![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আদনান সৈয়দ। জন্ম : ঢাকা। পেশাঃ ফাইনানসিয়াল এনালিষ্ট এবং প্রফেশনাল বিজনেস প্লানার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমবিএ। নেশা: লেখালেখি ও সাংবাদিকতা। বর্তমানে বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। মেইল: [email protected]
আমরা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের শরিরের প্রতিটা শিরায়-উপশিরায় প্রবাহিত। আমরা বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নই। হ্যাঁ, আমরা শুধু একটা শব্দই বুঝি আর বুঝি আর বুঝতে চাই তা হল ”বাংলাদেশ”। যে প্রত্যয় আর আদর্শকের সামনে রেখে আমাদের একটি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই আদর্শিক চেতনার উপর আমরা নতুন প্রজন্মরা বিশ্বাস রাখতে চাই, আস্থা রাখতে চাই। আমরা বুঝে ফেলেছি বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি হল ভোটের রাজনীতি, ক্ষমতায় যাওয়ার নোংরা রাজনীতি আর কিছুই নয়। আমরা এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা আদর্শের কথা বলে বেড়ায় আবার প্রগতিশীলতার ধূয়া তুলে রাতের অন্ধকারে আদর্শের গলা টিপে ধরে আমরা সেই সুবিধাবাদী রাজনীতিকে ঘৃনা করি। আমরা মনে করি বাংলাদেশ কে নিয়ে নাটক করার অধিকার কারো নেই, কোন দলের নেই। এই সোনার দেশটাকে পেতে আমাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলাদেশ, দু লক্ষ মা- বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমার এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। স্বাধীনতার বিয়াল্লিশ বছরের ব্যবধানে আমরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের এই মহান ত্যাগের কথা ভুলতে পারি না।
হায়রে আমার দুখী বাংলাদেশ! স্বাধীনতার বিয়াল্লিশ বছর হয়ে গেল আর এখনো আমাদের যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের দাবীতে মাঠে নামতে হয়! হায়রে আমার দুখী বাংলা, এখনো তোর চোখে দেখি বেদনার অশ্রু, এখনো গায়ে তোর মলিন কাপড়, হাড্ডিসার একি তোর চেহারা! এখনো পাকিস্তানের সেই দোসর শকুনেরা তোকে নিত্য নতুন ধমক দেয়ার সাহস পায়! ভয় দেখায়! জানি, অনেক অভিমান তোর আমাদের দিকে। আমরা তোর সুবিধাবাদী সন্তানেরা তোকে দুঃখ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারি নাই। ভাবতেই অবাক লাগে আজ তোর বুকের উপর দিয়েই দাপটের সাথে হেটে বেড়ায় সেই সব জামাত-রাজাকারেরা যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মত পবিত্র যুদ্ধেও বর্বর পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছিল। যাদের আজ বাংলার সীমানার বাইরে থাকার কথা ছিল সেই রাজাকাররদের কেউ এই দেশের মন্ত্রী হয়ে বাংলার মাটি অপবিত্র করেছে, তাদের গড়িতে নির্লজ্জভাবে আমাদের লাল সবুজের গর্বিত পতাকাটি উড়িয়ে এর মান ভুলন্ঠিত করেছে। জানি, এর চেয়ে লজ্জার, বেদনার আর কোন ঘটনা হতে পারে না। জানি, তোর হয়তো এখন আর এইসব নোংরামো সহ্য করার মত গায়ে কোন শক্তি অবশিষ্ঠ্য নেই। কিন্তু হে মা মাতৃভুমি আমার, তোর নতুন প্রজন্মদের দিকে একবার চোখ তুলে তাকা। শাহবাগ এখন গোটা বাংলাদেশের নাম। শাহবাগের চত্বর এখন নতুন প্রজন্মদের দখলে। আমার বাংলা মা রে, তুই তাকিয়ে দেখ, এই নতুন প্রজন্মরা সুবিধাবাদী রাজনীতি বিশ্বাস করে না, এরা অন্তত: তোকে বিক্রি করার সাহস দেখায় না। তুই আমাদের উপর বিশ্বাস রাখ। এই আমরা নতুনরাই রাজাকার মুক্ত দেশ গড়ব।
