নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ জার্নি বাই ট্রেইন

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২


খুলনা হতে রাত ন’টায় সীমান্ত এক্সপ্রেস (ট্রেন) ছাড়ার ঠিক ২০ মিনিট আগে দৌড় দিয়ে এসে টিকেট মাস্টারের কাছে টিকেট চাওয়াতে, হতাশ করে দিয়ে তিনি বলে বসলেন বাথ’র(ভিআইপি) কোন টিকেট নেই আর প্রথম শ্রেনীর বগিগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে আজ এক বছর। আর যেটা এভেইলেবেল অর্থ্যাত শোভন চেয়ার, সেটাতেও কোন টিকেট নেই। যেতে হলে স্ট্যান্ড টিকেটে যেতে হবে। মাথা পুরো খারাপ করে টিকেট মাস্টারকে রীতিমত ধমকের সুরে বলে বসলাম- মাথা ঠিক আছে আপনার? খুলনা থেকে সৈয়দপুর মোটামুটি ৬০০ কিলোমিটার! এই পথ দাঁড়িয়ে যাওয়া সম্ভব? টিকেট মাস্টার বেশ প্রফেশনাল লোক, আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে ইশারায় লাইন হতে সরে দাঁড়িয়ে, লাইনে দাঁড়ানো পরবর্তী জনকে সুযোগ করে দিতে বললেন। ভাগ্য নেহায়েত ভাল বলতেই হবে, আমার অবস্থা দেখে রেলের একজন কর্মচারী কিভাবে কোথা থেকে ৩২৫ টাকা মূল্যের একটা শোভন শ্রেনীর টিকেট দ্রুত ম্যানেজ করে দিলেন আর বিনিময় হিসেবে নিলেন ৫০ টাকা। ন্যায়-অন্যায়ের কথা না ভেবে অবৈধ পন্থাটিকেই জয়তু জানিয়ে হাটা দিলাম।

গাঁটকি বস্তা নিয়ে প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটায় উঠতে গিয়ে পড়লাম বিকট এক সমস্যায়। স্টেশনের প্ল্যাটফরমটি উচু না হবার কারনে, ট্রেনে উঠার সিঁড়িগুলো অনেক উঁচুতে হয়ে গিয়েছে। উঠতে হলে সিঁড়ির সর্ব নিচের স্টেপটা ধরে ঝুলে উঠতে হবে। ট্রেনের সিঁড়িগুলো হওয়া উচিত ছিল অনেক বেশি ফ্লেক্সিবেল, বিশেষত বৃদ্ধ এবং মহিলাদের কথা বিবেচনা করে। রেল মন্ত্রনালয় বেশ অবিবেচক। পা রেখে উঠার সিঁড়িগুলো হাতে ধরে ঝুলে উঠবার জন্য করে রেখেছে। অবশেষে অন্য আর একজন যাত্রী আমরা উভয়ের সহায়তায় কাংখিত ‘জ’ নাম্বার দেয়া বগিতে উঠে নির্ধারিত সিটে গিয়ে বসলাম। একটু পর-ই মাইকে কোরআন তেলওয়াত শুরু হল। তারপর সুরেলা এক নারী কন্ঠ ভেষে আসল। তিনি জানিয়ে দিলেন যে আর কিছুক্ষনের মধ্যে ট্রেনটি খুলনা স্টেশন ছেড়ে যাবে। একই সাথে তিনি ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো অবস্থায় ট্রেনের বাথরুম ব্যবহার না করতেও অনুরোধ করলেন।

