরায় হচ্ছে ভাগ্যে বিশ্বাস তথা ধর্ম।
আল্লাহ পাক মানুষকে দুঃখ,দূর্দশা দান করেন পরীক্ষার কারণে। মুমিনের জন্য রোগ,শোক,দুঃখ,দূর্দশা হচ্ছে রহমত সরুপ। ইহুদী,নাসারা,কাফেরদের জন্য দুনিয়া হচ্ছে বেহেশত সরুপ। এই ধ্যান ধারণা থেকে যতদিন না মুসলিমরা বের হতে না পারবে ততদিন মুসলিমরা উন্নতিও করতে পারবে না এবং পশ্চিমা,বিশ্বের মার খেয়েই যেতে হবে। মুসলিমরা যত বেশী ধর্মান্ধ থাকবে ততই পশ্চিমা বিশ্বের জন্য সূবিধা। মুসলিম দেশগুলো উন্নতি করলে,পশ্চিমা বিশ্ব মুসলিম দেশগুলোর প্রতি চোখ তুলে তাকাতে সাহস পাবে না। কথায় আছে না, জোর যার মূল্লুক তার।
কিন্তু মুসলিমদের উন্নতির প্রধাণ অন্তরায় হচ্ছে ধর্ম। এত এত প্রকৃতিক সম্পদ থাকা সত্যেও জ্ঞান,বিজ্ঞানে তারা তলানিতে পড়ে রয়েছে। (দয়া করে আপনি আবার মুসলিম বিজ্ঞানী, মুসলিম ডাক্তার, মুসলিম ধনকুবেরদের লিস্ট দেয়া শুরু কইরেন না আমি এটা নিয়ে এখন একদম ক্যাচাল করতে চাই না।
)
আই,এস,আই উত্থানের জন্য মুসলিমরা,ইহুদি,নাসাড়া,আমেরিকাকে দায়ী করে। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে পুরো ইসলামটার জন্যই দায়ী হচ্ছে আমেরিকা তথা ইহুদি নাসাড়া, ইহুদী নাসাড়ারা ষড়যন্ত্র করে নবীজির মাধ্যমে পুরো এশিয়াতে ইসলাম ঢুঁকিয়ে দিয়েছে।
জানি আমার এই তির্যক কথাগুলো আপনার ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত লাগে, কিন্তু আমি কি করব বলুন? এছাড়া আমি তো আর কোন উপায় দেখি না।
আচ্ছা আপনার কাছে একটা প্রশ্ন: আমেরিকার পরবর্তী প্রতিদন্দি হতে যাচ্ছে,চিন এবং ভারত তাহলে আমেরিকা কেন হিন্দু জঙ্গি গোষ্ঠি এবং বৌদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠি তৈরী করে ভারত,চিন দখল করতে পারে না? আমেরিকা কেন শুধু মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠিই তৈরী করে?
(এখন আপনি যদি মনে করেন আমেরিকা,চিন,ভারত হচ্ছে বন্ধু রাষ্ট্র এরা মূলত মুসলিমদের শত্রু। তাহলে বলব আপনি একটু কষ্ট করে এই পোস্টটি আবার পড়ুন। )
ধন্যবাদ।
৪৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গবেষনা শেষ হয়নি, আপনার এবং দরবেশ বাবার কথা বার্তার প্রেক্ষাপটে একটি পুস্তক রচনা চলছে । এই বিষয়ে ইংরেজীতে লিখা একটি পুস্তক প্রকাশের অপেক্ষায় যন্ত্রস্থ আছে । দেখা হবে মাঝে মাঝে । নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হচ্ছে দেখে আরো ভাল লাগছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
মহা সমন্বয় বলেছেন: এই বিষয়ে ইংরেজীতে লিখা একটি পুস্তক প্রকাশের অপেক্ষায় যন্ত্রস্থ আছে । ওয়াও দারুণ।
দরবেশ বাবার পোস্টে যদি নির্দিস্ট একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারতাম তাহলে ভাল হত। কিন্তু ওখানে অনেকগুলো বিষয় চলে আসছে। শুধু কুরান, অথবা শুধু হাদিস,অথবা শুধু শানে নূজল, অথবা শুধু জিহাদ, অথবা ধর্ম শান্তি না অশান্তি? অথবা ধর্মগ্রন্থগুলো স্রষ্টা প্রদত্ত কি না? অথবা ধর্ম দ্বারা মানব জাতির কোন সমস্যা সমাধান করা যায় কি না? ইত্যাদি এইসব বিষয় নিয়ে যদি আলাদা আলাদা আলাদা পোস্ট হত তাহলে ভাল হত। এখন যেভাবে আলোচনা হচ্ছে এটা মূলত আলোচনা বলে বলা যেতে পারে প্রশ্ন উত্তর পর্ব।
৫০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১০
