নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন আলোচনা করি । আর ছরিয়ে দেই ‍চিন্তা ভাবনা !!!!!!!

আশরাফ আহমেদ

হাবোগাবো একজন কলেজ স্টুডেন্ট ,এই আমার আসল পরিচয় ।

আশরাফ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেল্প পোস্ট, ক্যারিয়ার গাইডলাইন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

অাস-সালামুআলাইকুম ।



আমি গত বছর একটি সরকারি পলিটেকনিক থেকে
ডিপ্লোমা ইন সিভিল টেকনোলজি থেকে পাশ করেছি,আমার ইচ্ছা কমপক্ষে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়া।
এখন আমি চিন্তিত যে কিভাবে কি করব।

আমি কি ডুয়েট(গাজীপুরে) সেখানে বিএস সি তো ভর্তি প্রস্তুতি নেব ভর্তি পরীক্ষা নভেম্বরে ,নাকি চাকরি(কারণ গ্রামের নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমি) খুজে বেসরকারি তে ইভিনিং এ ভর্তি হব, হয়ত একটু কস্ট কর হবে,
‎ নাকি পরিবারকে বলে টাকা পয়সা ম্যানেজ করতে পারলে 'চায়না' তে বিএসসির জন্য চেস্টা করব (যতদুর শুনেছি, আমাদের ডে সিফট বেসরকারি থেকে চায়নাতে নাকি খরচ কম)।

‎ আবার ঝামেলা হলো চায়নার শিক্ষার মান নাকি ততো ভালো না(আমাদের এখানে তেমন গ্রহণ যোগ্যতা নাই, পড়া শেষে যদি চাকরি না পাই)।
‎ আমার পরিচিত কয়েক জন চায়নাতে পড়ছে ওদের ভার্সিটির ওয়াল্ড র্যাংক ও অনেক ভালো।

আসলে আমাকে গাইড দেওয়ার তেমন কেউ নাই তো ,তাই বাধ্য হয়ে আপনাকে লিখলাম।
যদি একটু গাইড করেন তাহলে আমি অনেক উপকৃত হতাম।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: দেশেই থাকুন। চাকরির উদ্দেশ্যে না পড়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করুন।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

আশরাফ আহমেদ বলেছেন: এই তো করব টা কি,
ডুয়েটে পরীক্ষা দিব নাকি প্রাইভেট জবের জন্য চেস্টা করব

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১১

রাজীব নুর বলেছেন: নিজেকে নিজে গাইড করাটাই সবচেয়ে ভালো।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: আপনি যেমন খরচ করে বেসরকারি কিংবা চায়নায় পড়বেন, তার রিটার্ন কিন্তু সেভাবে পাবেন না। আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভালো হয় ডুয়েটে পড়লে। আপনি বলছেন আপনি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে, সেক্ষেত্রে আপনি ডুয়েটে না পড়ে চাকরির চেষ্টা করতে পারেন, পাশাপাশি ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স থেকে কিছু একটা কোর্স আছে, যেটা করলে ডিগ্রী সমমানের হয়, সেটা করতে পারেন। চেষ্টা করতে পারেন সরকারি চাকরি- গণপূর্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ড ইত্যাদিতে উপসহকারী প্রকৌশলী পদের জন্য। শুভকামনা রইল।

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

আশরাফ আহমেদ বলেছেন: IEB এর যে কোর্স আছে সেখানে কোন ক্লাস হয় না,
আর সরকারি চাকরির প্রতি আমার তেমন ঝোক নাই.

