নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সাদে রঙ মুজছে স্যুট নেহি করা।"---রমিজ রাজা, পাকী কৃকেটার ;) :P :#)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০২

রমিজ রাজা বাংলাদেশে আসছে একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। মূল উদ্দেশ্য় তদন্ত করা। বাংলাদেশের ঘটনাটা আসলে কি সে বুজতে চাইছে।
.
আমাদের উপর তাকে সার্কক্ষণিক সঙ্গ দেয়ার দায়িত্ত্ব পরলো।
.
এয়ার পোর্টে হাই হ্যালোর পর গাড়ীতে উঠতে গিয়ে রাজা সাহেব বেঁকে বসেলো। ইৎনা সাদা গাড়ীতে সে নাকি সেইফ ফীল করেনা। বললো-আই ডোন্ট লাইক এনি থিং হোয়াইট। ই নো, ইয়ে সাদে রঙ মুজছে স্যুট নেহি করা।’ মনে মনে ‘হু, কত্ত সং’ বলে সি. এন. জি নিয়ে আসলাম।
.
কিন্তু, দ্রুতই অবাক হয়ে দেখলাম বেচারার হোইটোফোবিয়া কোন পর্যায়ের। হাইটোফোবিয়ার রোগী উচ্চতা ভয় পায়। এ ভয় পাচ্ছে হোয়াইট কালারকে। সাদা দেখলেই আঁতকে উঠছে! আকাশের দিকে তাকায়না সাদা মেঘের ভয়ে। হোটেল রুমের সাদা বেডে শোয় না। আজব সমস্যায় পড়লাম সবাই। তার এক কথা- ‘আই ডোন্ট লাইক এনি থিং হোয়াইট। ই নো, ইয়ে সাদে রঙ মুজছে স্যুট নেহি করা।’
.
বিদেশী তারকা বলে একটা গুনীজন সংবর্ধনায় মূলত তাকেও আমন্ত্র জানানো হয়েছে বলে সে এসসেছে। সেখানে সাদা মনের মানুষকে পুরুষ্কার দিচ্ছে শুনে রমিজ চমকে উঠলো। -ইয়েতো কালে হে। ই লোক তুমকো পাছ সাদা ক্য়ায়সে মালুম হোতা হ্য়ায়!
বল্লাম-উচকা দীল সাদা হ্য়ায়।
বললো-"তুম লোক দীল বি দেক চাকতে হু। আর ও ভি সাদা! কামাল হ্য়ায়। মুজে ইহা নেহী আনা চাহিয়ে। আই ডোন্ট লাইক এনি থিং হোয়াইট। ই নো, ইয়ে সাদে রঙ মুজছে স্যুট নেহি করা।"
অনুষ্ঠানের পর খানা আছে বলার পর বসতে রাজি হলো। বলে-" ইয়ে বহুত আচ্ছা কালচার হে তোমারা দেশমে। বিবাহ কি খাতনা, হার প্রোগ্রামকি বাদ খানা লাগাতিহু। ইয়ে বহুত আচ্ছা। হামারি মুল্লুক মে তো হার প্রোগ্রামমে ব্য়াস স্রেফ বোমাই লাগাতা হ্য়ায় লোকোমে।"
.
খাওয়ার আয়োজনের তান্দুরী চিকেন বানানো দেখতে গেলো রমিজ। পাকিস্তানী মুরগী গুলারে ক্যামনে চামড়া ছিলে পশ্চাদদেশে রড ঢুকিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঝলসানো হয় দেখালাম। বেচারা দেখে একটু ঢোক গিললো। চোখের কোনে জল কেনো জীজ্ঞেস করলে বল্লো -ইয়ে মুরগীকো হাওলাত দেখকার মুজে হামারি প্লেয়ারকা দশা ইয়াদ আগেয়া। হার ম্য়াচ পার ইয়ে মুরগীকা হালইতো হুয়া হামারি পাকিস্তানী খিলাড়ীকো। হামারা মুরগী, হামারা ক্রীকেটার, হামারা আর্মী জওয়ান সবকো একই হাল হুয়া ইয়ে পার...সবকোবি চিকেনই বন না পরেগা ইয়ে বাঙ্গালকো সামনে পার..."
.
