![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরও বহু আত্মীয়স্বজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার্সে ও অন্যান্য জায়গায় আছে। হায়! এরা সবাই ইয়াহিয়ার হত্যাযজ্ঞের শিকার হবে! কাউকে আর দেখব না! আমরাও হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ হয়ে যাব। আমি দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য হয়ে এঘর ও ওঘরে ছোটাছুটি করতে লাগলাম। হঠাৎ কি মনে করে রাস্তার দিকের বৈঠকঘরের জানালা খুলে দাঁড়ালাম। আমরা তখন থাকতাম আগাসাদেক রোডসংলগ্ন আবদুল হাদি লেনের বাড়িতে।
আমার চোখের সামনে রাস্তায় জনস্রোত। প্রাণভয়ে ব্যাকুল হয়ে ছেলে-বুড়ো নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে। আবার কেউ কেউ স্বজন-পরিজনের আহত-রক্তান্ত দেহ বহন করে এগোচ্ছে। আহতদের গলা, বুক, পিঠ ও পেট দিয়ে গল্ গল্ করে তাজা রক্ত ফিনকি দিয়ে ছুটছে। অকল্পনীয় দৃশ্য দেখে আমি বাক্হারা হয়ে গেলাম।
সম্বিত ফিরে পেলাম সেজোভাইয়ের (মহীউদ্দীন খান আলমগীর, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ডাকে। ওমা! ও বেঁচে আছে? উশকো-খুশকো চুল, রক্তাক্ত চোখ। হ্যারে, কি করে এ গোলাগুলির মাঝে এলি? নওয়াবপুরের অন্যরা সব ভাল তো? আমার কথার প্রত্যুত্তরে ছোট হুঁ জানিয়ে বলল, রাজারবাগের সব পুলিশ শেষ! ইউনিভার্সিটির টিচারদের ঘরে ঢুকে ঢুকে মিলিটারিরা তাদেরকে মেরেছে।
তুই কি করে জানলি?
লোকমুখে। কথা শেষে ও আর দাঁড়াল না। রাস্তায় নেমে গেলো। আমি স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে রইলাম। কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম তা মনে নেই, কিন্তু কানের অতিনিকটে গলির মুখে পর পর ক’টি গুলির আওয়াজে রাস্তার পাশের জানালার কাছে ফিরে এলাম। কিছুক্ষণ আগে ভাই বেরিয়ে গেছে। তার কি হবে ভেবে ভীষণ উদ্বিগ্ন হলাম। জীবনকে হাতে করে চোরাগলিপথ দিয়ে ভাই আমাদের খোঁজ নিতে নওয়াবপুর থেকে এসেছিল। আর আমি তাকে নিশ্চিত বিপদ জেনে রাস্তায় পা বাড়াতে বাধা দিলাম না। হায়! আল্লা, আমি একি করলাম! তীব্র অনুশোচনাগ্রস্ত হয়ে ভেতরের ঘরে ছোটভায়ের কাছে ছুটে গেলাম। ও তখন আমার ছেলে দুটোকে বুকে নিয়ে বসে ছিল। আমি ওখান থেকে শোয়ার ঘরে গিয়ে কি ভেবে ট্রানজিস্টর অন করে দিলাম। তখন ট্রানজিস্টরে অবাঙালী ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় ঘোষণা করছিল, কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাস্তায় বের হলেই গুলি করা হবে। পরবর্তী আদেশের জন্য যেন অপেক্ষা করা হয়। আমি পাগল হয়ে গেলাম ভাইয়ের কথা চিন্তা করে। হায়! কারফিউ! ভাই তো গুলিবিদ্ধ হয়ে এক্ষুনি মরে যাবে। হায়! কি করলাম! উন্মত্তের মতো আবার বৈঠকঘরের জানালা খুলে দাঁড়ালাম। গলিপথ বেয়ে তখনও জনস্রোত চলছে। আশপাশে চারদিক থেকে গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। তারা জানে না যে, কারফিউ। আমি চিৎকার করে বলতে চাইলামÑরাজপথের দিকে এগিয়ো না। গুলি করে শুইয়ে দেবে। কারফিউ! কারফিউ! কিন্তু শত প্রচেষ্টায়ও আমার গলা দিয়ে শব্দ বের হলো না। জনতা এগিয়ে চলল আর বিকট, ভীত, আর্তচিৎকারে দলে দলে লোকজন রাজপথে রক্তাক্ত দেহ নিয়ে লুটিয়ে পড়ল। মৃত্যু এত সস্তা! এত সহজ! মানুষ হয়ে মানুষকে এমন নিমর্মভাবে মারছে! নিরস্ত্র জনতার ওপর ইয়াহিয়ার সামরিক বাহিনীর লোকরা হন্যে হয়ে গুলি ছুড়ছে। হায়! হায়! আমরা কোথায় যাব! কি করব!
