নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারবনিতা বৃত্তান্ত-১

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০১

সতর্কতা: রাস্তার এবং ঘ‌রে থাকা ভদ্রবে‌শের প‌তিতা‌দের নি‌য়ে শুনা, দেখা বা নিজের কিছু প্রচন্ড ব‌্যক্তিগত অভিজ্ঞতা যথা সম্ভব হুবুহু উগরে দিব এই সি‌রি‌জে। সব বাস্তব চরীত্রের ছদ্ম নাম দি‌য়ে‌ছি। বর্ণনায় এডাল্ট ‌কনটেন্ট থাক‌তে পা‌রে।

১.
প্রথম দর্শন।
.
ঢাকার ফার্মগেটের ব্যাস্ত মোড়ে খুব ব্যাস্ত ভঙ্গিমায় কিছু পর্দানশীল বোরখা পরা মহিলা ঘুরে বেড়ায়। নিয়মিত যাতায়াতকারিরা একটু খেয়াল করলেই দেখে যে এই মহা ব্যাস্ত মহিলারা মূলত কোথাও যায় না। এদিক ওদিক ন‌ড়ে একই জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। সারাক্ষন মোবাইলে কথা বলে। বিশ একুশ বছর বয়েসি দুটা ছেলেকে একবার দেখলাম এরকমই এক মহিলার কাছ থেকে অভয় নিচ্ছে- ”আপনারা এইখানেই একটু দাঁড়ান, আমি দেখতেছি, ম্যানেজ করতেছি”। এরা কিযে ম্যানেজ করে তা প্রথম আলোর রিপোর্ট থেকে জানা যায়। সুযোগ পেলে হোটেল রুমে নিয়ে নাকি এসব ছেলে পেলের মোবাইল মানি ব্যাগ থেকে শুরু করে কাপড় চোপড় পর্যন্ত ছিনতাই করে। এদেরই একটা অংশ সেজেগুজে দাঁড়িয়ে থাকে সংসদ ভবনের সামনে সন্ধার পর থেকে। রিক্সা বা হুন্ডা করে তাদের নিয়ে যায় সাময়িক বয়ফ্রেন্ডরা।
.
জীবনে প্রথম আমি এই আদিম বিন্তু বিচিত্র পেশাজিবিদের একজনকে দেখি ২০০৩-০৪ সালে। ফার্মগেটের ফুটওভার ব্রিজের নিচে একটা রেষ্টুরেন্টে হালকা কিছু খেতে ঢুকেছিলাম এক বন্ধু সহ। সেখানে একটা টেবিলে দেখি উতকট রঙচঙা সাজের একটা মেয়ে বসে আছে। রা‌তের বেলায়ও চো‌খে কা‌লো চশমা। দোকানের কর্মচারীগুলা তাকে খাবার সার্ভ করতে রাজি না দেখে সে সমানে গালি-গালাজ করতেছে সবাইকে। ভয়ঙ্কর সব গালি। নিজে মেয়ে হয়েও সে তাদের মাকে কি কি করতে পারে সে সংক্রান্ত গালি।
.
বিভিন্ন নাটক সিনেমা, গল্প উপন্যাসে এই পেশাজীবিরা বেশ ইমোশানাল কেন্দ্রিয় চরিত্র হিসাবে থাকে। তাই ক‌লেজে পড়ার ঐ ব‌য়ে‌সে, প্রথমবারের মত এদের একজনকে দেখে বেশ একটা গুপ্ত আগ্রহ নিয়ে খেয়াল করতে থাকলাম। গল্প উপন্যাসের ভাষায় ’সমাজের শিকার’ মেয়েটাকে। দোকান মালিকের কথায় কর্মচারীগুলা শেষ-মেশ খাবার দিলো তাকে। তবে বিল দেয়ার সময় মালিক ভদ্রলোক মেয়েটাকে আবারও বললো-’ দেখ তুমি আর কখনো এই ভাবে দোকানে এসো না’। সমস‌্যা হয়।" মেয়েটা মালিকের নম্র কথায় আরো ক্ষেপে গিয়ে তার স্টকের বাকি গালিগুলা উগরে দিতে দিতে চলে গেলো। গল্প উপন্যাস বা সিনেমার সেই “স্মার্ট, আদর্শবান কিন্তু সমাজের শিকার” কোন নারীর ছায়া মেয়েটার মধ্যে ছিলোনা। বরং দোকানে উপস্থিত সব মানুষকেই মনে হলো তারই নোংরা আচরনের শিকার।
.
জন্মের পর থেকেই কখনোই হয়তো সে কোন সভ্য আচরন শিক্ষার সুযোগ পায়নি। তাই তারা ”ট্যাবু”।
.
#Afnan_Abdulla
09302013

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.