রেল যাত্রা শুরু করার সাথে সাথেই, নিরাপত্তার লক্ষ্যে কিছুক্ষন পরপর কিছু রেল পুলিশের আনাগোনা দেখে বেশ স্বস্তিই বোধ হল। তবে কি উদ্দ্যেশে তাদের এই আনাগোনা, সেটা ক্লিয়ার না। ঝালমুড়ি ওয়ালা, চাবির রিং-রুমাল আর আয়না চিরুনী ওয়ালাদের সাথে সাথে ট্রে হাতে সাদা পোষাক পরিহিত ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিসওয়ালাদের ও আনাগোনা বেশ বেড়ে গেল। ট্রেনের পুরো একটা বগি জুড়ে হল এই ক্যাটারিং সার্ভিস অর্থ্যাত ট্রেনের ক্যান্টিন। ভিন্ন ভিন্ন নানান নামের কোম্পানি ট্রেনের এই ক্যান্টিন গুলো নিলামে ডেকে নিয়ে যাত্রীদের গলা কাটেন এখানে। চা, স্যান্ডউইচ, পানি এবং ভাত তরকারী বেশ চড়া দামে পাওয়া যায় এই ক্যান্টিনে। ক্যান্টিনে কিছু টেবিল আর বেঞ্চ বসানো থাকলেও এগুলো কখনো খালি পাওয়া যায় না। পুলিশ, চেকার আর ট্রেনের ম্যানেজারেরা এই আসনগুলো টিকেট ছাড়া যাত্রীদের ভাড়ায় দিয়ে দেন।

ট্রেনের একেবারে শেষ বগিটায় রয়েছে নামায ঘর। নামায ঘর হলেও এটি আসলে ব্যবহার করা হয় টিকেট বিহীন যাত্রীদের জন্য। চেকার এবং রেল পুলিশেরা মাথা গুনে গুনে টিকেট বিহীন যাত্রীদের নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে এই ঘরে ঢুকিয়ে দেন।
ট্রেনের টয়লেটগুলো বেশ অপরিচ্ছন্ন এবং নিচে ট্যাংকিহীন। এইবার বিষয়টা পরিস্কার হল, কেন সুকন্ঠী যান্ত্রিক কন্ঠস্বরের আপা বারবার স্টেশনে দাঁড়ানো অবস্থায় ট্রেনের টয়লেট ব্যবহার করতে নিষেধ করে চলেছেন। খোলা ট্যাংক দিয়ে যাত্রীদের ত্যাগকৃত মল-মূত্র রেললাইনেই পতিত হয়। সুকন্ঠী যান্ত্রিক কন্ঠস্বরের আপা শুধু প্ল্যাটফরমের পরিছন্নতার কথা চিন্তা করেছেন কিন্তু রেল লাইন পার্শ্ববর্তী স্থানীয় পরিবেশের কথা একবার ও ভাবলেন না।

রাতের দূরপাল্লার ট্রেনগুলো যে এত দ্রুত ছুটতে পারে তা পূর্বে জানা ছিল না। এটা ঠিক দ্রুত নয়, মোটামুটি ক্ষ্যাপা গতিতে ছুটে চলছে রাতের সীমান্ত এক্সপ্রেস- গন্তব্য খুলনা থেকে সৈয়দপুর। একেকটা বগি যেন ছিড়ে-ফুড়ে আকাশে উড়ে যাবার জোগাড়। রেলগাড়ির এহেন ক্ষিপ্রতায় শুরুর দিকটায় বেশ ভয় ভয় লাগলেও শীত আর দলুনি মিলিয়ে ৩২৫ টাকা মূল্যমানের শোভন শ্রেনীর চেয়ারটা-য় বসে হালকা ঘুমঘুম ভাব চলে আসল। সুকন্ঠী মেয়েটির যান্ত্রিক কন্ঠস্বর শুনছি- ট্রেনটি আর কিছুক্ষনের মধ্যে যশোর স্টেশনে পৌছাবে। ট্রেন প্ল্যাটফরমে দাঁড়ানো অবস্থায় ট্রেনের টয়লেট ব্যাবহার না করতে তিনি আবারো অনুরোধ করলেন। ঘুমঘুম ভাব নিয়ে আবারো শুনছি- ট্রেনটি আর কিছুক্ষনের মধ্যে যশোর স্টেশন ছেড়ে যাবে। ট্রেন ছেড়ে দিল, আবারো সেই ক্ষ্যাপা গতি।

