নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মারমা জাতিস্বত্ত্বার জীবন কথা- পর্ব শেষ

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

পূর্বের পর্বের লিংকঃ
মারমা জাতিস্বত্ত্বার জীবন কথা- পর্ব এক
মারমা জাতিস্বত্ত্বার জীবন কথা- পর্ব দুই
মারমা জাতিস্বত্ত্বার জীবন কথা- পর্ব তিন
মারমা জাতিস্বত্ত্বার জীবন কথা- পর্ব চার
মারমা জাতিস্বত্ত্বার জীবন কথা- পর্ব পাঁচ
মারমা জাতিস্বত্ত্বার জীবন কথা- পর্ব ছয়
মারমা জাতিস্বত্ত্বার জীবন কথা- পর্ব সাত
মারমা জাতিস্বত্ত্বার জীবন কথা:দ্যা রাইজিং অফ পিসিজেএসএস (PCJSS) এন্ড ইউপিডিএফ(UPDF)


১০ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৮ হতে জে এস এস এর সদস্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে অস্ত্র সমর্পন করা শুরু করে। এই শান্তিচুক্তির বিরোধীতার মধ্যে দিয়ে মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় আরেকটি সংগঠনের ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমেক্রেটিক ফ্রণ্ট’ — ইউপিডিএফ। তারা একই বছর সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতির গেরিলা দল শান্তিবাহিনীর অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে চুক্তি বিরোধী ব্যানার ও কালো পতাকা দেখিয়ে প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি পালন করে যখন তাদের সাংগঠনিক কোন রূপ ছিল না, এটি পরিচিত ছিল প্রসিত-সঞ্চয় গ্রুপ হিসবে। পরবর্তীতে ঢাকায় ২৬শে ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে, এক প্রস্তুতিমূলক কনফারেন্সের মধ্যে দিয়ে সংগঠনটি সুষ্পষ্টভাবে “চুক্তিটি” মৌলিক দাবীগুলো অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বলে “পার্বত্য চুক্তি”কে আপত্তি জানিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমেক্রেটিক ফ্রণ্ট’ — ইউপিডিএফ। এবং একই সাথে জুম্মমানুষের আত্ম-নিয়ন্ত্রনের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য “পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনের” আহ্বান জানায় ।
২০০৬ সালের সময়ে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির ভাঙ্গন শুরু হয় এর প্রেক্ষিতে নতুন অন্যএক সংষ্কারপন্থী আঞ্চলিক রাজনীতিক দল সৃষ্টি হয়, যেটিকে নামকরণ করা হয় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এম এন লারমা) সংগঠনটির বর্তমান কনভেনিং কমিটি গঠন করে ১০রা এপ্রিল ২০১০ সালে নতুন সংস্কারপন্থী সংগঠনটি অভিযোগ করে যে সন্তু লারমা নেতৃতাধীন ২০-৩১ মার্চের ২০১০ সালে জেএসএস এর ৯ম জাতীয় আলোচনাতে সংবিধান লংঘনের সাথে ৬জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়, যার মধ্যে ছিলেন মৃত চন্দ্র শেখর চাকমা যিনি দলের ৩য় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনটি সন্তু লারমাকে একনায়কসুলভ নেতা বলে অভিহিত করে। বর্তমানে সংগঠনটির উচ্চপদস্থ নেতা-নেত্রীরা হলেনঃ সুধাসিন্দু খীসা (কো-চেয়ারপার্সন), রুপায়ন দেওয়ান (কো-চেয়ারপার্সন), তদিন্দ্রলাল চাকমা (সাধারণ-সম্পাদক), আরো আছেন ইন্জিনিয়ার মৃনালকান্তি ত্রিপুরা, এডভোকেট শক্তিমান এবং নেত্রী কাকলি খীসা।
বাঙালী সেটলারদের সাথে মারমাদের তথা আদিবাসীদের নিত্যদিন সংঘর্ষ ছাড়াও ‘ইউপিডিএফ-জেএসএস’, ‘জেএসএস সংস্কারপন্থী-সন্তু লারমা গ্রুপ’ প্রভৃতির মাঝে পরস্পর বন্দুকযুদ্ধ, বাড়ী বা বাজার থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা, গুম, অপহরণ, চাঁদা আদায় ইত্যাদি এখন স্বাভাবিক ব্যাপার।