মেরাজ চৌধুরী বলেছেন: পশ্চিমা দেশ গুলো উন্নত !! শুধু নিজেদের নিরাপত্তা আর উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য ওরা কয়টা দেশ আর জাতিকে ধংস করেছে ? কয়টা দেশের একনমী সিস্টেম নস্ট করে দিচ্ছে।। বিশ্বের মেডিসিন মার্কেট কন্ট্রোল করে ওরা , যেখানে ওষুধ তৈরিতে ২ ডলার খরচ হয় সেটা ওরা ২০০ ডলার এ কষ্ট মার্কেট কন্ট্রোল করে , they don’t want cure they just want business , ব্যাংকিং সিস্টেম এ যত পলিসি সব ওদের করা , মানুষ কে debt e রাখার জন্য , ওরা দেখায় ওরা সাধিনচেতা অথচ ওরাই সবার আগে হিউম্যান কন্ট্রোল এন্ড মনিটর সিস্টেম শুরও করে , ওরা ওদের দেশের প্রত্যেকটা মানুসের ইমেইল , মুভমেন্ট মনিটর করে সব থেকে বেশী । ইতিহাস ঘাঁটলে পাবেন এই জাতি প্রথম থেকেই উন্নতই ছিল সেটা কিভাবে ? দাস প্রথা , অন্য দেশের একনমি নষ্ট করে দেয়া , ধংস করে দেয়া । এটা এখন সবাই মুটামুটি জানে যে , ISIS কেন তৈরি হইসে , কাদের উদ্যোগে , কেন । বিশ্বে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মুসলিম জঙ্গি অ্যাটাক হয়েছে এসব এটাকের অনেক গুলোতে স্বয়ং আম্রিকা , ইসরাইল এ রা জড়িত ছিল , for example : 1972 Summer Olympics in Munich, West Germany, at which eleven Israeli Olympic team members were taken hostage and eventually killed, by the Palestinian terrorist group Black September. Which was planned by CIA. আমি কাওকে দোষী বা মুসলিমদের ধোয়া তুলসীপাতা প্রমান করার চেষ্টা করছি না যা সত্য তা যা বুঝি তাই বললাম । পশ্চিমা বা অন্য জাতির কারনে মুসলিমরা সাফার করবে এটা তো আল্লাহর , ইসলাম , বা কোরআনের ভুল না । পুলিস যদি নির্দোষ কাওকে অন্যায় ভাবে ধরে এটা তো ওই বেক্তির সততার দোষ না । কিন্তু মুসলিমদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেভাবেই দেখছেন কেন ?
কিন্তু মুসলিমদের উন্নতির প্রধাণ অন্তরায় হচ্ছে ধর্ম। এত এত প্রকৃতিক সম্পদ থাকা সত্যেও জ্ঞান,বিজ্ঞানে তারা তলানিতে পড়ে রয়েছে। (দয়া করে আপনি আবার মুসলিম বিজ্ঞানী, মুসলিম ডাক্তার, মুসলিম ধনকুবেরদের লিস্ট দেয়া শুরু কইরেন না আমি এটা নিয়ে এখন একদম ক্যাচাল করতে চাই না। )
আমি কোন লিস্ট দিব না , u know the true , ক্রুসেডের হারার পর পশ্চিমারা যখন আরবে ঘাটি করে , তখন তাদের অনুভুতি ইতাহাস এ আছে , ওইখানে বিয়ে করে স্থায়ি হয় তারপর যখন দেশে ফিরে আসে তখন রেনেসাঁ নিয়ে আসে আর আরব জাতিদের অন্ধকার সময় । জুদ্ধে হারা তা কি ওদের দোষ ছিল ?
মুসলিম দেশগুলোর এই সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যব্ধ হতে হবে। যতদিন পর্যন্ত না মুসলিম দেশগুলো ঐক্যব্ধ হতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত পশ্চিমা বিশ্বের মার খেয়েই যেতে হবে।
আমি একদম একমত আপনার সাথে , ওরা নিজেরা ঐক্য না , তবে গাদ্দাফি একটা চেষ্টা করেছিল , উনি প্রস্তাব দিয়ে ছিল যে United Arab করার জন্য , কিন্তু সাপোর্ট পায় নাই সাওদি থেকে , কারন ঐযে , আপনি যেটা বললেন । গাদ্দাফির কাছে যে গোল্ড ছিল তা পশ্চিমা রিসার্ভ এর জন্য হুমকি ছিল । ফলাফল লিবিয়ার ধংস , আর জঙ্গি জাতি হিসেবে পরিচয় । আমি কি বাড়ায় বললাম বা ভুল বললাম ?