হঠাত-ই ধাপ-ধাপ, দুম-দাম মারামারির শব্দ। মাইর খেয়ে ছিটকে এসে ছোকড়া মতন একটা ছেলে আমার গায়ের উপর এসে পড়ল। চোখ খুলে দেখি তিনজন ‘ভদ্রলোক’ মিলে ছোকরাটাকে লাথি আর কিল ঘুষি মারছেন সমানে আর পুরো বগি ভর্তি মানুষ তামশা দেখছে। দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচারটা ঠিক মেনে নিতে না পেরে উঠে গিয়ে তাদের থামালাম এবং ছোকরাটাকে এভাবে মারার জন্য ষন্ডামার্কা তিনজন ভদ্রলোককে ধমকালাম। ছোকরাটার নাম মুকুল। যশোর স্টেশন থেকে পুরো মদ্যপ অবস্থায় মুকুল স্ট্যান্ড টিকেট নিয়ে ঈশ্বরদী যাবার উদ্দেশ্যে আমাদের বগীটায় উঠেছিল। আসলে এমন ক্ষ্যাপা গতির ট্রেনে অবলম্বন হিসেবে কোন কিছু না ধরে দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব আর ধরতে হলে সিটগুলো ছাড়া বিকল্প কোন কিছু নেই। মুকুল ও দাঁড়িয়ে ছিল ‘ভদ্রলোকেদের’ সিটের কোনা ধরে। তার শরীর হতে বের হওয়া মদের তীব্র গন্ধ থেকেই শুরু হয় ঝামেলা এবং ফলাফল মদ্যপ মুকুলের উপর অমানুষিক নির্যাতন। অমানুষেদের নির্যাতন হতে মুকুলকে রক্ষা করে তাকে বগীর গেটে নিয়ে দাড় করাই। ট্রেনের গেট হল ধুমপায়ীদের অভয়ারন্য। ধুমায়া মাইনসেরা বিড়ি খায় এই জায়গায় এসে।
সিগারেট খাইবা মুকুল?
জ্বি ভাইয়া। ধরান আপনি, তারপর আমারে দেন।
মুকুল যখন কথা বলছিল তার মুখ থেকে ভস ভস করে এলকোহলের উৎকট গন্ধ বের হচ্ছিল আর মাঝে মাঝে সে তার জিব বের করছিল। মানুষ বেশি নেশা করলে সাধারনত এমন জিব বের হয়ে আসতে চায়। রক্তে ভেজা নাক-ঠোট আর কান্না ভেজা চোখ মুছতে মুছতে সে বলে চলছিল- ভাইয়া দেখলেন তো, কিভাবে আমাকে মারল তারা। আমি কিছু বলছি? কোন প্রতিবাদ করেছি? এরপর ও মারল। তারা আমাকে তাদের সিট থেকে সরে যেতে বলেছে, আমি সরে যাই নাই- এই আমার দোষ। খুব কষ্ট করে দম চেপে তার কথা শুনলাম আর তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম। মুকুল একসময় রেলেই চাকুরী করত। কি এক অজানা কারনে ৪/৫ বছর আগে চাকুরীরত অবস্থায় তাদের অনেকের চাকুরী চলে যায় আর চির পরিচিত ট্রেনটা হয়ে ওঠে অচেনা। কোর্টে মামলা চলছে এখন পর্যন্ত কিন্তু কোন অগ্রগতি নেই। চাকুরিটা চলে যাবার পর থেকে হতাশা আর কর্মহীনতা থেকেই এই এলকোহল নেশায় সে আসক্ত হয়ে পরে। মুকুলে বাড়ি যশোরে। যাবে ঈশ্বরদী। আমার সিটে তাকে বসতে বললে সে তা সগৌরবে প্রত্যাখান করে যেন সিটে বসা ভদ্রলোকেদের প্রতি ধিক্কার জানায়। মুকুলকে দরজায় রেখে এসে সিটে বসে যেন শান্তি পাচ্ছিলাম না। কিছুক্ষন পর আবার গেলাম তার কাছে। গিয়ে দেখি, মুকুল তার জায়গা ঠিকই বানিয়ে নিয়েছে। ট্রেনের দরজার সিঁড়িতে বসে সে তার পা ঝুলিয়ে দিয়ে, আপন মনে গান গেয়ে চলছে-
বান্ধব আমার মন বান্ধিয়া, পিঞ্জর বানাইছে…..
তন্ময় হয়ে মুকুলের গানের কথা গুলো শুনছিলাম। মনের কষ্ট দূর করবার খুব ভাল মাধ্যম হয়তোবা কান্না আর গান। গান শেষ হলে গেট হতে আবারো তাকে সরিয়ে বসালাম। এবারো সে সিটে বসতে যেতে নারাজ। অবশেষে নিজের সিটে এসে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে মুকুলের গানের কথা গুলো ভাবতে ভাবতে নিদ্রা গেলাম।
সুকন্ঠী নারীর যান্ত্রিক কন্ঠস্বরে মাথা আর পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে ঘুম থেকে জেগে গেলাম। গাড়ি কখন ঈশ্বরদী ছাড়িয়ে জয়পুরহাটে পৌছে গিয়েছে খবর রাখতে পারি নাই। পা-গুলো একটু প্রসারিত করবার জন্য জান বের হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন উপায় নেই। শোভন শ্রেনীর এই চেয়ার গুলো আরামের চেয়ে বেশি হারাম করে দেয়া। পুরো বগীটিতে এখন অনেক লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাদের বেশির ভাগ-ই বিনা টিকেটের যাত্রী। ভোররাতে চেকার আর পুলিশরা ধুমায়া বিনা টিকেটে রেল ভ্রমনের ফায়দা তুলে চলেছেন। একজন মহিলা আমার চেয়ারের নিচে সামান্য ফাকা জায়গাটুকুর ভেতরে ঢুকে গিয়ে একটা চাদর পেতে ঘুমিয়ে পড়েছে। এরা গরীবের ও গরীব। চেকারকে দশটি টাকা দেবার মত সাধ্য নেই তাই সিটের তলে ঢুকে পড়া, আর সাথে ফ্রি আরামের ঘুমটি তো থাকছেই। যেই ভদ্রলোকটি শোভন শ্রেনীতে একটু আরাম করে যাবার জন্য একসাথে দুটো সিট নিয়ে যাচ্ছিলেন শত চেষ্ঠাতেও সে আর তার খালি সিটটি ধরে রাখতে পারেন নাই। একজন লোক সেটায় বসে তৃপ্তির ঘুম দিয়েছেন। মুকুল ঈশ্বরদী নেমে গিয়েছে জানি, কিন্তু তার আর কোন খবর নেয়া হয় নাই। এই জীবনে হয়তোবা আর তার সাথে দেখা হবে না। তবু মুকুলের খোজে ভীর ঠেলে গেটে গিয়ে দাঁড়াই। মুকুল নেই সেখানে। অন্য এক মোটা লোক সেখানে বিড়ি ফুঁকছে, কিন্তু সে আর মুকুলের মত গান করছে না। মুকুলের মত করে পা ঝুলিয়ে তার বসার জায়গাটায় বসে তার মত করে সেই গানটা ধরার চেষ্ঠা করলাম-
বান্ধব আমার মন বান্ধিয়া, পিঞ্জর বানাইছে…..
নাহ! মুকুলের মত হলনা। মুকুলদের মত আমাদের হয় না। কারন আমরা ভদ্দরনোক।

