নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। একজন মা ও তার বেওয়ারিশ বিড়াল মাতৃকতা ।। - আহমেদ রুহুল আমিন ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

একটি জীবনঘনিষ্ঠ গল্প । উত্তরবঙ্গের একটি জেলা শহরে খুব কাছ থেকে দেখা একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের দু:খ-র্দুদশার কাহিনী এই সমাজে- যাদের কেউ খোঁজখবর রাখেনা বা কোনদিন কেউ খোঁজখবর রাখার চেষ্টাও করেনি .... ! আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখা অর্ধ শতাব্দী পেড়িয়ে গেলেও বহিরাবরণে বেশ চাকচিক্য এসেছে...। কিন্তু .....

( শেষ পর্ব )
যে গল্পের শেষ নেই :
সন্ধ্যা রাতেই প্রসব বেদনা উঠেছিল আলেয়ার । ভাগ্যিস, বাড়িওলি কাছেই ছিল । যে আলেয়ার মায়ের ভুমিকা পালণ করেছে । বাড়িওলি নিজেই আজাদ হোমিও হল থেকে কি যেন ওষুধ খাওয়ানোর সাথে সাথে পেটের বাচ্চা নড়াচড়া শুরু করে । গরীবের সাহায্যে গরীবেরাই এগিয়ে আসে আগে । মাঝরাতের আগেই আলেয়ার ভাড়াকরা টিনের চালার এক কামরার ঘর আলো করে ফুটফুটে একটি কণ্যা সন্তান পৃথিবীতে জন্ম নেয় । পোয়াতীর থেকে বাড়িওলিকেই বেশী খুশি মনে হয় । কিন্তু আলেয়ার মনে রাতের বেলার তালমার জঙ্গলের থেকেও ঘোর অন্ধকার ঘনিয়ে আসে । একদিন- দুইদিন- তিন দিন গিয়ে সময় গড়ায় ।গরীবের মাতৃত্বের সুস্থতা এমনিতেই আসে । অল্পকিছু টাকা জমিয়ে রাখা ছিল, যা শেষ হলে সে কোথায় গিয়ে দাড়াবে ? এমনিতে বাচ্চাওয়ালী কাজের লোক কেউ রাখতে চায়না । তার অনাগত ভবিষ্যতের চিন্তায় বুকটা হুহু করে উঠে ......। বাপের কাছে বাড়িতে যাওয়ার আগে সৎমায়ের মুখখানা ভেসে আসলে মুখে বিষ ঢেলে মরতে ইচ্ছা করে, তবুও সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা করেনা । অনিচ্ছা সত্বেও বাপের ওখানে দুইদিন থেকে সে সিদ্ধান্ত নেয় স্বামীর খোজে তার গ্রামের বাড়ি পার্বতীপুরে যাবে । কিন্তু কোলের বাচ্চাকে নিয়ে চিন্তা । বিশেষ করে, সে মেয়ে হিসেবে একটি মেয়ের জন্ম থেকে শুরু করে বেড়ে উঠার নানা প্রতিবন্ধকতা তার জীবনকে দিয়ে হারে হারে তার থেকে বেশী কেউ বুঝতে পারেনি । তাই, তার ঔরশজাত এই পিচ্চি কণ্যাশিশুকে কোথাও দিয়ে দিতে পারলে সে স্বস্তি পেতো... ! মুহুর্তে তার চোখে মাস্টারনি আপার বাসায় বিড়াল ছানাদু'টোর কথা মনে আসে । মাষ্টারনি আপা কিন্তু বিড়াল ছানাদু'টোকে কোথাও ফেলে দেয়নি বরং ওদের খুব আদর আপ্যায়ন করে । অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়- আপারা'তো খুব ভাল মানুষ । উনাদের বাসায় গিয়ে বাচ্চাটাকে একেবারে দিয়ে দেবে কেননা, উনাদের'তো কোন মেয়ে নেই । মেয়ে একটু বড় হলে তখন মায়া পড়ে গেলে আর কোথাও দেয়া যাবেনা । তাই এখনই একটা কিছু করা দরকার ।
