নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টানা আন্দোলন চান তারেক রহমান

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭





বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। দীর্ঘদিন দেশ থেকে দূরে থাকা তারেক রহমান চান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফের টানা আন্দোলন শুরু করতে। যে আন্দোলন শত বিপত্তিতেও স্থগিত হবে না।



সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।



সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান মদীনায় মসজিদে নববীর পাশে দারুল আমান হোটেলে অবস্থান করছেন। পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা মক্কার উদ্দেশে রওনা হবেন।



সৌদি বাদশাহ’র আমন্ত্রণে সফররত খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান, কন্যা জায়মা রহমান, খালেদা জিয়ার দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানরা।



নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের সিনিয়র একজন নেতা বলেছেন, ‘তারেক রহমান এখন অনেক বেশি পরিণত। তিনি জানেন কীভাবে সামনে এগোতে হয়। তিনি চাইছেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফের টানা আন্দোলন শুরু করতে। যে আন্দোলন শত বিপত্তি সত্ত্বেও স্থগিত হবে না।’



ওই নেতা আরও বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর হতাশাগ্রস্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনা কেবল নতুন নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব বলে মনে করছেন তারেক রহমান। তার ধারণা সরকার বেশি দিন স্থায়ী হলে তা আরও বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে। আর এতে করে নেতাকর্মীরা দলের প্রতি আস্থা হারাবে। জুলুম-নির্যাতনের ঘেরাটোপ থেকে তারা সহজে বের হতে পারবেন না। মদীনায় নেতাকর্মীদের আকর্ষণের মূল জায়গাও তারেক রহমান। তাকে দেখার জন্য, একটু হাত মেলানোর জন্য প্রবাসী নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ দেখা গেছে।’



জানা গেছে, মদীনায় তারেক রহমান এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য রাখেননি। তবে সৌদি থাকা অবস্থায় তিনি জেদ্দাতে একটি সমাবেশে অংশ নিতে পারেন।



এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান পবিত্র মদীনা শরীফে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সোমবার রাত ১২টার দিকে তারা মসজিদে নববীতে অবস্থিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)- এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।



এ সময় সঙ্গে ছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী এনামুল হক চৌধুরী, তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রকীবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব প্রমুখ।



এর আগে রবিবার মসজিদে নববীর ২২ নম্বর গেটের সামনের খোলা জায়গায় সৌদি বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মোনাজাত ও ইফতার করেন তারেক রহমান। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের স্থানীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী।



জানা গেছে, তারেক রহমান প্রতি ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করছেন এবং নফল ইবাদতের পর বিশেষ মোনাজাত করছেন।



সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রবিবার ভোরে মদীনায় পৌঁছার পর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুই দিনের পারিবারিক সম্মিলনের পাশাপাশি ৪ বার একান্ত বৈঠক করেছেন। এ সব বৈঠকের আগে ও পরে তারা দলের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগী হন। এতে সহায়তা করেন তিন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল খান ও সাবেক ছাত্র নেতা রকীবুল ইসলাম বকুল।



সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বৈঠকগুলোতে মূলত দলের পুনর্গঠন এবং আন্দোলনের নতুন রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।



সেখানে সফরসঙ্গী ছাড়াও আরও রয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী, বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বিএনপি নেতা ও সৌদি আরব সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, সৌদি পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকীব, তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক আব্দুল জলিল, জেদ্দা মহানগর বিএনপি নেতা কেফায়েতউল্লাহ চৌধুরী, এম আজাদ চয়ন, মনিরুজ্জামান তপন, সৌদি যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এরশাদ আহমেদ, বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান, আবু সাঈদ, আলতাফ হোসেন, ফারুক মমতাজ, শ্রমিক দলের নেতা আব্দুল মান্নান, মাসুদ আহমেদ, জাসাস নেতা আমিনুল ইসলাম, তাঁতীদলের নেতা মো. রিপন, বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান, মোস্তাক আহমেদ, আকতার হোসেন, টিপুসহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

নিজাম বলেছেন: তারেক রহমান। দেশে আসুন। আন্দোলন করুন। তার আগে তাকে সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসতে হবে। ওখানেও তিনি যুদ্ধাপরাধীর পুত্রের সাঙ্গে আছেন। এটি বিএনপি-র একাংশের কাম্য নয়। বিদেশে বসে আরাম-আয়েশ করে আন্দোলন হয়না। জেল-জুলুম হুলিয়া সহ্য না করে কোন বড় নেতা হওয়া যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.