ভোর হয়ে গিয়েছে। হিলিতে ভারত সীমানা ঘেঁসে নো-ম্যানস ল্যান্ডে এসে গাড়ি থেমে গেল। কোন এক বগীর চাকায় কি একটা সমস্যা হয়েছে। কর্তব্যরত লোকজন লাইট মেরে মেরে দেখছেন। দৌর দিয়ে বাঁশি বাজাতে বাজাতে বিজিবি সদস্যগন ট্রেন টার্গেট করা চোরাচালিনীদের পেছনে দৌড়াচ্ছেন। ট্রেন লাইনের দেড় হাত দূরে বাংলাদেশ অংশে ভারতীয় বিএসএফ এর একটা দল ও ট্রেন থেমে যেতে দেখে, তাদের কুকুর আর দলবল নিয়ে হাজির হয়েছে। ভারতীয় অংশের ঘর বাড়ি হতে ভারতীয় মানুষেরা কৌতুহলী হয়ে ট্রেনের যাত্রীদের দেখছে আর যাত্রীরা তাদের। যেন পাশাপাশি দুটো চিড়িয়া ঘর। ট্রেন আবারো চালু হল। ফুলবাড়ি স্টেশনে এসে বিজিবি সদস্যরা নেমে গেলেন, সাথে ট্রেনের পানির ট্যাংকি হতে উদ্ধার করলেন দুই বস্তা ফেন্সিডিল। বিজিবি সদস্যরা নেমে যাওয়ার পরপর-ই ট্রেনে ভারতীয় মসলা, ক্রিম, বাম, চকলেট আর বিস্কিট বিক্রি শুরু হয়ে গেল। ভারত সীমানা ঘেঁসে কিছুদূর চলার পর ফুলবাড়ি, বিরামপুর স্টেশন পেড়িয়ে পার্বতীপুর এসে গাড়ি থেমে রইল। শুরু হল প্রতীক্ষা। কখন ঐ পাশ হতে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস আসবে আর কখন এই ট্রেন ছাড়বে। দূর্ঘটনা এড়াতে এই ব্যাবস্থা। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা অপেক্ষার পর অবশেষে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসল এবং আমাদের গাড়ি ছেড়ে গেল। আধা ঘন্টার মধ্যে প্রচন্ড মাথা, পা আর কোমর ব্যাথা নিয়ে সৈয়দপুর স্টেশনে নেমে পড়লাম। এবার আমার বাস ধরবার পালা। বাসে যেতে হবে আরো পুরো দুই ঘন্টা……….