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে যেতে লাগল। বিকেলে ধোঁয়ার বদলে সারা আকাশ আগুনের শিখায় লাল হয়ে উঠল। ওহ! সে কি ভয়ঙ্কর দৃশ্য! নয়াবাজারের কাঠপট্টি জ্বলছে আর জ্বলছে আমাদের এলাকার বস্তিগুলো। ছেলে-বুড়োর আর্তচিৎকার আকাশে-বাতাসে প্রকম্পিত হচ্ছে। আবার... কারফিউর মাঝে রাস্তায় বের হবার চেষ্টা গুলির মাঝে তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কাঠপোড়া গন্ধে আমাদের দম আটকে আসার উপক্রম হলো। এরই মধ্যে সারাদিনের উপবাসের পর অবুঝ সন্তানদের ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য চুলোয় ভাত চড়িয়ে দিলাম। ভাত ফুটতে লাগল। আর আগুনের শিখাও লক লক করে বাসার ১৫/২০ হাতের মধ্যে এসে পড়ল। ভীষণ ঘাবড়ে গেলাম। ফুটন্ত ভাত চুলোয় রইল। ক্ষুধার্থ শিশুদের হাত ধরে এককাপড়ে পরিবারের সবাই কারফিউর মাঝে সন্ধ্যায় অন্ধকারে গা-ঢাকা দিয়ে বেরিয়ে পরলাম। বড় উঠোনওয়ালা এক বাড়িতে আশ্রয় নিলাম। বাড়ির লোকজন সাদরেই আমাদের তাদের ওপর তলার ঘরে নিয়ে গেলেন। ছেলে দুটোকে শুকনো খাবার খেতে দিলেন। সে বাড়ির ছাদে উঠে পিলে চমকে গেল। উহ্! মাগো, কত আগুন! যেদিকে নজর যায় শুধু আগুন আর আগুন। দলা দলা আগুনের কু-লী ছুটে আসছে। নারকীয় দৃশ্যে ভয়ে কাঠ হয়ে গেলাম। যদিও আগুনের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছি, তবু মনে হলো নিস্তার পাব না। কিন্তু কারফিউর মাঝে অন্য আশ্রয়ের সন্ধানে পা বাড়াতে মন সায় দিল না। দোতলার বারান্দায় কয়েক বাড়ির লোক একত্রিত হয়ে ইয়াহিয়ার বক্তৃতা শুনতে লাগলাম।
রাত এগারোটার দিকে আগুনের শিখা স্তিমিত হয়ে আসতেই বাড়ি ফিরে আসতে চাইলাম। আশ্রয়দাতা ছেড়ে দিতে চাইলেন না। বিপদের ঝুঁকি নিতে বারণ করলেন। মানলাম না। বেরিয়ে এলাম। আশ্রয়দাতার প্রতি মন কৃতজ্ঞতায় নুয়ে এলো। সেই বিপদের দিনে তাঁর থেকে যেধরনের সৌজন্যমূলক ব্যবহার পেয়েছি তা ভুলবার নয়।
বাড়ি ফিরে এলাম আগের পথ ধরে। ভাত পুড়ে হাঁড়ি কালো হয়ে গেছে। চুলো নিভে আছে।। টিনটুন ঝেড়ে দু’চার মুঠ মুড়ি সবাই ভাগ করে খেলাম। ছেলেদের জুতো-জামা-কাপড়সহ শুইয়ে দিলাম। আর তাদের প্যান্টের পকেটে গুঁজে দিলাম কিছু ‘ফাস্ট এইডের’ জিনিসপত্র। বড়রা পরস্পরের প্রতি পরস্পর নির্দেশ দিলামÑআমাদের মধ্যে যে-ই গুরুতররূপে আহত হবো তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া না করে সুস্থদেহীরা যেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে চলে যাই। একজনের জন্য যেন কয়েকজনের প্রাণ না যায়। বাচ্চাদের বেলায়ও তা প্রযোজ্য। কত বড় বিপদে পড়লে মানুষ নিজ স্বজন-পরিজনের জন্য এ রকম ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারেÑ আজ এ কথা ভাবতে গা শিউরে উঠছে। কিন্তু সে রাতে ঐ কথা আমিই জোর দিয়ে বলেছিলাম, আর আমারই ছিল ছোট দুই ছেলেসন্তান। ছেলেরা শুয়ে রইল।