মাস্টারনি আপা ও প্রফেসার স্যার তার বারদিনের দুধের মেয়েশিশুটিকে তাদেরকে একেবারে দিয়ে দেয়ার প্রস্তাবটি পেয়ে অন্ধকারে ভুত দেখার মতো চমকে উঠেন । কতটা অসহায় বোধ করলে একজন মায়ের পক্ষে তার দুধের শিশুকে কাউকে দত্তক দেয়ার কথা চিন্তা যায় ! --'- কিন্তু তারা কিছুতেই রাজি হয়না দেখে আলেয়া ব্যর্থ মন নিয়ে বাসায় চলে আসে ।
মাঝরাতের শেষে তখনও ভোর হতে অনেক বাকী । রাতের বেলা বাচ্চাটি বেশ কয়েকবার কেথা ভিজিয়েছে । যতবারই কেথা ভিজোয় ততবারই তার মুখে দুধ দিতে হয় । নাদুসনুদুস এই বাচ্চার জন্মই হয়েছে পৃথিবীর সবকিছুর পূর্ণতা পেয়ে । না’হলে তার'তো কোন কান্নাই নেই । এতো শান্তশিষ্ট কোলের বাচ্চা আলেয়া কম দেখেছে । নানা ধরনের দুঃশ্চিন্তায় সারারাত ঘুমাতে না পেরে শেষরাতে আলেয়া বিছানা থেকে উঠে বাবুকে জাগায় । বলে - ' বাউ, তোর বাপের দেখা করিবা যাম ট্রেনত, আর নিন্দাইসনা । অনেকদুর হাটিবা হবে তারপর স্টেশনে ভোরের ট্রেন ধরে পার্বতীপুর যাম ' । বাপের কথা শুনে ছেলের মুখে কিছুটা খুশির ঝলক দেখা দেয় । কেননা, তার বাপ বলতে সে বুঝে নিয়েছে যে ,তার নুতন ধকর(সৎ)বাপ যে তাদের মা-বেটাকে খুব আদর করে । কয়েকদিন আগে বাসে করে তার মায়ের সাথে এই নুতন বাপই‘তো দিনাজপুর শহরে তাকে নুতন শার্ট-প্যান্ট কিনে দিয়েছিল এবং শহরে একটি বাসায় পনের/ষোল দিনের মতো থেকে এসেছিল ।তার মনে আছে , তখন তারা রামসাগর দিঘীতেও বেড়াতে গিয়েছিল এবং চেরাডাংগী না কোন মেলায় সার্কাস দেখানোর পর অনেকগুলো খেলনা কিনে দিয়েছিল । সুতরাং তার এই ধকর বাপের কাছে যেতে তার খুব ভালই লাগে । সে বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠে বিছানার নীচে ভাঁজ করতে দেয়া বাপের দেয়া শার্ট-প্যান্ট গায়ে দেয় । এত ভোরবেলা সাধারণত: রাস্তায় কাউকে দেখা যায়না । শুধু কয়েকটা নেড়ি কুত্তা স্কুলমাঠে কুন্ডুলি পাকিয়ে শুয়ে আছে । মা-বেটা আর কোলের বাচ্চাটিকে দেখে একটি কুকুর শুয়ে থেকেই লেজ নাড়িয়ে হাল্কা ঘেউ ডাক পারলে বাবু মাকে জড়িয়ে ধরে । আলেয়া মুখে অদ্ভুত অচ্চ্...অচ্চ্ উচ্চারন করলে কুকুরটি শান্ত হয়ে লেজ নাড়ে । এটি আলেয়া তার বাপের কাছে শিখেছিল । রাত্রে যখন চা-দোকান থেকে বাড়ি ফিরতো তখন অপরিচিত কুকুরদের এভাবে তার বাবা বশ করতো । কিছুক্ষণের মধ্যে মাষ্টারনি আপার গেটের কাছে এসে সিঁড়ির ঠিক পার্শ্বে যেখানে বাবু খেলতো সেখানে কাঁথামুড়ি দেয়া বাচ্চাকে শুয়ে দিয়ে ঝটকা টানে বাবুকে নিয়ে জোড়ে হাঁটতে থাকে সে । সোনাপট্টির গলিতে আসতেই ভোরের আযান শুরু হয় । আযানের সাথে সাথে আল্লাহ্ র কাছে তার বাচ্চাটির জন্য মনে মনে দোয়া করতে থাকে । এতক্ষণে তার চোখে মনের অজান্তে পানির স্রোত গালবেয়ে ঝরে পড়া শুরু করেছে । করোতোয়া ব্রীজ পাড় হয়ে তার একবার মনে হল বাচ্চাটাকে নিয়ে আসবে কিন্তু ততক্ষণে রাস্তাঘাটে লোকজন চলা শুরু করেছে । বিশেষ করে, ভোরবেলার নামাজি মানুষ ও ঢাকার কোচের ফিরতি মানুষ দেখে তার আর ফেরা হয়না ।