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাই অসাধারণ লিখছেন। এই পোষ্টে শুধু প্লাস দিলে অন্যায় হবে। তাই লেখাটা আমার প্রিয়র তালিকায় রেখে দিলাম।
অনেকদিন পর একটা এইরকম ভাল লেখা পড়লাম।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: লেখাটি আপনার প্রিয় তালিকাভূক্ত হতে পেরেছে জেনে অনেক অনেক ভাল লাগল ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: ালো লাগলো

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ মঞ্জু রানী সরকার।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

ধমনী বলেছেন: ট্রেনে বসেই মন্তব্য লিখছি। দারুণ লিখেছেন। চলুক জীবন যাত্রা। সমৃদ্ধ হোক অভিজ্ঞতার ঝুলি।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা। আপনিও ট্রেনে! ট্রেনে বসে ট্রেন পোস্টে মন্তব্য লেখাটা ভাল লাগল। চলুক জীবন যাত্রা। সমৃদ্ধ হোক অভিজ্ঞতার ঝুলি। ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

সুমন কর বলেছেন: এ রকম জার্নি বাই ট্রেইনের কাহিনী আগে পড়িনি। ভালো লাগল।

+।


অ.ট.: কই গেলেন? ব্যস্ত বুঝি?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা।
পুরো দশ দিনের ছুটি নিয়ে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলাম বাচ্চারে দেখতে। তাই ব্লগে রেগুলার ছিলাম না।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। দুএকটা ছবি দিলে আরো সুন্দর হত মনে হয়!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: শুরুতে ভেবেছিলাম শুধু মুকুলকে নিয়েই পোস্টটি দেব। পরে একটা ছবিহীন ভ্রমন পোস্ট দেবার ভাবনা থেকে ছবি তুলতে চেষ্ঠা করি নাই। ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেই অভিজ্ঞতা!!! হিলির ঐ অংশে ট্রেন এমনি এমনি থামায়! এটা চুক্তিই আছে। :D

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দেশে রেল নাকি লোকসান গুনে, আর সাধারন মানুষ পায় না টিকিট। এই প্যারাডক্সের মানে কি!!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: যোগ করবার জন্য ধন্যবাদ ভাই। প্যারাডক্সের মানে হল কালোবাজারী, পুলিশ, চেকার আর সংশ্লিষ্টদের উদরপূর্তি।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