পাহাড়ের অন্য সম্প্রদায় গুলোর মত মারমা সম্প্রদায়েরও কেউ কেউ জে এস এস- শন্তু লারমা গ্রুপ, কেউ ইউ পি ডি এফ আবার কেউ জেএসএস-এম এন লারমা গ্রুপ এর সদস্য। জে এস এস- শন্তু লারমা হোক, ইউ পি ডি এফ হোক আর জেএসএস-এম এন লারমা গ্রুপ হোক এই তিন গ্রুপের আসলে কোনটাই মারমা তথা পাহাড়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে না। এক একটা গ্রুপকে আড়াল থেকে কল কাঠি নাড়ছে এক এক টা ছায়া। কেউ পাহাড়ীদের নিজেদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি করে অখন্ডতা বজায় রাখতে চাইছে আবার কেউ হানাহানির মধ্য দিয়ে খন্ডতা তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির ধান্দায় আছে। আসলে এখানে চলছে খন্ডতা আর অখন্ডতার আন্তর্জাতিক রাজনীতি। যেটা থেকে বাঙ্গালী সেটেলাররা তো দূরে থাক পাহাড়ী রাও নিস্তার পায় না। বেশির ভাগ পাহাড়ী জনগনই নিরীহ আম জনতা। তাদের এই রাজনীতির ধারে কাছে ঘেষতেও দেখা যায় না বরং এসব রাজনীতি তে ভীত হয়, তারা আহত হয় আর মারা যায়। তারা ভীত হয় সেনা বাহিনী থেকে, তারা ভীত হয় সেটেলার থেকে, তারা ভীত হয় জে এস এস থেকে আবার তারা ভীত হয় ইউপিডিএফ থেকে। তারা ‘পাহাড়ী’ ‘উপজাতি’ ‘আদিবাসী’ কোনটাই নয়। তারা এদেশের মানুষ, প্রচন্ড দরিদ্র মানুষ।

তথ্য সূত্রঃ
1. Act XXII of 1860 Printed in selections from correspondence on the Revenue Administration of Chittagong Hill Tracts- (1862-1927)
2. মারমা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আইন, প্রমোশন এন্ড প্রটেকশন অব ইন্ডিজিনাস রাইটস (পিপিআইআর) প্রকল্পের গবেষণাধর্মী গ্রন্থণা কপো সেবা সংঘ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ঢাকা
3. Chittagong Hill Tracts Regulation, 1900 (Act I of 1900)
4. Rules for the Administration of the Chittagong Hill Tracts- 1900 (made under section 18 of CHTs Regulation 1900)
5. Rashiduzzaman, M. (July 1998). "Bangladesh's Chittagong Hill Tracts Peace Accord: Institutional Features and Strategic Concerns". Asian Survey (University of California Press)
6. Shelley, Mizanur Rahman (1992). The Chittagong Hill Tracts of Bangladesh: The untold story. Centre for Development Research, Bangladesh.
7. Francis Buchanan in South-Eastern Bengal- 1798. Edited by Williem Ven Schendal.
8. "Parbatya Chattagram Jana-Samhati Samiti". Banglapedia - National Encyclopedia of Bangladesh. Retrieved 2008-06-11.
9. রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯
10. Thum, Gregor (2006–2007). "Ethnic Cleansing in Eastern Europe after 1945". Contemporary European History 19 (1)
11. Rules for Territorial Circles in the Chittagong Hill Tract (Selected Correspondence on the Revenue Administration of Chittagong Hill Tracts).

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: প্রিয়তে থাকল।


এখন পড়তে পারছি না। তবে সবগুলোই পড়ার ইচ্ছা রাখি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০২

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ মুরাদ ভাই।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

রুয়াসা বলেছেন: শেষ!!!! মনে হইল শেষ হইয়াও হইলনা শেষ। জোর করে শেষ করলেন মনে হয়। ;) ;) ;) X( X(
অনেক অনেক ভাললাগা লেখা এবং লেখক উভয়ের জন্যই।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলেই জোর করে শেষ করে দিলাম। নতুন আর একটা গবেষনা শুরু করেছি। সেটার কাজ করতে গিয়ে এটাতে সেভাবে আর সময় দেয়া হয় না।
শুভকামনা।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৩

আবু শাকিল বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম দাদা।
সময় করে চোখ রাখব।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩০

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল ভাই। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.