![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মির্জা ফ, ই আলমগির রাজনীতিতে নবাগত , আগের মহাসচিব দের তুলনায় , মান্নান ভুইয়ার কাছের মানুষ হিসাবে তার রাজনিতিতে ঊখান , ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্পর্কে জানার আগ্রহ নিয়ে তার নিবাচনী জেলায় পেশা গত দায়িত্ব পালনের জন্য ৩ দিন থেকে তার সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্ব পুন তত্ত জানা যায় । ঢাকা শহরে মানুষের ও তার ব্যাপারে বিশেষ জানার আগ্রহ ছিল । কে এই মির্জা ফ, ই আলমগীর ----? ফখরুল ইসলাম আলমগীর (জন্মঃ ১ আগস্ট, ১৯৪৮ সাল ) তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৪৮ সালের ১ আগস্ট তারিখে ঠাকুরগাঁও জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়ার জন্মগ্রহণ ঠাকুরগাঁও জেলার নিকটবতী পঞ্চগড় জেলার , আটোয়ারী থানার মির্জাপুর পাড়ায় । সে সময় সে এলাকার নেতা ছিলেন মির্জা গোলাম হাফিজ । মির্জা গোলাম হাফিজের কাছে রাজনীতিতে ভাল করতে না পেড়ে , মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া ঠাকুরগাঁও জেলায় চলে আসেন । মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়ার সে সময় ঠাকুরগাঁও জেলার একক পেট্রোল পাম্প ও সিনেমা হল ব্যবসায়ী ছিলেন, আজও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দের পেট্রোল পাম্প ও সিনেমা হল ব্যবসা আছে, সিনেমা হলের নাম বলাকা টকিজ, পেট্রোল পাম্প নাম মির্জাস পেট্রোল পাম্প । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া মুসলিম লীগ করতেন , ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার ও চেয়ারম্যান , ১৯৭১সালে ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যতম স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন ।
জিয়াউর রহমানের আমলে BNP তে যোগ দিয়ে ১৯৭৯ সালে ঠাকুরগাঁও ২ আসন থেকে ১ম MP হন । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া ঠাকুরগাঁও জেলার আধিবাসী না হওয়ায় জিয়াউর রহমান মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া কে ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও ১ আসন (সদর) না দিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরের বাহিরের ঠাকুরগাঁও ২ নম্বর আসনে BNP র মনোয়ন দেন । সে সময় ঠাকুরগাঁও ১নম্বর আসন (সদর) থেকে BNP র MP হন হাজী দানেশের জামাতা রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী ।
১৯৮৬সালে BNP নির্বাচন না এলে , মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা BNP নেতা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া ও হাজী দানেশের জামাতা BNP নেতা রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী নিবাচনের পর , এরশাদ সরকার আগে জাতীয় পাটিতে যোগ দেন , BNP র এ দুনেতা । ১৯৮৬সালে এরশাদ সরকারের টেকনোকেরেট কটায় এরশাদ সরকারের কৃষি মন্ত্রী হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া । রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরীর বউ, হাজী দানেশের মেয়ে কে করা হয় সংরক্ষিত আসনের মহিলা MP । ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল এরশাদ সরকারের কৃষি মন্ত্রী ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া ।
আওয়ামী লীগ ১৯৮৭ সালের শেষের দিকে সংসদ থেকে পদ ত্যাগ করিলে , এরশাদ সংসদ বাতিল করে দিলে , ১৯৯৮৮ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও ২ নম্বর আসন থেকে জাতীয় পাটি থেকে MP হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া । ১৯৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের কৃষি মন্ত্রী থেকে বাদ পড়েন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া, সে সময় ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে হাজী দানেশের জামাতা রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী কে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী করা হয় ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া ১৯৮৮সাল থেকে ১৯৯০ এরশাদ সরকারের পতনের আগ পযন্ত জাতীয় পাটির MP ছিলেন । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া ও রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী ঠাকুরগাঁও জেলার BNP ধ্বংস করে ১৯৮৬সালে এরশাদের জাতীয় পাটিতে যোগ দেন । সে সময় ঠাকুরগাঁও জেলার BNP কে যারা ধরে রেখে ছিল , তারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া ও রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরীর দ্বারা নানা ভাবে নির্যাতিত হন ।
ছাত্র রাজনীতি ও রাজনীতিতে প্রবেশ