সুলতানা রহমান বলেছেন: আমি শেষবার ট্রেনে চড়েছি তাও প্রায় দুই বছর। কিন্তু কোন যান্ত্রিক কন্ঠস্বর শুনিনি। আমি বার বার বাইরের সাইনবোর্ড দেখার চেষ্টা করছিলাম আমাকে আবার রেখে যায় কিনা।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা। এখন রেল বেশ ডিজিটালাইজেশনের পথে। শুভকামনা জানবেন।

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার ট্রেন ভ্রমন

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ। ভ্রমনটায় অনেক বেশি দুঃখ আর হতাশা ভরা ছিল, বিশেষ করে মুকুলের ঘটনাটায়।

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার জার্নি বাই ট্রেইন গল্প পড়ে আমার ভ্রমণগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। অসাধারণ বললে আমার আপত্তি আছে। সাধারণ অভিজ্ঞতাই বলব আপনার সহযাত্রী মুকুলের ব্যাপারটা।
এইরকম কতো ঘটনা যে ঘটে তার হিসেব আছে? আরো বড় ঘটনার সাক্ষী আছি আমি। তা নাহয় একদিন হয়তো শেয়ার করেই ফেলবো ভ্রাতা!!

ট্রেনের একেবারে শেষ বগিটায় রয়েছে নামায ঘর। নামায ঘর হলেও এটি আসলে ব্যবহার করা হয় টিকেট বিহীন যাত্রীদের জন্য। চেকার এবং রেল পুলিশেরা মাথা গুনে গুনে টিকেট বিহীন যাত্রীদের নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে এই ঘরে ঢুকিয়ে দেন।

আর ট্রেনের দুর্নীতি প্রসংগে বলব যে এতটুকু সততাও যদি থাকতো তাহলে ট্রেন একটি লাভজনক সংস্থা হতো নিঃসন্দেহে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০

অগ্নি সারথি বলেছেন: মুকুলের ঘটনাটি ভ্রমনে অসাধারনত্ব আনয়নে নয় বরং বর্নিত হয়েছে সমাজে ভদ্রলোক নামক কিছু পশুর মুখোশ উন্মোচনে। বড় ঘটনা গুলো শেয়ার করবেন আশা রাখছি। যদি বলেন সততা তবে বলব সরাকারী সকল সেক্টরের মানুষের মধ্যে যদি এতটুকু সততা ও থাকত তবে বাকী সেক্টরগুলোও হত লাভজনক। সহমত আপনার সাথে।ধন্যবাদ। শুভ রাত্রী।

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

আমি মাধবীলতা বলেছেন: দারুণ তো !!! আমিও কাল বাড়ি যাবো...জার্নি বাই ট্রেন !! :)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

অগ্নি সারথি বলেছেন: শুভকামনা। শুভ হোক আপনার বাড়ি ফেরা।

১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার জার্নিবাই ট্রেইন অনেক ভাল লাগলো ভাই অগ্নি সারথি! আমার জীবনে মাত্র একবারই ট্রেনে চড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, খুলনা টু নাটর! সত্যিই ট্রেনে চড়ার মজাই আলাদা......!!


বেশি কিছু বলবো না। আপনার যাত্রা শুভ হোক......!! পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!


বিঃদ্রঃ আপনার বাবুটা কেমন আছে ভাই?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। আমি বলি কি, একবার হুট করে লম্বা একটা জার্নির ট্রেনে কোন কিছু না ভেবে উঠে পড়ুন। দেখবেন বেশ লাগছে। বাবু ভাল আছে আল্লাহর রহমতে তবে ঠান্ডা নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় আছি, জানান তো উত্তরে শীত কি হারে পরে। দোয়া রাখবেন।