যে দেশে একটি মহান মুক্তিযুদ্ধ হতে পারে, যে দেশে ভাষার অধিকার রক্ষায় তরুনরা রাজপথে রক্ত দিতে পারে, যে দেশে নূর হোসেনরা জীবনের বিনিময়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করে সেই দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা গর্বিত এবং আশাবাদি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ফসল সে দেশে উঠতে বাধ্য। অতিতের ইতিহাস ঘেটে আমর দেখেছি, বাংলাদেশের সাথে ষড়যন্ত্র করে কেউ কোন দিন টিকতে পারে নি, কোন ষড়যন্ত্রই টেকেনি। আমরা বিশ্বাস করি এই বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলমান,বৌদ্ধ, খৃষ্টানসহ সব ধর্মের দেশ। আমাদের এই সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গী আমাদের অহংকার, আমাদের আদর্শের মুল মন্ত্র। যারা আজ বাংলাদেশকে আরেকটি তালেবান রাষ্ট্র তৈরি করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যারা ধর্মকের ব্যাবহার কে বাংলাদেশের সাম্যবাদী চেতনাকে ভাংতে চায় আমরা নতুন প্রজন্মরা তাদের এই কার্যকলাপকের মনে প্রাণে ঘৃনা করি এবং প্রতিবাদ জানাই। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই বাংলাদেশের এই নতুন প্রজন্মরাই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে সবুজ সুন্দর এক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। বাংলাদেশ থেকে রাজাকারদের সমুলে উৎপাটন করেই এই নতুন তরুন বিপ্লবীরা শাহবাগ থেকে ঘরে ফিরবে। তার আগে নয়। আমাদের এই বিজয় এখন শুধু সময়ের দাবী মাত্র।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
ফকির ইলিয়াস বলেছেন: যে দেশে একটি মহান মুক্তিযুদ্ধ হতে পারে, যে দেশে ভাষার অধিকার রক্ষায় তরুনরা রাজপথে রক্ত দিতে পারে, যে দেশে নূর হোসেনরা জীবনের বিনিময়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করে সেই দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা গর্বিত এবং আশাবাদি।
অবশ্যই ।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
রাফা বলেছেন: ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত।৩লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশ আবার জেগে উঠেছে।এত আত্মদান এত ত্যাগ বৃথা যেতে পারেনা।
ধন্যবাদ,সৈয়দ আদনান।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
আদনান সৈয়দ বলেছেন: ধন্যবাদ রাফা। নতুন প্রজন্মরাই বাংলাদেশটাকে আবার নতুন করে গড়ে তুলবে। রাজাকারমুক্ত একটা দেশ হিশেবে বাংলাদেশ আত্বপ্রকাশ করতে হবেই। এ শুধু সময়ের দাবী মাত্র। তাহলেই আমরা আমাদের শহীদের রক্তের ঋন শোধ করতে পারব। শাহবাগের আন্দোলন আমাদের তরুনদের সেই ইস্পিত ঠিকানায় পৌছে দিবেই দিবে।
৪| ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:২২
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: স্ত্রী - রক্ষিতা - ধর্ষিতা এই তিনটি বিষয়ের পার্থাক্য বুঝেন, আশা করি।
স্ত্রীকে সন্মান দেওয়া হয়, সংরক্ষণ করা হয় ।
রক্ষিতাকে সংরক্ষণ করা হয়, সন্মান দেওয়া হয় না , আর ধর্ষিতাকে ভোগ করা হয়, কিছুই দেওয়া হয় না !
আওয়ামী লীগের হাতে মুক্তি যুদ্ধের চেতনা কেবলই ধর্ষিতা ।
রাজাকাররা আজ সংরক্ষিত, মুক্তিযোদ্ধারা পতিত পরিত্যাক্ত, শাহাবাগ শুধুই ব্যব হৃত আর রমণার চিন্নমুলদের মত বিতারিত, নিক্ষিপ্ত ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দেশ পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ , সন্ত্রাসীরা চতুর এবং সংঘবদ্ধ , দুর্নীতিবাজ বাজ সরকার , অসহায় , তার বড় প্রমান ব্লগার থাবা বাবা
আমাদের দমে গেলে চলবেনা , যারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জানেনা , তারা হয় সন্ত্রাসীদের পক্ষে নয়ত দুরভিসন্ধিতে ।
আমাদের মধ্য এখন সজাগ সচেতন ও সার্বক্ষণিক অফ্লাইন , অনলাইন , মাঠ পর্যবেক্ষণ , তদারকি ও পরিচালনার গুরুদায়িত্বকে
আরও জুরদার ও সম্প্রসারণ করতে হবে সকলের আন্তরিকতায় ।
নহে অন্যায়ের নিকট মাথানত ।
ন্যায়ের সংগ্রামে আল্লাহই আমাদের সাহায্যকারী
বিজয় আমাদের নিশ্চিত ।