আমরা বড়রা দরজার দিকে মুখ করে রইলাম। জ্যান্ত সেদ্ধ হতে হয় কিনা সে ভাবনায় গোটা রাত উদ্বিগ্ন রইলাম। দূর থেকে গুলির আওয়াজ কানে আসতে লাগল।
সময় কারও জন্য বসে থাকে না। যথাসময়ে রাত পোহাল। ২৭ মার্চ সকাল। ট্রানজিস্টর খুলে বসে আছি, সামরিক বাহিনীর নির্দেশ শোনার জন্য। নির্দেশ- দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত কারফিউর বিরতি (পরে বিরতির মেয়াদ বেলা তিনটা পর্যন্ত করেছিল)। আগামী দিন সরকারী-বেসরকারী সব কর্মচারীকে কর্মস্থলে হাজির হতে হবে। অন্যথায় কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। কারফিউর বিরতির মাঝে যাদের কাছে আগ্নেয় অস্ত্র আছে তা যেন অবিলম্বে জমা দেয়।
কারফিউর বিরতির খবরে বিপদের মাঝে কিছুটা আশ্বস্ত হলাম এই ভেবে যে, বাইরে বের হয়ে অন্যান্য ভাইবোনের খবরাখবর নেয়া যাবে বা অন্য কোথাও নিরাপদ জায়গা দেখে আশ্রয় নিতে পারব।
বেলা সাড়ে দশটায় আমার সেজভাই (যে বের হয়ে যাওয়াতে খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম) একটি জীপে করে হাজির। আমাদের টাকাপয়সা ও সামান্য চাল-ডাল নিয়ে গাড়িতে উঠতে বলল। আমরা যে যেমন অবস্থায় ছিলাম তেমনি গাড়িতে চড়লাম। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ভাই বলল- সে দু’চারটা ছাত্রাবাস ও টিচারদের কোয়ার্টার ঘুরে যা দেখে এসেছে তা অকল্পনীয়। মেঝেতে রক্ত চটচট হয়ে আছে। আজও রক্তাক্ত দেহ হিড়হিড়িয়ে টেনে উপর তলা থেকে নিচে নামিয়েছে, তারই চিহ্ন ফোঁটা ফোঁটা রক্ত সিঁড়ির গায়ে লেগে আছে। ভাই কথা বলছে আর গাড়ি এগিয়ে চলছে। আমরা নাজিমউদ্দিন রোড়ের মুখে এসে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। লাশ, লাশ আরও ছড়িয়েছিটিয়ে.... কিছু লাশ জড়াজড়ি হয়ে পড়ে আছে। আমার গা শিউরে উঠল। গাড়ি এগোলো ফজলুল হক হলের দিকে, সেখানেও লাশ। বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড়চোপড় পরা লোক যেন রাস্তায় শুয়ে ঘুমোচ্ছে। তাদের কারও লেগেছে খুলিতে গুলি, কারও পায়ে বা বুকে। ঘুমোচ্ছে। ঘুমোচ্ছে/ চির ঘুম ঘুমোচ্ছে। ইয়াহিয়ার সৈন্যরা নিষ্ঠুর