ভোরবেলার লোকাল ট্রেন ধরে পার্বতীপুর স্টেশনে পৌঁছাতে দুপুর গড়িয়ে যায় । তার মনের গভীরে জীবনের বিষাদের ছায়া ঘুরপাক খায় মাতৃজঠরে বেড়ে উঠা সন্তানের মতো । পার্বতীপুর স্টেশনে ওভারব্রিজ পার হয়ে পুর্বপার্শ্বের বাজারের মধ্যগলি ধরে সোজা রাস্তা ধরে আরো সামনে তিন -চার কিলো গেলে মধ্যম গ্রাম । খোলাহাটি ক্যান্টনম্যান্ট লাগোয়া এই গ্রামের বেশিরভাগ মানূষ বাইরে থাকে । আলেয়া একবারই এসেছিল এই গ্রামে বিয়ের ঠিক পরপরই । আর আজকে আসলো পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা মনে শোক নিয়ে । আরিফুল ড্রাইভারের বাবা অনেক আগে মুক্তিযুদ্ধের ঠিক ছয় বছর পরে খোলাহাটিতে পরিত্যাক্ত ইটভাটায় কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে মারা যায় ।জন্মের আগেই মারা যাওয়ায় আরিফুল ড্রাইভার তার বাবাকে দেখেনি । তার মাও মারা যায় যখন তার বয়স তিন-চার বছর হবে । তবে, শকুন আয়ু পাওয়া তার দাদি এখনও বেঁচে আছে । দাদি বলা চলে, কোলে পিঠে করে আরিফুল ড্রাইভারকে নিজ হাতে মানুষ করেছে । দুইটি টিনের চালা ঘরের একটাতে থাকে তার দাদি । তার ছোট চাচার কাছে দাদির খাওয়া দাওয়া । ছোট চাচার ষ্টেশনে একটা ঘুনটি পানের দোকান আছে। যাতে করে সংসার নির্বিঘ্নে চলে যায় । ওরা যাওয়ার সাথে সাথে আলেয়ার চাচি শাশুরী তেলাপিয়া মাছ আর ডাল দিয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ায় । আরিফুলের কথা শুনে ওর মা কিছুক্ষণ মরা কান্না করে । তারপর সে জানতে পারে যে, আরিফুল ট্রাকে করে পাথর নিয়ে যশোর যাওয়ার পথে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে যশোরে হাসপাতালে রয়েছে । তারকাছে এমনিতেই কোন টাকা পয়সা নেই যে, এতদুরে সে যাবে । সুতরাং পার্বতীপুরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে রওয়ানা দেয় ।কিন্তু টিকেট না থাকায় টিটি তাকে সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে নামিয়ে দেয় । স্টেশনে নেমে তার মাথায় রাজ্যের অন্ধকার নেমে আসে । তার জীবনটা কিভাবে তছনছ হয়ে গেল ইত্যাদি ভাবতেই ছেলে বাবুর ডাকে সন্বিত ফেরে ।
….ওমা….মা..রে…মোক খুব ভোগ লাগিছে…। বাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে তার যেন কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে! পটলার মধ্যে ১০০ টাকার নোট একটা খুব কষ্টে রেখেছিল । সেটা ভাংগিয়ে স্টেশনের চা দোকান থেকে দশ টাকা দিয়ে দুইটি ক্রিমরোল কিনে ছেলের হাতে দেয় । বাবু তা গোগ্রাসে খেয়ে ফেলে আরো চায় । দোকানদারের কাছে একগ্লাস পানি নিয়ে বাবুকে খাওয়ায় ও সেও দুই ঢোক খেয়ে স্টেশনের একটি বেঞ্চিতে বসে পড়ে । মুহুর্তেই ভোরবেলায় মাস্টারনি আপার গেটে রাস্তার ধারে রেখে আসা ছোট বাচ্চাটির কথা মনে আসতেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি ঝরার মতো দুচোখ বেয়ে অঝরে পানি আসলে ডুকরে কাঁদতে থাকে সে । তার কান্না দেখে বাবুও কাঁদতে থাকে । কিছুক্ষনের মধ্যে তাদের চার পাশে লোকজন জমে যায় । অনেকে অনেক কথা জিজ্ঞেস করতে থাকে । বাড়ি কোথায় জিজ্ঞাসা করলে পঞ্চগড় বলার পর এক মুরুব্বী শ্রেণীর এক লোক তার বউসহ সামনে এসে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হবার পর সে জানতে পারে তাদের বাড়ি আটোয়ারীর বড়সিংগীয়ায় আলেয়াকে তারা চিনে আনন্দময়ী গ্রামের হবিবর মাষ্টার মুরুব্বীর ভায়েরা এবং তিনি সেখানে তাকে দেখেছেন ছোটবেলায় যখন সে তাদের বাড়িতে কাজ করতো । রাত তখন প্রায় দশটা বাজে । এতো রাতে কোথায় যাবে জোয়ান মেয়ে হিসাবে স্টেশনে থাকাও নিরাপদ নয় ইত্যাদি চিন্তা করে মুরুব্বীর প্রস্তাবে তাদের সাথে একটা পাগলু অটো ভাড়া করে তাদের বাড়িতে যায় । মুরুব্বীটি প্রাইমারী স্কু্লের মাস্টার এখন রিটার্ড করেছে । তারা ঠাকুরগায়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিল । বড়শিংগিয়ায় তাদের বাড়িতে যখন পৌছে তখন প্রায় মধ্যরাত । মুরুব্বীর বড়ছেলে বাড়িতেই থাকে । সেও প্রাইমারী স্কুলের মাস্টার । বউ আর দুটি বাচ্চাও আছে । অবস্থাপন্ন ঘরের মানুষ বাড়িঘর দেখেই বুঝা যায় ।