নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট্টবেলার ছোটকথা

২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৮

ছোট্টবেলার ছোটকথা



অতি ছোট বেলায় রোজা আসত অতি শীত কালে। ছোট ছোট দিন বলে তখনকার বড়রা এখনকার বড়দের চেয়ে বড় আরামে আনন্দে সিয়াম পালন করতো। আর তখনকার ছোটরাও এখনকার ছোটদের চেয়ে বেশি বেশি আনন্দ করতো। ছোটদের সব আনন্দ ছিলো ঈদে। আর তার আগে তারাবীতে।



জগতের যত শয়তানী, হি: হি: হা: হা: সব সারা দিন ধরে জমিয়ে রাখতাম আমরা তারাবীর সময়ে পিছনের কাতারে জমিয়ে করার জন্যে। নিয়ত বাঁধার সাথে সাথেই মি.বিনের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের মত হাসির রোল উঠত পেছনের কাতার থেকে। আবার সালাম ফিরানোর সাথে সাথে শ্মসান নিরবতা। কিছু অতি বিটলা পোলাপাইন ঠান্ডার মধ্যে পানি ধরে ওজুটাও করতো না। বলে- ‘যাইতো করমু শয়তানি, খামাখা শীতের মধ্যে পানি ধরি ঠান্ডা লাগানোর কি দরকার!’ তাই বেশির ভাগ দিনই দু-এক রাকাত পরই সব গুলাকে বকাঝকা করি বের করি দেয়া হতো। আর আনন্দের সাথে সবাই বেরিয়েও আসতাম।



বড়দেরও থেকেও কেউ কেউ বেরিয়ে আসতো। ইফতারে ভাজা-পোড়া খেয়ে অতক্ষণ অযু ধরে রাখা তাদের জন্যেও কঠিন ছিলো। তাই নামাজের মাঝখানেই মাঝে মাঝে এদিক ওদিক থেকে ভুট-ভাট কিছু আওয়াজ আসতো, সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তো পেছনের সারির চাপা হাসির রোল। সালামের পর সবাই আঁকা বাঁকা চোখে অপেক্ষা করে- দেখিতো কে বের হয় নতুন করি অযু করতে। সে’ই বের হবে যে আকামটা করছে। দেখা যায় কখনো কোন চাচা, না হয় ভাইজান উঠি দাঁড়াচ্ছেন আর বলে উঠলেন- ‘এরোই পোলাপাইন, তোরা খালি শয়তানি করতেছস্, না? খাড়া তোদেরলাই লঠি লই আইতাছি।’ বলেই ভদ্র লোক বেরিয়ে পড়েন আর একটু পরই পাশের পুকুরে কারো অযু বানানোর শব্দ আসতো।



বছর ঘুরে ঘুরে আবার শীতে রোজা আসতে আসতে তো বোধ হয় আমার পোলাপাইন বড় হই যাবে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++ :D :#) :D

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০২

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: Thanks @Opurno

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৪

ইসলামী চিন্তা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.