নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পয়গম্বর এর পতন হলে তার ইশ্বরেরও পতনই হবে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২

পয়গম্বর যা করে তা তার ইশ্বরের আদেশেই করে বলে সে মানুষকে জানায়।
.
আমাদের পলাতক সম্রাজ্ঞী প্রত্যেকটা মুহূর্তেই বলে গেছেন তিনি তার পিতার আদর্শই বাস্তবায়ন করতেছেন। না হলে মরার পরে বাবার কাছে মুখ দেখাতে পারবেন না। গত ১৬ বছর টানা পিতার জীবন এবং আদর্শই পড়িয়েছেন প্রি স্কুল থেকে পি এই ডি পর্যন্ত। এই আদর্শ ভরা পিতার স্টাচু গুলো পিঠে নিয়েই চুরি চামারী, পাচার, গুম, খুন, গনহত্যা করে গেছে উনার বাহিনী। পয়গম্বরের কাজ কর্ম দিয়েই মূলত তার প্রচারিত ইশ্বরের আদর্শ চেনে মানুষ।

ছবির এই মূর্তিটা সম্ভবত বিজয় স্মরণীর। বেশ সুন্দর একটা স্টাচু ছিলো ঢাকার অনেক আজে বাজে স্টাচুর তুলনায়। ঐতিহাসিক মানুষদের স্টাচু আমার বেশ পছন্দের জিনিস। এত সুন্দর স্টাচু ভাঙ্গাটা মন খারাপ করার মত।

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের মতই বৃদ্ধ। এই স্টাচু ভাঙ্গাভাঙ্গীতে মেতেছে গত ষোল বছরে নতুন করে তরুন হওয়া মানুষ গুলোই। যারা এই ইশ্বরকে চিনেছে তার পয়গম্বর সম্রাজ্ঞীর মাধ্যমেই। যিনি নিজের করা প্রত্যেকটা খুনের রক্ত নিজ হাতে নিজের বাবার মুখে মাখিয়ে গেছেন। এভাবে নিজের অপরাধের সাথে নিজের বাবাকে এমন ভাবে মিশিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভক্ত যারা আছেন তাদের জন্যে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে দুজন এর আদর্শ আর কর্মকে আলাদা করে কোন ন্যারেটিভ দেয়া। কারন তারাও কেউ এই ষোল বছর এই খুনে সম্রাজ্ঞীর নিজের পিতাকে ইশ্বরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, নিজেকে তার পয়গম্বর বানিয়ে দেয়া ন্যারেটিভ গুলোর কোন বিরোধীতা করেন নি।
আশার কথা হলো বঙ্গবন্ধুর মুর্তি কথা না বললেও ওনার ভিডিও ফুটেজ গুলো কথা বলে। যেগুলো দেখে বুঝা যায় উনি যাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন ৭১ পর্যন্ত, উনার কন্যা হুবুহু তাদেরই একজন বা তাদের থেকেও ভয়ঙ্কর।কন্যা থেকে উনাকে আলাদা করতে মুর্তির স্তুপ নয়, এই অডিও-ভিডিও ফুটেজ গুলোই কাজে দিবে।

যত টুকু বুঝি এইসব কারনেই ইসলামে পৌত্যলিকতা বা মুর্তি পূজা (শিরক্) কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। এটা সুযোগ করে করে দেয় একটা ইট কাঠের মূর্তিকে সামনে ইশ্বর বানিয়ে বসিয়ে রেখে নিজের মত আর কাজকে ঐ ইশ্বরের মত আর কাজ বলে প্রচার করার। এমন পয়গম্বর তার কাজ আর কর্মের কারনে পতন দেখলে তার বানানো ইশ্বরও পতনই দেখে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০০

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। পয়গম্বরের কাজকর্ম দিয়েই মূলত তার প্রচারিত ঈশ্বরের আদর্শ চেনে মানুষ ঠিক কথা।

এই মূর্তিটি অবশ্যই সুন্দর ছিল। কিন্তু মানুষ তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এই মূর্তি ভাঙার মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ। এই মূর্তিটি সুন্দর। আর বেশ ব্যায় বহুলও মনে হয়।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২

দি এমপেরর বলেছেন: শেখ হাসিনা জোর করে মানুষের মনে তার বাবার একটি আসন প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। বিভিন্ন স্থানে বাবার মূর্তি, ম্যুরাল, দেশের মুদ্রাতে ছবি এবং আরও বহুস্থানে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে অনেক পরিশ্রম আর অর্থ ব্যয় করেছিলেন। কিন্তু শেষে নিজেই এমন একটি কাজ করলেন, তাতে বাবার মূর্তি আর ছবি তো নিশ্চিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা তো তৈরী করলেনই, মানুষের মন থেকেও বাবার স্মৃতি মুছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে গেলেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: এমন প্রকাশ্যে নিজের মানুষদের, বাচ্চা কাচ্চাদের গন হত্যা ইতিহাসে বিরল। নৃসংশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.