তাই বলবো যারা ধংস আর মেসাকার করে উন্নতি করে তাদের উন্নতি কে এপ্রেসিয়েট করি না ।
আচ্ছা আপনার কাছে একটা প্রশ্ন: আমেরিকার পরবর্তী প্রতিদন্দি হতে যাচ্ছে,চিন এবং ভারত তাহলে আমেরিকা কেন হিন্দু জঙ্গি গোষ্ঠি এবং বৌদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠি তৈরী করে ভারত,চিন দখল করতে পারে না? আমেরিকা কেন শুধু মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠিই তৈরী করে?
আপনার প্রশ্ন তা কিছুটা এই রকম … ইন্ডিয়া কেন বাংলাদেশ কে সাহায্য করেছিল ? ওরা কেন পশ্চিম পাকিস্তান কে সাহায্য করে নাই ?
আমার প্রশ্ন হচ্ছে ,আমেরিকা কেন ইরাক , আফগানিস্তান , লিবিয়া , সিরিয়া হামলা করেছে , মুসলিমর দেশ গুলো কেন ওদের টার্গেট , নাকি বলবেন মুসলিমরা আগে অ্যাটাক করেছে ??
চিনের সাথে অ্যামেরিকার প্রতিদন্দিতা হচ্ছে বাণিজ্যে । ওদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আম্রিকার সমস্যা নাই , ঈন্ডিয়া যতই দেখাক আম্রিকা বিরোধী , এটা মোটামুটি সবাই জানে যে ওরা আম্রিকা philosophy তে চলে । হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসে আম্রিকাদের সমস্যা নাই ।
তারমানে ইসলাম ধর্মে ওদের সমস্যা , কিসের সমস্যা ভাই ??? কেন ?? আপনি বলতে চাচ্ছেন মুসলিম দেশ গুলোর ইসলাম ধর্ম মানে এটা ওদের সমস্যা ?? কেন?? তাই আম্রিকা , ইসরাইল ওদের ধংস করবে !! কিসের ভয় ওদের মুসলিম দেশ গুলোকে ?? আম্রিকা , ইস্রাইলের নীতি সেটা তো মুসলিম দের দোষ না আর আপনারা সেই নিতির পক্ষে থাকাটা ওদের নিতিকে সমরথন করা যে নিতির কারনে লাখ লাখ নারি , শিশু , পুরুষ মারা যাচ্ছে , উদ্ভ্রাস্তু হচ্ছে।
মুসলিমদের দোষ মুসলিম দেশ গুলো ঐক্য না । মুসলিমরা কেন ওদের নীতি কে পছন্দ করে না এর পিছনে অনেক জুক্তিক কারন আছে , আপনি সেটা স্বীকার করতে পারবেন না , কেন পারবেন না সেটা আমি জানি । কিন্তু সত্য টা আমার আপনার জন্য অপেক্ষা করে না । যে বার বার সাফার করে সে সেটা পছন্দ করবে না আর আপনি সেই reaction কে দোষ দিবেন , তাই বলেছিলাম মন এবং বিশ্বাসে স্বচ্ছতা অনুসারিদের বাহবা থেকে অনেক বেশী গুরত্ত পূর্ণ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: দারুণ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন, পশ্চিমা ধনী দেশগুলো সারা বিশ্বে তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকে এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই, ইতিহাস এবং বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আমরা সে শিক্ষাই পাই। কিন্তু এখন কথা হচ্ছে ইতিহাস বা অতীত কেন্দ্রিক চিন্তা নিয়ে পরে থাকলে তো হবে না, আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে সামনের দিকে এগোতে হবে ওই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই। কিন্তু এখন যদি আমরা তা না করে অতীতে নিয়ে পরে থেকে অতীত নিয়ে গবেষণা করতে থাকি যে কারা আরাজকতা চালিয়েছে বা কাদের দোষ বেশি ছিল বা কাদের দোষ কম ছিল ইত্যাদি নিয়ে পড়ে থাকি তাতে লাভ কি? (দয়া করে এখানে আবার মুক্তিযুদ্ধের রাজাকারের বিষয়গুলো টেনে আনবেন না )
