নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
নিত্য দিনের মতই একই রুমে দুজনে ঘুমাতে গেলেন।
.
রাত প্রায় দুটার দিকে কিসের যেন মচমচ শব্দে আপনার ঘুমটা হালকা হয়ে গেলো। আপনি ডানদিকে কাত হয়ে শুয়ে আছেন আর শব্দটা আসছে পেছন থেকে আরো স্পষ্ট হয়ে। ঠিক যেন কেউ বেশ মজা করে চিকেন ফ্রাই খাচ্ছে।
.
কাত থেকে একটু সোজা হলেন আর তখনই গন্ধটাও পেলেন। চিকেন ফ্রাইরই গন্ধ এটা। ঘুমটা পুরপুরি চলে গেলো। অবাক হয়ে ভাবছেন সঙ্গীটা একটু খাদক টাইপের ঠিকাছে। কিন্তু তাই বলে এত্ত্ব রাতে সে চীকেন-ফ্রাই কই পাইলো! আর অন্ধকারে বিছানায় শুয়ে শুয়েইবা খাচ্ছে কেন! রাগ হলো আপনার।
.
মাথাটা হালকা বামে ঘুরিয়ে ব্য়াপারটা দেখতে চাইলেন, আর দেখেই জমে গেলেন।
.
পর্দার ফাঁক গলে আসা আবছা চাঁদের আলোয় স্পষ্টই দেখছেন আপনার পাশের জন ডান হাতে যত্ন করে ধরে চিবিয়ে চিবিয়ে তার বাম হাতটা খাচ্ছে বেশ মজা করে.....। এরই মধ্য়ে প্রায় তার কব্জী পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। কুড়মুড় করে হাঁড় চিবাচ্ছে মূলত যার শব্দে আপনার ঘুমটা ভেঙ্গেছে। তার সারা মুখ নিজের রক্তে লেপ্টে মাখামাখি।
তখনই আপনার সাথে তার নিত্য় পরিচিত চোখের চোখাচোখি হলো। মনে হলো বিব্রত হচ্ছে সে। তবে, তার দুই ঠোঁট বিস্তৃত হলো এক ভয়ঙ্কর হাঁসিতে যা আপনার অপিরিচিত। আর সহ্য় করতে না পেরে দুচোখে অন্ধকার দেখে ঢলে পরলেন আপনি।
.
জ্ঞান ফিরে নিজেকে হসপিটালের কেবিনে পরিচিতজনে ঘেরা বেডে আবিষ্কার করলেন। মনে মনে বিরক্ত হলেন আজেবাজে মুভী মাথায় ঢুকিয়ে আলতু ফালতু স্বপ্ন দেখে হাস্য়কর রকম ভয় পাওয়ার জনে্য।
.
একে একে সবাই বিদায় নিলে ক্লান্ত মাথাটা বালিশে এলিয়ে দুহাতে চাদরটা টানতে গিয়ে দেখলেন বাম হাতটায় প্রচন্ড ব্য়াথা। ঝটকা মেরে চাদরটা সরিয়েই দেখলেন সেই হাতে ব্য়ান্ডেজ, তার উপর ছোপ ছোপ রক্ত। তখনই ভয়ে জমে যাওয়া মুখ তুলে দেখলেন আপনার ঘুমানোর সেই সঙ্গী আপনার নাক বরাবর সামনে দুহাতে আপনার বেড ধরে দাঁড়িয়ে আছে। তার অতি পরিচিত চোখ দুটি ভরা সহানুভুতিতে। কিন্তু ঠোঁট জুড়ে আছে সেই অপরিচিত অপার্থিব ভয়ঙ্কর হাসিটা....।
.
তো আপনি আজ কার সাথে ঘুমাচ্ছেন?
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পটা খারাপ নয়। ভালোই লেগেছে তবে বানান ভুলগুলো এড়াতে পারলে আর লেখাটি আরো গুছিয়ে লিখতে পারলে খুব চমৎকার একটা গল্প হতে পারত।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
আহলান বলেছেন: কে কার হাত খাইলো ?
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
নীল ডাইনী বলেছেন: কে কার হাত খেল বুঝি নাই
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: আপনার সঙ্গী মূলত আপনার হাত খেয়ে ফেলেছেন। কিন্তু রাতে আপনার মনে হয়েছিলো সে তার নিজের হাত খাচেছ।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখাটা ব্যতিক্রমধর্মী মনে হয়েছে +++
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: ভাল লাগল।