নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই ফেব্রুয়ারিতে-'এনালগ যুগের কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন এর একটি বিখ্যাত কবিতাংশ '/ আহমেদ রুহুল আমিন

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২২



।। ফে ব্রু য়া রী তে জ নৈ ক বা গা ন মা লি ক ।।
=====================

'কবি' ও 'কুকুরদের' এইখানে আসতে দিওনা ।
আমাদের সুখের নিদ্রায় ওরা বড়ো উৎপাত।
কবি ও কুকুরদের দূরে রাখো
বিশেষত এই মাসে,
ওরা শুধু কবরের মাটি খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে ।
কালকাসুন্দের পাতা লেপেছি এ হৃদয়ের সুগভীর ক্ষতে,
স্মরণের ডালাগুলো একে একে বন্ধ করে লাগিয়েছি চাবি,
বাগানের কোথাও পাবেনা খুঁজে এক ফোটা লাল রক্তপাত,
যুদ্ধের সকল চিহ্ন শহুরে দেয়ালগুলো কবেই মুছেছে -
নিপুনা নটিনী যথা রাতের সকল প্রসাধন
তুলে ফেলে পুনর্বার সেজে নেয় নবতর নাচের সন্ধ্যায়।
আমাদের রমণীরা কোন কালে ধর্ষিতা হয়েছে কিনা
তাদের ভ্রুভঙ্গি দেখে হাসির ফোয়ারা দেখে
ভুলেও পড়েনা মনে । আমাদের জননীরা শুধু
মাঝে মাঝে আজো কাঁদে , এই যত বিড়ম্বনা ,
বিশেষত এই মাসে
কবি ও কুকুরদের পাড়াময় আর্তনাদ কানে ভেসে আসে,
ওরা শুধু কবরের মাটি খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে ।
………………………………………………………
………………………………………………………
কবি ও কুকুরদের এইখানে আসতে দিওনা ।
ওদের নখরে শুধু উঠে আসে স্মৃতির কবর থেকে মৃত
ভায়ের বোনের লাশ, আমাদের সমাহিত স্মৃতির কাফন ।
কবি ও কুকুরদের দূরে রাখো
বিশেষত এই মাসে,
ওরা শুধু কবরের মাটি খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে ।
===============
ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য্য থাকাকালীণ এইতো সেদিন অকাল প্রয়াত উত্তর আধুনিকতার এই বরেণ্য কবি এর আগে অধ্যাপনা করেছেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাও আবার ইংরেজী সাহিত্যে । ঐতিহ্য সূত্রকে ছিন্ন না করেও আশির দশকে তিনি বাংলা কবিতার মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন নন্দনের নতুন অভিমুখে ; কালের সমূহ সংলাপ কন্ঠে ধারণ করেও উচ্চারণ করেছেন চিরকালীণতার শব্দমালা ; দর্শন ও জীবনের নানা মাত্রিকতার সমিকরণ তাঁর কবিতাকে করেছে গভীর ও তীক্ষèধার । সেই সময় সমসাময়িক আরো অনেক গুণি কবি-লেখকদের তখন একটা আলাদা জগৎ বাংলাদেশে গড়ে উঠেছিল । মুলতঃ ঢাকাকেন্দ্রীক এই জগৎ সারা বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্টেশন করতো কিছু সুস্থ ধারার সাহিত্যসাময়িকীর মাধ্যমে । এমন কয়েকটির নাম ছিল-কবিতাপত্র একবিংশ (তাঁর সম্পাদিত ) ,সাহিত্যপত্র, বই, সচিত্র সন্ধ্যানী কিংবা দৈনিক পত্রিকা গুলোর মধ্যে দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলাসহ তখনকার প্রতিষ্ঠিত সব দৈনিকের সাপ্তাহিক বিশেষ প্রকাশনার বিশেষ পাতায় যা উম্মুখ হয়ে সাহিত্য প্রেমিদের এইসব গুণি লেখকদের লেখার সাখে এক বিনিসুতোর বন্ধণ তৈরী হয়েছিল । তার সাথে যুক্ত ছিল বাৎসরিক বই মেলায় প্রকাশিত নুতন বই এর সমাহার । এক অজানা আনন্দে পাঠকেরা হুমরী খেয়ে পড়ত বই মেলার নুতন বই এর স্টল গুলোতে । সেই সাথে থাকতো প্রিয় লেখকদের অটোগ্রাফ নেয়ার প্রতিযোগিতা । সেই এনালগ যুগের কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন কিংবা সমসাময়িক সেইসব গুণি কবিদের প্রাণবন্ত কবিতা কি আজকের ডিজিটাল মানুষকে আকর্ষণ করে ? এর জবাব – হয়তো হ্যাঁ , হয়তো না !!( তাঁর 'ফে ব্রু য়া রী তে জ নৈ ক বা গা ন মা লি ক' – কবিতার কিয়দাংশ এই প্রজন্মের কবিতা প্রেমিকদের জন্য পোস্ট দিলাম । )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.