১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: দারুন পোস্ট।

ট্রেনের বাইরে বিমানের টিকেটের ব্যাপারেও বলবো বিমান ফাঁকা থাকলেও কাউন্টারে টিকেট পাবেন না। সবই দুর্নিতি। বিমানের টিকেট না পাওয়ার পিছনের কারন হইলো অন্য এয়ারলাইন্স থেকে টাকা খাওয়া আর অযথা চাহিদা তৈরী করে দালালদের মাধ্যমে দাম বেশি রাখা। এই অবস্থারও কোন উন্নতি হবে না। কারন তাইলে বিমানও বছরখানেক বন্ধ রাইখা নতুন জনবল দিয়া চালাইতে হবে। রেলওয়েতে তো তবু মানুষ যাইতে পারে। এইটা ভালো দিক।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, সহমত আপনার সাথে। আর একারনেই দেশের জনগনের সরকারী সেক্টরগুলোর প্রতি এত বিতৃষ্ণা জন্মে গেছে। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

১৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

বনজ্যোৎস্নার কাব্য বলেছেন: ঢাকার বাইরে আমার ট্রেন জার্নির কোনো অভিজ্ঞতাই নেই তবে ইচ্ছে আছে যাবার। মানুষজন কত সুন্দর করে করে তাদের কার্নির কথা লেখে, ভ্রমণ ব্লগ লেখে। আমারও তখন ইচ্ছে করে লিখতে কিন্তু কোনো অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে লেখা হয়ে ওঠে না।
আপনার লেখার বেশ কিছু মানবিক ব্যাপার যেমন উঠে এসেছে তেমনি এসেছে মানুষের অমানবিক দিকটি, কিছু অসঙ্গতির কথাও।
ভালো থাকুন

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: লেখার মূল বিষয়গুলো ধরে ফেলবার জন্য অনেক ধন্যবাদ বনজ্যোৎস্নার কাব্য। আপনার নিকটি অনেক সুন্দর আপনি কি জানেন? আশা করি ব্লগে থাকবেন, নিয়মিত হবেন আমাদের এই ব্লগ পরিবারে। শোনাবেন আপনার কথা, আর আমাদের গুলো তো শুনবেন ই। শুভকামনা।

১৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

নিমগ্ন বলেছেন: দারুণ পোস্ট গরম জার্নি.......

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: বুঝতাছিনা কি উত্তর দিমু মন্তব্যের তয় এক আটি ধইন্যাপাতা লইতে পারেন।

১৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুলনা আর সৈয়দপুর, দুটোই আমার স্মৃতির শহর। কিছুদিন আগেই ঢাকা চট্টগ্রাম ট্রেন ভ্রমণ করলাম। সেটা অবশ্য এত ঝামেলা পূর্ণ জার্নি ছিলো না। রাতের ট্রেনে চড়া হয় না অনেকদিন। রচনা ভালো হৈছে। দশে আট দিলাম :-B

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: খুলনা আর সৈয়দপুর, দুটোই আমার স্মৃতির শহর জেনে ভাল লাগল মাহবুব ভাই। আপাতত খুলনাতে আছি, সময় করে একদিন চলে আসেন খুলনা বেড়ানোর সাথে স্মৃতি রোমন্থন ও হয়ে যাবে আর সাথে সহব্লগারের সঙ্গ টাও খারাপ লাগবে না বোধ করি।
দশে আট তো লেটার মার্কস ভাই! খুশি আমি। আর এক্সামিনারদের আমি হাড়ে হাড়ে চিনি, ফুল মার্কস হ্যারা কক্ষনোই দেয় না, কারনটাও জানি। কারন হ্যারাও তো ঐ লেটার মার্কসের উপরে যাইতারে নাই। ;););)
ধন্যবাদ।

১৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

প্রামানিক বলেছেন: হা হা পুরোই মজা। মদারুর সাথে বিড়ি খাওয়ার কাহিনীও মন্দ নয়।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: :)
ধন্যবাদ প্রামানিক।

১৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১

একুশে২১ বলেছেন: ভাই বাড়ি ঈশ্বরদী হওয়ার সুবাদে ট্রেনের কাহিনী গুলোর সাথে ভালই জানাশোনা আছে। খুব সরল কিন্তু চমৎকার লেখা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার ঈশ্বরদীর উপর দিয়েই আমাকে যাতায়াত করতে হয়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল ট্রেনের কাহিনী ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