ডুয়েটে দিলে যদি না হয়, তখন করব টা কি
ননান ভাবনা চিন্তা মাথায় ঘুরঘুর করে, কোন টা ছেড়ে কোনটা ধরব সেটাই বুঝতে পারছ না, তাই ব্লগে লিখা।

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৬

আশরাফ আহমেদ বলেছেন: জ্বী,তা অবশ্যই সবচেয়ে উত্তম, নানা বিধ চিন্তা মাথায় ঘুরঘুর করে
তাই বুঝে উঠতে পারছি না কোন সিদ্ধান্ত টা নিব।

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: ডিপ্লোমা ইন সিভিল টেকনোলজি থেকে পাশ করেছি,আমার ইচ্ছা কমপক্ষে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়া... --- তারমানে ধরে নিলাম আপনার উচ্চশিক্ষা নেওয়ার বেশ ভালো রকম ইচ্ছে রয়েছে।
পরিবারকে বলে টাকা পয়সা ম্যানেজ করতে পারলে --- এর অর্থ হচ্ছে কষ্ট করে হলেও পরিবারের সামর্থ রয়েছে আপনার পড়াশুনার টাকা ম্যানেজ করার।

তাহলে আমার পরামর্শ হচ্ছে ঝাঁপিয়ে পড়ুন জ্ঞান সমুদ্র পাড়ি দিতে, মানে ডুয়েটে পড়ার সুযোগ নিতে। কারণ:

১। যেহেতু গত বছর ডিপ্লোমা শেষ করেছেন, মানে আপনার এখনও বয়স যথেষ্ট কম। বয়স ও অন্য দিকগুলো অনুকূলে থাকলে কেন আপনি সে সুযোগ হাতছাড়া করবেন?

২। সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিএসসি ডিগ্রিটা নিশ্চয় আপনার আত্নবিশ্বাসে বিশাল সঞ্জীবনীর কাজ করবে।

৩। নভেম্বরে ডুয়েটে পরীক্ষা হলে আপনার হাতে এখন অনেক সময়। শুধু পরিকল্পনা মতো কাজে লাগালে কোনো কিছুই অসম্ভব নয় (চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ভীতি সবারই থাকে, ভয়কে জয় করাই সত্যিকারের প্রতিযোগীর কর্তব্য)।

৪। চায়না গিয়ে বৃত্তি ছাড়া বিএসসি করার চেয়ে ডুয়েটে বা টপ ক্লাস প্রাইভেট ইউনিতে বিএসসি করা আমি বেটার মনে করি। যদিও চায়নার পড়াশুনার মান আমাদের চেয়ে অনেকগুন ভালো হবে তারপরও। এখানে পড়লে আপনি আপনার বিষয়ভিত্তিক প্রফেশনালদের সাথে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবেন যা পরে প্রাইভেট চাকরীক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে (আপনি বলছেন আপনার সরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে আলাদা কোনো ফ্যাসিনেশন নেই, সেটা বিবেচনা করে)।

৫। সত্যিকার উচ্চাকাঙ্খা থাকলে দীর্ঘমেয়াদী প্লান হিসেবে আগে থেকেই মাথায় রাখতে হবে যে বুয়েটে মাস্টার্স করা (যতদূর জানি এখন বুয়েটে বিভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্স করানো হয়)। তবে ফোকাসটা এখন ডুয়েটের দিকে এবং সে অনুসারে নিজেকে তৈরি করা।

৬। যদিও আপনি উল্লেখ করেন নি আপনি ছাত্র হিসেবে কেমন, মানে সিজিপিএ, পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ ইত্যাদি। ডুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার জন্য অবশ্যই টেনাসিটি ও ডিটারমিনেইশন এবং সাথে অবশ্যই অবশ্যই উইলপাওয়ার থাকতে হবে। তাহলেই দেখবেন এটা ততটা কঠিন কিছু না। ভর্তি পরিক্ষায় নিশ্চয় আপনার সাবজেক্ট ভিত্তিক কিছু থাকে। সেখানে জোর দিবেন। বেসিক ম্যাথ থাকলে প্রতিদিন বসে বসে সেকেন্ডারি ম্যাথ করতে থাকুন। ইউটিউবে ম্যাথ প্রবলেমের সলিউশনগুলো দেখুন। ইংরেজির জন্য অক্সফোর্ড কিংবা ক্যামব্রিজের গ্রামার বইয়ের প্রতিটা চ্যাপ্টারের অনুশীলনীগুলো শেষ করুন। টাইম বাউন্ডেড এই কাজগুলো করুন সামনের কয়েকমাস। অবশ্যই নিয়মিত। আশা করি সুফল ঘরে তুলতে পারবেন।

