নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাসা ভাসা ভালোবাসার আধো আধো গল্প.....

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১

১. ছোট্ট মেয়েটা স্কুলের রাস্তায় ময়লা বস্তা জড়িয়ে পরে থাকা লোকটার হাতে নিজের আইস্ক্রীমটা ধরিয়ে দিলো। মা বকে উঠলো- "এই এ্য়াডিক্টেডদের কাছে যাবেনা,বলেছি না!"
"- মা, ও এ্য়াডিক্টেড কেন?" মেয়ের প্রশ্নে চকিত লোকটার সাথে চোখাচোখি হয়ে যায়। নেশা আর ধূলো চেহারা অপিরিচিত করলেও হাজার বছরের পরিচিত সেই চাহনি যেন এখনো কাঁপিয়ে দিচ্ছে!!
.
২. বিয়ের পর থেকেই খাবারে চুল পড়া নিয়ে দীঘল চুলের বৌয়ের সাথে খিট খিট করা লোকটা ইদানিং চুল ছাড়া খেতেই পারছে না। চার নাম্বার কেমোতে বৌ'টা পুর ন্য়াড়া হয়ে যাওয়ায় প্লেটে এখন আর চুল পড়ে না। তাই ঝড়ে যাওয়া চুলগুলোই লোকটা যত্নে কুড়িয়ে রেখেছে। সামনের দীর্ঘ জীবন একা একা খাওয়ার একাকিত্ত্ব কাটাতে একটা করে চুল প্লেটে রাখবে বলে।।।"
.
৩. মেয়েটা প্রায়ই বলে বাইকের পেছনে দুহাত মেলে সে উড়তে চায়। তাই বাইক শেখার ধকলে দু মাস পঙ্গু হসপিটালে কাটায় ছেলেটা। আর জানালা দিয়ে তার পাড়াতো ভাইয়ের বাইকে মেয়েটার ওড়াউড়ি দেখে।।।
.
৪. বিয়ের পর থেকেই দুজনে এক প্লেটে খেতো। এখন বুড়োবুড়ী দুই প্লেটে খায়। এক প্লেটের ভালোবাসায় জন্মানো দু সন্তান তাদের দায়িত্ত্ব দু'ভাগ করে নিয়েছে বলে...!!
.
৫. মেয়েটাকে হারানোর ভয়ে ছেলেটা এতই ভীত ছিলো যে শেষমেষ তাকে ভীত কাপুরুষ বলে মেয়েটা সত্য়ি সত্য়ি হারিয়েই গেলো!!!
.
৬. গত ক'বছরের মত এই বছরও তারা ঠিক করলো এবার না, আগামী বছরের ভালোবাসা দিবসে এক সাথে ঘুরে বেড়াবে। তাই গার্মেন্ট ফ্য়াক্টোরীটার সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে তারা দু শ্রমীক আজকের ভালোবাসা দিবসেও ওভার-টাইম করার সীদ্ধান্ত নিলো!
.
৭. অনেক দিন পর আয়নায় পাকা চুল দেখে চমকে উঠলো মেয়েটা। তাদের এক সাথে বুড়ো হওয়ার কথা থাকলেও আজ অনেক বছর কেউ কাউকে দেখেনা। তবু বুড়ো হওয়া ঠেকেনি!! সময় সত্য়িই কিছুর তোয়াক্কা করেনা।
.
৮. মেয়েটা অবিরত ফোনে কথা বলে যাচ্ছে। তার মা বেড থেকে দূরে ডাক্তারের পাশে দাঁড়িয়ে চোখ ভরা পানি নিয়ে দেখছেন গত পাঁচ বছরের পরিচিত দৃশ্য়। মেয়েটা ফোনে কখনো হাঁসছে, কখনো কাঁদছে, কখনোবা রাগ দেখাচ্ছে। মাঝে মাঝে লাজুক মুখে আদর দিচ্ছে ওপাশের ছেলেটাকে যে ফোনে হেডফোন লাগিয়ে মেয়েটার সাথে কথা বলতে বলতে ট্রেনে কাটা পড়েছিলো ঠিক পাঁচ বছর আগের এক ভোরে।
.
৯. কবি গুনের মত ছেলেটাও বাইরে থেকে দরজা খুলতে খুলতে ক্লান্ত ছিলো। তাই বিয়ে করে নিলো ভেতর থেকে কেউ দরজা খুলে দিবে বলে।। কিন্তু কর্পোরেট বউ অফিস ফিরে তারও অনেক পরে। তাই দরজাটা এখনো সে বাইরে থেকেই খোলে।
.
১০. একই সৃষ্টিকর্তাকে দু জন দুই নামে ডাকে বলে যার যার সমাজ তাদেরকে এক হতে দিলো না।
.
০২১৩২০১৬

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২১

বিজন রয় বলেছেন: ব্যতিক্রমী লেখা।
+++++

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫২

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: B-)

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ভাসা ভাসা গল্পগুলি ভাল লাগল। ৩, ৪, ৫ বেশি ভাল লেগেছে। :)

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ৩, ৪, ১০ দারুণ। ফ্ল্যাশ ফিকশন তথা চকিত-গপ্প বেশ হয়েছে।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০০

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্য়বাদ।
"চকিত-গপ্প" এই নামটাতো দারুন শুনাচ্ছে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.