আমার কথা হচ্ছে আমরা বুদ্ধিতে,শক্তিতে পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে এত পিঁছিয়ে কেন? এ থেকে উত্তোরণের কি কোনই রাস্তা নেই? ঘুরে ফিরে কিন্তু আমরা সেই এক জায়গায় এসেই্ আটকিয়ে যাচ্ছি আর তা হলো, সব আমেরকির দোষ, সব পশ্চিমা বিশ্বের দোষ। কিন্তু আমরা নিজেদের অধঃপতনের জন্য যদি বসে বসে শুধু ওদের দোষারোপ করতেই থাকি তাহলে লাভটা হবে কি শুনি? কোন লাভই হবে না শুধু বসে বসে মার খাওয়া ছাড়া, মুসলিমদের প্রায় প্রতিটি দেশেই আমেরিকা ছড়ি ঘোরাচ্ছে মুসলিমদের নির্বুদ্ধিতার সুযোগ নিয়ে। এটা খুবই সরল হিসেবে যে, যতদিন মুসলিম জনগোষ্ঠি নির্বোধ থাকবে,অতীত কেন্দ্রিক চিন্তায় মশগুল থাকবে, ততদিন আমেরিকা মুসলিমদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েই যাবে এই অতিসাধারণ বিষয়টি অনূধাবন করার জন্য দুনিয়ার তবাৎ তবাৎ রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণার কোনই প্রয়োজন মনে করি না।
আচ্ছা আমেরিকা কেন জার্মানের সাথে পারে না? ফ্রান্সের সাথে পারে না? অষ্ট্রেলিয়ার সাথে পারে না? এর একটাই কারণ ওরা আমাদের মত এতটা নির্বোধ নয়। আমাদের আছে শুধু বিশাল জনগোষ্ঠি এছাড়া আমাদের আর তেমন কিছুই নেই। বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ ছিল বলে কিছুটা রক্ষে নচেৎ আফ্রিকার চেয়েও খারাপ অবস্থা হত আমাদের। ইরান উন্নতি করার চেষ্টা করছে মাত্র, কিন্তু ইরান সৌদি আরব বিষয়ে মুসলিম বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। কোন কোন মুসলিমদেশ মুসলিমদের তীর্থস্থান,পবিত্র মক্কায় হজ্জ্ব করা পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা করেছে।
মুসলিমদের মধ্যে কোন এত এত বিভক্তি? মুসলিম বিশ্ব কখনোই এক হতে পারে নি। ধর্ম কখনোই তাদের এক করতে পারেনি বরং বিভক্তি আরও বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্চ্যের অল্প কয়েকটি দেশ যদি এক হতে পারত তাহলেই পশ্চিমা বিশ্ব মুসলিমদের বিভিন্ন বিষয়ে নাক গালানোর সাহস পেতে না। মুসলিমদের মধ্যে যত বেশি বিভক্তি থাকবে ততই পশ্চিমা বিশ্বের জন্য ভাল আর তারা সেটাই চায় এ জন্য তারা যা যা করার দরকার তারা তা করবেই। সময় এসেছে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ হবার।
আপনি আই,এস নিয়ে কিছু বলেছিলেন, আই এস নিয়ে আমারও কিছু কথা আছে সময়ের অভাবে বলতে পারছি না- শুধু এতটুকু বলি, আই,এস,উত্থানের জন্য যতটা না আমেরিকা দায়ী যতটা না ইসরাইল দায়ী, তারচেয়ে ঢের বেশী দায়ী মুসলিমরা তথা ইসলাম।
আপনি বলেছিলেন- মুসলিমরা কেন ওদের নীতি কে পছন্দ করে না এর পিছনে অনেক জুক্তিক কারন আছে , আপনি সেটা স্বীকার করতে পারবেন না এটা অস্বীকার করার কিছু নেই, আর মুসলিমদের ওদের নীতি পছন্দ করতে হবে কেন শুনি? বর্তমান পরিবেশ,পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে এবং ভবিষ্যতকে মাথায় রেখে কেন তারা শক্ত কোন নীতি তৈরী করতে পারছে না? ( পরবর্তী প্রজন্ম তাদের প্রয়োজন অনুসারে যে নীতি চেঞ্জ করতে পারবে) কারণ ধর্ম তাদের সে নীতি তৈরী করতে বাঁধা প্রদাণ করে। আর্চয্যজনক!! বিষয় হলেও সত্যি প্রায় ১৫০০ বছর হতে চলল মুসলিমরা এখন পর্যন্ত তাদের ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যাই করতে পারে নি!!! পৃথিবীর দুইজন মুসলিম স্কলারই পরস্পরের সাথে একমত হতে পারে না। আর সাধারণ মানুষ তো রয়েছে মারাত্নক বিভ্রান্তিতে।
কারন ধর্ম মানুষকে কনফিউশন সৃষ্টি করে।
আমেরিকা,ইসরাইল কেন শুধু মুসলিমদের বিরুদ্ধেই লাগে? মুসলিমদের প্রতি তাদের কেন এই বিদেষ? ভারতের হিন্দু,এবং চিনের বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে তারা কেন লাগে না?