বর্বরতায় তাদের ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে। লাশের সারি পাশ কাটিয়ে গাড়ি এগোবার সময় আমার ছোট্ট অবুঝ ছেলে শুধাল, এরা রাস্তায় শুয়ে আছে কেন? ওদের ঘর নেই? ওদের বালিশ কোথায়? ওমা, ওদের গায়ে রক্ত কেন? বড় ছেলেটি বলল, দুর বোকা! তুই বুঝিসনে, ওদেরকে মেরে ফেলেছে। কে মেরেছে? পাঞ্জাবীরা মেরেছে? এবার আমার ভাই জবাব দিল, বাঙালী বলে? সামনে ট্রাকভর্তি মিলিটারি গাড়ি দেখে আমি ছেলের মুখে হাত দিলাম, ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম, শব্দ করতে নেই, কথা বলতে নেই। ঐ যে বেয়নেট উঁচানো সৈন্য আসছে রাস্তা দিয়ে, ওরা আমাদের ধরে নিয়ে যাবে। ছেলে নিশ্চুপ। গাড়ি এগুচ্ছে আর সামনের দিক থেকে ট্রাকের পর ট্রাক মিলিটারি আসছে। আরও সামনে রাস্তার দু’পাশে সঙ্গীন উঁচানো পিঁপিলিকার মতো সৈন্য আর সৈন্য। আমাদের সবার মুখ শুকিয়ে গেল। কি জানি হয়! তবু আমরা গন্তব্য স্থানে পৌঁছে গেলাম। ওমা, একি! যেখানে আশ্রয় নিতে এসেছি সেখানে কেউ নেই। সবাই পালিয়েছে। আশপাশের সব ফ্লাট খালি। সবাই নিরাপত্তার প্রত্যাশায় পুরনো শহরে ভিড় জমিয়েছে। আর আমরা পুরনো শহর ছেড়ে আশ্রয় নিতে এসেছি শহরের নতুন অংশেÑ ইস্কাটনে। অরুণিমা কোর্য়ার্টাসে। ভাইয়ের বন্ধু, যার বাড়িতে থাকব, তিনি অনুপস্থিত। ঘর খোলা, আমরা ঢুকলাম। বাড়ির সামনে দিয়ে জীপের পর জীপ মিলিটারিরা আধুনিক অস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছে। বাড়ির পাশেই মিলিটারি ক্যাম্প। আমার অরুণিমায় থাকার সাহস হলো না। আর আধঘণ্টা পরে কারফিউ আরম্ভ হবে। কারফিউর মাঝে যদি মিলিটারি এসে ঢোকে, তখন কি হবে? ওদের কাছে যে মা-বোনের ইজ্জতের দাম কানাকড়িও নেই। আমি মরিয়া হয়ে উঠলাম আমার পুরনো শহরের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য। আমার ভাই ফিরে যাবেন কিনা তা স্থির করে উঠতে পারলেন না। আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল। এমন সময় এক অকল্পনীয় জিনিস আমাদের আবিষ্কারে এলো। খবর শোনার জন্য ট্রানজিস্টরে নব ঘোরাতেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে খবর শুনলাম, শেখ মুজিব বেঁচে আছেন। আমরা তাঁরই নির্দেশে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য লড়ে যাচ্ছি। আপনারা মনোবল হারাবেন না।