মির্জা ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ও সন্মান ডিগ্রী অর্জন করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন,শুরুতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মোনায়েম খাঁনের NSF পরে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (অধুনা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) BNP র সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার মাধ্যমে যোগ দেন । তিনি ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের একজন সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটির এস.এম. হল শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।১৯৬৯সালে তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন . তখন পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপের, BNP র সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া central সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের জড়িত পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাজী জাফর , রাশেদ খান মেনন, আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন । শিক্ষকতা ও অন্যান্য সরকারী দায়িত্ব
১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে মির্জা ফখরুল অধ্যাপনাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রশাসনের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী এস.এ. বারির একজন ব্যাক্তিগত সচিব ছিলেন, যে পদে তিনি ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বহাল ছিলেন। এস.এ. বারি উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার পর মির্জা ফখরুল তার শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যান, এবং ১৯৮৬ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। কিছু দিন তিনি দিনাজ পুর সরকারী কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৮৮সালে এরশাদের আমলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শিক্ষা বিভাগের DG ছিলেন । এরশাদের আমলে অন্যান্য সরকারী দায়িত্বের মধ্যে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ সরকারের পরিদর্শন ও আয়-ব্যায় পরীক্ষণ অধিদপ্তরে একজন অডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া জিয়া সরকারের MP ও এরশাদ সরকারের মন্ত্রী থাকায় দু সরকারের আমলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারী বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন ।
রাজনীতি তে প্রবেশ
১৯৯৮৮ সালে এরশাদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়াকে মন্ত্রী থেকে বাদ দিলে, সে সময় ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে হাজী দানেশের জামাতা রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী কে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী করা হলে , মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া মির্জা পরিবারের রাজনীতি প্রভাব ধ্বংসের পথে ভেবে , ১৯৮৯ সালে পৌরসভা নির্বাচন কে সামনে রেখে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া , মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কে শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি নিতে বলেন , মির্জা ফখরুল ১৯৮৯ সালে পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মির্জা ফখরুল তার শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি নেন এবং ১৯৮৯ সালের পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেন নির্দলীয় হিসাবে এবং ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর কিছু খবরের কাগজে , তিনি BNP লোক বলে প্রকাশিত হলে , তিনি প্রতিবাদ জানান , তিনি আদও BNP লোক নয় , বলে প্রতিবাদ জানান যা খবরের কাগজে তা প্রকাশিত হয় । ১৯৯০সালে শুরুর দিকে এরশাদ ঠাকুরগাঁও এলে জনসভায় তিনি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে বক্তব্য রাখেন , এরশাদ ঠাকুরগাঁও পৌরসভার জন্য ২কোটি টাকা দেন ।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এরশাদের minster ছিলেন , ১৯৮৮সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদের জাতীয় পাটির MP ছিলেন । ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর BNP তে ছিলেন না, এরশাদের পতনের পর ঠাকুরগাঁও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতারা মিছিল নিয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করে , মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা এরশাদের দোসর মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া কে খোঁজাখুঁজি করেন , তখন এরশাদের দোসর মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া আত্মগোপনে চলে যান । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে BNP তে এসেছেন, ১৯৯১ সালে মির্জা ফখরুল বিএনপির প্রাথী মনোনীত হওয়ার পর , মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাবা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া জাতীয় পাটি থেকে পদত্যাগ করেন , ছেলে বিএনপির প্রাথী , জাতীয় পাটি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হতে পারে এ ভেবে ।