এর প্রধান কারন তিনটি, ১: ধর্ম ২: প্রাকৃতিক সম্পদ,৩: অনঅগ্রসর জনগোষ্ঠি ( যদিও ৩ নং এর জন্য ধর্মই দায়ী, যে জাতি যত বেশী ধার্মিক সে জাতি তত বেশী অনঅগ্রসর বা যে জাতি যতবেশী অনঅগ্রসর সে জাতি তত বেশী ধর্মিক )
১: ধর্ম- সেই শুরু থেকেই, ইহুদি,খ্রিস্ট্রান,মুসলিম পরস্পর পরস্পরের শত্রু ধর্ম থেকে তাদের এ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। হিটলার লক্ষ লক্ষ ইহুদি মেরেছে ধর্মীয় কারণে, ক্রুসেডে লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ হত্যা হয়েছে। মধ্যযুগে খ্রিষ্টানরা নিজেদেরই মেরেছে লক্ষ লক্ষ নারী,পুরুষ তারা মেরেছে ডাইনি,শয়তান ইত্যাদি খেতাব দিয়ে। (হিন্দু,বৌদ্ধদের অরাজকতার কথা আর নাই বা তুললাম আশা করি আপনি তা জানেন ) নবীজি প্রথম জীবনে ইহুদী,নাসারাদের হাতে মার খেয়েছে পরবর্তী ১০ বছরে সব শুধে আসলে উসূল করেছেন।
এভাবেই যুগে যুগে ধর্মে ধর্মে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে আর হানাহানি করেছে। প্রতিটি ধর্মই তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বল প্রয়োগ করে। যে কারণে প্রতিটি বিকাশমান সমাজব্যবস্থার সাথে ধর্মের সংঘর্ষ অনিবার্য।
২: প্রাকৃতিক সম্পদ, এবং ৩: অনঅগ্রসর জনগোষ্ঠি - এই বিষয়টি সবাই জানে তাই এটা নিয়ে আলোচনা না করলাম। আমি ধর্মের বিষয়টা আলোচনা করলাম এ জন্য যে, কারণ অধিকাংশ মানুষই ধর্মের এই বিষয়গুলো হাইড করে যায় ধর্মীয় মনোভাবের কারণে।
শেষ কথা- পশ্চিমা বিশ্বের আগ্রাসণের বিরুদ্ধে জবাব দেয়ার উপায় হচ্ছে, ঐক্যবদ্ধ মুসলিম জনগোষ্ঠি, যুগ উপেযোগী শিক্ষা এবং জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত জনগোষ্ঠি।
ধন্যবাদ।
৫১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দারুন এখানে ফিরে এসে দোখি আবার জমে উঠেছে। এ যে আমার জন্য বিশ্বকোষ বটে ।
গতকাল ব্যস্ত ছিলাম শরত অবগাহন নিয়ে ছেড়ে দিয়ে পোস্টে এখন বলতে গেলে ফ্রি ,
এখানে সকলি পাঠ হবে এক এক করে । দরবেশ বাবার বিচিত্রানুষ্ঠান সেটাও ভাল
লাগে প্রশ্নোত্তর পর্বে গেলে একসাথে পাওয়া যায় হরেক বিষয় সুত্র সহকারে ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: দরবেশ বাবা অত্যন্ত পিঁচ্ছিল খাঁলি ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যায় আমার কমেন্টের দুই একটা শব্দের দূর্বলতার সুযোগ পুরো বাক্যটাই ওলোট পালট করে দিয়ে ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়।
যেমন- মুসলিমদের চিরশত্রু ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা হ্রাস/বৃদ্ধির পরিসংখ্যান চাওয়াতে। এই 'চিরশত্রু' শব্দের কল্যাণে সব উলট পালট কইরা দিয়ে এই রিলেটেড সব প্রশ্ন এক ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিসে।
সোদি আরবে বিধর্মীদের নেই কেন? এই 'নেই কেন' এর সুযোগ নিয়ে সৌদি আরবে বিধর্মীদের কোন পরিসংখ্যান না দিয়ে, সৌদি আরবে কোন চিপায় কিছু খ্রিস্ট্রান পাওয়া গেল তা দেখিয়ে ফাঁক গলে বেরিয়ে গেল। সাথে জাকির নায়েকের একটা উদৃতিও হুনিয়ে দিল। আর না না গোঁজামিলে অত্যন্ত উস্তাদ। এ তো এক ভারি মুসিব্বত দেখা যাচ্ছে।
৫২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৬
জেন রসি বলেছেন: বেশ জমে উঠেছে। মন্তব্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: জমে উঠেছে হচ্ছে এই পোস্ট, এখানে এক দরবেশ বাবার কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করিতেছি।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দরবেশ বাবা আমাকে সঠিক জ্ঞান না দিয়ে খালি ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে আর না না গোজামিল দিচ্ছে। গোজামিল দিতে এরা এত উস্তাদ!! এমন কোন বিষয় নেই যে এরা গোজমিল না দিতে পারবে
