![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখনো আমি স্বপ্নে মাছরাঙ্গা পাখির ডানায় ভর করে ছোঁ মেরে মাছ ধরি, কিশোরের আঙ্গুলের টোকায় মাথা ঘুরতে ঘুরতে আমারই মত আরেক মার্বেলের গায়ে ধাক্কা মারি, দুরন্ত বালকের মত ঢিল মেরে মানুষের গাছের ফল চুরি করি, বন্ধুদের সাথে চ্যালেঞ্জ করে এলাকার দুষ্ট মুরুব্বির বাসার গ্লাস ভাঙ্গি বা গণিতের দীপু স্যারের সাইকেলের চাকায় পিন মেরে পাংচার করি।
কান্না
আমি শুধু কান্নার শব্দই শুনতে পাই।
ঘরের সব জানালা বন্ধ করে দিলাম
কান্নার শব্দ শুনতে চাইনি বলে।
কিন্তু ধূসর দেয়ালের ওপাশ থেকে
শুধু কান্নার শব্দই শুনতে পাই।
গুটিকয়েক দেবদূতই গান গায়,
নিস্তব্ধতা ফুঁড়ে ডাকে গুটিকয় কুকুর,
হাতের তালুতে জায়গা করে নেয় শতসহস্র বেহালা।
কিন্তু...
কান্না যেনো এক প্রকান্ড দেবদূত,
কান্না যেনো এক প্রকান্ড কুকুর,
কান্না যেনো বিকট সুরের বেহালা।
বাতাসের গলা টিপে ধরে অশ্রুজল।
আমি শুধু কান্নার শব্দই শুনতে পাই।
ইংরেজী অনুবাদ - The Weeping
মৃত শিশুর জন্যে শোকগাঁথা
ছবিঃ ইম্পেরিয়াল মনুমেন্ট টু ঔমেন-চাইল্ড - সালভাদর দালি।
প্রতি মধ্যাহ্নে এই শহরে,
প্রতি মধ্যাহ্নে, একটা শিশুর মৃত্যু হয়।
প্রতি মধ্যাহ্নে বৃষ্টির জল বসে পড়ে
এবং সঙ্গীদের সাথে বাতচিত করে।
মৃতেরা স্যাঁতস্যাঁতে ডানা পরে নেয়।
মেঘাচ্ছন্ন বায়ু আর স্বচ্ছ বায়ু-
দুজনে যেনো দুই প্রকান্ড কবুতর-
উড়ে চলেছে বাতিঘরের পেট ফুঁড়ে,
আর দিনটা যেনো এক আহত কিশোর।
বাতাসে একফোঁটা চাঞ্চল্যও আর অবশিষ্ট ছিলোনা
যখন ওয়াইনের গুহায় তোমার সাক্ষাত পেলাম।
মৃত্তিকায় একটুকরো মেঘও আর অবশিষ্ট ছিলোনা
যখন নদীগহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছিলে।
অজস্র জলরাশি গড়িয়ে পড়েছিলো পর্বতের চূড়া হতে
আর উপত্যকায় গড়াগড়ি খাচ্ছিলো রক্তজবার দল।
আমার হাতের বেগুনী ছায়ায়, তোমার শরীর-
মৃত; যেনো এক স্নায়ুশূণ্য দেবশিশু।
ইংরেজী অনুবাদ - Gacela of the Dead Child
লোরকা'র কবিতা পড়ার সময় গ্রীক মিউজিশিয়ান জি.কৌত্রাস-এর নিচের মিউজিকটা শুনলে আবহটা আরো ভালো হয়।
ইউটিউব
অডিও
ধন্যবাদঃ বন্ধু ও প্রিয় ব্লগার অমিত চক্রবর্তী - লোরকা'র কবিতা পড়া শুরু করেছিলাম যার মুখে লোরকা'র প্রশংসা শুনতে শুনতে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০
আদনান০৫০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৭
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
সাবলীল অনুবাদ।
ভালো লাগলো খুব।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৮
আদনান০৫০৫ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬
তানিয়া হাসান খান বলেছেন: ভালো লাগলো খুব।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
আদনান০৫০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
আদনান০৫০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৯