নেক্সাস বলেছেন: এটা রচনা বইতে পড়া জার্নি বাই ট্রেনের সাথে মিলে নাই। বেশী বাস্তব হয়ে গেছে। তবে আমার ভাল লাগছে। সবগুলা প্লাস আমি দিলাম।
++++++++++++++++++++++++++.... +

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: ডিজিটাল রচনা তো তাই এট্টু বেশি বাস্তব হয়ে গেছে। এত্তগুলান পিলাচ দেওনের লাইজ্ঞা আপনেরেও এত্ত এত্ত আটি ধইন্যাপাতা। শুভকামনা জানবেন।

২১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

জুন বলেছেন: মুকুলের জন্য সমবেদনা। অনেক ভালোলাগা

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি খুব করে আমার মত করে অন্যদের কাছ থেকেও মুকুলের জন্য সমবেদনা চাচ্ছিলাম জানেন। সহস্র ধন্যবাদ জুন, মাতাল হলেও যে মানুষ আর এই ভাবনা থেকে মুকুলকে সমবেদনা জানানোর জন্য। ভাল থাকবেন।

২২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তা-ও ভালো সিট পেয়েছিলেন । একবার রাজশাহী থেকে ঢাকা এসেছিলাম দাঁড়িয়ে, চট্রগ্রাম থেকে ঢাকা এসেছিলাম; এবারও দাঁড়িয়ে ।
ট্রেনে ভ্রমনের স্মৃতি বেশি নেই । রাজশাহী থেকে ঢাকা অাসার স্মৃতিটা স্মরণীয় ।

অাপনার ঘটনা পড়ে পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়লো ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

অগ্নি সারথি বলেছেন: :)

২৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভ্রমণ তো নিয়মি্তই করি ঘটনাও ঘটে অনেক, কিন্তু এমন ভালো লিখতে পারিনা বলে লিকাও আর হয়ে উঠেনা, ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি চেষ্ঠা করি আপনার লেখাগুলো নিয়মিত পড়ার। চমৎকার লিখেন আপনি। ভাললাগা জানবেন।

২৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সেবা না বাড়িয়েই ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে, শুনছি। আপনার এই লিখাটিতেও সেবার কথা ওঠে এসেছে। যদি সেবা কথাই ধরি তো এ মুহূর্তে ট্রেনের কোন সেবাটির প্রতি বিশেষ নজর দেয়া উচিত বলে মনে হয় ? আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে জানার ইচ্ছে রইলো।

এ জার্নি বাই ট্রেন পড়ে স্মৃতি-কাতর হচ্ছিলেম। মুকুলের মত করে পা ঝুলিয়ে গানটা ধরার চেষ্টা আমার ইচ্ছে করছে এখন-
বান্ধব আমার মন বান্ধিয়া, পিঞ্জর বানাইছে…..

অনেক ভাল থাকুন, অগ্নি সারথি। :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: রেলের সব থেকে বড় অনিয়ম হল টিকেট না কেটে কর্তব্যরত চেকার আর পুলিশকে উতকোচ প্রদানের মাধ্যমে রেল ভ্রমন। সীমান্ত এক্সপ্রেসে আমি দেখেছি প্রায় ৪০ ভাগ যাত্রীই থাকে টিকেট ছাড়া। ফলাফল হল প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ। এখন রেলের ভাড়া বৃদ্ধি এই অনিয়মটিকে চরম ভাবে উতসাহিত করবে। একই সাথে রেলের আসন ব্যাবস্থার চরম উন্নয়ন দরকার।
আপনার এমন মনোনিবেশে অনেক অনেক ধন্যবাদ অন্ধ বিন্দু।

২৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৬

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
দারুণ লিখেছেন। +++

চলেছে রাতের ট্রেন, গানটির কথা মনে পড়ে গেলো !!

ভালো থাকবেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪০

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ!

২৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৫

মেঘ ছাউনী বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাই,জীবনে এত এত ট্রেন জার্নি করছি যে বলে শেষ করা যাবে না।এখন রেললাইন দেখলেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ধন্যবাদ এ কারনে যে আপনি আমার মত এই অধমের লেখাগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ছেন। শুভকামনা শতত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.