৫৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৮
সৌরভ খান (বিমূর্ত) বলেছেন: বাঙ্গালী ধর্মের জাতির পিতা হল- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আর ইসলাম ধর্মের তথা আত্মসমর্পণকারীদের(মুসলিম) জাতির পিতা হল- মাসেঞ্জার আব্রাহাম-[ইব্রাহিম(আঃ)]।
অতএব-এই দুই ধর্ম বা জাতি এক নয়।
নবিজী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন-"যে জাতীয়তাবাদের দিকে আহবান করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়"- (বিশুদ্ধ হাদিস-বুখারি,মুস্লিম,আবু-দাউদ)।
বাঙ্গালি জাতির রাজনৈতিক দর্শন হল ভাষাগত বাংলা জাতিয়তা বা সাপ্রদায়িকতা আর ইসলামের জাতিগত দর্শন হল বিশ্বাসভিত্তিক আন্তর্জাতিকতা যার কোন মানচিত্র নেই। যারা স্রষ্টার নিকট নিজেকে সমর্পণ করে স্রষ্টার প্রভুত্ব মেনে নিয়ে স্রষ্টার আইন-বিধান মেনে চলে তারাই মুসলিম জাতির অন্তর্ভুক্ত। আপনে বংশপরস্পরায় রেডিমেট মুসলিম হতে পারবেন না। অপরদিকে বাঙ্গালী জাতির অন্তর্ভুক্ত তারাই যারা এই দেশের মানচিত্রের মধ্যে বসবাস করে এবং এই ভাষাকে নিজ মাতৃভাষা মানে।
সুতরাং- ভাষাগত সাপ্রদায়িকতা আর ইসলামের বিশ্বাসভিত্তিক আন্তর্জাতিক জাতিতত্ত্ব এক জিনিস নয়।
যারা বলে ধর্মের সাথে রাজনীতির আবার কি সম্পর্ক?? –তারা পুস্তকবহনকারী গাধা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা ধর্ম কি তাও জানেনা –রাজনীতির অর্থ কি তাও জানেনা। ধর্মের শাব্দিক কিংবা পারিভাষিক অর্থ কি?? ধর্ম বা রাজনীতির সংজ্ঞা বা ইতিহাস কি সে সম্বন্ধে তাদের কোন জ্ঞানই নেই।
ধর্ম অর্থ কি ?–রীতিনীতি, আইন বা বিধান, নীতি-মালা।এই ধর্ম শব্দটি আমরা পদার্থবিজ্ঞানের low বা আইনসমূহকে বোঝাতেও ব্যবহার করে থাকি। যে ব্যক্তি স্রষ্টাপ্রদত্ত ধর্মগ্রন্থের আইন-বিধান, নীতিমালা মেনে চলে সেই ধার্মিক। রাষ্ট্রের সংবিধান অস্বীকার করলে যেমন একজন নাগরিক রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত হয়।ঠিক তেমনি ঐশী বিধান অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করলেও একজন স্রষ্টাদ্রোহী হিসেবে পরিগনিত হয়। হোক সে ব্যক্তি বা সমাজ বা রাষ্ট্রযন্ত্রে। স্রষ্টার প্রদত্ত ধর্মীয় বিধান প্রত্যাখ্যান করলে বা লঙ্ঘন করলে যেমন একজন ব্যক্তিকে ধার্মিক বলা যায় না ঠিক অনুরুপভাবে কোন রাষ্ট্রযন্ত্র যদি স্রষ্টা প্রদত্ত বিধি-বিধান অনুসারে পরিচালিত না হয় তবে সেই রাষ্ট্রকেও রাষ্ট্রধর্মের সাথে যোগ করা যায়না। কোন শাসক যদি আল্লাহ্ প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থের দিকনির্দেশনা ও বিধি-বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে অস্বীকার করে তবে সেই শাসকগোষ্ঠীও আল্লাহ্দ্রোহী হিসেবে পরিগনিত হয়, ঠিক যেমনি একজন নাগরিক রাষ্ট্রের সংবিধান অস্বীকার করলে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী পরিগনিত করা হয়।এবং প্রতিটি ঐশীগ্রন্থেই এইসব আল্লাহ্দ্রোহী (তাগুত) ব্যক্তিবর্গ বা শাসকের আনুগত্য পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশকে তখনই ইসলামী রাস্ত্রে বলা যেত, যদি এদেশের আইন-বিচার-শাসন আল্লাহ্ প্রদত্ত ধর্মীয় আইন-বিধান অনুসারে পরিচালিত হত।তাহলে আমরা বুঝলাম ধর্ম অর্থ আইন-বিধান বা নীতিমালা। এই কারণে বিজ্ঞানমহলও ধর্ম শব্দটি ব্যাবহার করে থাকে বস্তুজগতের আইন বা Low বোঝাতে।বস্তুজগতের পরতে পরতে কিছু প্রাকৃতিক আইন প্রোথিত রয়েছে যা তারা মেনে চলে। যদি বস্তুজগত সেইসব প্রাকৃতিক আইন লঙ্ঘন করে তবে তার ধ্বংস অনিবার্য। প্রকৃতিজগতের এইসব প্রাকৃতিক আইনসমূহ যেমন-নিউক্লিয় বল, মধ্যাকর্ষণ শক্তি, আন্তঃআণবিক বল, তড়িৎ চম্বুকিয় বল, এন্টিমিউট্রাজেনেটিক আমব্রেলা, বায়ুমণ্ডলের স্তরসমুহে প্রভৃতিতে যেসব প্রাকৃতিক আইন প্রোথিত রয়েছে সেইসব আইনের আনুগত্য পালনে তারা বাধ্য।