কাউসার রুশো বলেছেন: চমৎকার লাগলো
++++
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
আদনান০৫০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো হইসে অনুবাদ। প্রাঞ্জল।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
আদনান০৫০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। বহুত হিম্মতের কাজ মনে হয়েছিলো যখন অনুবাদে হাত দিছিলাম- বিশেষ করে আমার শব্দভান্ডার খুব লিমিটেড।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
কেউ যদি আসলেই দুঃখে থাকে তার কবিতা বা লিখালিখিতে সেই দুঃখের মেলাঙ্কোলিক সুরটা এড়িয়ে যাওয়াটা অসম্ভব । লোরকা তার পারিপার্শ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে দুঃখে ছিলেন ।
দুঃখের সুর অন্যসব কিছুকেই পরিব্যপ্ত করে । তার কবিতায় দুঃখ এসেছে, ভায়োলিনের সুরের মত, তার কবিতার গিটারে বেজেছে দুঃখের সলো (গিটারের ক্রন্দন আর গিটারের হেয়ালি এরাম নামে লোরকার দুইটা কবিতা আছে, গিটারের দুর্দান্ত মেটাফর) ।
ফ্রাঙ্কোর বাহীনি তাকে হত্যা করার অল্প কিছু দিন প্রথমটা লিখছিলেন । আমার কাছে, এইটা স্পানিশ সিভিল ওয়ার নিয়ে লিখা মনে হৈতাসে ।
স্পানি্, ফ্রেঞ্চ বুঝি না, এইটা চরম একটা আফসোস । আফসোস এইজন্য যে নেরুদা-লোরকা-বোদলেয়ারদের কবিতার স্বাদ ইংলিশে নিতে হয় । এইজন্যই মনে হয় শুধুমাত্র কবিতার জন্য হলেও পৃথিবীর সব ভাষাই শিখা উচিত ।
ডিজামাল, অনুবাদ দারুন হইছে । এরাম আরো আরো কর ।
কুকুর এর ‘বার্ক’ এর কথা আছে । পশুর জায়গায় কুকুরই বেটার মনে হৈল রে ।
আর শেষের লাইনটা এরাম হলে কিরাম হয় ‘বাতাসের শ্বাষরোধ করে অশ্রুজল...’
গ্যালেকা অফ ডার্ক ডেথটা আমার খুব ফেভারিট । ডেড চাইল্ডের অনুবাদ টা পরে দেখতাসি । রাতে ঘুমায়া গ্যাছিলাম । শর্টফিল্মটা একবার দেখলাম, দুর্দান্ত । আবারও দেখুম রাইতে । খুটায়া খুটায়া দেখতে হৈব, প্রচুর ট্রান্সিশন ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
আদনান০৫০৫ বলেছেন: আমি অনেকসময়ই দাবি করি - লোরকার কবিতাটা আমাদের বয়সী মানুষরা বেশিই বুঝবে। সমাজ, পারিপার্শ্বিক অসংলগ্নতা, অসহায়তা- এসব আমাদের বয়সী পোলাপাইনরে যেভাবে ভাবায়, কষ্ট দেয় - সেভাবেই উনাকেও কষ্ট দিছিলো। এজন্যে বারবার তাঁর লেখায় এগুলা উঠে আসে। আর পরিণতিতে বিরাগভাজন হয়ে জীবন দিয়েই তার দাম দিতে হইছিলো।
গিটারের দুইটা পড়বো।
আসলেই- আমার কাছেও একই মনে হয়। একেকভাষার সেন্স একেক্রকম, কমন পড়ে খুব কমই। ক্লাসে বইসা লালনের খাঁচার ভিতর অচিন পাখি বা রাধারমনের ভ্রমর কইয়ো গিয়া যখন পোলাপাইন মিনিং জিগায় তখন কিছুতেই ইংলিশে ওগোরে ভাবটা বুঝাইতে পারিনা- ওগো সেন্স আর আমগো সেন্সতো পার্থক্য আছেই।