১৯৯১ সালে মির্জা ফখরুল যখন BNP র মনোনয় , তখন মির্জা ফখরুল BNP র ঠাকুর গাঁও জেলার প্রথমিক সদস্যও ছিলেন না । মির্জা ফখরুল ১৯৯১ সালে তার দিনাজ পুর কলেজের এক সময়ের ছাত্র , খালেদা জিয়ার বিশেষ রাজনীতি সহকারী এম, এ , জলিলর মাধ্যমে ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে BNP র মনোনয় লাভ করেন , সে সময় তাকে সহয়তা করেন , তার চাচা BNP র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা গোলাম হাফিজ । মির্জা ফখরুলের BNP র মনোনয় পাওয়া নিয়ে সে সময় ঠাকুর গাঁয়ে প্রচুর সমালোচনা হয় । সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যারা BNP করতেন ,তারা মির্জা ফখরুলের নিবাচন বয়কট করে । ফলে মির্জা ফখরুল ১৯৯১ সালে নিবাচনে চরম ভাবে পরাজিত হন ।
জেনারেল এরশাদের ক্ষমতাচ্যুত পর জাতীয় পাটি MP ও মন্ত্রী ছেলে মির্জা ফখরুল বিএনপির প্রাথী মনোনীত হওয়ায় ঠাকুরগাঁও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলে । ঠাকুরগাঁও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যে এরশাদের দোসর তালিকা বানান , সে তালিকায় তার বাবা ও মির্জা ফখরুলের নাম ছিল । মির্জা ফখরুলের নামে দালাল প্রতিরোধ কমিটি বিভিন্ন পোস্টার বের করে । সে সময় ঠাকুরগাঁও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যে সাথে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যে সব নেতা জড়িত ছিলেন, মির্জা ফখরুল তাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করেন ১৯৯১ সালের পর ।
সংসদ নির্বাচন ও মন্ত্রীত্ব
মির্জা ফখরুল ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান। নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী খাদেমুল ইসলামের কাছে ৩৫হাজার ভোটে হেরে যান।
১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান এবং আবারও আওয়ামী লীগের খাদেমুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন।
মির্জা ফখরুল ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেনের সাথে প্রতিযোগীতা করেন, এবং ১ম এম, পি হিসাবে জয়লাভ করেন।
১ম এম, পি হয়ে , মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ২০০১ সালের অক্টোবরের নব নির্বাচিত বিএনপি সরকার তার মন্ত্রীসভা ঘোষণা করলে মির্জা ফখরুল সেখানে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। পরে মীর নাসির কে বাদ দিলে মন্ত্রীসভায় পরিবর্তন আনা হলে মির্জা ফখরুল বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর পদ লাভ করেন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কারনে , যেটিতে তিনি ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বহাল ছিলেন। মির্জা ফখরুল ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে পরাজিত হন।
বিএনপির পদবী
১.মির্জা ফখরুল ১৯৯১ সালে কৃষক দলের ৩নং সহ- সভাপতি হন । তখন কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া, সাধারন সম্পাদক হন শামসুজ্জামান দুদু . সে সময় ১নং সহ- সভাপতি ছিলেন মাহাবুবুল আলম তাঁরা , ২নং সহ- সভাপতি ছিলেন মজিবর রহমান ।১৯৯৬ সালে আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া BNP র মহাসচিব হলে , কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন মাহাবুবুল আলম তাঁরা । ২০০১ সালে মাহাবুবুল আলম তাঁরা আওয়ামী লীগে চলে গেলে , কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান । ২০০৬ সালে মজিবর রহমান বিকল্প ধারায় চলে গেলে , মির্জা ফখরুল ইসলাম কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন । কৃষক দলের ৩নং সহ- সভাপতি পদ ছিল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীরের BNP র রাজনীতি জীবনের ১ম পদ ।
২. ১৯৯১সালে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর, তার চাচা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মির্জা গোলাম হাফিজ মাধ্যমে , ঠাকুরগাঁও জেলার BNP র সভাপতি হন মির্জা ফখরুল, তার অনুগত কে সাধারন সম্পাদক করেন । সে কমিটি কে BNP র মহাসচিব আব্দুস সালাম তালুকদার অনুমদন দেন ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দেন নাই । পরে তার চাচা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মির্জা গোলাম হাফিজ মাধ্যমে অনুমদন নেন ঠাকুরগাঁও জেলার BNP র কমিটির। তার পর থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার BNP র ত্যাগী নেতা কর্মীদের দূরে সরিয়ে রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর । BNP র দুর্দিনে কাণ্ডারি এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সময় ঠাকুরগাঁও জেলার BNP র সভাপতি তো্যাবুর রহমান রঞ্জু কে ও সাধারন সম্পাদক ইকবাল কে ঠাকুরগাঁও জেলার BNP দূরে রাখেন । হতা্শায় জেলা BNP র সাবেক সভাপতি তো্যাবুর রহমান রঞ্জু ১৯৯৫ সালে ও ১৯৯৮সালে জেলা BNP র সাবেক সাধারন সম্পাদক ইকবাল মারা যান । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর দ্বারা নানা ভাবে নির্যাতিত হন । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর তাদের অসুখের সময় পাশে দাঁড়ায়নি ও সামান্য সাহায্য করেনি । ১৯৯১সাল থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর তার আনুগত দের নিয়ে থানা কমিটি সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক করেছেন , তার BNP র জেলা সভাপতি টিয়ে রাখার জন্য , ফলে সংগটন দুর্বল থাকার কারনে ঠাকুর গাঁও জেলায় BNP ভাল ফলা ফল করতে পারেনি আজও । ৩. ১/১১ সময় সংস্কার পন্থী আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার বাসায় তার সাথে বেশ কয়েক বার দেখা করেন । ২০০৭সালে বগুরায় হুঊফ রেজাউল হক বারী ডীনার বাসায় এক মিটিং এ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর কে সংস্কার পন্থী BNP র রাজশাহী বিভাগীয় আহ্বায়ক করা হয় । সংস্কার পন্থী জেনারেল মাহাবুবুর রহমান , মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীরের আপন বড় বোনের জামাই ।