এক্ষেত্রে বস্তুজগত তথা পদার্থ জগতকের সবাইকে খুব ধার্মিক বলেই মনে হয়। যেমন পৃথিবী র ঘুর্নণ ও তার স্বীয় কক্ষপথে পরিভ্রমণ করবার আরোপিত যে আহ্নিক গতি ও বার্ষিকগতির যে ধর্মের তথা আইনের আনুগত্যে তাদের প্রতিনিয়ত আমরা প্রতিশ্রুতিশীল দেখতে পাই সেই কারণেই আজ আমারা এক সুশৃঙ্খল জীবন পরিবেশে বেঁচে আছি।এক্ষেত্রে পৃথিবী নিরলস ভাবে তার প্রতি আরোপিত নিয়মের আনুগত্য পালন করছে, যার সামান্যতম সীমালঙ্ঘনেই পৃথিবী আমাদের জন্যে বয়ে আনতে পারে চিরধ্বংস। বস্তুজগতের মাঝে প্রথিত এমন হাজারও নিয়মের আনুগত্যে মহাবিশ্ব অবিচল। ঠিক এই কথাটিই পবিত্র কুরানে প্রভু বলেছেন- “তোমরা কি চাও আল্লাহ্র বিধান ছাড়া অন্য কারও বিধান, অথচ মহাবিশ্ব ও পৃথিবীর সব কিছুই ইচ্ছা কিনবা অনিচ্ছায় একমাত্র তারই প্রতি অনুগত হয়ে তারই বিধানে আনুগত্যশীল (৩:৮৩)।” এই বিষয়টির যৌক্তিকতা কুরআনে ধ্বনিত হয়েছে-“ তোমরা সেই প্রকৃতির অনুসরণ করো, যেভাবে তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। এটাই যৌক্তিক আনুগত্যের বিধান।(সূরা রোম:৩০)”
কুরআন-বাইবেলে গভীরভাবে দৃষ্টিপাত করলে তারা বুঝতেন-যে আল্লাহ্ প্রদত্ত ধর্মীয় রাজনীতি ছাড়া সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যবস্থা, মতাদর্শের চর্চা তথা দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ। তারা কখনও মানব সভ্যতার ইতিহাস-মিশরীয়-হিব্রু-ব্যাবিলন সভ্যতার ইতিহাস অদ্ধ্যায়ন করেছেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। তারা জানেনা যে-“ধর্মের সাথে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই” –এই অদ্ভুত বক্তব্য যদি তারা আজ থেকে ৫০০ বছর আগেও তথা ইউরোপে রেনেসাঁ বিপ্লবের আগে প্রদান করত তবে তাদের ধারনাকৃত তথাকথিত চরম্পন্থি মুসলিমতো দুরের কথা- তাদের পূজনীয় পশ্চিমা সমাজের ইহুদী-খ্রিষ্টানগণ কিংবা চার্চের পাদ্রীরাই হয়ত তাদের ‘উয়িচ বর্ড়ের”-ডাইনীদের ন্যায় ঈশ্বরদ্রোহিতা তথা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে তাদের ফাঁসীর কাষ্ঠে ঝুলিয়ে রাখত।
মানব সভ্যতার সমগ্র ইতিহাস জুড়ে রাজনীতির মূলনীতি ও প্রেরণায় ছিল ধর্ম। এই সব 'আল্প বিদ্যা ভয়ংকর'-মার্কা জ্ঞান নিয়ে যারা ধর্ম ও রাজনীতির সম্পর্ক নিরূপণে অক্ষম- তারা মূলত তাগুতের দাস বা চাকর ব্যতীত আর কিছুই না। তারা স্রষ্টার ক্ষমতাকে মসজিদ-গির্জার চার দেয়ালে আবদ্ধ রাখতে চায়-সেই রেনেসাঁ বিপ্লবের গর্ভে জন্ম নেয়া ডেমোক্রেটিক কুফুরি চর্চার আঁধারে। কিন্তু ওরা জানেনা যে- প্রভুর প্রভুত্ব শুধুমাত্র মক্কা-মদিনা কিংবা পাড়া গ্রামের ভাঙা মসজিদের চার দেয়ালের কারাগারের বন্ধীশালায় আবদ্ধ রাখার ক্ষমতা পৃথিবীর কারও নেই। ট্র্যাডিশন কখনও ইবাদত হতে পারেনা। যারা ইসলামকে ট্র্যাডিশনাল ফ্রেমে অন্ধি করতে চায়-তারা আক্ষরিক অর্থের অন্ধিশালায় আবদ্ধ পুস্তক বহনকারি গাধা ছাড়া আর কিছুই নয়। ওইসব নেশাগ্রস্থ নামাজি যারা অর্থ না বুঝে তোঁতা পাখির মত নামাজ পড়ে সেইসব রেডিমেট মুসলিম কখনই ইসলামের মানদণ্ড হতে পারেনা।
ওরা জানেনা যে জনগন নয় বরং “আল্লাহ্ই সারা মহাবিশ্ব ও পৃথিবীর সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী”-[আল-কুরানঃ৯১১৬]।
এর চেয়েও ভয়ানক বিষয় এই যে- সারা পৃথিবীতে বংশপরস্পরায় জন্ম নেয়া রেডিমেট মুসলিমদের এক বিশাল অংশের ধার্মিকগণ- যারা তোঁতা পাখীর ন্যায় না বুঝে কুরআন পাঠ করে-এই ধর্মান্ধরাও আবার-“আল্লাহ্র পরিবর্তে তাদের আলেমদের নিজেদের প্রভু/রব বানিয়ে নিয়েছে”-(৯:৩১)।
প্রকৃত প্রেক্ষাপট এই যে- ধার্মিকরাও জানেনা তাদের প্রভু কে? রাজনীতিবিদরাও জানেনা যে-তার অর্থ কি??
