নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াত নিয়ে যত রহস্য

২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৬

সরকারের সঙ্গে জামায়াতের ‘সমঝোতার’ রহস্যজট খুলছে না! ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর রাজপথে জামায়াতের নীরব অবস্থান এক বিরাট রহস্য। উপরন্তু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নির্ধারিত তারিখে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর রায়ও হয়নি। আবার ওই দিন জামায়াতের পক্ষে হরতাল কর্মসূচির ঘোষণাও আসেনি, অথচ এর আগে ছোটখাটো বিষয়েও তারা হরতাল ডেকে দিত। এদিকে দলের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায় তিন মাস ধরে অপেক্ষমাণ। উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে ঝুলে আছে দলটির নিবন্ধনের ভাগ্য। অনেকগুলো বিষয় দীর্ঘদিন ঝুলে থাকায় এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে জামায়াতের ‘সমঝোতার’ গন্ধ খুঁজছেন খোদ দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে। তাদের মধ্যে এ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। জোটের প্রধান মিত্র বিএনপির মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে নানা সন্দেহ-সংশয়ের। সব মিলিয়ে সরকারের সঙ্গে জামায়াতের ‘রহস্যজট’ খুলছে না কোনো মতেই। তবে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের দাবি, সরকারের সঙ্গে জামায়াতের আঁতাতের প্রশ্নই আসে না। জামায়াত সম্পর্কে মানুষের মনে সন্দেহ ধরিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কিছু কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছে, এর বেশি কিছু নয়।জামায়াতের ঢাকা মহানগরের পল্টন থানার এক সদস্য জানান, সরকারের সঙ্গে জামায়াতের সমঝোতা অবাস্তব। সরকার ও জামায়াতে ইসলামী কোনো পক্ষের জন্যই সমঝোতা বাস্তবসম্মত নয়। আরেকজন সদস্য বলেন, ২৪ জুন মতিউর রহমান নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার জন্য ট্রাইব্যুনালের ধার্য করা তারিখের আগে দলের কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। পরবর্তীতে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রায় ঘোষণা না করার ঘটনা অনেক নেতা-কর্মীর মনে প্রশ্ন ও সন্দেহের সৃষ্টি করে। কারণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলের ছয় নেতার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ও পরের দিন হরতাল দিয়েছিল জামায়াত। জানা যায়, গত ২৪ জুন ছিল জামায়াতের আমির মাওলানা নিজামীর আপিলের রায় ঘোষণার তারিখ। কিন্তু হঠাৎ নিজামীর অসুস্থতার কারণে রায় ঘোষণা স্থগিত করায় গুঞ্জনে নতুন মাত্রা পেয়েছে। সরকারের আগ-পিছ অবস্থান দলটির মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। গত দুই মাসে দলের তিনটি সাংগঠনিক বৈঠকে সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি-না জানতে চেয়েছেন কর্মীরা। জবাবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কথা নাকচ করে দেওয়া হয়। জামায়াতের দাবি, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সফরকালে এই রায় ঘোষণার উদ্যোগ ছিল একটি রাজনৈতিক ফাঁদ। কিন্তু সে ফাঁদে পা দেয়নি জামায়াত। দলের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে তিন মাস ধরে অপেক্ষমাণ। তিন মাস ধরে আপিলের রায় অপেক্ষমাণ থাকাটা সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না অন্য কিছু তা নিয়েও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মনে সন্দেহ দানা বাধছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন নেতাদের বাঁচাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় কুলের সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে জামায়াতে ইসলামী। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত বিচারাধীন দলের শীর্ষ নেতাদের যে কোনো মূল্যে বাঁচাতে মরিয়া দলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এ কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আপাতত কঠোর আন্দোলনে না যাওয়ার কৌশল নিয়েছে জামায়াত। পাশাপাশি জোটের মিত্র বিএনপির সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে বর্তমান পরিস্থিতি উতরানোর চেষ্টা করছে দলটি। এদিকে দলের নীতি-নির্ধারকদের একাংশ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে সামনে রেখে আন্দোলনে নামার পাশাপাশি সরকারের শীর্ষ মহলের সঙ্গেও গোপনে যোগাযোগ রাখার পক্ষে। একই সঙ্গে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটেও থাকতে চান তারা। যদিও জামায়াতকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিতেও সন্দেহ অবিশ্বাসের কমতি নেই। ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক দল বিএনপিতে গুঞ্জন রয়েছে, জামায়াতকে এ জোট থেকে বের করে আগামী জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষে। লন্ডনে অবস্থানরত দলটির দায়িত্বশীল নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের কাছে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রী সম্প্রতি লন্ডন সফরে গিয়ে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন-এমন কথাও বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এরকমটা হলে জামায়াতকে দোষ দেয়া যাবেনা। ৯৬ এর তত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সাথে তাল মিলিয়ে রাজপথ তাতিয়েছে জামায়াত - ফল পুরোটাই খেয়েছে আওয়ামী লীগ। ২০০১ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বিএনপির সমস্ত অপকর্মের দায় কাধে নিতে হয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আরোহণের পর থেকে বিএনপি ঘোষিত সমস্ত আন্দোলন কর্মসূচী এককভাবে চালিয়েছে জামায়াত - এজন্যে তাদেরকে বর্ণনাতীত ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে। হেফাজতের কর্মসুচী সফল করতে সম্ভব সব কিছুই করেছে জামায়াত। কিন্তু জামায়াতের ঘোর দুর্দিনে কোন দলই পাশে এসে দাড়ায়নি। এখন জামায়াত যদি ক্ষমতাসীনদের সাথে আপোষ করে ক্ষয় ক্ষতি কিছুটা পুশিয়ে নিতে পারে - তবে সমস্যা কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.