নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারবনিতা বৃত্তান্ত-৩

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১২

সতর্কতা: রাস্তার এবং ঘ‌রে থাকা ভদ্রবে‌শের প‌তিতা‌দের নি‌য়ে শুনা, দেখা বা নিজের কিছু প্রচন্ড ব‌্যক্তিগত অভিজ্ঞতা যথা সম্ভব হুবুহু উগরে দিব এই সি‌রি‌জে। সব বাস্তব চরীত্রের ছদ্ম নাম দি‌য়ে‌ছি। বর্ণনায় এডাল্ট ‌কনটেন্ট থাক‌তে পা‌রে।

৩.
ইন্টারভিউ
.
আমার এক মে‌য়ে বন্ধু একটা টিভিচ‌্যা‌নে‌লে সাংবাদিকতার ট্রেনিঙ নিয়‌েছিলো। কোর্স শেষে তাদের সবাইকে গ্রুপ করে নিজেরদের একটা পূর্ণাঙ্গ মৌলিক রিপোর্ট করার এ্যসাইনমেন্ট দেয়। বন্ধুর টিম রিপোর্ট করে ঢাকা শহরের কলগার্লদের নিয়ে। দলে মেয়ে সদস্য থাকায় ব্যাপারটা তাদের জন্যে একটু সহজ হয়। তবু অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় সত্যিকারের কলগার্ল পর্যন্ত তাদের পৌঁছাতে।
.
যে দলটার সাক্ষাৎকার নেয় তারা সেখানে পাঁচ জন মে‌য়ে ছিলো। সক্ষাৎকারটা নেয়া হয় ঢাকার একটা বিখ্যাত মহিলা কলেজের হোষ্টেলে। এই পাঁচ জনের তিন জনেই ঢাকার ঐ বিখ্যাত কলেজেটারই ছাত্রী, এক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আরেক জন হাউজ ওয়াইফ, তার জামাইটা থাকে বিদেশ। এই শ্রেনীর মেয়ে গুলা কলেজ-ভার্সিটির হোষ্টেলে, শহরের বিভিন্ন কর্মজীবি নারী ও ছাত্রী হোষ্টেলে থাকে। আবার ঐ হাউজ ওয়াইফের মত স্বাভাবিক ঘর সঙসারও করছে কেউ। প্রায় সবাই’ই নিজের জগতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। তার সব চেয়ে কাছের বান্ধবীটিও হয়তো জানছে না যে সে একজন কলগার্ল বা এসকর্ট।
.
এই শ্রেনীর এসকর্টরা গড়পড়তায় সব কাষ্টমারের নাগালেন মধ্যে থাকেনা। ধরা বাঁধা একজন বা দুজন ক্লায়েন্ট নিয়েই তাদের এই জগতে বিচরন। পড়াশোনা শেষ করে বা নির্দিষ্ট একটা সময়ের পরে গিয়ে এরা আবার বিয়ে সাদি করে একে বারে স্বাভাবিক জীবন যাপন করে।
.
সরাসরি এদের কাছে কেউই কখনোই পৌঁছাতে পারেনা। আগের পরিচিত এক জন ক্লায়েন্টের মাধ্যমেই তারা নতুন ক্লায়েন্ট নেয়। সবাই কোন না কোন এজন্টের আন্ডারে কাজ করে। আর এই জগতে নতুন মেয়েরাও আসে আগে থেকে এই পথে আছে এমন কারো হাত ধরেই। হোষ্টেলে উঠা নতুন মেয়েদের দিকে, বিশেষ করে ঢাকার বাইরের মফস্বল বা গ্রাম থেকে আসা মেয়েদের নজরে রাখে অগ্রজরা। পরে সুযোগ বুজে অফার দেয়। এই পথে যারা আসে সবাই’ই অভাবের তাড়ানায় আসেনা। টাকা আর মজা সাথে ভিন্ন রকম জীবনের স্বাদ তাদের এই পথে টানে বেশি।
.
তবে নবিন সাঙবাদিকের দল কোন ভাবেই ঐ পাঁচ তরুণীন কাছ থেকে তাদের আয় রোজগার নিয়ে কিছু জানতে পারলো না। তারা সাফ্ জানালো এটা বলা যাবেনা। বললো-” তা যদি বলি তো আপনারা ভাববেন মাত্র সামান্য এই কটা টাকার জন্যে এরা এই পথে নামলো, ছি:। তাই বলবোনা”।
.
এরাও পেটের দায়ে রাস্তায় দাঁড়ানো, স্বস্তা প্রসাধনে অপুষ্ট চেহারা ঢাকার চেষ্টারত, মেয়েটার মতই একই পথের পথিক হলেও কিন্তু “ট্যাবু” (Taboo) বা সমাজ চূত্য নয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ দারুন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.