সোজা কথা-সারা পৃথিবীর মানুষ আজ অন্ধের ন্যায় পথ চলছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঈদ মোবারক।
৫৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।
এই মাত্র একটি ঈদ বিনুদুন মূলক প্যাকজ পোস্ট করলাম।
৫৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
সৌরভ খান (বিমূর্ত) অনেক গভীরতাপূর্ণ পোষ্ট
যাই হোক অনেক দিন পর আবার আসিলাম ফিরে এই পোষ্টের ধারে
অনেকের অনেক ধরনের মন্তব্য। ভাল......
আবার জমবে হয়ত ........
৫৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪
বাবাজান বলেছেন: জ্ঞান ক্ষুধা " ঐ বেটা তুর জ্ঞানের এতো ক্ষুধা, তা এই কাফেরের পোস্টে কি করিস, এখানে তো জ্ঞানের বালও নেই !
আছে শুধু মিথ্যে অপবাদ আর ভন্ডামী,,
এইখানে যে জ্ঞান খুজতে আসে সে একটা আবাল "এটা ধর্মকারী বনাম পর্ণকারী'র এক সন্তানের ব্লগ,, যে সবসময় পর্ণ নিয়ে ব্যস্ত থাকে
আর ধর্ম পর্ণের বিরুদ্ধে কথা বলে শুধু এই জন্য মহাসমন্বয় বনাম মহাসমস্যাময় নিক নাম ধারী পর্ণকারী পর্ণস্টারের বাচ্চা ইছলামের নামে ভন্ডামী করে, এই মহাপর্ণময় এর পোস্টে মন্তব্য করতে আসবিনা, বিশেষ করে ধর্ম নিয়ে,;
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: হেই লম্বা দাড়িওয়ালা ভন্ড বাবা মাথা ঠিক আছে তো???
বাবাজান তুমি করিয়াছ ভুল, দাড়ি না কাটিয়া কাটিয়াছ মাথার চুল।
৫৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কিছু কমেন্ট ডেল করে ফেলা উচিত!
পশ্চিমা চক্রান্ত বলে যারা পার পেতে চায় তাদের কারো যেদিন বার্ন ইউনিেটে/যখম হয়ে হাসপাতালে থাকবে, সেদিন বুঝবে কার চক্রান্ত এসব! কার ষড়যন্ত্র এইসব!!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: গেমু ভাই কেমন আছেন? সব ঠিক আছে তো? খুব শিঘ্রই ব্লগে নিয়মিত হব অতঃপর সব স্প্যাম কমেন্ট ডিলিট করব।
আমিও লগইন করলাম আর আপনাকেও পেয়ে গেলাম
আপনার প্রোপিকটা না একদম জোশ হইসে
এত্তগুলো ভাল লাগা রইল।
৫৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭
আল-কোরআনের ছাত্র বলেছেন: আপনি শান্তির দুশমন, ইসলামের শত্রু। সুরা বাকারায় বলা হয়েছে যদি কোনো কাফের আগে অশ্র ধরে পরে তাদের যেখানে পাও সেখানে হত্যাকরো। 34:25 min to 58:00 min sunun jihad bujhte এই লিংক থেকে https://youtu.be/kQe4BhErpVg
ইসলামে ভুল নেই হজুররা ভুল করতে পারে।
৫৯| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১
বককত বলেছেন:
get more waz mizanur rahman ajahari waz,
channel link: https://youtu.be/wwNIWSoV7NY
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের মানুষেরা নিজের দোষ-ত্রুটি নিজে বুঝতে পারে না, পারলে সাহসের সাথে মেনে নিতের পারে না, অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়।