![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
বোবা ভূত
অপরিচিত আলোআঁধারিতে একটা কুচকুচে কালো বিড়াল অনেকটা ভেসে ভেসে এসে গলা চেপে ধরলো। পুর শক্তিতে চিৎকার করতে চাই কিন্তু গলা দিয়ে আওয়াজ বের হয়না। উল্টা নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
প্রচন্ড বিড়ালাতঙ্কে ঘুম ভেঙ্গে ধড়ফড় করে বিছানায় উঠে বসি। মাথার ঘামে বালিশের গোসল হয়ে গেছে। ঘুম গেলেও ভয়ের অনুভুতিটা গেলোনা। মনে হচ্ছিলো বদমাইশ বিলাই তখনও তাকিয়ে আছে। রেডিওতে ভূতের গল্প শুনতে শুনতে হাসি মুখে ঘুমাইছিলাম। এটা তারই প্রাকৃতিক প্রতিশোধ!
খোয়াব নামা মতে, ঐটা নাকি ‘বোবা’। যেটা ধরলে ‘তৌবা’ পড়ারও সুযোগ হয়না। ঘুমের মাঝে অক্মিজেন সাপ্লাই কম হলে ব্রেন ‘বোবা’ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মানুষটাকে জাগিয়ে তুলে বাঁচানোর জন্যে। আমার ব্রেনেরতো দেখি মাথা খারাপ, সে আমাকে ভয়ের চোটেই মরার দশা করে ফেলেছে। উপড় হয়ে বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমাই বলে আমার সাথে ‘বোবা’র নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ হয়। আর বোবা একা ধরেনা, সাথে প্রচন্ড পিপাসাও ধরে। পানি খেয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করি।
কিন্তু ঘুম আসছেনা, কারন কে যেন রুমের মধ্যে খস্ খস্ করতেছে। বিছানায় কোন কাঁথাও নাই যে নাক মুখ ঢেকে ফেলবো। শব্দটা মনে হলো বিছানার নিচ থেকেই আসছে। ইঁদুর কিছু কাটতেছে বা বিড়াল কিছু নাড়তেছে এমন শব্দ। অথচ এই দুটা প্রানীর একটারও অস্তিত্ত্ব ঘরে নাই। সাহস করে নেমে খাটের নিচে তাকালাম। কিচ্ছু নেই। শব্দও বন্ধ। জানালা খুলে মুখ হা করে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে ব্রেনকে বাতাস খাওয়ালাম কিছুক্ষন। তারপর আবার শুলাম, অমনি আবার খস খস শব্দ। ভূততো ভালোই যন্ত্রনা দিতে পারে!
এইবার বিছানার চাদরটা তুলে পুরা নাক মুখ ঢেকে ফেলতে নিলাম। দেখি চাদরের নিচে খচখচানির উৎস ঐদিনের পেপারটা ছড়িয়ে আছে যেটা পড়তে পড়তে ঘুমাইছিলাম।
#Afnan
[email protected]
২| ২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: Hmmm. .
Ghumonto manushta ke emergency jagie tulte brain naki ai karsajita kore. .@Sada Moner Manush
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বোবা জিনিসটার প্রতি কিছুটা আমার জানা শোনা আছে, বাস্তবে আসলে ওটা মনেরই একটা অবচেতন অংশ।