নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতিয় বিশ্বযু্দ্ধ৩. ড্যাথ্ ক্যাম্প

০৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

দ্বিতিয় বিশ্বযু্দ্ধ



৩.

ড্যাথ্ ক্যাম্প



চারদিকে উঁচু দেয়াল ‍তুলে দেয়া হয়েছে। সদা প্রস্তুত প্রহরারত জার্মান বাহিনী। ভিতরে খাদ্য, পানি সরবরাহ বন্ধ। না বন্ধ নয়, শুরু হলেতো শেষ। এখানে কখনো খাদ্য পানি দেয়াই হয়নি। প্রতিদিন ইহুদিদের ধরে ধরে এখানে পুরছে নাৎসি বাহিনী। ধনি গরীব, উঁচু নিচু সব এক কাতারে নেমে এই নরকে বসে মৃত্যুর অপেক্ষা করছে। প্রায় পাঁচ লক্ষ ইহুদি এখানে বন্ধী। না খেয়ে ক্ষুধায়, রোগে মারা যাচ্ছে প্রতিদিন অসংখ ছেলে বুড়ো, শিশু।



কঙ্কালসার সবাই। এখানে ছেলের জন্যে মায়ের আদর দেখানোর অবকাশ নেই। প্রথম প্রথম কথাবার্তা শুনা যেত, আস্তে বা জোরে কান্নার রোল উঠতো। ধীরে ধীরে সব থেমে গেছে। প্রায় মৃত হয়ে সবাই পড়ে আছে। মা হয়তো সামনে নিথর পড়ে থাকা শিশু সন্তানটিকে একটু নেড়েচেড়ে দেখে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে আবার হেলান দিয়ে বসে পড়ে নিজের মৃত্যুর প্রহর গুনায় ব্যস্ত থাকে। কারোরই কান্নার শক্তি নেই, শিশুদেরও নেই। নরক কি এর থেকেও ভয়ঙ্কর!



প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশ হাজার ইহুদিকে এখান থেকে ধরে নিয়ে খালি গায়ে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পুরে দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। চেম্বারে ঢুকানো হয় লাইন ধরিয়ে। শিশুরা ভয়ে ‍প্রায়ই লাইন ছেড়ে পালাতে দৌড়ায়। তখন তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে অতিকায় শিকারী কুকুর। আর কত!!



কি করা যায়! বিদ্রোহ!! এই অর্ধমৃত মানুষ গুলো বিদ্রোহ করে কি করবে নাৎসী পরাশক্তিকে? কিন্তু মরতে যেহেতু হবেই মৃত্যু যন্ত্রনার সাথে বোনাস হিসেবে ডেথ্ ক্যাম্পের এই বাড়তি যন্ত্রনা কেন! গ্যাস চেম্বারে রুদ্ধ হয়ে কেন মরা! তাহলে কি একটাই উপায়?



গন কবর রচিত হলো ক্যাম্পটাতে। এক সাথে আত্মহত্যা করা হাজার হাজার ইহুদিকে মাটি চাপা দিলো জার্মান নাৎসী। সবাই অবশ্য আত্মহত্যা করেনি। কেউ কেউ আঘাত করতে চেয়েছিলো প্রহরিদের। তাদের গুলি করে মারা হয়েছে। এখন পুর ক্যাম্পের এক জনও আর বেঁচে নেই।



[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.