৪. ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে বিএনপির ৫ম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বিএনপির যেসব নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে আশা করা হয়েছিল, তাদের একজন ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম মূলত বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন, যে পদে তিনি দলের ৫ম জাতীয় সম্মেলনে মনোনীত হন। ২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করলে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন। সম্মেলনে মির্জা ফখরুলকে বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব পদে মনোনীত করা হয়।
ব্যাক্তিগত জীবন ও পরিবারঃ
*মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবাহিত এবং দুই মেয়ের জনক। তার ভারতীয় বংশ ভুত স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বর্তমানে ঢাকার Delta বীমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তার বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ও ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন।
* মির্জা ফখরুলের বাবা মির্জা রুহুল আমিন ঠাকুরগাঁও থেকে, স্বাধীনতার আগে ও পরে একাধিক বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মুসলিম লীগ, বিএন পি ও জাতীয় পাটি থেকে । মির্জা ফখরুলের বাবা এরশাদ সরকারের মন্ত্রী মির্জা রুহুল আমিন ১৯৯৬সালে মারা গেছেন ।
মির্জা ফখরুলের দু ভাই মির্জা ই্কবাল আমিন ও মির্জা ফয়শাল আমিন । মির্জা ই্কবাল আমিন BNP সরকারে এলে ঠাকুর গাঁয়ের সব টিকাদারী নিয়ন্থন করেন , মির্জা ফখরুলের হয়ে , অপর ভাই ৮০ দশকে মির্জা ফয়শাল আমিন জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটি এরশাদের নূতন বাংলার ছাত্র সমাজের সভাপতি ছিলেন । মির্জা ফয়শাল আমিন তার বন্ধুর বউ কে নিয়ে পালিয়ে যান U.S.A এটা তার ২য় বিয়ে । ২০০১সালে BNP সরকারে এলে মির্জা ফয়শাল আমিন দেশে ফিরে আসেন টিকাদারী শুরু করেন । বতমানে মির্জা ফয়শাল আমিন বলাকা টকিজ সিনেমা হলের MD ও জেলা BNPর সহ- সভাপতি ।
* মির্জা ফখরুলের সম্পর্কিত চাচা মির্জা গোলাম হাফিজ একজন বিএনপি নেতা, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের স্পীকার। মির্জা হাফিজ ১৯৭৮-১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারে ভুমি মন্ত্রী, ১৯৭৯-১৯৮২ সালে বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে স্পীকার এবং ১৯৯১-১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারে আইন, বিচার ও সংসদ হিসেবে দায়িত্ম পালন করেন । মির্জা গোলাম হাফিজ ছেলে মির্জা ই রফান বাবু ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন । * মির্জা ফখরুলের অপর চাচা উইং কমান্ডার এস আর মির্জা এপ্রিল ১৯৭১-এ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার, যেটি মুজিবনগর সরকার নামে খ্যাত, সরকার কর্তৃক ডাইরেক্টোরেট অফ ইয়ুথ ক্যাম্পের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
* মির্জা ফখরুলের অপর চাচা মির্জা রফিকুল ইসলাম ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯১ ঠাকুরগাঁও জেলার বাকশালের সভাপতি ছিলেন । ১৯৯২ সাল থেকে মির্জা রফিকুল ইসলাম ২০০১ ঠাকুরগাঁও জেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন । ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রাথীর বিপক্ষে নিবাচন করায় আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়েন ।
* মির্জা ফখরুলের দুলা ভাই জেনারেল মাহাবুব সেনা প্রধান ছিলেন । বতমান BNP র স্থায়ী কমিটির সদস্য । ১/১১ সময় সংস্কার পন্থী আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার সাথে ছিলেন । ১৯৮৬ থেকে সালে জেনারেল মাহাবুব তার শ্বশুর , মির্জা ফখরুলের বাবা মির্জা রুহুল আমিন কে এরশাদের minster হতে লীয়াজো করেছিলেন , জেনারেল মাহাবুব ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯১শাল আনসার ভিডিপি র মহাপরিচালক ছিলেন ।
*মির্জা ফখরুলের অপর চাচাতো দুলা ভাই এ কে খন্দকার বিমান বাহিনী প্রধান ছিলেন ।আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ছিলেন , মির্জা ফখরুল তার বাসায় মাঝে মাঝে আত্মগোপন থাকতেন
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:০৭
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: এত দেখি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার বাবা BNP নেতা মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া। দেখি সব সুবিধা নেতা। নোয়াখালীর মৌদুদ টাপের নেতা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১১
প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন: অনেক তথ্য দিলেন।