এই দুর্যোগের মাঝেও আমাদের মনে বল এলো। আমরা নিশ্চিহ্ন হব না। আমরা লড়ছি। আমরা জয়ী হব। সম্বিত ফিরে পেলাম ঘড়ি দেখে। আরমাত্র তেইশ মিনিট বাকি। তারপর কারফিউ আরম্ভ হবে। আমরা ত্বরিত জীপে এসে বসলাম। গাড়ি উল্কার মতো ছুটে চলেছে। সামনে-পেছনে মিলিটারির গাড়িকে উপেক্ষা করে জীপ উল্কার মতো ছুটে চলেছে। রাস্তায় মাঝে মাঝে অগণিত লোকের লাইন দেখলাম, অস্ত্র জমা দিচ্ছে। আমার ভাইয়ের আগ্নেয়স্ত্রের কথা মনে হলো। বললাম জমা দেবে না। সে দৃঢ়কণ্ঠে বলল, না।
দশ মিনিটের মধ্যে বাসায় ফিরে এলাম। হাত-পা ছড়িয়ে বসলাম। বুক ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসে ওঠা-নামা করতে লাগল। ছোট ভাই ট্রানজিস্টরে ঢাকা স্টেশন ধরতেই শুনতে পেলাম কারফিউর বিরতির মেয়াদ বেলা তিনটা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী দিন সকাল সাড়ে সাতটায় সব সরকারী-বেসরকারী কর্মচারীকে কাজে যোগ দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর শাস্তি।
আমি একজন আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানের চাকুরে। আমার আদৌ ইচ্ছা নেই চাকরিতে যোগ দেবার। কিন্তু যোগ না দিলে যদি ঘর থেকে ধরে নিয়ে যায়! তখন কি হবে? কি করব? দ্বিধাদ্বন্ধে, সংশয় ও দুশ্চিন্তায় মাথা ঝ্মি ঝ্মি করছিল। মাথায় পানি দিয়ে বিছানায় শুলাম। ঘুমালাম।
তারপর দীর্ঘ নয় মাস নানা রকমের অসুবিধা ও দুর্যোগের মাঝে কাটাবার পর আমাদের আকাক্সিক্ষত স্বাধীনতাকে হাতে পেয়েছি। দীর্ঘ নয় মাসের মধ্যে বাধাবিঘেœর সম্মুখীন তো কম হইনি। কিন্তু তারমধ্যে ভয়ঙ্কর মনে হয়েছে ঐ তিনটি দিনইÑ২৫, ২৬ ও ২৭ মার্চ। এদিনগুলোর স্মৃতি কখনও ভোলার মতো নয়, তাই ভুলতে পারিনি। ভুলব না। প্রতিবছরেই মার্চের ঐ দিন ক’টা আমার সমস্ত স্নায়ুকে নাড়া দিয়ে সজাগ হয়ে ওঠে। আমি ফেলে আসা ভয়ঙ্কর অতীতকে রোমন্থন করি!
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: লক্ষ প্রানের বক্ষ রঙিন
রঞ্জিত বাংলার মাঠ ,ময়দান
বুক ফাটা আর্তনাদ আজও
গর্জে উটে আঁধারিয়া মৃত্যুর শ্মশান ।
শক্ত হাতে অশ্র ধরে বাংলার দামালেরা
অগ্নিঝরা উত্তাল দিনের বজ্র সে নিনাদ
কানে বাজে বিভীষিকায় অতি ভয়ংকরে
তবুও শপথ আঁকে বীর বাঙ্গালী
রক্ত দিয়েও স্বাধীনতা আনবে বিজয় করে ।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের
রক্তিম শুভেচ্ছা
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
আহমেদ রশীদ বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদঃ
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
বোকামন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য ....
“ এদিনগুলোর স্মৃতি কখনও ভোলার মতো নয়”