![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা গতকাল সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে ৫৮১ জন যাত্রীবোঝাই থাইল্যান্ডের একটি জাহাজ আটক করেছেন। এ সময় জাহাজের আরও ১৪ জন ক্রুকেও আটক করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী চট্টগ্রাম নৌঘাঁটির (চোরাচালান প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত) কমান্ডার জসিমুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজবোঝাই ৫৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ২০ জন নারী ও শিশু রয়েছে। যাত্রীদের অধিকাংশ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করে জাহাজটি থ্যাইল্যান্ড ফেরার পথে কক্সবাজার উপকূল থেকে যাত্রী তুলছিল। গতকাল সোমবার বেলা দুইটার দিকে নৌবাহিনীর ‘বিএন দুর্জয়’ নামে একটি টহল জাহাজ ওই জাহাজটিকে ধাওয়া দেয়। পরে থাই জাহাজটি আটক করা হয়।
নৌবাহিনী সেন্ট মার্টিন স্টেশনের লে. কমান্ডার মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীবোঝাই বিদেশি জাহাজটি সেন্ট মার্টিনের দিকে আনা হচ্ছে। কাল (আজ মঙ্গলবার) সকালে যাত্রীসহ আটক ক্রুদের পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার উপকূল এখন মানব পাচারের নিরাপদ ঘাঁটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানব পাচারের জন্য বিভিন্ন স্থানে একাধিক বাহিনী গড়ে উঠেছে। সাধারণ লোকজনকে অপহরণ করে বস্তায় ভরে ট্রলার বা জাহাজ তুলে দেওয়া হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শহরের নুনিয়াছটা, ফিশারিঘাট, নাজিরাটেক, সমিতিপাড়া, মহেশখালীর সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, কুতুবজোম, ধলঘাটা, টেকনাফের বাহারছড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপসহ জেলার অন্তত ৬০টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে মালয়েশিয়া পাঠানোর নামে সমুদ্রে ঠেলে দিচ্ছে দালালেরা। গত তিন বছরে একাধিক ট্রলারডুবির ঘটনায় অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার উপকূলজুড়ে মানব পাচার ঠেকাতে পুলিশের সার্বক্ষণিক কোনো টহল দল নেই। মানব পাচারের খবর পেলেই নিকটস্থ ফাঁড়ি থেকে গিয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
এহসান সাবির বলেছেন: শুনলাম জাহাজ ছিল না, ওটা ট্রলার, কি ভয়ানক....!