|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আফনান আব্দুল্লাহ্
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট এশিয়া জয়ের পর এখানকার মানুষদের মন জয়ের চেষ্টা করেন। জামা কাপড়, রিতিনীতি মানার সাথে সাথে এক পর্যায়ে বিয়ে করে বসেন এশিয়ান মেয়ে রুক্সানাকে। মেসিডোনিয়ান রাজনৈতিক নেতা আর আর্মি কমান্ডাররা বেঁকে বসেন। তারা আলেকজান্ডারকে পরামর্শ দেন রুক্সানাকে স্রেফ কনকিউবিন হিসেবে রাখতে। তাদের দাবী সম্রাট এর রানীর এর মর্যাদা কোন মেসিডোনিয়ান মেয়েকেই দিতে হবে। সম্রাজ্যের উত্তরাধিকারি আবশ্যই ইউরোপিয়ান গর্ভেই জন্ম নিবে। আলেকজান্ডার তাদের বুঝান যে এশিয়া শাষন করতে হলে তাদের শুধু যুদ্ধ জয় দিয়ে হবে না। স্থানীয়দের আস্থা আর্জন করতে হবে। মিশে যেতে হবে তাদের সাথে। এশিয়ান মেয়ে যদি রানী হয় ব্যপারটা খুব সহজ আর দ্রুত হবে। ব্যাবিলন আর ব্যকট্রিয়াতে চলা গেরিলা যুদ্ধ গুলো এতে থামবে। না হয় এখানে যুগের পর যুগ যুদ্ধ চলতে থাকবে। আলেকজান্ডার তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এই রুক্সানা আলেকজান্ডারের উত্তরাধিকারী এক পুত্র সন্তানের জন্মদেন।
.
এর হাজার বছর পরে আলেক জান্ডারের প্রিয় শহর আলেক জান্দ্রিয়ার শাষক ছিলেন আল মুকাওকি। খ্রিষ্টান এই শাষক ইসলামের নবী মোহম্মদ (স
এর কাছে বন্ধুত্ত করার প্রস্তাবের সাথে উপহার হিসেবে পাঠান মারিয়া বিনতে শাম নামের খ্রিষ্টান দাসীকে। নবী মোহাম্মদ মারিয়া বিনতে শামকে মুক্তি দিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দেন। মরিয়াম ইব্রাহীম নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। (আল তাবারি, হিস্টোরী অব প্রফিট এন্ড কিং)
.
আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট এর প্রায় দু হাজার বছর পরে ভারতে তার মতই অনেকটা একই ধরনের ভূ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরেন মোঘল মুসলিম সম্রাট আকবর। তখন তিনি মরিয়ম জামানী নামের এক হীন্দু রাজপুত রাজ কণ্যাকে বিয়ে করেন আর মূল রানীর মর্যাদা দেন। মরিয়ম উজ জামানিকে নাটক সিনেমায় যোধাবাঈ নামে প্রচার করা হয়। যিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের জন্ম দেন।
.
অটোমন মুসলিম সম্রাট সুলেমান রাজনৈতিক চালে না হলেও তার রানী বানান আলেকজান্দ্রা আনাসতাসিয়াকে। যে ছিলো ইউক্রেনিয়ান অর্থোডক্স খ্রিষ্টান মেয়ে। পরবর্তিতে হুররাম নাম নেয়া আনাসতাসিয়ার পুত্র দ্বিতিয় সেলিম বসেন পরাক্রমশালী অটোমান সম্রাজ্যের সিংহাসনে।
.
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রভাবক এই প্ররাক্রমশালী পুরুষরা নিজের উত্তরাধিকারী জন্ম দিতে সঙ্গী নির্বাচনে স্বজাত খুজেননি। উনারা কি ধরে নিয়েছিলেন যার গর্ভেই জন্মহোক, বাপের পরিচয়ই মূল পরিচয়। মায়ের পরিচয় ধরলেতো আটোমান আর মোঘলদের বংশ চক্রতো মরিয়ম আর হুররাম এর হাত ধরে পরিবর্তিতই হয়ে গিয়েছিলো। আর তাই এই ঝুঁকিটাই নিতে চাইতো না প্রাচীন মিশরিয়রা। এই গল্প আরেক দিন করবো।
.
#জাতপাত
#Afnan_Abdullah
৩ টি 
+২/-০২| ০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৪
বিটপি বলেছেন: আকবর যোধাবাঈকে বিয়ে করে ভারতীয় মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করেছে। মূলত মূঘল হারেমে পূজা অর্চনা শুরু হবার মধ্য দিয়েই মুঘল সাম্রাজ্যের শক্ত ভিতে ফাটল তৈরি হয়। যোধাবাঈ তার পুত্র সেলিমের অমতে অনেকটা জোর করেই তার সাথে নিজের ভাইয়ের মেয়ে মানবাঈয়ের বিয়ে দেন, যে কিনা সেলিমের জীবন অতীষ্ট করে তুলেছিল। ফলে আকবর আরেক রাতপুত কন্যা জগতবাঈয়ের সাথে সেলিমের বিয়ে দেন, যার গর্ভে শাহজাদা খুররমের জন্ম হয়, যিনি পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট হয়েছিলেন।
কিন্তু সেলিমের জগতবাঈকেও পছন্দ ছিলনা। তিনি পরকীয়ায় লিপ্ত হল মেহেরুননিসা নামে নামে এক ইরানী সভাসদের মেয়ের সাথে এবং পরবর্তীতে তিনি বিয়েও করে ফেলেন তাকে। এই মেহেরুননিসার সাথে পরবর্তীতে শাহজাদা খুররম দ্বন্দে লিপ্ত হন এবং এক পর্যায়ে দীল্লি ত্যাগ করতে বাধ্য হন। মেহেরুননিসা বেঁচে থাকতে তিনি আর দিল্লীতে ফিরতে পারেননি। মূলত এই দ্বন্দের ফলে মুঘল সাম্রাজ্য যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তা থেকে আর বেঁচে ফিরতে পারেনি।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: তাদের কাছে জাতপাত না আসলে রাজ্য পরিচালনাই ছিল মুল লক্ষ্য ! এটা করতে গিয়ে তাদের অনেক কিছুই করতে হয়েছে । সেই হিসাবে অন্য জাতের মেয়েকে বিয়ে করাটা !