কুকুরের লাইনটা চেঞ্জ করছিও ঠিক একই কারণে - আন্দাজ করি- উনি গভীর রাতে বসেই কবিতাটা লিখছিলেন, আর তখন আশপাশ থেকেই রসদ্গুলা নিছিলেন। few dogs that bark- এটা অনুবাদ করতে গিয়ে মাথায় আসলো - "গুটিকয় কুকুরই ঘেউঘেউ করে/ডেকে/কেঁদে উঠে" - এটা কেমন যেনো একটু বিশ্রি মনে হইলো মাথায়- হয়তো এরা যেমন কুকুররে আদর করে আমরাতো সেভাবে করিনা- দুরদূর করে তাড়াইয়া দিই- এজন্যেই ভাব্লাম চেঞ্জ করি-যেটা একটু শুনতে ভালো লাগবে। কিন্তু এই লাইনটা নিয়ে আমি নিজেই একটূ নিজের উপর বিরক্ত - সমার্থক সুন্দর কোনো বাংলা শব্দই মাথায় আসতেছেনা- ভালো কিছু মাথায় থাকলে বইলেন, চেঞ্জ করে দিমুনে। আবার ধরেন দ্বিতীয় কবিতায় - "দুজনে যেনো দুই প্রকান্ড কবুতর-উড়ে চলেছে বাতিঘরের পেট ফুঁড়ে," এইগুলা আমি চেঞ্জ করছি বেশ ইচ্ছা করেই- pheasants নামের পাখির বাংলা কোনো নাম নেই, তাই আমরা যা দেখি- কবুতর- তাই বসায়ে দিলাম। আর ফিজান্টগুলা উঁচু দালানগুলার মাঝখান দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো - এটা ভাবলাম বরাবর অনুবাদ করলে আমাদের জন্যে শ্রুইতিমধুর লাগবেনা, তাই অন্যভাবেই লিখছি।
আর বাতাসের শ্বাসরোধ-এর যেটা বলছেন সেটা এডিট করে দিলাম। দেখেনতো এখন কেমন লাগে?
শর্টফিল্মটা দেখার সময় মনে হইছিলো কেউ ধইরা আমারে নেশাদ্রব্য খাওইয়া দিছে, কেমন যেনো ঘোরের মধ্যে ছিলাম।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: দারুন লাগলো। ফাহাদ ভাইয়ের কমেন্ট ও সেইরকম।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
আদনান০৫০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ।
ফাহাদ ভাইরে কাছ থেকে দেখছি বলে একটা কথাই বলতে পারি - উনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা খুবই খুবই ভালো।
৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৯
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: কেউ যদি আসলেই দুঃখে থাকে তার কবিতা বা লিখালিখিতে সেই দুঃখের
মেলাঙ্কোলিক সুরটা এড়িয়ে যাওয়াটা অসম্ভব । লোরকা তার পারিপার্শ্বিক
প্রেক্ষাপট নিয়ে দুঃখে ছিলেন ।
দুঃখের সুর অন্যসব কিছুকেই পরিব্যপ্ত করে । তার কবিতায় দুঃখ এসেছে,
ভায়োলিনের সুরের মত, তার কবিতার গিটারে বেজেছে দুঃখের সলো (গিটারের
ক্রন্দন আর গিটারের হেয়ালি এরাম নামে লোরকার দুইটা কবিতা আছে, গিটারের
দুর্দান্ত মেটাফর) ।
ফ্রাঙ্কোর বাহীনি তাকে হত্যা করার অল্প কিছু দিন প্রথমটা লিখছিলেন । আমার
কাছে, এইটা স্পানিশ সিভিল ওয়ার নিয়ে লিখা মনে হৈতাসে ।
স্পানি্, ফ্রেঞ্চ বুঝি না, এইটা চরম একটা আফসোস । আফসোস এইজন্য যে নেরুদা-
লোরকা-বোদলেয়ারদের কবিতার স্বাদ ইংলিশে নিতে হয় । এইজন্যই মনে হয়
শুধুমাত্র কবিতার জন্য হলেও পৃথিবীর সব ভাষাই শিখা উচিত ।
ডিজামাল, অনুবাদ দারুন হইছে । এরাম আরো আরো কর ।
কুকুর এর ‘বার্ক’ এর কথা আছে । পশুর জায়গায় কুকুরই বেটার মনে হৈল রে ।
আর শেষের লাইনটা এরাম হলে কিরাম হয় ‘বাতাসের শ্বাষরোধ করে অশ্রুজল...’
প্রিয় কবির অনুবাদ কবিতা।দারুণ ভালো লাগল।সাথে কমেন্টটাও
+++
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লেগেছে ভাই।