মাথায় শুধু এতটুকু রাখুন যে ''আমাকে ভর্তি পরীক্ষায় সফল হতেই হবে''। এনাফ টাইম আপনার হাতে...ঝাঁপিয়ে পড়ুন নিজেকে আবিষ্কারের জন্য....অবশ্যই সম্ভব। চিয়ার্স ম্যান।




৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

আশরাফ আহমেদ বলেছেন: আসলে আপনি কে আমি জানি না,আর এরকম কিছু একটা উপদেশ / যাই বলুন না কেন আমি চাচ্ছিলাম।
আমার বয়স ২২।
বাব হাজার ছয়েক( এটা ধ্রুব সত্য) টাকা বেতনের চাকরি করেন,আমি ডিপ্লোমা শেষ করেছি বলতে পারেন অন্য জনের সহায়তায়।
উনি আর আমাকে আর্থিক সহায়তা করবেন না তবে আমি উনার কাছে চির কৃতজ্ঞ।
আমি পাশ করা শেষে কিছুদিন কোচিং করার পর হঠাৎ শুনি ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা যা গত নভেম্বরে হয়েছিল। কলেজ থেকে পাওয়া কিছু টাকা দিয়ে কোচিং ফি,আর পরিবারা থেকে নিয়ে ম্যাস + অন্যান্ন খরচ বহন করি( তিন মাস)
কম সময় পাওয়ায় সিলেবাস ছোট করে নিয়েছিলাম, আর কপাল এতই খারাপ একটা ম্যাথ খালি কমন পরছ চারটা থেক,তরে ফিজিক্স ভাল হয়েছিল আর রসায়ন মোটামুটি।

গত তিন মাস ধরে নানান চিন্তা ভাবনা মাথায় আসছে যে কি করব?
তবে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে আমাকে লেখাপড়া করতে হবেই যদিও আমার বাবার ও তেমন টাকা নাই, সে ও মন থেক চায় যে লেখাপড়ার টা চালিয়ে যাই।


৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯

আশরাফ আহমেদ বলেছেন: আর আমি ছাত্র মধ্য টাইপের একেবারে ভালো ও না আর..
তরে আমি পারি যদি চাই।
আমার Ssc ৫.০০
আর ডিপ্লোমা ৩.১৯ out of ৪.০০ আরো ভাল হত যদি ঐ সময় লেখাপড়া করতাম (অন্য প্রসঙ্গ)।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

আশরাফ আহমেদ বলেছেন: চায়নার ব্যাপার টা যদি পরিবারকে চাপ দেই তবে হবে, তখন তাদের নুন আনকে পান্তা ফুরাবে( সত্যি)

আর আপনি যে বললেন (
৪। চায়না গিয়ে বৃত্তি ছাড়া বিএসসি করার চেয়ে ডুয়েটে বা টপ ক্লাস প্রাইভেট ইউনিতে বিএসসি করা আমি বেটার মনে করি। যদিও চায়নার পড়াশুনার মান আমাদের চেয়ে অনেকগুন ভালো হবে তারপরও। এখানে পড়লে আপনি আপনার বিষয়ভিত্তিক প্রফেশনালদের সাথে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবেন যা পরে প্রাইভেট চাকরীক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে (আপনি বলছেন আপনার সরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে আলাদা কোনো ফ্যাসিনেশন নেই, সেটা বিবেচনা করে)।

সেটা আমি ও মনে করি, কারণ ওখান থেকে পড়ে আসার পর যদি চাকরি না পাই?
আর আমার কাছের যারা চায়না গেছে ওরা বলতাছে লেখাপড়ার মান অনেক ভাল, আর টাকা ( সেমিস্টার ফি)
বছরে ৯০,০০০ এর মত প্রতি বছর দিতে হয় আমাদের মত ৪/৬ মাস পরপর না।
আর মাসিক থাকা খাওয়ার খরচ ৬৫০০/ ৭০০০.