বড় বড় স্কুল ঘরের মতো আট-দশ রুমের টিনসেডের বাড়ি ।জমিজমা যে অনেক আছে তা তাদের পোয়ালের পঞ্জী দেখেই বুঝা যায় । তিন-চারশ মন ধানতো মারেই বছরে।শিংমাছ ও আলুর মিশাল তরকারিতে সে অনেকদিন পর অনেক ভাত খেলো ।বাবুও ক্ষুধা নিয়ে ভালই খেয়েছে । একসময় একরুমে মা-বেটাকে শুইতে দিলে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে তা জানতে পারে যখন পরের দিন অনেক বেলা হয়ে গেছে । হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা খাওয়ার পর লক্ষ্য করে মুরুব্বীর ছেলে কেমন যেন সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । একসময় জেরা করে তাকে বুঝতে পারে ফেসবুকে পঞ্চগড়ের কামাতপাড়ার রাস্তায় বাচ্চা রেখে আসার কাহিনী । দুর্বল চিত্তে সে অকপটে স্বীকার করলে তারা আটোয়ারী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের ধরে নিয়ে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ।সেখানে পৌছার পর আলেয়ার সারা শরীর যেন হিম হয়ে আসে ।বাচ্চাটি নিথর হয়ে তার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে ।তার মনে হলো আল্লাহ স্বয়ং তার এই ছোট্টমনিকে তার কাছে এনে দিয়ে তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্লজ্জ স্বার্থপর মানুষে পরিণত করেছে । সে হাত দিয়ে ওকে কোলে নিতে যাবে এমন সময় এক ম্যাডাম এসে সামনে দাড়ায় । উনি এখানে আসার পর অনেক মানুষ জমায়েত হয়েছে এখানে । জেলার কোন বড় কোন ম্যাডাম হবে মনে হয় তার । ম্যাডাম তাকে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করলে সে প্রথমে থতমত খায় । পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে কথার এক একটা জবাব দিতে থাকে, কিন্তু কথায় অসংলগ্নতা দেখা দেওয়ায় বাচ্চাটিকে তাকে এই মুহুর্তে দেয়া ঠিক হবেনা এবং আলেয়ারও কাউনসিলিং এর মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে ম্যাডাম বাচ্চাটিকে হাসপাতালে রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে যায়…. ।
...............................................................................................................................................................
আলেয়ার সারা শরীর আবারোও হিম হয়ে আসে…..ঠিক যেমন দারুণ ঠান্ডা লাগা হিমালয় পাহাড়ের দিক থেকে তেড়ে আসা মাঘ মাসের গা হিম করা হাত-পা টাটানো শীতের মতো যা ষোল চাকার পাথরের একটা ট্রাক হয়ে তার বুকে এসে সমানেই পিষেই চলছে.......পিষেই চলছে ….. !!
- সমাপ্ত ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: জীবনের গল্প।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

মেটালক্সাইড বলেছেন:
পৃথিবীর আদি অকৃত্রিম আবেগ। মন ছুয়ে গেল্‌, ,
ব্লগে ম্যাওপ্যাও লেখার ভীড়ে আবেদনময়ী লেখাটি ভাল লেগেছে।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫০

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ....শুভকামনা রইল ।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৭

মা.হাসান বলেছেন: বাহুল্য বর্জিত চমৎকার এক জীবন ছোয়া লেখা।

আমি নিজেও এক সময়ে চেরাডাংগির মেলায় গিয়েছি । এখন আর মেলা হয় কি না জানা নেই।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:২৫

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদানের জন্য....শুভকামনা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.