নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
সেলিব্রেটি বিয়ে করে নিজে সেলিব্রেটি হওয়ার নজির প্রচুর। অন্তত নিজের ক্যারিয়ার বুস্ট করার সহজ তরিকা এটা। এদিকে সেলিব্রেটি কাপল্ হয়ে দুজনেরই কামাই রোজগারও হয় প্রচুর। ডেভিড বেকহামকে স্পাইসগার্ল ভিক্টোরিয়া বিয়ে করে Adidas, Armani, and H&M এর ব্রান্ডিং করে মাল্টি মিলিয়ন ডলার কামাই করেন। শুরু করেছিলেন ভিক্টোরিয়া বেকহাম ফ্যাশন হাউজ। আর জামাই যদি হয় রাজা বাদশা ধরনের তাহলে নিজের সেলিব্রেটি ইমেজ চলে যায় অন্য মাত্রায়। যেমন মেলানিয়া ট্রাম্প। "মেলানিয়া" নামে উনার একটা বই বের হতে হচ্ছে। এ্যামাজন প্রাইমে রিলিজ হতে যাচ্ছে তাঁকে নিয়ে করা ডকুমেন্টারি। প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ে করার পর মেগান মর্কেল Netflix, Spotify আর প্রকাশকদের সাথে করেছেন মাল্টি মিলিয়ন ডলারের চুক্তি। এমন নজির আছে আরো।
Victoria and David Beckham
বড় সেলিব্রেটিদের সাথে এমনকি বড়সড় স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারলেও মানিব্যাগ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলা যায়। গল্ফার টাইগার উড থেকে রেচেল নামের এক মহিলা বিপুল অঙ্কের টাকা নেন স্ক্যান্ডাল গোপন রাখার শর্তে। উড সাহেবের বাকি মেয়েরা তাদের গল্প বেচে দেন পত্রিকা আর ট্যাবলয়েড মালিকদের কাছে। ভালো টাকায়। মনিকা লিউইনস্কি নামের একজন হোয়াইট হাউজ ইন্টার্ন জগৎ বিখ্যাত স্ক্যান্ডাল নিয়ে আসেন খোদ প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এর নামে। পরবর্তিতে মনিকা তার এই কাহিনীর একটা লাইসেন্স করে নেন। মানে, কোন বই বা ইন্টারভিউতে তার স্ক্যান্ডাল এর কাহিনী প্রকাশ করতে গেলে তাকে টাকা দিতে হবে। তাদের স্ক্যান্ডাল প্রচার করেই ঐ সময় CNN, The Washington Post সহ মিডিয়া হাউজ গুলো বিপুল কামাই রোজগার করে।
Bill Clinton–Lewinsky (১৯৯৭)
সকল স্ক্যান্ডালেরই মূল বেনিফিশিয়ারি হয় মিডিয়া। স্ক্যান্ডালের বড় ছোট নির্ভর করে সেলিব্রেটি বড় না ছোট তার উপর। বাংলাদেশের তাহসান সাহেব দ্বিতীয় বিবাহ করার পর পর তাদের যে ব্রান্ডিং হচ্ছে তার কিছু হিস্যা কেড়ে নিতে চাইবে তাহসান সাহেবের আগের পক্ষ। ঐ আপা এখন যা-ই করবে তাই ভাইরাল হবে। এখানে সুযোগ আছে ফ্যাশন হাউজগুলোর। তাহসান সাহেবের নতুন পক্ষ প্রচুর মডেলিংয়ের সুযোগ পাবেন। চালু হতে পারে দুজনের ফ্যাশন হাউজও। এখানে ইন্টারেস্টিং হলো তাহসান সাহেবের দ্বিতীয় পক্ষের আগের পক্ষগুলোরও এই বাণিজ্যে হাত দেয়ার চেষ্টা করাটা। তার বর্তমান, সাবেক আর ভবিষ্যৎরা সেলিব্রেটি হতে পারে। কিন্তু তাদের সাবেকরাও সেলিব্রেটি হতে চাইলে তারা তো আলো একটু কমই পাবে। মানে মামাতো ভাইয়ের মামাতো ভাইতো দূরেরই আত্মীয় হয়। তাও কালের কন্ঠ চেষ্টা চালাচ্ছে যদি কিছু কুড়িয়ে পাওয়া যায় আরকি। এই আলাপে নেগেটিভলি প্রচার হচ্ছে। কিছু ভিউ, কিছু কামাই হতেও পারে।
.
#Afnan_Abdullah
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।