নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

।।আমাদের ঐশিরা , আমাদের শান্তরা …।।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৪


কী এক দেব শিশু জঠরে ধারণ করলে জননী !
জীবনের অনিবার্য্য চাওয়া -পরম আত্মজা ,
পৃথিবীর তাবৎ জনকের কাঙ্খিতা নিসর্গ ।
একমাত্র তুমুল বিশ্বাসকে পুঁজি করে বিশ্বাসঘাতক
আর প্রাণঘাতক রুপে বেড়ে উঠে একোন ভীনগ্রহী এলিয়েন ।
মূহুর্তেই স্তব্ধ করে দিল জনক -জননীর টেলিপ্যাথিক সহাবস্থান !!
সব জনক-জননীরাইতো সন্তানদের পৃথিবীতে
বাসযোগ্য করে গড়ে তোলে -
তীলে তীলে মাকরসার পরিণতি ভোগ করে !
( মনুষ্য জীবনতো মাকরসার সাথেই তুলণীয়-
যেখানে সন্তানদের আজীবন আকরে ধরে
দেহের রক্ত-মাংস বিলীণ করে জীবনের হাট সাঙ্গ করে ! ) ।
পৃথিবীর তাবৎ মানূষ তাদের মৃত্যুদন্ডের পক্ষে ।
অথবা আজীবন বন্ধ্যা কিংবা অসমলিঙ্গের
‘ খোঁজাও ’ কামনা করে কেউ কেউ ।
যেন তারা বুঝুক – ¯স্রষ্টার সৃষ্টি বিকাশে
অন্তরায় সৃষ্টির সর্পিল নরক যন্ত্রণা !
অনেকেই চায়-
ঐশি আর শান্তরা ‘ঐশি’ ও ‘শান্তই’ হয়ে থাক,
যেন তাদের ঔরশে জন্ম নেয় আরেক ‘ঐশি’ বা আরেক ‘শান্ত’ ,
আর হারে হারে টের পাক আজীবন হাবিয়া দোযখের ওম !
বড়ো এক সময় গেছে – কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে নিযুত ঘন্টা !
কালোত্তীর্ণ সময়ের ফাকে দেখা হয়ে ওঠেনি
নক্ষত্ররাজি পুর্ণ রাতের আকাশ ।
হেলায় ভোর হয়ে গেছে নিদ্রাতুর দীর্ঘ রজনী !
‘ নিদ্রার চেয়ে প্রার্থনায় মগ্ন হওয়া উত্তম’-
এ-ও তো ঐশিবাণি ,
তবু কেন আজ আমাদের আরেক ঐশিদের
আত্মহননে প্রলুব্ধ করে -
একমাত্র ‘নাম’, আর ‘ঘৃনার ঘুঙ্গুর' ?
কেন আজ নিরাপদহীন গোধুলীতে ফেরা -
একমাত্র আশ্রয় বেহুলার বাসরঘর ?
পাখিও তো নীড়ে ফেরে বিপদসঙ্কুলমুক্ত
ডানা মেলতে ।
বিস্তির্ণ মাটির গহ্বরও তো বৃশ্চিক আর
সরিসৃপের নিরাপদ আবাসস্থল !
নিরাপদ নয় শুধু আমাদের
জৌলুসভরা কামনার আপন নিবাস ।
যেখানে কোমড়ে যত্নে রাখা পিস্তল
অথবা ছুঁড়ির ফলা বিদীর্ণ ভেদ করে
নিজস্ব চিবুক !
এখানে লালসার ঐশ্চর্য্য আর অবহেলায়
জনকযুগলের স্নেহহীন 'ঐশি' কিংবা 'শান্তরা'
আজ "ঐশি" বা "শান্ত" তে পরিণত হয়ে
আমাদের বহুল আলোচিত জেন্ডার বৈষম্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ।
কেন আজ ঐশি-শান্তরা গৃহের সদর দরজায় কড়া নেড়ে
শুনিয়ে যায়-‘নুলো ভিখিরীর' গান ?
কেন আজ এঁরা আমাদের হরিদ্রাভ মাঠজুড়ে
পড়ে থাকা অভিশপ্ত ঈশ্বরের ‘রুগ্ন ফসল’ ?
যখন কিষানের ঘরে আসবেনা আর নবান্নের লালিত উৎসব ?
ইদানিং ‘ভালোবাসা’ আর ‘সততার’ সাড়ির বিশেষণগুলো
বাংলা অভিধানে বড়ো বেশী বেমানান ।
হয়তো তা চিরকালের জন্য মুছে দিতে কোন একদিন
দেশজুড়ে চলবে হরতাল আর রাস্তায়
গাড়ি পোড়ানোর মহোৎসব !
কি হবে বসতবাড়ির বর্হিদরজা খোলা রেখে
‘চোর’, বাটপার আর ছেচ্চরদের সাথে সখ্য গড়ে ?
বুমেরাং হয়ে তাই ঐশি-শান্তরা কুপিয়ে চলে আমাদের
বিপন্ন মানবিকতা ।
কি হবে এদের বিচার করে ? সমাজবিজ্ঞানীরা কি বলেন ?
বরং আজ মহাসমারোহে বিচার হোক নিজেদের-
এই পললভুমির মান্যবর সকল নাগরিকের নামে
চার্জশিট দাখিল করুক – কোন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা !
আর বিচারের রায়ে মৃত্যুদন্ড হোক আমাদের মানবিকতার,
‘ঐশি বা ‘শান্তদের’ নয় ।।

##( অতি সম্প্রতি মফস্বল শহর পঞ্চগড়ের একটি মহল্লায় আপন মা-বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ‘শান্ত’ নামীয় এক পাষন্ড ছেলে । আপন সন্তানের হাতে খুন হওয়া আমাদের সমাজে একটি ব্যতিক্রম ঘটনা ! একটি প্রশ্ন আমরা যারা বাবা-মা এর কাছে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় আর তা হচ্ছে ‘ আমাদের গন্তব্য কোথায়' ? আমরা কোথায় যাচ্ছি । আমাদের একান্নবর্তী ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে ফাস্ট লাইফের জৌলুসভরা সিঙ্গেল ফেমিলী কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ? এর জবাব কি কারো কাছে আছে ….? )

++++++++++++

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.