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

আশরাফ আহমেদ বলেছেন: আবার ভাবি নাকি প্রাইভেট চাকরি করে ইভিনিং এ ভর্তি হব?


একবারে লিখলে পোস্ট হয় না তাই ভেঙ্গে লিখেছি কিছু মনে করবেন না।

১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

করুণাধারা বলেছেন: আশরাফ আহমেদ, আমি যেটুকু বুঝি তা আপনার সাথে শেয়ার করছি।

প্রথমেই বলি, চায়না তে পড়ার প্রসঙ্গে আপনি বলছেন, আপনি যদি পরিবার থেকে টাকা নিয়ে পড়তে যান, তাহলে অন্যদের নুন আনতে পান্তা ফুরাবে। তাই এটা খুবই একটা স্বার্থপর কাজ হবে। সবচেয়ে বড় কথা, কোন গ্যারান্টি নেই যে চায়না থেকে ফিরলেই আপনি অনেক ভালো বেতনের চাকরি পেয়ে যাবেন। এমন কাউকে কি দেখেছেন? আমি দেখিনি, এই ফিল্ডে আমার জানাশোনা আছে, তাই একথা বলতে পারছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কেও একই কথা, যেটা আমি আগেও বলেছি- অনেক টাকা খরচ করে পড়ে আপনি রিটার্ন কতটুকু পাবেন সেটা আগে ভেবে দেখবেন। চাকরির বাজার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আছে প্রধানত রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে। এরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার রাখে, তাদের কাজ হচ্ছে কোয়ান্টিটি সার্ভেয়িং, সুপার ভিশন ইত্যাদি করা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ডিজাইন করতে পারে না। এখন আপনি যদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করেন, সাথে সাথে সাথে আপনি একজন চার বছরের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এর মতন চাকরি পাবেন না, কারণ আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড।


আমার মতে আমার আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় কোথাও চাকরি নেয়া, সেই চাকরি এমন যে শুধু কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন নয়, বরং স্ট্রাকচারের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন কেন এভাবে করা হয়েছে, কিভাবে লোড ক্যালকুলেট করে বিম কলাম এর ডিজাইন করা হয় সেগুলো বোঝা। আপনার আপনার কাজ ডিজাইন করা নয়, কিন্তু যারা ডিজাইন করছে তারা কিভাবে করছে সেটা আপনি শিখতে পারেন। এক কথায়, ব্যবহারিক কাজ করার সাথে সাথে নিজের তাত্ত্বিক জ্ঞান দাও বাড়িয়ে নিতে পারেন। এই চাকরির সাথে সাথে আপনি পার্ট টাইম এ ডিগ্রি অর্জনের জন্য কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন।

একটা জিনিস সব সময় মনে রাখবেন ডিগ্রী অর্জন করাটা মূল বিষয়, নয় কারিগরি শিক্ষাতে মূল কাজ নিজের জ্ঞান বাড়ানো। তবে একটা উপদেশ দেই বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে, যতদূর পারুন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে গড়ে তুলুন মা-বাবাকে চাপে না ফেলে।আমরা যারা মা বাবা, সব সময় চাই সন্তান শিক্ষিত হোক, নিজের রক্ত বিক্রি করে হলেও সন্তান কে শিক্ষিত করব, কিন্তু কোন সন্তানের উচিত নয় মা-বাবাকে চাপ দেয়া। শুভকামনা সতত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.