নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা জিয়ার বিশেষ দূত জামায়াত নেতা

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭

জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ করায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে দলের ভিতরে। সর্বত্র একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে- কে এই বিশেষ দূত। নাম তার মোহাম্মদ ইনামুল হক চৌধুরী। কোথাও তিনি মোহাম্মদ, আবার কোথাও ইনাম নামে পরিচিত। কিছু দিন আগেও তিনি জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শুরার সদস্য ছিলেন। কিন্তু এখন তা অস্বীকার করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেটের সাবেক এমপি জামায়াত নেতা মাওলানা ফরিদউদ্দিন চৌধুরীর মেয়েজামাই ইনামুল হক চৌধুরী সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নিজেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। এখনো জানেন কি না কেউ নিশ্চিত নন। তবে ঢাকায় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় আর সৌদি আরবে ইনামুল হকের যাতায়াত নিয়মিত। তিনি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রায়ই চিঠিপত্র নিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইনামুল হকের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হলো তিনি আরবি ভাষা জানেন, আর এ জন্য চেয়ারপারসন কার্যালয়ভিত্তিক কিছু নেতা তাকে সমর্থন করছেন। তবে বিশেষ দূত হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত তাকে কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়।পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কূটনৈতিক কোর কমিটি : বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পর গত ঈদের আগে পাঁচ সদস্যের কূটনৈতিক কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৭ জুলাই কোর কমিটির প্রথম বৈঠকেই বাকবিতণ্ডা আর ঝগড়াঝাঁটির ঘটনা ঘটে। অথচ চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক নিজেও জানতেন না এ উপদেষ্টা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আর এ কথা শোনার পর পররাষ্ট্রবিষয়ক এই উপদেষ্টা কমিটির সদস্যসচিব নিজেও পদত্যাগ করেছেন। তবে চেয়ারপারসন এ কথা জানার পর সদস্যসচিবকে ব্যক্তিগতভাবে একা একা কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট অন্য একটি সূত্র জানায়, নবগঠিত এ কূটনৈতিক কোর কমিটি প্রথমে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চেয়ারপারসনের দুজন উপদেষ্টা নিয়ে গঠিত হলেও পরে অবস্থা বেগতিক দেখে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক এবং অন্য একজন আইনজীবী মহিলাকেও সদস্য করা হয় বলে আহ্বায়ককে জানানো হয়। পরে গত ঈদের এক দিন আগে গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি রাজনীতিতে ‘আমলা’ আর ‘কামলা’ রাজনীতিবিদদের অবদান নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত তা কোনোক্রমে মীমাংসা হয়।এ প্রসঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত চেয়ারপারসনের একটি উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক বলেন, সেদিনের ঘটনা শেষে উপস্থিত ‘আমলা’ রাজনীতিবিদরা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, শুধু কিছু ‘প্রটোকল মেইনটেইন’ করা আর কয়েকজন হাইকমিশনার বা রাষ্ট্রদূতের দেখা-সাক্ষাতের পর ‘প্রেস ব্রিফিং’ করার মধ্যে তেমন কোনো ফায়দা নেই। এ ক্ষেত্রে বরং ‘কামলা’ রাজনীতিকদের অবদান সহস গুণ বেশি। ‘আমলা’ রাজনীতিকদের এ একটু-আধটু ‘প্রটোকল মেইনটেইন’ কর্মকাণ্ডে বিদেশেও যেমন দলের অবস্থান সুদৃঢ় হয় না, তেমনি তাদের পক্ষে দেশের সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তার বিপরীতে ‘কামলা’ রাজনীতিবিদরা যে কোনো সময়ই সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে পারেন। কারণ ‘কামলা’ রাজনীতিকদের উত্থানটাই হলো সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে। আর এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো বড়াই করারও কিছু নেই আমলা রাজনীতিবিদদের। কারণ বাংলাদেশে এমন অনেক ‘কামলা’ রাজনীতিক রয়েছেন যারা শিক্ষা-দীক্ষা, অভিজ্ঞতা সব কিছুতেই বেশির ভাগ ‘আমলা’ রাজনীতিকের চেয়ে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.