বেচারার চোখের পানি মুচতে টিস্য়ুটা দিতেই আবার আঁতকে উঠলো-..‘আই ডোন্ট লাইক এনি থিং হোয়াইট। ই নো, ইয়ে সাদে রঙ মুজছে স্যুট নেহি করা।’
.
তবে রমিজ খেলো আরাম করে। শুধু, টেবিলে হট আইটেম হিসাবে মোষের দুধ দিলে হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠলো। -‘‘ইয়ে ইৎনে সাদা ক্যাসে হুয়া। ম্যা সাদা লাইক নেহি করতা। ই নো..আই ডোন্ট লাইক এনি থিং হোয়াইট।’ মর জালা!!
.
খাওয়ার পর পানসুপুরির স্পেশাল পান খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। সে চুন দেখে আঁতকে উঠলো। বলে -"ইয়ে সাদে সাদে চুন হাম নেহি খায়েগা। আই হেইট হোয়াট। ই নো, সাদা মুজছে স্যুট নেহি করতা্।"
দোকানী জিজ্ঞেস করে বসলো- স্যার আপনি পানের সাথে সাদা খান? স্পেশালটা আছে।’
আঁৎকে উঠলো রাজা। -‘বলিলাম তো হাম সাদা কিছু ই খাইনা।
দোকানদার তামাক পাতা সামনে ধরে বললো -"চেঁতেন ক্যান, এইটা স্পেশাল..”
রমিজ অবাক হয়ে বলে-‘ আরে ইয়েতো কালে হে, তুম সাদা কিঁউ বলরাহা হু!! হোয়াইট ওয়াশ করনেকা বাদ তুম বাঙ্গাল লোক ইৎনাই খুশ হুয়া, কি কালেকে ভি সাদা বলনা লাগা..আজিব হে। ইয়ে তো বহুত আচ্ছা তাম্বুক হ্য়ায়। লাগাও দো পাতা।’
.
স্পেশাল তামাক খেয়ে বেচারা দুদিন ফিট থাকলো। দূনিয়া নাকি তার কাছে একবার সাদা আর এক বার কালো মনে হচ্ছিলো তখন। বললো-মুজে সুনাথা বাঙ্গাল মুল্লুক সবুজ , গ্রীন হ্য়ায়। আব ইয়ে ইতনা সাদা, মতলব হোয়াইট ক্য়াসে বন গায়া।"
বল্লাম-"আমরা এখনো সবুজই আছি। তোমাদেরকে একটু চুনকাম মানে হোয়ইট ওয়াশ করা হলোতো মাত্র, তাই সব সাদা দেখতেছ।..."
-"বাট, আই হেইট হোয়াট। ই নো, সাদা মুজছে স্যুট নেহি করতা্।"
বললাম-"দীলটা একটু সাদা কর। তখন চোখে আর সাদা দেখবানা...."
.
কি বুজে যেন বেচারা মাথা নাড়াইতে নাড়াইতে বিদায় নিলো। তখনো তার বিড়বিড়ানি শুনা যাচ্ছিলো...
"আই ডোন্ট লাইক এনি থিং হোয়াইট। ই নো, ইয়ে সাদে রঙ মুজছে স্যুট নেহি করা।"
০৪২৩২০১৫

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

ভানু ভাস্কর বলেছেন: দারুন লেখা! এই রকম স্যাটায়ার রম্য লিখে যান ভাই।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

ভানু ভাস্কর বলেছেন: হাইটোফোবিয়াটা অ্যাক্রোফোবিয়া হবে না?

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্য়বাদ ভাই। চেষ্টা করবো লিখে যাওয়ার..@ভানু ভাস্কর

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪০

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হুম্ acrophobia ই..
হোয়াইটের সাথে হাইটের একটু সখ্য় আছে মনে হলো, তাই .... B-) @ভানু ভাস্কর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.